ইয়াসমিন_রিমা #অসম_প্রেম #পর্ব_১৪

0
367

#ইয়াসমিন_রিমা
#অসম_প্রেম
#পর্ব_১৪

সবাই আমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছে। সারাদিন এভাবেই কেটে গেল।
রাত হয়ে গেল অনেক আদিত্য এখন ও আসছে না ড্রয়িং রুমে পাইচারি করছি।আজ আমি জেনেই ছাড়ব সব কিছু।১১:৩০ বাজে আদিত্য অফিস থেকে চলে আসল।
এসেই বলতে শুরু করল।
, তোমার সারাদিনে আর কোন কাজ নেই। আমার সামনে ঘুর ঘুর করো‌।
, আপনার সামনে ঘুর ঘুর করব না তো আর কার সামনে করব। আপনি ফ্রেস হয়ে আসুন আমি খাবার দিচ্ছি।
, তোমার হাতের খাবার আমি খাব না। আমি বাইরে থেকে খেয়ে এসেছি।
,ওহ তাই আপনি যান আমি আসছি।
, তোমার কি কোনো কিছুতেই শিক্ষা হয়না না।এত অপমান তার পর ও লজ্জা নেই।
, থাকবে কি করে। আমি তো এমনই।
একটা ঝাড়ি মেরে ই চলে গেল। আমি ও এত সহজে হাল ছাড়ার পাত্রী নই। তাড়াতাড়ি খেয়ে আদিত্যর রুমে ঢুকলাম।
, তুমি আমার ঘরে ঢুকবে না।
, আমি ঢুকব এবং এই ঘরেই আপনার সাথে শোব বুঝেছেন। বেশি বাড়াবাড়ি করলে আমি সবাইকে জরো করে বলব আপনি ডেকে নিয়ে এসে আমার সর্বনাশ করেছেন।
, তোমার স্পর্ধা দেখে আমি আশ্চর্য হয়ে যাচ্ছি।
,এত আশ্চর্য হবার কিছু নেই। এবার বলুন আপনার বোন আমার সম্পর্কে কি বলেছিল।
রেগে গিয়ে বলতে লাগলো
, শুনতে চাও তুমি তাহলে শোন।
#ফ্লাসব্যাক
আলিশা ঘর গোচ্ছিল। তখন শ্রাবন বাইরে ফোন রেখে ওয়াশরুমে যায়। তখন কেউ কল দেয়। আলিশা এসে কল ধরবে তখনই কেটে যায়।যার কারণে ফোনের ওয়াল পেপার টা খুব ভালো করেই বুঝা যাচ্ছিল। আলিশা ওর স্বামীর পাশে কোনো মেয়েকে সয্য করতে ‌পারে না। স্বামীর প্রতি অগাধ বিশ্বাস।দেখে একটা মেয়ের সাথে বেডে খুব ঘনিষ্ঠ অবস্থায় ছবি তোলা। আলিশা নিজেকে ধরে রাখতে পারে না। কেঁদে দেয়। কোনো মেয়ে তার স্বামীকে এইভাবে অন্য কোন মেয়ের সাথে দেখে সহ্য করতে পারে না।যাকে বিশ্বাস করে সেই যদি বিশ্বাস ভাঙ্গে।ফোন ঘাটলে আর ও অনেক ছবি পাওয়া যায়। স্বামী কে হারানোর ভয়ে ফোন আগের জায়গায় রেখে দেয়।আর সব ছবি নিজের ফোনে রাখে। কোনো রকম কষ্টটা আড়ালের চেষ্টা।এর মধ্যে শ্রাবন চলে আসল।আলিশাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরল। আলিশা চমকে গেল।
, শ্রাবন,কি কর তুমি। আমার সোনা পাখি টা।
,কই কিছু না তো। আচ্ছা তুমি আমাকে ছাড়া আর কাউকে ভালোবাস না ত । সত্যি করে বলবা কিন্তু।
,আরে আমি শুধু তোমাকেই ভালবাসি। শুধু তোমাকেই। সত্যি বলছি।এই তিন সত্যি।
, সত্যি।
, হুম।
মনে মনে,কিন্তু আলিশা আমার যে আরো একজন ভালো লাগে। আমি ওকে বিয়ে করেই ছাড়ব। তোমার বিশ্বাস জিতেছি শুরু টাকা আর টাকার জন্য। আমি যা চাই তা আমার লাগবেই। এমনকি প্রেমাকে ও। আমি শুধু তোমাদের নিয়ে ফুর্তি করব।হা হা হা হা বাকা হাসি দিয়ে।প্রেমার যা রুপ আমি ঘায়েল। ওর সাথে যদি একটু রাত কাটাতে পারতাম।বেস আর কিছু চাই না। আলিশা তুমি পুরোনো হয়ে গেছ। তোমাকে ভালো লাগে না। এবার নতুন কাউকে চাই।
, শ্রাবন, ওহ্ শোননা আমার না একটু কাজ আছে।আসছি।
আজ প্রেমাকে বলব আমাকে বিয়ে করতে না হলে আমি সুই*সা*ইড করব তার ও এমনিতেই রাজি হয়ে যাবে।বাকা হাসি দিয়ে।
, ওকে তুমি যাও। সাবধানে যেও।
ও এমন করবে ভাবতেই পারছি না।ওই মেয়ে আমার সংসার ভাংতে চাচ্ছে তা আমি হতে দিব না। এক্ষুনি আদি কে বলব ও এই মেয়ের ব্যাবস্থা করবে। কাঁদছে আর বলছে।এই মেয়ে কে সরিয়ে ফেলতে হবে আমার রাস্তা থেকে। আমার স্বামী কে বস করা।ছারবো না আমি ওকে ছারব না।

আদিত্য যখন রাতে বাড়ি ফিরল রুমে ঢুকে কোটটা বেডে রাখল। ঠিক তখনই আলিশা কান্না কাটি করে ভাইকে জরিয়ে ধরল।বলল।
,আদি,,ই
,কি হল আপু তুই কাঁদছিস কেন।কি হয়েছে বল। দুই হাত দিয়ে মুখ উঠিয়ে। চোখের পানি মুছে।
,আদি একটা মেয়ে। ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে।
আদিত্য অবাক হয়ে। আলিশা সব বলল আদিকে। আদিত্য রেগে আগুন হয়ে গিয়েছে।হাত মুষ্ঠিবদ্ধ করে নিল। তার একমাত্র আদরের বোন তার চোখের পানি যে ঝরাবে তাকে ছাড়বে না। দরকার পরলে নিজের হাতে খু*ন ও করতে দ্বিধা করবে না। আদিত্য আগেই জানত শ্রাবন ভালো না একদম শুরু থেকে।তবুও কিছু বলেনি বোনের হাঁসি মুখের দিকে চেয়ে। বোনের সুখের জন্য সব করতে পারে।জানে শ্রাবন ভুল তবুও বোনের কথা ভেবে সব মেনে নিয়েছে। নিজের কথা না ভাবলেও বোনের কথা সে ভাবে। বোন যা চায় তাই হবে।
,বল আপু কি করতে হবে।ওই মেয়ে এমন হাল করব ভাবতে ও পারবে না।ওই মেয়ের ছবি দেখা।
,এই যে ওর ছবি।
ছবি দেখে আদিত্য থমকে গেল।এটা কে।তাও এত খারাপ ভাবে।এত ন*ষ্টা মেয়ে আদিত্য কল্পনাও করেননি। এই মেয়ে যখন প্রথম ওর অফিসে আসে। তখন থেকেই ওর প্রতি আদিত্যর ভালো লাগা তৈরি হয়। কিন্তু মনকে হাজার বার বুঝিয়েছে।লোকে কি বলবে যে এই রকম একটা মেয়ে গাইয়া তাকে কি না আদিত্য শেহ্জাহান খান পছন্দ করে।বোনের কথায় এক মূহুর্তে ঘৃণা জন্মাও নিজের ওপর।

চলবে,
গল্প দিতে একটু দেরি হতে পারে। কেমন হল জানাবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here