খোলা_জানালার_দক্ষিণে #পর্ব_১১ #লেখিকা_Fabiha_bushra_nimu

0
314

#খোলা_জানালার_দক্ষিণে
#পর্ব_১১
#লেখিকা_Fabiha_bushra_nimu

কোলাহলে পরিপূর্ণ পরিবেশ। সরকারি হাসপাতালে শতশত রোগীদের আনাগোনা। প্রতিটি মানুষই সুস্থভাবে শান্তিতে বাঁচতে চায়। অসুস্থ জীবন কাটাতে কে-ই বা পছন্দ করে। অসুস্থতা মানুষের মনকে করে বিষাদগ্রস্ত। বিষন্নতা নিয়ে পড়ে থাকতে হয় হাসপাতালের বেডে। আত্নীয় স্বজদের মাঝে বিষাদের আহাজারি। সব ভালোর মধ্যেই খারাপ লুকিয়ে থাকে। মানুষ অভাবের তাগিদেই সরকারি হাসপাতালে আসে।

–আমার মাকে কাল রাতে স্যালাইন করার কথা ছিল। আপনারা এখনো স্যালাইন করেন নাই কেন?

–আপনাকে কাল রাতেই বলেছি। আমাদের এখানে স্যালাইন শেষ হয়ে গিয়েছে। আপনি বাজার থেকে স্যালাইন কিনে নিয়ে আসুন।

–আপনি মিথ্যা কথা বলছেন কেন? সরকার তো ঠিকি ঔষধ, রোগীদের বেড, যাবতীয় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পাঠিয়ে দেয়। কালকেই গাড়ি এসে স্যালাইন দিয়ে গেল। এক রাতের মধ্যেই সবকিছু শেষ হয়ে গেল। মানুষের জীবন নিয়েও আপনাদের দুর্নীতি করতে হয়। আমি কিন্তু আপনাদের আপনাদের নামে বিচার দিব। তখন বুঝতে পারবেন। মাসে কয়দিন যায় আর দিনে কয়দিন যায়। টাকা দিয়ে স্যালাইন কেনার জন্য তো সরকারি হাসপাতালে আসি নাই।

–কাল রাত থেকে বেশি কথা বলছেন। আপনার গলায় এত জোড় আছে। আপনি আপনার মাকে প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করালেই পারেন। স্যালাইন নাই মানে স্যালাইন নাই। বেশি সমস্যা সৃষ্টি করার চেষ্টা করলে, আপনার মুখ বন্ধ করিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করব। কথা গুলো বলেই নার্স চলে গেল। আরিফ তার অসুস্থ মাকে নিয়ে চিকিৎসা করাতে সরকারি হাসপাতালে এসেছিল। কালকে সে নিজের চক্ষে দেখেছে। ঔষধের গাড়ি এসে সবকিছু দিয়ে গিয়েছে। রোগীদের জন্য কতগুলো নতুন বেডও নিয়ে এসেছিল। এরা এক রাতের মধ্যে সবকিছু কোথায় গায়েব করে দিল! সরকার তো ঠিকি তার দায়িত্ব পালন করছে। রোগীদের জন্য যা যা প্রয়োজন সবকিছু পাঠিয়ে দিচ্ছে। আর এরা সরকারের দেওয়া জিনিস রোগীদের না দিয়ে নিজেরা আত্মসাত করে খাচ্ছে। নিজের ক্রোধ নিয়ন্ত্রণ করতে পারল না আরিফ। সে জীবনের মায়া করে না। আজ গরীব ঘরে জন্ম নিয়েছে বলেই, সরকার হাসপাতালে এসেছিল। বড়লোক হলে নিশ্চই মাকে বড় কোনো প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করাত।

দু’দিন পরে ঝড়ের গতিতে মেহেভীন আসলো হাসপাতালের সামনে। সে বিলম্ব করল না দ্রুত গাড়ি থেকে নেমে, হাসপাতালের সামনের বড় দোকানটায় চলে গেল। ম্যাজিস্ট্রেটকে দেখেই ভেতরটা শুকিয়ে কাট হয়ে যায় ইবরাহীমের। ভয়ে পুরো শরীর অবশ হয়ে আসছে। মস্তিষ্ক শূন্য হয়ে পড়েছে। বুদ্ধিরা জোট বেঁধে পালিয়েছে। শরীর রীতিমতো কাঁপাকাঁপি শুরু হয়ে গিয়েছে। মেহেভীন গাড়ি থেকে নেমে দোকানদার ইবরাহীমকে ঔষধ দেখাতে বলল। মেহেভীন ও তার সহযোগীকে একটা একটা করে ঔষধ বের করে দেখাতে লাগলো। আশেপাশে বাজারের মধ্যে কানাকানি হয়ে গেল। বাজারের মধ্যে ম্যাজিস্ট্রেট প্রবেশ করছে। দুই একজন বাদে সবাই দোকান বন্ধ করে পালিয়ে চলে গেল।

–আমরা খবর পেয়েছি আপনারা বেআইনি ভাবে ঔষধ বিক্রি করেন। আপনার দোকানের সব ঔষধ আমাদের দেখাবেন। কোনো রকম চালাকি করার চেষ্টা করলে, ফলাফল ভালো হবে না। যদি কোনো অন্যায় করে থাকেন। তাহলে আগেই স্বীকার করে নিন। আমরা আপনার বিষয়টা ভেবে দেখব। মেহেভীনের কথায় ভেতরটা ভয়ে কাবু হয়ে আসলো ইবরাহীমের। তবুও সে নিজেকে স্বাভাবিক রেখে গা-ছাড়া জবাব দিল,

–আপনি আমার পুরো দোকান চেক করে দেখতে পারেন ম্যাডাম। আমি আপনাকে একশো পারসেন্ট নিশ্চয়তা দিয়ে বলতে পারি। আপনি আমার দোকানে ভেজাল মেশানো কোনো কিছুই পাবেন না।

–সেটা আপনি বললেও আপনার দোকান আমরা তল্লাসি নিব। না বললেও নিব। আপনি দোকানের প্রবেশ দরজা খুলে দিন। আমার লোক গিয়ে তল্লাসি করবে। মেহেভীনের কথা শেষ হবার সাথে সাথে অস্থির হয়ে উঠলো ইবরাহীম। ফ্যানের নিচে থেকে-ও তরতর করে ঘামছে। ইবরাহীমকে বিলম্ব করতে দেখে, মেহেভীন কঠিন কণ্ঠে দরজা খুলতে বলল। ইবরাহীম দ্রুত দরজা খুলে দিল। ভেতরে তল্লাসি চলছে। ইবরাহীম মেহেভীনকে ঔষধ দেখাচ্ছে। মেহেভীন কয়টা ঔষধের মধ্যে ভেজাল দেখতে পেল। বেশিরভাগ ঔষধের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। সেগুলো তারা নিজেদের মতো সিল বসিয়ে নতুন বলে বিক্রি করছে। তখনই মেহেভীনের সহযোগী বলল,

–ম্যাডাম ঔষধের দোকানের পেছনে গুপ্ত দরজার সন্ধান পেয়েছি। তালা লাগানো আছে। কথাটা কর্ণকুহরে পৌঁছাতেই ইবরাহীমের চোখে মুখে ভয়ের ছাপ স্পর্শ হয়ে উঠল। সে দ্রুত পালানোর চেষ্টা করতে চাইছে। কিন্তু তার পথ সবদিকে বন্ধ। মেহেভীন তাকে নিয়েই গুপ্ত দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করল। সেখানে বিভিন্ন রকমের ঔষধ দেখতে পেল। সেগুলো মূলত সরকারি হাসপাতালের। রোগীদের তার প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করে, তারা বেআইনি ভাবে রোগীদের হোক বিক্রি করে খাচ্ছে। মেহেভীন হাতের কাছে কিছু পাতা দেখতে পেল। সেখানে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য দেখতে পেল। মেহেভীন গম্ভীর মুখশ্রী করে বলল,

–গাঁ’জা কে খায়?

–ম্যাডাম আমি জানিনা। হাসপাতাল থেকে তিনদিন আগে আমাকে যেসব ঔষধ দিয়ে গিয়েছিল। সেগুলো এখানে রেখেছি। এসব মাদকদ্রব্য কোথায় থেকে আসলো জানিনা।

–আমাকে আপনার ছোট বাচ্চা মনে হয়। আপনারা রীতিমতো রোগীদের জীবন নিয়ে খেলা করছেন। সরকারেন নাম খারাপ করছেন। এভাবে জনগনকে হুমকির মুখে ফেলে দেওয়ার কোনো অধিকার আপনাদের নেই। আপনারা মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ কেন বিক্রি করছেন। আপনারা জানেন এসব ঔষধ সেবনের ফলে, রোগী মৃ’ত্যু ঘটতে পারে। আপনাদের কোনো ধারনা আছে। সামান্য কয়টা টাকার জন্য আপনার কতটা নিকৃষ্টতম কাজ করছেন। সত্যি করে বলুন এসব মাদক কে সেবন করে। সরকারি ঔষধ গুলো কে দিয়ে গিয়েছে আপনাকে। মুখ খুলুন বলছি। আমি রেগে গেলে আপনার এমন অবস্থা করব। সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকতে পারবেন না। মেহেভীনের কথায় কেঁপে উঠলো চারপাশ। শীতল হয়ে গেল পরিবেশ। আশেপাশে মানুষ জড় হয়ে গিয়েছে। দুই ঘন্টা ধরে তল্লাসি নিয়েছে তারা। ইবরাহীন আর বাকরুদ্ধ থাকতে পারল না। সবকিছু বলতে শুরু করল,

–আমার ভুল হয়ে গিয়েছে ম্যাডাম। আমাকে মাফ করে দিন। আমাকে একটা সুযোগ দিন। আমি আপনাকে কথা দিচ্ছি। আমি আর কখনো বেআইনি ভাবে ঔষধ বিক্রি করব না। সব সময় সৎ পথে চলব। শেষ বারের মতো একটা সুযোগ দিন ম্যাডাম। মাদকদ্রব্য আমি সেবন করি। আমি নে’শা’য় আসক্ত ম্যাডাম। মেহেভীনের মুখশ্রীতে বিরক্তি ফুটে উঠেছে। রাগে পুরো শরীর কাঁপছে। আমরা মানুষই মানুষের শত্রু। মেহেভীন বের হয়ে আসতে চাইলে, ইবরাহীম মেহেভীনের পায়ের কাছে বসে যায়। সবাই তাকিয়ে দেখছে আর হাসছে। মেহেভীন বাহিরে বের হয়ে সহযোগীকে উদ্দেশ্য করে বলল,

–তার দুই লক্ষ টাকা জরিমানা ধরুন আর ছয় মাসের জন্য দোকানটাকে সিল করে দিন। ছয় মাসের মধ্যে দোকানের আশেপাশে কেউ যেন না আসে। কথা গুলো শেষ হবার সাথে সাথে গাড়িতে গিয়ে বসল। ভেজাল মেশানো ঔষধ গুলো বাহিরে নিয়ে আসা হয়েছে। পুলিশ এসে ইবরাহীমকে ধরে নিয়ে চলে গেল। যে নার্সটা আরিফের সাথে বাজে ব্যবহার করেছিল। তাকেও মহিলা পুলিশের সাথে দেখা গেল। মেহেভীন অপেক্ষা না করে বাজারের মধ্যে দিয়ে চলে গেল।

মেহেভীনের রণচন্ডী মুখশ্রী কারো হৃদয়ে ঝড় তুলে দিয়েছে। এত ভিরের মাঝে আঁখিযুগল মেহেভীনেতে আঁটকে গিয়েছে। সে মেহেভীনকে চিনেনা। তার হৃদয় বলছে এই রমনীকে তার চাই। তার হৃদয়ের রাণী হিসেবে মেহেভীনকে চাই। সে মেহেভীনকে অনুসরণ করতে লাগল। খাঁ খাঁ রৌদ্রের মধ্যে মেহেভীন বেড়িয়েছিল। বাসার বাজার নেই বললেই চলে। বাজার করার জন্য নেমেছিল। ঘেমে-নেয়ে একাকার হয়ে গিয়েছে। ফর্সা মুখশ্রী লাল হয়ে গিয়েছে। মেজাজ বিগড়ে আছে তার। তখনই মেহেভীনের পাশে এসে দাঁড়াল মুনতাসিম। মুনতাসিনকে দেখেই অদ্ভুত ভাবে মেহেভীনের উত্তপ্ত হৃদয়টা শীতল হয়ে গেল। সমস্ত বিরক্তি হাওয়ায় মিলিয়ে গেল। মানুষটাকে বোধহয় আল্লাহ তায়ালা মুগ্ধতা দিয়ে তৈরি করেছে। মানুষটা তার কাছে আসলেই চারিদকে মুগ্ধতা ছড়িয়ে পড়ে। অনুভূতিরা আনন্দে মেতে উঠেছে। বিষাদগ্রস্ত মনটা মুহুর্তের মধ্যে ফুরফুরে হয়ে গেল। মেহেভীনকে বাজারের ব্যাগ হাতে নিতে দেখে বলল,

–আমি থাকতে আপনি এত কষ্ট করছেন কেন ম্যাডাম? এই কথাটার মধ্যে একটা অন্যরকম জাদু ছিল। কথাটা কর্ণকুহরে আসতেই হৃদয়ের গহীনে প্রশান্তি দোল খেলে গেল। কত সুন্দর বাক্য আমি থাকতে কষ্ট করছেন কেন ম্যাডাম! যত দিন যাচ্ছে মানুষটার প্রতি ততই মুগ্ধ হচ্ছে মেহেভীন। চাইলেও এই মানুষটার সামনে সে রাগ করতে পারে না। রাগ গুলো যেন আপস মেনে নিয়েছে। তারা কিছুতেই এই মানুষটাকে কষ্ট দিবে না। ললাট বেয়ে ঘাম গড়িয়ে পড়ছে। মেহেভীন নিজের ওড়না দিয়ে মুখশ্রী মুছে হেসে জবাব দিল,

–সমস্যা নেই আমার লোক আছে।

–আপনি চাইলে আপনার সহযোগী হিসেবে, আমাকেও রাখতে পারেন। ছায়ার মতো আপনার সাথে থাকব।

–ফ্লাট করছেন।

–এটা যদি আপনার ফ্লাট মনে হয় তাহলে তাই। আপনি যা বলবেন তাই মঞ্জুর মহারাণী। মেহেভীন এবার শব্দ করে হেসে উঠলো। মেহেভীনের হাসির প্রতিধ্বনিতে চারপাশে মুখরিত হয়ে গেল। মেহেভীনের হাসির সাথে মুগ্ধতা ঝরে ঝরে পড়ছে। মুনতাসিম বুকে হাত রেখে মনে মনে বলল, এই মেয়েটা আমাকে আজকে একদম খু’ন করে ফেলবে। এভাবে কেউ হাসে! ভেতরে তোলপাড় শুরু হয়েছে গিয়েছে আমার। ভেতরটা ছটফট করছে। এলোমেলো হয়ে যাচ্ছি আমি। এভাবে মুগ্ধতা ছড়িয়ে দিলে, নিজেকে আমি কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করব। এত সহজে ধরা পড়তে চাই না আমি। মেয়েটা আমাকে একদম শেষ করে দিল। আজকে আমি শেষ।

–এভাবে হাসবেন না ম্যাডাম প্রেমে পড়ে যাব। আমি নিতান্তই ভালো ছেলে। এসব প্রেম পড়ার লোভ আমার নেই। এভাবে হেসে লাভ নেই। আমি আপনার প্রেমে পড়ব না।

–আমার প্রেমে পড়ার মানুষের কি অভাব আছে।

–প্রেমে পড়ার মানুষের অভাব নেই। কিন্তু ভালোবাসার মানুষের অভাব আছে। দু’দিনের জন্য প্রেমে সবাই পড়তে জানে। কিন্তু ভালোবেসে আগলে রেখে, সারাজীবনের দায়িত্ব সবাই নিতে পারে না মেহেভীন। প্রেমে ফেলে প্রেমিকা বানানোর যোগ্যতা প্রতিটি পুরুষই রাখে। কিন্তু নারীকে ভালোবেসে নিজের প্রেমিকাকে বউ বানানোর যোগ্যতা সব পুরুষ রাখে না। এক দুই বছরের জন্য প্রেম করে দুই বছর পর তাকে ছেড়ে দিব। এমন প্রেম আমি করি না। ভালোবাসলে তাকে এমন ভাবে ভালোবাসবো। যেন সারাজীবন আমার কাছে আগলে রাখতে পারি। তার সাথে বসে তার কাঁধে মাথা রেখে শত-শত প্রহর জেগে, নির্ঘুম রজনী পার করে দিতে পারি। তার বুকে মাথা রেখে গভীর আলিঙ্গন করে নিশ্চিন্তে নিদ্রা যেতে পারি। সে আর আমি যেন মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ হতে পারি। বৃদ্ধ বয়সে একে অন্যের লা’ঠি হতে চাই। একে অন্যকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চাই। তার সাথে অনন্ত কাল কাটাতে চাই। তার প্রতি আমার মুগ্ধতা কখনো হারাবে না। তাকে দেখার তৃষ্ণা আমাকে সারাক্ষণ তাড়া করে বেড়াবে। বিয়ের ষাট বছর পরে-ও যেন তাকে বলতে পারি। এভাবে কেউ হাসে ম্যাডাম আপনি হাসলে আমি পাগল হয়ে যাই। মুনতাসিনের কথায় স্তব্ধ হয়ে গেল মেহেভীন। মুনতাসিমের মুখে প্রথম নিজের নাম শুনে হৃদয় কেঁপে উঠল। শান্ত হৃদয়টা হয়ে উঠলো অশান্ত। হৃদয়ের গহীনে উথাল-পাতাল ঢেউ খেলতে শুরু করে দিয়েছে। মানুষটার প্রতিটি দিন দিন সন্মান আর শ্রদ্ধা বেড়েই চলেছে। মানুষটার চিন্তা ধারা কতটা সুন্দর। সেজন্য বোধহয় মেহেভীন তাকে অসাধারণ ব্যক্তিত্বের মানুষ বলে উপাধি দিয়েছে। মানুষটা তার কথার মধ্যে দিয়ে মেহেভীনের সব শক্তি শুষে নেয়। নিস্তেজ করে দেয় তেজী শরীর খানা। নিষ্পলক চাহনিতে মুনতাসিমের দিকে তাকিয়ে আছে। মুনতাসিম মেহেভীনের হাত থেকে ব্যাগ গুলো নিয়ে বলল,

–এভাবে তাকাবেন না ম্যাডাম প্রেমে পড়ে যাবেন। এভাবে একা একটা পুরুষকে পেয়ে আঁখিযুগল দিয়ে, গিলে খাচ্ছেন। আমার বুঝি সন্মান নেই। আমার কথাটা একটু ভাবুন ম্যাডাম। আমার বিয়ে-শাদি করতে হবে। এভাবে চোখ দিয়ে আমার সর্বনাশ করবেন না। আমি সমাজ মুখ দেখাতে পারব না। বলেই লজ্জা রাখা মুখশ্রী করে দুষ্টু হেসে সামনের দিকে অগ্রসর হলো৷ মেহেভীন হতভম্ব হয়ে গেল। মনে মনে বলল, কি পা’জি ছেলে রে বাবা। কিন্তু সুন্দর করে তাকে নির্লজ্জ বানিয়ে দিয়ে চলে গেল।

চলবে…..

(নানু বাড়ি এসে নানুর বকবক শুনে তোমাদের জন্য গল্প লিখলাম। আর তোমরা রেসপন্স করতে কিপ্টামি কর। হাজার মানুষ গল্প পড়। সামান্য এক হাজার রেসপন্স করতে পার না। এখন থেকে রোজ রোজ এক হাজার রেসপন্স করবে। আর আমিও রোজ রোজ গল্প দিব। এতে তোমাদেরও শান্তি আমারও শান্তি। বলেছিলাম না তোমরা পারবে। সেই ঠিকি তুললে শুধু শুধু আমাকে কষ্ট করালে। সবাই রেসপন্স করবে কেউ কিপ্টামি করবে না বুঝছ।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here