#মিশে_আছি_তোমাতে ❤
#Nusrat_Jahan_Bristy
#Part_8
“জান এভাবে ছটপট করে কোনো লাভ নেই যতক্ষণ না আমি তোমাকে ছাড়ছি ততক্ষণ তুমি আমার হাত থেকে ছুটতে পারবে না বুঝলে।”
তিশা নাকের পাটা ফুলিয়ে বলে, “ছাড়ুন বলছি আমাকে।”
“ছাড়বো না। আগে তুমি হা করো!”
“কেন?”
“কারণ আমি তোমাকে নিজ হাতে আজকে খাইয়ে দিব।”
“আমি খাব না আপনার হাতে বুঝেছেন।”
“খাবে না তো তুমি আমার হাতে।”
“না খাব না আপনার হাতে।”
আবির তিশার কোমড়ে একটা চিমটি কাটে। তিশা ব্যথায় আহহ করে ওঠার সাথে সাথে আবির তিশার মুখে খাবার ঢুকিয়ে দিয়ে দু ভ্রু নাচিয়ে বলে।
“কি আমার হাতে খেতে হলো তো তোমাকে।”
তিশা সাথে সাথে আবিরের কাছ থেকে চলে যায়। আবির পুনরায় বলে, “এখন ছেড়ে দিয়েছি তোমাকে পরে যখন আমি আমার চ্যালেঞ্জটা জিতবো তখন কিন্তু তোমাকে আর ছাড়বো না।”
তিশা আবিরের কথা শুনে ভেংচি কাটে।
________
নিরব গাড়ি থেকে নেমে বন্ধুর বাড়িতে পায়ে হেঁটে যাচ্ছে। আসলে গাড়িটা ছোট রাস্তা দিয়ে ঢুকতে পারছিলো না তাই নিরব হেঁটেই যাচ্ছে আর নিরবের পেছনে আছে দুজন গার্ড। নিরব প্যান্টের পকেটে হাত গুজে নিজের মনের মতো করে হেঁটে যাচ্ছিল এমন সময় নিরবের সামনে হঠাৎ করেই একটা বাই সাইকেল চলে আসাতে নিরব নিজের ব্যালেন্স হারিয়ে মাটিতে পড়ে যায়। গার্ডরা তাড়াতাড়ি করে নিরবকে মাটি থেকে তুলে বলে।
“স্যার আপনি ঠিক আছেন?”
নিরব ময়লা পরিষ্কার করতে করতে, “হে হে আমি ঠিক আছি।”
একজন গার্ড বাই সাইকেলের মালিকটাকে বলে, “এই যে মিস সাইকেল দেখে চলাতে পারেন না।”
মেয়েটা আপরাধী কন্ঠে বলে, “সরি আসলে আমি বুঝতে পারি নাই।”
“বুঝতে পারেন নাই মানে কি চোখ কি ব্যাগে নিয়ে হাঁটেন নাকি যে এত বড় একটা মানুষকে আপনি দেখতে পারেন নি।”
নিরব টি-শার্টের ময়লা পরিষ্কার করে মেয়েটার দিকে তাকিয়ে তো পুরাই অবাক হয়ে বলে, “আপনি আবার?”
মেয়েটি চিৎকার করে বলে, “আপনিও আবার? থানা থেকে এত তাড়াতাড়ি ছাড়া পেয়ে গেলেন।”
নিরব মুচকি হেসে বলে, “হুম। আমি তো থানা থেকে তাড়াতাড়ি ছাড়া পেয়ে গেলাম কিন্তু এখন যদি আপনাকে আমি পুলিশে ধরিয়ে দেই এই অপরাধে যে আপনি আমার উপর দিয়ে সাইকেল চালিয়ে নিয়ে গেছেন ।”
মেয়েটি নিরবের কথা শুনে ভয় পেয়ে বলে, “না না প্লিজ এমন করবেন না তাহলে বাবা আমাকে মেরেই ফেলবে।”
নিরব মুচকি হাসল আগের দিন ছিল মেয়েটার আর আজকের দিন তার। তাই এই সুযোগটা তো একটু কাজে লাগতে পারেই। নিরব গলা খাকারি দিয়ে বলে, “ঠিক আছে পুলিশের কাছে আপনাকে ধরিয়ে দেবো না কিন্তু আমার একটা শর্ত।”
“শর্ত! কি শর্ত?”
“শর্তটা হলো, আপনার নামটা কি জানতে পারি?”
“আমার নাম নিসা। এবার তাহলে আমি আসি।”
“আমার নামটা জানবেন না?”
“কি নাম আপনার?”
“নিরব রহমান।”
“ওওওওও এবার আমি আসি তাহলে।”
“আরে আমার পরের শর্তটা তো শুনবেন।”
“আপনি একটা শর্তের কথা বলেছিলেন আর আমি আপনার একটা শর্ত পূরণ করেছি এবার আমি আসি।”
নিসা এই কথাটা বলে তাড়াতাড়ি করে চলে যায়। নিরব নিসার দিকে তাকিয়ে ঠোঁটের কোণে হাসি রেখে বলে, “মেয়েটা পুরাই পাগল।”
এর মাঝে একজন গার্ড বলে, “স্যার আপনি কি এখন এই অবস্থায় যাবেন।”
নিরব নিজের দিকে তাকিয়ে বলে, “না এখন একটা মলে চলো ওইখানে গিয়ে ড্রেসটা চেইন্জ করতে হবে। বাড়িতে গেলে ভাইয়া অনেক প্রশ্ন করবে তাই বাড়িতে যাওয়া যাবে না আর ভাইয়াকে এই বিষয়ে কেউ কিছু বলার দরকার না।”
“ওকে স্যার। কিন্তু আপনার বন্ধু।”
“ওটা আপনাকে নিয়ে ভাবতে হবে না।”
“ওকে স্যার।”
________
দুপুর হয়ে গেছে কিন্তু তিশা এখন কোনো প্ল্যান বের করতে পারল না কি করে এই বাড়ি থেকে বের হবে তার। তিশা এই সব চিন্তায় ঘরের মধ্যে পায়চারি করেছ এমন সময় একজন কাজের মেয়ে এসে বলে।
“আপনার খাবার আপা।”
তিশা কাজের মেয়েটার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে কিছু একটা ভাবে। কাজের মেয়েটা চলে যেতেই চলেই তিশা ডাক দেয়, “শুনো।”
“জি।”
“তুমি এখানে কয়টা পর্যন্ত কাজ করো?”
“এই তো সাতটা আটটা পর্যন্ত।”
“আচ্ছা তুমি একটা কাজ করবে আমার জন্য?”
“কি কাজ?”
“তুমি একটু দাড়াও আমি আসছি।”
তিশা আলমারি থেকে একটা শাড়ি নিয়ে এসে বলে, “তুমি এই শাড়িটা পড়ে নাও আর তোমার পড়ানে যে শাড়িটা আছে ওইটা আমাকে দেও।”
কাজের মেয়েটি অবাক হয়ে বলে, “কি বলছেন আপনি এসব?”
“ঠিকেই বলছি তুমি দাও আমাকে।”
“কিন্তু বড় সাহেব যদি কিছু বলে।”
“কিছু বলবে না যদি কিছু বলে তাহলে বলবে আমি তোমাকে দিয়েছি ঠিক আছে।”
“আইচ্ছা।”
“তুমি যাও এই শাড়িটা পড়ে নাও।”
কাজের মেয়েটা চলে যায় ঘর থেকে চলে যেতেই তিশা কুটিল হেসে বলে, “মিস্টার আবির রহমান আমি তো এই বাড়ি থেকে বের হবই। আর আপনি কিচ্ছু করতে পারবেন না।”
________
নিসা আর ওর সব বন্ধুরা একটা রেস্টুরেটে বসে আছে। এর মাঝে নিসা ফ্রেন্ড ওলি বল, “দোস্ত তিশা আপুর কি সত্যি সত্যি ওই আবির রহমানের সাথে বিয়ে হয়েছে।”
নিসা ছোট গলায় বলে, “হুম।”
ইশিতা বলে, “আচ্ছা নিসা আন্টি আঙ্কেল কি এই সব কিছু মেনে নিয়েছে।”
নিসা তপ্ত নিঃশ্বাস ছেড়ে বলে, “নাহ! জানিস বাবা মা খুব কষ্ট পেয়েছে আপুর এই কান্ড থেকে। বাবা তো এখন আর আমার সাথে ভালো করেই কথাই বলে না যদি আমি এমন কিছু করে বসি তার জন্য।”
ওলি বলে, “আচ্ছা তিশা আপুর সাথে তোর কথা হয় না?”
“না আপুর সাথে ওই দিনের পর থেকে আমার আর কোনো কথা হয় নি।”
ইশিতা বলে, “তো তিশা আপু এখন আবির রহমানের বাড়িতেই আছে তাই তো।”
“হুম! শুনেছি আপু আর আবির রহমানের আবার নতুন করে বিয়ে হয়েছে।”
ওলি বলে, “তোরা যাস নি?”
“না যেখানে বাবা এসব মেনে নিতে পারি নি সেখানে কি করে যাবে বল তো।”
ওলি বলে, “আচ্ছা এসব কথা এখন বাদ দে.। কি খাবি সেটা অর্ডার কর।”
নিসা মনমরা হয়ে বলে, “তোরা অর্ডার কর। আমার ভালো লাগছে না।”
ইশিতা বলে, “উফফ নিসা এমন করিস না তো আল্লাহ যা করে ভালোর জন্যই করে।”
ওলি ইশিতাকে খোচা দিয়ে বলে, “দোস্ত ছেলেটাকে দেখ কি হ্যান্ডসাম একদম মনে হচ্ছে কোনো সিনেমার হিরো।”
“তোর আবার শুরু হলো যাকে দেখিস তাকেই সিনেমার হিরো বানিয়ে ফেলিস।”
“আরে হা রামি একবার তো দেখ ছেলেটাকে।”
“কোন ছেলেটা?”
“ওই যে গ্রে কালারের শার্ট পড়া ছেলেটা।”
ইশিতা ছেলেটাকে দেখে বলে, “তাই তো ছেলেটা তো ব্যাপক হ্যান্ডসাম।”
নিসা কপট রাগ দেখিয়ে বলে, “উফফ তোরা থাক আমি গেলাম।”
ইশিতা অধৈর্য গলায় বলে, “নিসা নিসা প্লিজ এমন করিস না বস না একটু।”
“আমার এমনি মন মেজাজ ভালো না আর তোরা একটা কোথাকার কোন ছেলেকে নিয়েছে কি শুরু করলি?”
যাকে নিয়ে এতক্ষন ওলি আর ইশিতা কথা বলছি সে হ্যান্ডসাম ছেলেটা আর কেউ না নিরব রহমান। নিরবও এই রেস্টুরেন্টে ওর ফ্রেন্ডদের সাথে এসেছে। নিরব কফির কাপে চুমুক দিয়ে বলে।
“আরে শোন আজকেও ওই মেয়েটার সাথে দেখা হয়েছিল বুঝলি।”
সাঈদ নিরবের দিকে চোখ তুলে তাকিয়ে বলে, “তাই নাকি ভাই।”
রকি বলে, “মেয়েটা কি দেখতে খুব সুন্দরী।”
নিরব মুচকি হেসে বলে, “হুম একদম পরীর মতো।”
সাঈদ মজা করে বলে, “মামা তুই তো দেখি দেশে এসেই প্রেমে পড়ে গেছিস।”
“তা তো অবশ্যই।”
নিরব কথাটা বলে সামনে দিকে তাকাতেই চোখ যায় নিসার দিকে। নিসাকে দেখে নিরবের বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে বলে।
“তোরা বস তো আমি একটু আসছি।”
সাঈদ বলে, “আরে কোথায় যাচ্ছিস?”
নিরব নিসার সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে বলে, “আরে তুমিই তো সেই মেয়ে তাই না।”
নিসা নিরবকে চোখ বড় বড় করে উঠে দাঁড়িয়ে বলে, “আপনি আপনি এখানে কি করছেন? আমাকে ফলো করছেন।”
“নিরব রহমানের এতটাও বাজে সময় আসি নি যে তোমাকে ফলো করতে হবে। তবে আমার হয়তো এমন বাজে সময় আসতে পারে ভবিষতে।”
ওলি নিসার কানে কানে বল, “দোস্ত কাহিনীটা কি? আমি যার উপর ক্রাশ খেলাম সে তোকে কি করে চিনে। কিছু লুকাছিস না তো?”
নিসা দাঁতে দাঁত চেপে বলে, “ওলি তুই চুপ করবি।”
নিরব ভ্রু কুচকে বলে, “কি হলো কানে কানে কি বলা হচ্ছে?”
নিসা গম্ভীর গলায় বলে, “শুনুন আমার হাতে না এত সময় নেই যে আপনার সাথে কথা বলার। এই চল তো।”
নিসারা চলে যেতে চাইলে নিরব বলে উঠে, “ওই নিসার ফ্রেন্ড এদিকে শুন।”
ওলি নিজেকে ইশারা করে বলে, “আমাকে বলছেন?”
“হে তোমাকে বলছি শুন একটু?”
নিসা ওলির দিকে গরম চোখে তাকিয়ে বলে, “ওলি যাবি না কিন্তু একদম।”
“উফফ তুই চুপ করতো ও কি বাঘ নাকি ভালুক যে কাছে গেলে আমাকে খেয়ে ফেলবে।”
“তোরা যা পারিস তাই কর আমি গেলাম।”
নিসা চলে যায় নিসার পিছন পিছন ইশিতাও যায়। ওলি নিরবের কাছে এসে লাজুক কন্ঠে বলে, “হুম বলুন।”
নিরব মুচকি হেসে বলে, “বলছিলাম কি তোমার ওই ফ্রেন্ড মানে নিসার ফোন নাম্বারটা তোমার কাছে আছে।”
ওলি অবাক হয়ে বলে, “হে।”
“ওর ফোন নাম্বারটা তোমার কাছে আছে। আমার ওর নাম্বারটা লাগবে।”
“ওর নাম্বার নিয়ে আপনি কি করবেন?”
“আসলে ওকে আমি পছন্দ করি।”
ওলি চোখ বড় বড় করে বলে, “কি?”
“হুম! তাই ওর নাম্বারটা আমার লাগবে।”
“কিন্তু।”
“প্লিজ এই হেল্পটা একটু করে দিন আমার।”
“ঠিক আছে দিছি।”
ওলির কাছ থেকে নিরব নিসার নাম্বারটা নিয়ে বলে, “একটা কথা বলব।”
“হুম বলুন।”
“আসলে এই কথাটা নিসাকে বলা যাবে না কেমন।”
“কেন বলবো না এই কথাটা?”
“আমি বলছি তাই।”
“ঠিক আছে বলবো না।”
“একটু দাঁড়ান এখানে আমি আসছি।”
নিরব নিজেদের টেবিলের কাছ গিয়ে একটা পেকেট এনে ওলিকে দিয়ে বল, “এটা আপনার।”
ওলি নিরবের দেওয়া পেকেটটা নিয়ে বলে, “কি এটা?”
“বাসায় গিয়ে খুলে দেখবেন আর প্লিজ নিসাকে কিছু বলবে না।”
“আচ্ছা তাহলে আমি আসি।”
“আরে দাঁড়ান আপনার নাম্বারটা দেন আমাকে।”
ওলি অবাক হয়ে বলে, “আমারটাও লাগবে।”
“হুম আপনারটাও লাগবে।”
“আচ্ছা দিছি।”
রেস্টুরেন্টের বাইরে নিসা আর ইশিতা দাঁড়িয়ে আছে। নিসা একরাশ বিরক্ত নিয়ে বলে, “দেখেছিস এখনও ওলিটা আসছে না।”
“তুই তো জানিস ও এমনেই দিনে চার পাঁচটা ক্রাশ না খেলে ওর পেটের ভাত হজম হয় না বুঝলি।”
“ওই দেখ আসছে। এতক্ষণ লাগে তোর আসতে?”
ওলি মেকি হাসি দিয়ে বলে, “আরে আমার ক্রাশের সাথে কথা বলছিলাম তো একটু সময় লাগবেই তাই না।”
নিসা ওলি হাতের পেকেটটা দেখে মুখ ভেঙ্গিয়ে বলে, “তা তোর ক্রাশ তোকে কি দিলো।”
“জানি না রে পেকেটটা খুলে দেখতে হবে।”
ইশিতা বলে, “তো তোর ক্রাশ কি তোকে প্রপোজ করলো না কি!”
“ধ্যাত! ওনি আমার ক্রাশ শুধু বুঝলি আর ওনি অন্য একজনকে পছন্দ করেন।”
ইশিতা ওলির কথা শুনে চোখ বড় বড় করে বলে, “কাকে?”
“জানি না। আচ্ছা নিসা আমার ক্রাশের সাথে তোর আগে কি দেখা হয়েছিল কখন?”
নিসা ওলির কথা শুনে বলে, “শুন আমার এখন ভালো লাগছে না আমি গেলাম।”
নিরব দুর থেকে দাঁড়িয়ে এতক্ষণ নিসাকে দেখছিলো। নিসার যাওয়ার দিকে এক নজর তাকিয়ে থেকে বলে, “তোমাকে তো আমি আমার নিজের করেই নিবো নিসা।”
__________
সন্ধ্যা হয়ে গেছে চারিদিকে ঘুটঘুট অন্ধকার। আর এদিকে তিশা খুব কষ্ট করে কাজের মেয়েটার কাছ থেকে যে শাড়িটা নিয়েছিল সে শাড়িটা কাজের মেয়েটার মতো করে পড়ে নেয়। তিশা ঠোঁট ফুলিয়ে নিজ মনে বলে।
“বাপরে বাপ ওনারা শাড়ি এভাবে পড়ে কি করে? না এখন এসব চিন্তা না করে বাড়ি থেকে বের হতে হবে হাতে বেশি সময় নেই। কিন্তু যাবো কই এতো রাত? আচ্ছা দেখা যাবে আগে তো এই বাড়ি থেকে বের হই তারপর সব হবে।”
তিশা অন্য একটা ঘর থেকে শাড়ি চেইন্জ করে মাথায় ঘোমটা দিয়ে আস্তে আস্তে করে হেটে নিচে আসে। নিচে আসতেই একটা কাজের মেয়ে তিশার হাতে একটা কফির মগ ধরিয়ে দিয়ে বলে, “এটা বড় সাহেবকে দিয়ে আসো।”
তিশা দাঁত চেপে মনে মনে বলে, “এটা আবার কোন ঝামেলাতে পড়লাম? ধ্যাত!”
তিশাকে এভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে মেয়েটি পুনরায় বলে, “কি হলো যাও তাড়াতাড়ি।”
তিশা আবিরের ঘরে ঢুকে দেখে আবির ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করছে। তিশা আস্তে আস্তে করে ঘরে ডুকে টেবিলের উপর মগটা রেখে গলার স্বরটা চেইন্জ করে বলে, “স্যার আপনার কফি।”
“ঠিক আছে যাও।”
তিশা হাফ ছেড়ে বাঁচে। তিশা চলে যাবে এমন সময় আবির বলে উঠে, “শুনো তিশাকে গিয়ে বলো আমি ওকে ডাকছি।”
“হুম।”
“ঠিক আছে যাও।”
তিশা আবিরের ঘর থেকে বের হয়েই জোরে নিঃশ্বাস ছেড়ে বলে, “উফফ বাঘের গুহাতে ছিলাম এতক্ষণ। না না আর দেরি করলে চলবে না আমাকে এখনেই বের হতে হবে।”
তিশা তাড়াতাড়ি করে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেইটের সামনে যাবে সাথে সাথে কারো ছায়া দেখে তিশা দাঁড়িয়ে পড়ে। তিশা ছায়ার দিক থেকে মুখ সরিয়ে উপরের দিকে তাকিয়ে যা দেখে তাতে তিশার চোখ দুটো বড় বড় হয়ে যায়।
#চলবে