#আঁধারের_তারাবাজি
#অভ্রায়ীনি_ঐশি
#বোনাস_পর্ব
দুপুর দুটোর দিকে ইশুর আলতো মিহি ডাকে ঘুম ভাঙলো মোমের।,,,তখন ঘুমাবে না বললেও ঘুমিয়ে পড়েছিলো।এতে খুব একটা অবাক হলো না সে।কারন সে জানে তার এই অসময়ের ঘুম অতি প্রয়োজনীয়। নাহলে সারাটাদিন মাইগ্রেনে ব্যথা করবে।,,
“ওঠ।,,হাত মুখ ধুয়ে আয়।ভাইয়া ডাকছে খেতে।”
শুনলো ইশুর কথা।হাত মুখ ধুয়ে তার সাথেই নিচে নেমে এলো।ডায়নিংয়ের সামনে যেতেই নভ তার পাশের চেয়ারে ইশারা করে বললো..
“সিট ডাউন মোম।”
মোম গিয়ে বসলো।চোখ ঘুরিয়ে সবাইকে একবার দেখে নিলোও।দৃষ্টি আটকালো পলির দিকে।,,,কেমন রাগী দৃষ্টি নিক্ষেপ করছে মোমের উপর।,,মোম আর তাকালো না।চোখ নামিয়ে ফেললো।,,,
“এই বুঝি সেই হুর?”
অবনের কথায় তার দিকে খেয়াল হলো মোমের।লোকটার মুখ ভর্তি হাসি।,,মোম মুচকি হেসে সালাম জানালো।তিনিও সালামের জবাব দিলো।,,,
“তা মা,,নাম কি তোর?”
“মৌচাক এহসান মোম।”
“খুব সুন্দর তো।,,,তা নভ কোথায় পেলি মোমকে?”
নভ সাবলীল খাচ্ছে।,, খেতে খেতেই উত্তর দিলো…
“চুরি করেছি।”
নোয়ান বিষম খেলো।ছেলেটা মাত্র পানি মুখে তুলছিলো।,,,
মোম নাক কুচকালো..
“কি সব বলছেন?”
এই কথা শুনে পলির পাশে দাড়িয়ে থাকা নিশানের বউ আখি বলে উঠলো..
“দেখলে চাচি?,,ন্যাকা ষষ্ঠী একেবারে।নভ ভাইয়া এ কাকে তুলে এনেছে?”
কথাটা সবারই কর্ণগোচর হলো।মোমও একবার চোখ তুলে তাকালে আখির দিকে।বোকার মতো বলে বসলো…
“আজব,,এখানে ন্যাকা ষষ্ঠীর কি বললাম?,,আমি তো বলতে চাইলাম,উনি আমায় চুরি করে নয়,,,বরণ ডাকাতি করে এনেছে।একদম বাড়ি ভর্তি লোকের মাঝখান থেকে।”
মোমের এমন বাচ্চামো কথায় সবাই হেসে দিলো।তবে মনে মনে বুঝলোও,,মেয়েটা এতো ইনোসেন্ট,, যে আখি ওকে অপমান করলো তা বুঝলোই না।,,,,
নিশান বলে উঠলো…
“ঝাক্কাস বলেছো মোম,,,একদম নভ ভাইয়ের এনিমি।”
মোম একটু অবাক হয়ে বললো..
“বাব্বাহ,,মি. রোমিও?আপনি বাড়িতেও আপনার জমিদারি চালান বুঝি?”
হঠাৎ এমন কথায় নভ নাক কুচকালো..
“ওয়াট?,,,কি মিন করছো?”
মোম আগের মতোই হাত মাথা নাড়িয়ে বলতে লাগলো..
“এই যে,,নিশান ভাইয়া বড় হয়েও আপনাকে ভাইয়া ডাকছে?,,,”
এরপর মোম অবনের দিকে তাকিয়ে বললো..
“আচ্ছা আঙ্কেল,,আপনিও কি উনাকে ভয়ে আব্বা ডাকেন?”
আল্লাহ,,কি বলে এই মেয়ে,,সবাই একে অপরের দিকে তাকিয়ে হঠাৎই হোহো করে হেসে উঠলো,,,,রুবি খাবার সার্ভ করতে করতে বললো..
“নিশান নভের চেয়ে এক বছরের ছোট মোম।,,এবাড়ির বড় ছেলে নভই।,,তাই-ই ভাইয়া ডাকে।”
মোম একটু অবাক হলো,,,নিশানের দিকে তাকাতেই দেখলো সে হেসে মাথা চুলকাচ্ছে।
“ঐ আর কি মোম,,,বিয়েটা ভাইয়ার আগেই করে ফেললাম।”
মোম চোখ বড়বড় করে নভের দিকে তাকালো।,,,
“ও মাই আল্লাহ।,,,আপনার ছোট ভাই বিয়ে করে বাচ্চাও ডাউনলোড করে ফেললো।আর আপনি এখনো পর্যন্ত একটা বিয়েও করতে পারেননি?,,,আরে আপনার তো এতদিনে ৪-৫ টা বিয়ে করা উচিৎ ছিলো।”
ব্যাস,,,,বিষম খেলো নভ।কাশতে কাশতে আড়চোখে তাকালো মোমের দিকে।,,, এই মেয়ে বলে কি?,,, নিজেই নিজের সতিন আনতে বলছে?,,তাই এত্তোগুলা সতিন?,,আল্লাহ,,রহম করো একটু।,,,,
মোম দ্রুত পানি এগিয়ে দিলো নভের দিকে,
“হায় আল্লাহ,,,আমার কথায় আপনার এতো হাই ভোল্টেজে বুদ্ধি খুলবে ভাবিনি।এমন বিষম খাবেন জানলে তো আস্তে আস্তে বলতাম।,,”
নভ পানিটা খেয়ে শেষ করলো।চোখ পাকিয়ে মোমোর দিয়ে তাকিয়ে বললো..
“চুপচাপ খাবে তুমি?”
মোম মুখটা বাংলার পাঁচের মতো করে ফেললো।
“ভয় দেখাচ্ছেন কেন?,,,আমি কি এখনো ভয় পাই নাকি?,,,এখানে সবাই আছে,, এই যে আপিরা,ভাইয়ারা,,কাকাই,কাকিয়া,আঙ্কেল।আপনি এখন আর কিছু করতে পারবেন না হুহ।”
নভ অবাক হলো,,,,,আল্লাহ, এই মেয়েকে এখানে এনে তো মহা বিপদ হয়ে গেলো।আমার লোকদেরই অস্ত্র বানাচ্ছে?,, কি ডেঞ্জারাস লেডি।,,,,
এদিকে এদের এমন যুদ্ধ দেখে উপস্থিত সবাই হেসে কুটি কুটি।শুধু পলি আর আখি ছাড়া।,,তারা নিজের মতো খাচ্ছে,, আর জ্বলছে।,,,
রুবি এবার সবাইকে থামালো…
“হয়েছে হয়েছে।,,আর হাসতে হবে না।এবার একটু মন দিয়ে খা তো তোরা।,,,কালকের সব জোগার বাকি এখনো।অতিথিও আসা শুরু করবে।সবাই যার যার কাজে লেগে পরিস।,,,,”
ইশা উৎকন্ঠা হয়ে বললো..
“এই নিশান ভাইয়া,,,,ক্যাটারিং এর লোকদের বলিস হলুদের স্টেজের শুধু পিলার গুলো গেথে রাখতে।আই মিন ভিত্তিটা যাতে ঠিক করে দেয়।,,আর বাকি সবতো আমরা করলো।”
নোয়ান টিটকারি মেরে বললো…
“তার কি প্রয়োজন।পিলার গুলোও তুই-ই গাথিস,,,তোর মতো পালোয়ান থাকতে ক্যাটারিং এর লোকেরা কেন কষ্ট করবে?,,,”
তেতে গেলো ইশু…
“এই নোয়া বান্দরিয়া,,,,মুখে গাম লাগা তোর।,,,নাহলে একদম কুকুরের হিসু খাওয়াইয়া দিমু তোরে।”
নোয়ান নাক কুচকে বললো…
“দেখলে নিশান ভাই,,,,ঐ তেজ ভাইয়ার সাথে থাকতে থাকতে ইশুও তার ইউনিক ভাষা রপ্ত করতেছে।,,,একেই বলে ইকুল ইকুল ভালোবাসা,,,;”
ইশুর কন্ঠ আরো উচু হলো।,,,এটো হাতের তর্জনী উঠিয়েই বলে উঠলো…
“স্যাট আপ নোয়া বান্দরিয়া।আমার জামাইটারে টানবিনা সব সময়,,,।”
রুবি বিরক্ত হলো…
“আরে তোরা থামবি?,,,,খা তো একটু ঠিক মতো।,,,সারারাত তো জেগেই থাকবি।এক গিয়ে একটি রেষ্ট কর।'”
ইশু মুখ ভ্যাঙালো…
“হুহ,,,নোয়া বান্দরীয়া।”
মোম খাচ্ছে,, নিচের দিকে তাকিয়েই বললো..
“সুন্দর। ”
তার কথায় সবাই একত্রে বলে উঠলো..
“কি?”
মোম মুখ তুলে তাকালো,,,নোয়ানের দিকে তাকিয়ে বললো…
“এই যে,,,নোয়ান ভাইয়ার নামটা?,,,,নোয়া বান্দরীয়া?”
নোয়ান মুখ কালো করে বললো…
“অবশেষে তুই ও মোম?””
আরেক দফা হাসির রোল পড়ে গেলো ডায়নিং জুড়ে।
()()()()()()()()()()()
সন্ধ্যা প্রায় ৭ টা।,,,,ড্রয়িংরুমে আড্ডার আসর বসেছে সবার।এখনকার টপিক তিশুর উড বি হাজবেন্ড।,,বলা রাখা ভালো তিশুর বিয়েটা এরেন্জ্ঞ ম্যারেজ।পাকা দেখার সময়ই তিশুর দেখা হয়েছিলো ছেলের সাথে।,,নাম কুনাল।একজন সফটওয়ার ইন্জিনিয়ার।,,এর থেকে তেমন বেশি কিছু আর তিশু জানে না তেমন।,,এখন তাকে নিয়েই না না কথা হচ্ছে।,,তিশু একবার বলছে,,,”এই কাল গিয়ে কথা বলে দেখবি ছেলে কেমন,, ” আবার বলছে “ওর ঘরটাও দেখিস,,বারান্দা আছে কিনা।,”
এই সব হাবিজাবি কথাই হচ্ছে এখন।নভ বেরিয়েছে একটু।কোথায় গেছে জানা নেই।তবে যাওয়ার আগে সতর্ক বার্তা দিয়ে গেছে সবাইকে,,মোমের খেয়াল রাখতে।,,
বেশ অনেকক্ষন পর পলি এসে উপস্থিত হলো ড্রয়িং রুমে।,,সাথে আখিও আছে।এসেই সরাসরি দাড়ালো মোমের সামনে,,,,তাকে দেখে মোমও উঠে দাড়ালো
“কে তুমি?,,,নভের সাথে কেন এসেছো?”
পলির কঠোর প্রশ্নে মোম বললো…
“বিশ্বাস করুন,,উনিই আমাকে এনেছেন,,আমিতো জানতামই না এখানে যে আসবে।”
“কিসে পড়ো তুমি?”
“জ্বি,,,এইস এস সি দিয়েছি।,,”
“বিষয়?”
“হিউমিনিটিস”
“নভ তোমাকে জোর করে নিয়ে এসেছে তো?,,,,তুমি মুক্তি চাও তাই না?”
মোম ঘাবড়ালো,,,,সে কি সত্যিই মুক্তি চায়?,,,,,উত্তর দিতে পারলো না মোম।
“আমি তোমাকে মুক্তি দেবো।তুমি এখান থেকে চলে যেতে পারবে,,,সেই ব্যবস্থা আমি তোমায় করে দেবো।”
মোমের ঠোট কাপছে,,,এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে কি উত্তর দেওয়া যায় তা জানা নেই তার।
“আমার বন্ধিনিকে মুক্তি দেওয়ার তুমি কে?”
দরজার দিক থেকে নভের তেজি কন্ঠ শুনে সেদিকে তাকালো সবাই,,,নোভা ফিশফিশ করে বলে উঠলো…
“এবার হবে মজা,,, ”
নভ এগিয়ে এলো,,,তার পেছনে তেজও আছে।,,,সরাসরি এসে দাড়ালো পলির সামনে।
“তোমার জবটা কি চলে গেছে?,,,এভাবে বেকার বেকার আমার বন্ধিনির পেছনে লাগছো?”
পলি তেতে উঠলো..
“নভ ঠিক করে কথা বল।ভুলে যাসনা আমি তোর মা।”
নভের যেন মাথায় রক্ত উঠে গেলো।গর্জে উঠে বললো…
“গো টু হেইল উইথ ইউর মা,,,,”
পলিও চেচিয়ে বললো..
“নভ?”
“ইয়েস,,,আমি আবার বলবো,,,হাজার বার বলবো।,,,ছোট নই আমি,,,যথেষ্ট বড় হয়েছি।,,সাথে মানুষও চিনতে শিখেছি।বুঝলে?”
রুম থেকে চিৎকার চেচামেচি শুনে বেরিয়ে এলো অবন আর জহির।দুই ভাই মিলে এতোক্ষন আলোচনা করছিলো পরশু তিশুর বিয়েতে গেস্টদের আপ্যায়ন নিয়ে।,,,
অবন বুঝলো কি হয়েছে।এগিয়ে গিয়ে নভের কাধে হাত রেখে বললো..
“নভ বাবা,,,একটু শান্ত হ।এখন বাদ দে এসব।কাল বাদে পরশু বাড়িতে বিয়ে,,প্লিজ বাবা,,তোর কাকাই কাকিয়া,আর তিশুর কথাটা একটু ভাব।?”
নভ চোখ বন্ধ করে শ্বাস নিলো,,,একটু পর বললো…
“শুধু তিশুর বিয়ে বলে ছেড়ে দিলাম আজ।,,নাহলে?,,,,আমার মোমের পেছনে লাগতে না করো একে।,,বের হয়ে পারিনি, সুযোগ পেয়ে গেলো।”
বলেই রাগে গজগজ করতে করতে সিড়ি বেয়ে উপরে উঠতে উঠতে বললো…
“মোম,৫ মিনিট পর আমার রুমে আসবে তুমি,,”
উত্তরের অপেক্ষা করলো না।চলে গেলো সে।,,,পলিও চলে গেলো রুমে।,, সে যেতেই সবাই যেন হাফ ছেড়ে বাচলো।,,,সবার অবস্থা দেখে তেজ একটু হেসে বললো…
“আরে গায়েষ,,,আআই আইছি।তোন্ডা কেউ তো রেনিও ছাওরে না?”
নোভাও হেসে বললো…
“আরে,,,নোয়াখাইল্লা আইছে যে।,,,ভালোই হয়েছে,,স্টেজের পিলার গাথার জন্য আর ক্যাটারিং এর লোক লাগবে না।, ”
তেজ অবাক হওয়ার ভান করে নিজের দু গালে চাপর দিতে দিতে বললো…
“নাউজুবিল্লাহ,,,নাউজুবিল্লাহ।আআআই এই বাড়ির জামাই,,, আআরে দি নাকি পিলার গাড়াইবো,,,ইচ ইচ ইচগোওওও।’..
এতটুকু বলেই ইশুর মাথায় চাপর দিয়ে বললো…
” এই বেডি,,,তোর সোয়ামিরে দি বোলে পিলার গাড়াইবো,,,তুই চুপ ওই দাড়াই রইছস কা?,,,,ক? কিছু ক এগুনেরে,,,?”
ইশু মাথা চুলকাতে চুলকাতে কিছু বলতে যাবে তার আগেই তিশু হেসে বলে উঠলো…
“এখনো জামাই হওনি তেজ ভাই,,,ভবিষ্যৎ ওটা।,,”
নোয়ান হেসে বললো…
“আর তোমাকে দিয়ে পিলার গাথার আইডিয়াটা ইশুই দিয়েছে।”
তেজ এগিয়ে গেলো নোয়ানের দিকে,,তার পিঠে চাপড় দিয়ে বললো…
“এরে নোয়া বান্দরীয়া,,,তুই কোন সাহসে আআর বউ গার নামে এইচ্ছা মিছা কথা কছের?সরম লাগের না তোর?”
এতক্ষনে মোম বলে উঠলো..
“নোয়ান ভাই সত্যিই বলছে,,, ”
মোমের সাথে সবাই তাল মেলালো,,
“হ্যা,,হ্যা,,ইশু বলেছে।”
তেজ অবাক হওয়ার ভান করে ইশুর দিকে তাকালো,,,
“বউ,,,তুই হাছা হাছা কইছস?,,কেন্নে হাইরলি এ কতা কইতে?এককানাও হরান কান্দে ন তোর?,,,”
ইশু কোমরে হাত দিয়ে ভাব নিয়ে বললো…
“ঠিকই বলেছি।তোমার ঐ বসে বসে খাওয়া আর হচ্ছে না।কাজ করতে হবে এবার।”
তেজ বিরস চোখে রুবির দিকে তাকিয়েই
“আআম্মাজাআআনন”
বলে দৌড়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরলো তাকে..
“এই এই এই,,পরে যাবো তো আমি।”
তেজ ছেড়ে দাড়ালো রুবিকে।
” ফাজিল ছেলে,,বিয়ে করার আগেই শাশুরিকে মেরে ফেলতে চাস?তাই না?”
“আস্তাগফুরিল্লাহ,,নাউজুবিল্লাহ,, কিয়া কন এগাইন আম্মাজান? আআর এইগ্গা মাত্র শাশুড়ি,,, আআই কেমনে মারি আন্নেরে,,,আর শশুট আব্বা তো দেবদাশ ওই যাইবো তাইলে,,,হরে দেয়া যাইবো আই বিয়া করার আগে আআর শশুর আব্বারলাই বউ টোয়ান লাইগবো,,,”
জহির এসে পেছন থেকে তেজের পিঠে চাপড় দিলো..
“এই শয়তান পোলা,,,বেশি বকবি তো একদম মেয়ে দেবোনা তোর কাছে।”
তেজ ভাব নিয়ে মাথা কাত করে বললো…
” এএএহ,,,আন্নে না দিলে কিছে?,,,দওন লাইগদো না আন্নেগো মাইয়া,,,”
নোভা অবাক হওয়ার ভান করে বললো..
“ও বাবা,,,কি শুনছি?,,তেজ ভাইয়া আর ইশুকে বিয়ে করবে না?”
তেজ যেন বিরক্ত হলো…
“ধুরোওও বড় শালি,,,আআই কি হে কতা কইছিনি?,,,আই ত কইছি,,আআর শশুর আব্বায় যদি হেতেনের মাইনা না দে,,তাইলে আআই তুলি এ লই যামুগোই আআর বউরে।,,হেতেনে দিবারলাই কনে বই রইছে নি?হুহ?”
জহির ক্ষেপে যাওয়ার ভান করল বললো…
“তবেরে,,,আমাট সামনেই আমার মেয়ে তুলে নেওয়ার কথা বলছিস? দাড়া তুই হতচ্ছাড়া।”
ব্যাস শুরু হয়ে গেলো জামাই শশুড়ের দৌড়া দৌড়ি।,,,জহিরের মাইর খেয়ে তেজ দৌড়াতে দৌড়াতে বলতে লাগলো…
“ও শশুড় আব্বা,,,আব্বা গো,,আর মারিয়েন না,,,ওরে আল্লাহ রে,,,,এগো,, আই আন্নেট ছোডো মাইয়ার জামাই,,,মাইনসে সরম কইবো জামাইরে এন্নে মাইরলে।”
এদের কান্ড দেখে আরো একবার হাসির রোল পড়ে গেলো।
বেশ অনেকক্ষন পর ক্লান্ত হয়ে থামলো দুজন,,,তেজ ক্লান্ত হয়ে মোমের দিকে তাকিয়ে বললো…
“দেখছত্তি বোইন,,,এতারা কেমতে জামাই নির্যাতন করে?,,,বিদাতায় সয় নি এগাইন ক ছাই তুই?”
মোম কিটকিটিয়ে হেসে বললো..
“বেশ মজা হয়েছে”
সিড়ি বেয়ে নেমে এলো নভ,,
“আমি তোমায় আসতে বলছিলাম না মোম?,,,আসোনি কেন?”.
মোম উলটো দিকে মুখ করে বললো…
” ইচ্ছে নেই,, যাবো না।এখানেই থাকবো এখন।”
নভ একটা নিঃশ্বাস ফেলে তাকালো রুবির দিকে..
“কাকিয়া,,সবাই সন্ধ্যার নাস্তা করেছে?”
রুবি হেসে বললো…
“হ্যা,বাবা,,,তুই ছাড়া সবার কমপ্লিট,,,”
নভ এবার সিড়ির কাছ থেকে দ্রুত পায়ে এগিয়ে আসতে আসতে বললো…
“সাহস খুব বেড়ে গেছে তোমার।”
বলেই এসে হুট করে মোমকে পাজা কোলে তুলে নিলো।টাল সামলাতে না পেড়ে,,মোম চোখ মুখ খিছে,,”আল্লাগো,,,ফেলে দিলো আমায়”,,বলে উঠলো।
নভ শুনলো না।পেছন ফিরে হাটা ধরলো সিড়ির দিকে,,,,এমন দৃশ্য দেখে তেজ সিটি বাজিয়ে বলে উঠলো..
“গায়েজ,,ওই যাক এককান লাইন?”,
তারপরই সাথে সাথে সুর করে গেয়ে উঠলো…
” তেনি লেকে মে যাওয়াঙগা?”
এবার ছোটরা সবাই একসাথে চেচিয়ে গেয়ে উঠলো…
“দিল দেকে মে যাওয়াঙগা,,,”
+++চলবে+++
[আপনাদের কঠোর হরতালের ভয়ে বোনাস পার্ট দিয়েই দিলাম।,,,,তবে মনে হচ্ছে না, বোনাসটা একটু বড় হয়ে গেছে?,,,,এই সুবাদে কি একটু বড় বড় কমেন্টস পেতে পারি?”পাঠকমহল?]
[বি:দ্র: –এই শুক্রবার দুই পার্ট দিয়েছি।তাই সামনের শুক্রবার আমার সরকারি ছুটি।,,,,পাঠকমহল কি মানবে এই দাবি??]
১৩
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=122112836000106938&id=61553208165829&mibextid=2JQ9oc