আঁধারের_তারাবাজি #অভ্রায়ীনি_ঐশি #পর্ব_১

0
601

,,,,,,”আমায় ছেড়ে দিন প্লিজ।আমি আপনার কি ক্ষতি করেছি,,,,আ্ আমার সাথে এমন করবেন না,,,,প্লিজ,,,,,এই কয়েকটা দিন আমায় একটু শান্তিতে বাচতে দিন।”,,,,,

কাদতে কাদতে কথা গুলো বললো মোম।তবে তার কথায় কোনো ভাবান্তর হলো না তার উপর ঝাপিয়ে পড়া লোকটির।সে নিজের কাজেই ব্যস্ত।,,,

অনেক চেষ্টা করেও যখন কোনো লাভ হলো না,,তখন চুপ হয়ে গেলো মোম।হাত পায়ের ছরাছরিও বন্ধ হয়ে গেলো।নিরবে অশ্রু বিসর্জন দিতে লাগলো।,,,,,

হঠাৎ চোটপাট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মোমের গলা থেকে মুখ তুলে তাকালো নভ।দ্রুত হাত সড়ালো মোমের পড়নে হলুদ শাড়িটার ভাজ থেকে।,,,উঠে বসলো সে।,,,,মোম চোখ খুলে ড্যাবড্যাব করে চেয়ে আছে নভের দিকে।,, লোকটা তাকে সত্যিই ছেড়ে দিলো?,,ভাবনার মাঝেই নভ শক্ত কন্ঠে বললো….

“অবয়ব রায়ানিশ নভ কাউকে ছেড়ে দেয়না সুইটহার্ট।বি রেডি ফর নেক্সট সারপ্রাইজ।”

বলেই উঠে দাড়িয়ে রুম ত্যাগ করলে নভ।তবে যাওয়ার আগে ঠিকই বাইরে থেকে দরজাটা লাগিয়ে দিলো।,,,,

মোম উঠে বসলো,,,,খাটের বোর্ডে হেলান দিয়ে দু হাটু ভাজ করে মুখ গুজলো সেথায়।মত্ত হলো ভাবনায়,,,,কি থেকে কি হয়ে গেলো তার জিবনে?,,,ভেবেছিলো যে কটা দিন বাচবে,,, আম্মি,,আব্বু আর ভাইয়ার সাথে হাসি খুশি ভাবে কাটাবে।,, কিন্তু এ কোন আগন্তুক তার জিবনে হানা দিলো হঠাৎ?,,,,এক দিকে এতো কিছু কি করে বদলে গেলো তার?,,,,ভাবতে লাগলো আজ সকালে ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলোর কথা।

,,,,,এহসান বাড়িটার সাজ বেশ রমরমে।বাড়ির রাস্তার গেইটটার পাশে ফুল জরি দিয়ে খুব সুন্দর করে লেখা

” জিয়ান ওয়েডস মৌচাক”

তবে জ্বলজ্বলে ভাবটা নেই বাড়ির ভেতরে মাঝারো সাইজের ড্রয়িং রুমটাতে।,, এই বাড়ির তৃতীয় কর্তা জয়নাল এহসানের একমাত্র মেয়ে মৌচাক এহসানের আজ বিয়ে।,, গতকাল সাধ্য মতো করে গায়ে হলুদ পর্বটা সেরেছে।,,,তবে আজ সকাল হতে না হতেই পাত্র জিয়ান নিজে ফোন করে জানিয়ে দিয়েছে,,,এই বিয়েটা করা তার পক্ষে সম্ভব নয়।যেখানে মেয়ের লাইফ টাইমের কোনো গ্যারান্টি নেই,,, সেই মেয়েকে বিয়ে করলে তার লাইফও হেল হবে।,,,,ইতোমধ্যেই কথাটা চারদিকে ছড়িয়ে পরেছে।যে কোনো এক অজানা কারনে মোমের বর বিয়ে করতে নারাজ।তবে কারনটা জিয়ান আর এহসান বাড়ির সবাই জানলেও,,, জানেনা বাকিরা।,,,কথাটা মোমের কানেও গিয়েছে।,, তখন সে তার বাবা জয়নালকে মুচকি হেসে একটা কথাই বলেছিলো,,,,

“এই ভাবে তোমার এতো টাকা খরচ না করালেই পারতো।আগে বললে আর এতো আয়োজন করা লাগতো না।,”

বোনের মুখে এমন কথা শুনে কলিজা কেদে উঠলো মোয়ানের।বোন রুমে যাওয়ার পর যে বাড়ি ছেরেছে,, এখনো ফিরে নি।,,,,

ড্রয়িংরুম থেকে সোরগোল শুনে বিছানা থেকে মুখ তুললো মোম,,,,চোখের জল মুছে উঠে দাড়ালো,,, আবার কি হলো,,তা দেখার জন্যই রুমের দরজা খুলে এগিয়ে গেলো ড্রয়িংয়ের দিকে,,,,,

অনেকগুলো লোক উপস্থিত,, এদের কাউকেই মোম চেনে নাহ,,,,সামনে তাকাতেই দেখলো তার বাবা জয়নাল এহসান একটা লোকের সামনে হাত জোর করে কাকতি মিনতি করে বলছে…
“দয়া করে আর কয়টা দিন সময় দেন স্যার,,,,আমি আপনার টাকা ফেরত দিয়ে দেবো,,,,”

“আমি বেইমানদের সহ্য করিনা মি. আহসান।,,,আপনি আরো ১ মাস আগে সব টাকা ফেরত দেওয়ার কথা ছিলো,,,কিন্তু আপনি কথার খেলাপ করেছেন,,,,,আপনার চাকরিটা আমি আগেই নিয়ে নিয়েছি।এখন বাকি আমার টাকাটা,,,,,জানেনই,,,অবয়ব রায়ানিশ কাউকে এমনি এমনি ছাড়ে নাহ।,,,,,হাতে এটা কি দেখছেন?এই মুহুর্তে টাকা ফেরত না দিলে এটা দিয়ে…..”

বলেই বাকা হাসলো নভ,,,,জয়নাল আপ্রাণ চেষ্টা করছে নভকে মানানোর,,,,তবে কিছুতেই কাজ হচ্ছে না,,,,,

আর সহ্য হলো না মোমের,,,, বলে উঠলো…

“এ্ এসব কি হচ্ছে আব্বু?,,,এরা কারা?কি বলছে এসব?”

জয়নাল তাকালো তার বিদ্ধস্ত মেয়ের দিকে,,,,নরম সুরে বললো…

“মোম,,,,তুই কেন এখানে আসলি আম্মু?তুই ঘরে যা,,,,”

জয়নালের কথায় নভ বাকা চোখে একবার তাকালো মোমের দিকে…

“ওউউ,,,,এই তাহলে আপনার সেই মেয়ে,,,যার জন্য আমার থেকে টাকা নেওয়া হতো?,,,সেই টাকা দিয়ে আজ মেয়ের বিয়ে দিচ্ছেন? কিন্তু,,,, বিয়ে তো হবে না?”

“বিয়ে এমনিতেও হবে নাহ,,”

বড়চাচার কথায় তার দিকে তাকালো মোম,,৷ এই একটা লোক,,,যার ছোট ভাই এভাবে কাকতি মিনতি করছে,,আর সে কিনা আরামসে সোফায় বসে সব দেখছে?,,,কি আর বলবে মোম,,,এখানে উপস্থিত বাড়ির সবাই-ই বেশ আছে,, শুধু তার আম্মুই কাদছে,,,ভাইয়া?,,,ভাইয়া নেই তো?,,,,

ভাবনার মাঝেই চোখ গেলো টর্নেডোর বেগে তার দিকে এগিয়ে আসা নভের দিকে।,,,,

নভ এগিয়ে এসে সাথে সাথেই নিজের হাতে থাকা রিভা*লবারটা ঠেকলো মোমের কপাল বরাবর।,,,,,

হঠাৎ এমব হওয়ায় মোম আৎকে উঠলো,,, সামলাতে না পেরে নিজ বরাবর পেছনে থাকা সিঙ্গেল সোফাটায় ঠাস করে বসে পড়লো,,,,,

“আপনার এই মেয়েকেই আজ ঠুকে দেবো,,,”

বলতে বলতেই পিস্তলটা আরেকটু চেপে ধরলো মোমের কপালে,,,,,,,মোম ভয়ে চোখ বন্ধ করে চেচিয়ে উঠলো…

‘আব্বু,,,,আব্বু আমায় বাচাও,,,”

জয়নাল দ্রুত এগিয়ে এসে নভের পায়ের সামনে হাত জোর করে বসে উদ্ধিগ্ন কন্ঠে বললো…

“দয়া করে আমার মেয়েটার কিছু করবেন না স্যার,,,আ্ আমি আপনার সব টাকা ফেরত দিয়ে দিবো,,,আর ১০ টা দিন সময় দিন আমায়,, আমি,,,আমি আপনার সব টাকা ফেরত দিয়ে দেবো,,,,আমার মেয়েটাকে ছেড়ে দিন,,,ও্ ও ভয় পাচ্ছে,,, ”

মোমের মা আতিয়া ও এগিয়ে এলো…

“স্যার,,,আমার মেয়েটা অসুস্থ স্যার,, ওটা ওর সামনে থেকে সড়ান,,,স্যার,,,,আমার মেয়েটা….”

নভ বাকা হেসে ভিলেনি স্টাইলে ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালো মোমের দিকে,,,,খুটিয়ে খুটিয়ে দেখতে লাগলো…মোম ভয়ে চোখ খিচে বন্ধ করে আছে,,,,নিঃশ্বাসের সাথে বক্ষস্থল দ্রুত গতিতে ওঠা নামা করছে।লালছে ঠোটটা থরথর করে কাপছে,,,,,,,,

নভ বাকা হাসলো,,,,,পিস্তলটা ধীরে ধীরে স্লাইড করতে করতে মোমের কপাল থেকে নাক গরিয়ে ঠোটের উপর আনলো,,,,,,, বুঝতে পেরে চোখ খুললো মোম,,,,

“জয়নাল সাহেব?”

নভের কঠিন কন্ঠে উঠে দাড়ালো জয়নাল,

“হ্যা,,,হ্যা স্যার?”

“আপনার এই মেয়ে?,,,,এই মেয়েকে আমার খুব পছন্দ হয়েছে,, বুঝলেন তো?৷,, তো আপনি তো জানেনই,,,, এই অবয়ব রায়ানিশের যেটা একবার পছন্দ হয়,, সেটা….”

বলেই হাসতে লাগলো নভ,,,,,জয়নাল হয়তো কিছুটা টের পেয়েছে,,,তাই দ্রুত বলে উঠলো…

“স্যার,,,স্যার৷ দয়া করে আমার মেয়েটাকে রেহাই দিন,,,,ও,,,ও ঠিক নেই স্যার,,,দয়া করুন স্যার,, ”

নভ শুনলো না,,,, নিজের মতো করেই বলে উঠলো…

“আপনার এই মেয়ে আমার খুব কাজে আসবে বুঝলেন তো?,,,মাস্ত পিস আছে মাইরি,,,,”

আৎকে উঠলো মোম সহ পুরো বাড়ির সবাই,,,,,নভের ইঙ্গিত করে বলা কথা যে কি বোঝাচ্ছে তা ঠিকই বুঝলো সবাই।,,,,

টেনে নিজের কাধের উপর তুলে নিলো মোমকে,,,,মোম চেচাচ্ছে,,হাত পা ছারাছাড়ি করছে।,,,,জয়নাল আর আতিয়াকে ধরে রেখেছে নভের সাথে আসা কালো পোশাকধারী লোক গুলো,,,,নভ মোমকে নিয়ে একটু থামলো তাদের সামনে…

“কিছুদিন মজা নিই,,,,তারপর ভাবা যাবে আপনার এই মেয়েকে রাখবো না পাঠিয়ে দেবো পরপারে,,,,,,বায়য়য় জয়নাল সাহেব”

বাকা হাসি দিয়ে বাড়ি ছাড়লো নভ,,,,,অনেক চেষ্টা করেও আটকাতে পারলো না তাকে,,,,,,

,,,,,,, তাদের গাড়ি এসে থামলো একটা নাম করা রিসোর্টের সামনে,,,,,নভের যেন লোক জনের ভয় নেই,,৷ বেশ সবার সামনে দিয়েই মোমকে কাধে নিয়ে ঢুকে পড়লো রিসোর্টে,,,,,রিসেপশনে কোনো কথাও বললো না,,,,সোজা লিফটে করে উপরে উঠলো,,,,তারপরই একটা রুমে এনে মোমকে বিছানায় ছুড়ে ফেলে ঝাপিয়ে পড়লো তার উপর।,,,,,,,

[][][][]বর্তমান[][][][]

ভাবনার জগত থেকে বেরিয়ে এলো মোম।কারন দরজার দিক থেকে আওয়াজ এলো।,,,মোম তাকালো সেদিকে।,,,৩ টা মেয়ে হাতে কি সব জিনিস পত্র ভেতরে ঢুকলো। এসেই মোমকে উদ্দেশ্য করে মুচকি হেসে বললো….

“উঠো মেয়ে,,,,তারাতারি হাত মুখ ধুয়ে এসো।”

মোম অবাক হলো…

“উঠবো মানে?,,”

“রেডি হতে হবে তোমায়,,,,সময় বেশি নেই।স্যার দ্রুত করতে বলেছে।”

মোমের বুঝতে দেরি হলো না এদের এই স্যার যে নভই।,,,,আর বেশি প্রশ্ন করার সুযোগ দিলো না মোমকে।,,,টেনে টুনে নিয়ে রেডি করতে লাগলো তাকে।,,,,

চিকচিক করা কালো ব্লাউজের সাথে গাড়ো নীল রঙের আড়ং কর্টন শিল্কের শাড়িটা যেন মোমের আলতা রাঙা শরীরে বেশ মানিয়েছে।,,,হাতে নীল রঙের জরি যুক্ত কাচের চুড়ি।,,,,,

এবার মেয়েগুলো মোমের চুল বাধার জন্য তার এতক্ষণের বেধে রাখা খোপাটা খুলতেই একঝাক সিল্কি চুল ছড়িয়ে পরে মোমের কোমর ছাড়িয়ে নিচে ফ্লোরে।,,,,তা দেখে একটা মেয়ে হেসে বললো…

“বাহ মেয়ে,,,,তোমার চুল তো বেশ সুন্দর আর লম্বা?সামলাও কিকরে হুম?”

মোম এতক্ষণ ভাবনায় ছিলো কি হচ্ছে তার সাথে।এখন মেয়েটির কথা শুনে মুখে আলতো হাসি আনলো।আরেকটি মেয়ে মোমকে টেনে ড্রেসিন টেবিলের সামনে টুল থেকে দাড় করাতে করাতে বলে….

“দেখি দেখি,,,দাড়াও তো একটু। ”

মোম উঠে দাঁড়ালো ,,,, সাথে সাথেই তার খোলা চুল গুলোও দুলে উঠলো।,,,পায়ের গোড়ালি থেকে একটু খানি উপরে এসে থামলো চুল গুলো।,,,

“ওয়াও,,,হাউ নাইচ।”

“সামলাও কি করে বলো তো?অনেক যত্ন করো চুলের তাই না?”

মোম মুচকি হাসলো,,,,বললো…

“আমার ভাইয়া খুব যত্ন করে,,,, আমার থেকেও বেশি।”

,,,,হঠাৎ ই নভ এগিয়ে আসতে আসতে বললো….

“ইটস ভেরি ইমবেরেসিং।আই হেইট দিস লং হেয়ার।”

বলতে বলতেই ড্রেসিন টেবিলে কিছু একটা খুজতে লাগলো।উপস্থিত কেউই বুঝতে পারছে না কি হচ্ছে। একটু পর নভ হাতে একটা কেচি তুলে নিয়ে এগিয়ে এলো মোমের কাছে।

“পেছনে ঘোর,,,”

এতক্ষণে সবাই-ই বুঝে গেলো নভ কি করতে চলেছে।,,,,মোম দু কদম পিছিয়ে গেলো।ভয়ার্ত কন্ঠে বললো…

”নাহ,,,,,”

“এদিকে আসতে বলছি তোকে,,,”

”প্লিজ আমার চুল কাটবেন নাহ,,,,এগুলো আমার খুব শখের,,,”

নভ তাকালো মেয়েগুলোর দিকে,,,

”ওকে ধরো,,,”

ব্যাস,,ইচ্ছে না থাকলেও বাধ্য হয়ে মেয়েগুলো চেপে ধরলো মোমকে।,,,,মোম চেচামেচি করছে,,,, নিজেকে ছাড়ানোর আপ্রাণ চেষ্টা করছে।তবে শেষ রক্ষা আর হলো না।,,,নভ তার হাটুর নিচে পড়া চুলগুলো কেটে কোমরে ঠেকিয়েছে।,,,,

হাতের মুঠো থেকে কাটা চুলগুলো ফ্লোরে ফেলতেই সেদিকে তাকিয়ে কান্না করে দিলো মোম।,,,,

শখের জিনিস যে কেউ হারাতে চায় না।,,মোমও চায়নি,,,তার থেকেও বেশি তার ভাইয়া যত্ন নিতো এই চুলের।,,,আর রইলো না তা,,,।

মেয়ে গুলো অবাক নয়নে তাকিয়ে আছে,,,, চুলের জন্যও কেউ এভাবে কান্না করতে পারে…?,,,নভ প্রথমে অবাক হলেও একটু পর বিরক্ত হয়ে মোমের হাত চেপে টানতে টানতে বললো…

“আর সাজতে হবে না তোমার,,,,এমনিতেই ওদের পছন্দ হবে,,,,”

মোমের কোনো খেয়াল নেই নভের কথায়।,,,,সে কাঁদতে ব্যস্ত।,,,,,রুম থেকে বেরিয়ে করিডোর দিয়ে হেটে আরেকটা রুমে ঢুকলো নভ মোমকে নিয়ে।এনেই খাটের উপর ছুড়ে ফেলে দিলো।

“নেহ,,,আজ রাতে তোদের আমানত।যা পারিস কর,,,,তবে দেখিস জানে মরে না যায় যেন।ওটা আমার দায়ীত্ব।”

কথার মানে বুঝতে না পেরে মোম সামনে তাকালো।,,,চোখে পড়লো আরো ৬ টা ছেলে,,,যারা লোলুপ দৃষ্টি নিক্ষেপ করছে তার দিকে।,,,মোমের ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় জানান দিচ্ছে যে এখন তার সাথে কি হতে চলেছে,,, তাহলে কি নভের বলা ঐ কথাটা,,,নেক্সট সারপ্রাইজ কি এটা??,,,,

মোম কিছু বলার আগেই নভ হনহন করে বেরিয়ে গেলো রুম থেকে।যাওয়ার আগে দরজাটা সজোরে বন্ধ করে গেলো।,,মোম দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো ছেলেগুলোর দিকে।,,,চেহারায় কামুকতার ছাপ ফুটিয়ে তারা এগিয়ে আসছে মোমের দিকেই।,,,,,

+++চলবে++++

#আঁধারের_তারাবাজি
#অভ্রায়ীনি_ঐশি
#পর্ব_১

#আঁধারের_তারাবাজি
সকল পর্বের লিংক
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=122110547678106938&id=61553208165829&mibextid=2JQ9oc

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here