তৃপ্তিতে_আসক্ত_নিদ্র🧡 #DcD_দীপ্ত #পর্ব__________15

0
118

#তৃপ্তিতে_আসক্ত_নিদ্র🧡
#DcD_দীপ্ত
#পর্ব__________15

আজেকের সকালটা একটু অন্য রকম । আজ সকালে তৃপ্তি ডাকতে আসেনি নিদ্রকে । সালমা এসে ডেকে গেছে নিদ্রকে । সকালের নাশতা শেষ করে নিজ রুমে বসে আছে নিদ্র । সকাল এখন ৯টা বাজে । রুমে বসে থাকতে ভালো লাকছিল না । তাই ফোনটা হাতে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসলো নিদ্র । বাড়ির পিছনে পুকুর ঘাটে গিয়ে সিরিতে বসে পরলো । এক দৃষ্টিতে পানির দিকে তাকিয়ে রইলো নিদ্র । হঠাৎ ফোনের শব্দে ধেন ভাঙ্গলো তার । ফোনের স্কিনে তাকিয়ে দেখলো রাহুল নামের নাম্বার থেকে কল আসছে । নিদ্র কল রিসিপ করে কানে ধরতেই । দু’একটা গালির সম্মুখিন হলো সে ।

:+সা***। তোর নানি *****।তোর নানার ****।(রাহুল)

:+ কি বেপার এতো রেগে আছিস কেন ।(নিদ্র)

:+জেকই সুধু তোর ফ্রেন্ড আর আমরা কেও না,, না ।(রাহুল)

:+আরে ভাই । এটা তো এতো বিসাল বড় বিষয় না যে তোদের কল করবো । আর ওই সময় আমার মাথা ঠিক ছিল না । জেকের নাম্বার সামনে ছিল তাই জেককেই কল করলাম ।(নিদ্র)

:+বিসাল বড় না হোক । তবুও তো তুই একটা বার আমাদের যানাতে পারতি । আর জেক । সালাকে সামনে পেলে লাথি মেরে পাছার হাড় ভেঙ্গে ফেলবো । ও এখান থেকে ছেলে পেলে নিয়ে গেল । অথচ আমাদের একটা কল করে যানা নোর প্রয়োজন মনে করলো না । আচ্ছা এসব এখন বাদ । যেসব হয়ে গেছে সেসব নিয়ে কথা না বলাই ভালো । এটা নিয়ে পরে কথা বলবো । তুই আগে ঢাকায় আয় তারপর ।(রাহুল)

:+হুমম ।(নিদ্র)

:+এখন বল তুই ঠিক আছিস তো । দেখ একদম মন খারাপ করিস না । মেয়েটা যে পথে গেছিল । তার জন্য এটাই প্রাপ ছিল ।(রাহুল)

:+আমি আর এসব নিয়ে ভাবছি না । অতিতকে পিছনে ফেলে দিয়েছি । আজ থেকে দু’দিন আগে রাত ৩টায় শেষ কবর দিয়ে এসছি আমি আমার অতিতকে ।(নিদ্র)

:+ভালো করছিস । এসব নিয়ে এখন আর ভাবিস না । আচ্ছা এখন বল কবে আসছিস ঢাকায় । (রাহুল)

:+কাল ভোরে রওনা দেবো ।(নিদ্র)

:+আচ্ছা তাহলে এখন রাখছি পরে কথা হবে ।(রাহুল)

নিদ্র কল কেটে দিয়ে ফোনটা সাইডে রেখে দিলো । কিছু সময় পার হবার পর নিদ্রর কাধে কেও হাত রাখলো । নিদ্র ঘার ঘুরিয়ে পিছনে তারিয়ে দেখলো । তৃপ্তি দারিয়ে আছে ।

:+ভাইয়া তুমি এখানে বসে আছো । আর আমি তোমাকে পুরো বাড়ি খুঁজে শেষ ।(তৃপ্তি)

নিদ্র তৃপ্তির হাত ধরে নিজের সামনে এনে বসিয়ে দিলো । তারপর তৃপ্তিকে পিছন থেকে নিজের বুকের সাথে পরম জন্তে জরিয়ে ধরল । এই পাস টায় কেও আসে না । তাই নিদ্র তৃপ্তিকে এভাবে জরিয়ে ধরছে ।

:+কেন আমাকে খুজচ্ছে আমার কিউটিটা । ফোন চাই তাই না ।(নিদ্র)

:+না ফোন না ।(তৃপ্তি)

:+তাহলে ।(নিদ্র)

:+আরে কালকে রাতে বললাম না । ইস্কুলে যাবো সাটিফিকেট তুলতে । তাই খুচ্ছিলাম ।(তৃপ্তি)

:+ওওও।(নিদ্র)

:+চলো উঠো । তারাতাড়ি যেতে হবে । তুমি তো আমাদের ইস্কুল দেখোনি চলো তোমাকে দেখিয়ে নিয়ে আসি । আর আমার সাটিফিকেট টাও তুলে নিয়ে আসি ।(তৃপ্তি)

:+আমি আজ কোথাও যাবো না । তুই তোর ফ্রেন্ডদের নিয়ে যা ।(নিদ্র)

:+ওরা তো যাবেই তুমিও চলো ।(তৃপ্তি)

:+না আমি যাবো না ।(নিদ্র)

:+চলো না ভাইয়া প্লিজ ।(তৃপ্তি)

নিদ্র কিছু একটা ভাবলো এরপর বললো ।

:+তাহলে তোর ফেন্ডদের সাথে নিয়ে যেতে পারবি না ।(নিদ্র)

:+কেন ।(তৃপ্তি)

:+ওরা গেলে আমি যাবো না ।(নিদ্র)

:+প্লিজ ভাইয়া এমন করো না । কাল তো চলেই যাবো । এরপর তো ওদের সাথে ঠিক মতো কথাও বলতে পারবো না । আজই তো শেষ ।(তৃপ্তি)

:+উমমম । 🤔 আচ্ছা চল ।(নিদ্র)

নিদ্র তৃপ্তিকে ছেরে দিয়ে পাস থেকে ফোনটা নিয়ে উঠে দারালো । এরপর দু’জনে পুকুর পার থেকে বাড়ির ভিতরে আসলো । নিদ্র বাড়ির ভিতরে এসে দেখলো মিম আর সামিয়া সোফার উপর বসে আছে । নিদ্র কিছু না বলে দোতলায় নিজের রুমে চলে আসলো । তৃপ্তি নিজ রুমে এসে বোরখা পরে নিলো । নিজেকে ভালো ভাবে ঢেকে নিজ রুম থেকে বেরিয়ে আসলো তৃপ্তি । নিদ্র পেন্ট শার্ট চেঞ্জ করে গাড়ির চাবি হাতে নিয়ে নিচে নামলো । নিচ তলায় তৃপ্তি মিম আর সামিয়া দারিয়ে আছে । নিদ্র তৃপ্তির উদ্দেশ্য বললো ।

:+তৃপ্তি চল ।(নিদ্র)

এই বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গাড়ির কাছে আসলো নিদ্র । তৃপ্তি মিম আর সামিয়াকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে দেখলো নিদ্র গাড়ির কাছে দারিয়ে আছে । তৃপ্তি মিম আর সামিয়াকে ওখানে রেখেই নিদ্রর কাছে আসলো ।

:+ভাইয়া তুমি এখানে দারিয়ে আছো কেন ।(তৃপ্তি)

:+এখানে দারিয়ে আছি কেন মানে । গাড়ি নিয়ে যাবো গাড়িতে উঠ ।(নিদ্র)

তৃপ্তি পিছন ঘুরে মিম আর সামিয়ার দিকে এক বার তাকিয়ে আবার নিদ্রর দিকে তাকিয়ে বললো ।

:+গাড়ি না নিয়ে গেলে হয় না ।(তৃপ্তি)

:+না হয় না । চুপচাপ গাড়িতে উঠে বস ।(নিদ্র)

তৃপ্তি মুখ কালো করে মিমের দিকে তাকিয়ে হাতের ইসারায় গাড়িতে উঠতে বললো । মিম আর সামিয়া গাড়ির কাছে এসে দারালো । তৃপ্তি আর সামিয়া গাড়ির পিছনের সিটে গিয়ে বসলো । মিম সামনের সিটে নিদ্রর পাসে বসতে যাবে ওমনি নিদ্র বলো উঠলো ।

:+তুমি এদিকে কোথায় আসছো । পিছনের সিটে গিয়ে বসো ।(নিদ্র)

নিদ্রর কথা সুনে মিমের মন খারাপ হয়ে গেল । তবুও সে নিদ্রকে বললো ।

:+আমি এখানে বসি ।(মিম)

নিদ্র ড্রাইভিং হেন্ডেলে হাত রেখে সামনের দিকে তাকিয়ে বললো ।

:+না পিছনে গিয়ে বসো ।(নিদ্র)

মিম আর কথা বারালো না । সে পিছনে গিয়ে তৃপ্তির পাসে বসে পরলো । গাড়ি ইস্টার্ড দিয়ে চালাতে সুরু করলো নিদ্র । তৃপ্তির ডান পাসে বসে আছে সামিয়া আর বাম পাসে বসে আছে মিম । নিদ্র সামনে বসে আপন মনে গাড়ি চালাচ্ছে । তৃপ্তি মিমের কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিস ফিস করে বললো ।

:+রাগ করিস না বেস্টু । সয়তান’টা এমনই । এতোদিন তো হাত বেথা ছিল । তাই গারি নিয়ে কোথাও যাইনি । এখন একটু ভালো হইছে তাই গাড়ি নিয়ে বেরোলো ।(তৃপ্তি)

মিম তৃপ্তির কাধে ডান হাত দিয়ে বললো ।

:+আমার বেস্টু আমার জন্য যেটুকু করছে এতেই আমি খুশি ।(মিম)

বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় নিদ্রর হাতে চাবি দেখে ফেলে মিম । চাবি দেখে মিম বুঝে যায় নিদ্র আজ গাড়ি নিয়ে যাবে । তাই সে তৃপ্তির কাছে রিকুয়েষ্ট করে যাতে সে নিদ্রকে বলে আজ গাড়ি নিয়ে না যায় । মিম আজ নিদ্রর সাথে শেষ বারের মতো কথা বলে নিতে চাই ছিল । এরপর আর সে নিদ্রকে বিরক্ত করবে না ভেবে নিয়েছে । কিন্তু কোন লাভ হলো না । নিদ্র তৃপ্তির কথা সুনলো না ।

:+সয়তান’টা বড় বার বাড়ছে । আগে সাটিফিকেট তুলে বাড়িতে আসি । তারপর দেখাবো মজা ।(তৃপ্তি)

:+আচ্ছা বেস্টু তুই এতো তারাতাড়ি সাটিফিকেট তুলছিস কেন । কদিন পরও তো তুলতে পারবি ।(মিম)

:+ইস আমি তো তোদের বলতেই ভুলে গেছি । আমার বড় আম্মু বলছে আমাকে ঢাকা নিয়ে পড়াবে তাই সাটিফিকেট তুলবো । কাল ভোরে আমরা রওনা দেবো । তাই তোদের আজ শেষ বারের মতো নিয়ে ঘুরতে বেরোলাম । নতুন যায়গায় গিয়ে তোদের ছারা থাকতে কষ্ট হবে বেস্টু ।(তৃপ্তি)

:+কিহহহহহ । তুই ঢাকা চলে যাবি । আর সেটাও কালকে আর তুই আজ আমাদের যানাচ্ছিস ।(মিম)

একটু চিৎকার দিয়ে বললো মিম । নিদ্র গাড়ি কসে ব্রেক করলো ।

:+এই মেয়ে সমস্যা কি । এভাবে চিৎকার করছো কেন ।(নিদ্র)

গাড়ি ব্রেক করায় সামনের দিকে জুকে পরে তিনোজনে । এরপর আবার ঠিক হয়ে বসে মিম মাথা নিচু করে বললো ।

:+সরি ।(মিম)

:+যতসব ন্যােকা । কোথা থেকে যে আসে এসব ।(নিদ্র)

বিরবির করে বলে আবার গাড়ি ড্রাইভ করায় মন দিলো নিদ্র । মিম তৃপ্তির দিকে ঘুরে রাগি চোখে তাকালো । এরপর সামনের দিকে ঘুরে চুপচাপ বসে রইলো । তৃপ্তি তার বাম হাত মিমের ডান হাতের উপর রাখতেই মিম এক যাটকায় তার হাত ছারিয়ে নিলো । এরপর সামিয়ার দিকে তাকালো তৃপ্তি সামিয়া চোখ বড় বড় করে তৃপ্তির দিকে তাকিয়ে আছে ।

:+সরি বেস্টু তোদের আগেই যানাতে চেয়ে ছিলাম । কিন্তু তোরা কি রিয়েকট করবি তাই ভেবে আর যানায়নি ।(তৃপ্তি)

:+তো এখন যানিয়েছিস কেন । না যানিয়েই চলে যেতি ।(সামিয়া)

এই বলে সামিয়া সামনের দিকে ঘুরে বসলো । নিদ্র আপন মনে ড্রাইভ করছিল । এদের কথায় কোন কান দিচ্ছে না সে । সামনে দুটো রাস্তা পরায় নিদ্র তৃপ্তির উদ্দেশ্য বলল ।

:+তৃপ্তি এবার কোন রাস্তা দিয়ে যাবো ।(নিদ্র)

:+ডান দিকের রাস্তায় ।(তৃপ্তি)

কিছু দুর সামনে যেতেই ইস্কুলে পৌঁছে গেল তারা । গাড়ি থেকে নেমে দারালো চারো জনে । নিদ্র তৃপ্তি সামিয়া মিম সোজা চলে গেল হেট স্যারের রুমে । স্যারের সাথে কথা বলে সাটিফিকেট তুলে নিলো তৃপ্তি । মিম আর সামিয়াও সাটিফিকেট তুলে নিয়েছে । গাড়িতে এসে বসলো আবার সবাই ।

:+ভাইয়া এখন বাড়ি যাবো না । ঘুরবো যাবো ।(তৃপ্তি)

নিদ্র কিছু না বলে ড্রাইভ করতে লাগলো ।

:+আরে কথা কি সুনতে পাচ্ছেন না নাকি । ও বলছে এখন বাড়ি যাবে না ,,, ঘুরবে যাবে । আর আপনি গাড়ি বাড়ির দিকে নিয়ে যাচ্ছেন ।(মিম)

কিন্তু নিদ্রর কোন হেল দোল নেই । আপন মনে ড্রাইভ করে যাচ্ছে নিদ্র ।

:+কি হলো । আপনি কি কানে কম সুনেন নাকি ।(সামিয়া)

:+ভাইয়া,,,,,,,,।(তৃপ্তি)

নিদ্র গাড়ি ব্রেক করে পিছনে তৃপ্তির দিকে তাকিয়ে একটা ধমক দিলো ।

:+এই চুপ । একদম চুপ । এখন সোজা বাড়িতে যাবো । কোথাও যাওয়া হবে না এখন ।(নিদ্র)

ধমক খেয়ে চুপ হয়ে গেলো তিনোজনে । নিদ্র আবার গাড়ি ড্রাইভ করতে লাগলো । পিছনে বসে রাগে ফুলছে তৃপ্তি । তার মন চাচ্ছে নিদ্রকে এখন চিবিয়ে খেতে । এই ধমকের সুধ সে বাড়িতে গিয়ে তুলবে । এখানে মিম আর সামিয়ার জন্য এখন কিছু বলবে না সে ।
চেয়ারম্যান বাড়ির ভিতরে গাড়ি ডুকিয়ে পার্ক করল নিদ্র । গাড়ি থেকে নেমে সোজা নিজের রুমে চলে গেল । তৃপ্তি মন খারাপ করে মিম আর সামিয়াকে বিদায় দিয়ে বাড়ির ভিতরে আসলো ।

”””””””””””””””””””””””””””””””””””

দুপুরে খাবার খেয়ে নিজ রুমে সুয়ে আছে নিদ্র । ইস্কুল থেকে বাড়িতে আসার পর এখনো এক বারো কথা বলনি তৃপ্তি নিদ্রর সাথে । নিদ্র রুমে সুয়ে সুয়ে ফরহাদ আহমেদের সাথে কথা বলছিল ।

:+আচ্ছা তাহলে কাল রওনা দেওয়ার পর আমাকে কল করিস ।(ফরহাদ)

:+ওকে পাপা ।(নিদ্র)

:+কিন্তু তুই আরো কয়দিন থাকতে পারিস তো ।(ফরহাদ)

:+না পাপা ভালো লাকছে না ।(নিদ্র)

:+তাহলে চলে আয় ।(ফরহাদ)

ঠাসসস করে একটা শব্দ হতেই নিদ্র দরজার দিকে তাকালো ।

:+আচ্ছা পাপা আমি তোমার সাথে পরে কথা বলছি এখন বায় ।(নিদ্র)

কল কেটে দিয়ে সুয়া থেকে উঠে বসলো নিদ্র ।

:+কি বেপার তুই এভাবে রুমের দরজা লাগালি কেন ।(নিদ্র)

তৃপ্তি কোন কথা না বলে নিদ্রর কাছে এসে তাকে ধাক্কা দিয়ে সুয়িয়ে দিলো । এরপর নিদ্রর বুকের উপর উঠে বসে নিদ্রর গলা চেপে ধরলো তৃপ্তি ।

:+আমার কথা সুনবে না,,,, না । আমি ঘুরে যাবো ঘুরতে নিয়ে যাবে না,,,,না । আমার ফ্রেন্ডদের সাথে আজ শেষ ঘুরতে যাওয়ার ছিল । তা হতে দিলে না । কাল ছেলে গুলো বাজে কথা বললো তাও তাদের কিছু করলে না । আবার আমাকে ধমক দাও । আজ আমি তোমাকে মেরেই ফেলবো ।(তৃপ্তি)

নিদ্র একটু হেসে তার দু’হাত দিয়ে তৃপ্তির দু’হাত তার গলা থেকে সরিয়ে নিলো । তারপর ঘুরে তৃপ্তিকে বিছানর সাথে চেপে ধরলো নিদ্র ।

:+তোর ফ্রেন্ডরা অনেক দুষ্টু বুঝলি । তাই ওদের নিয়ে ঘুরতে যেতে চাই না আমি ।(নিদ্র)

:+এই খবরদার । আমার ফ্রেন্ডদের দুষ্টু বলবে না তুমি । ওরা অনেক ভালো বুঝচ্ছো ।(তৃপ্তি)

:+হ্যা কতটা ভালো সেটা আমি এই তিন দিনে বুঝে গেছি ।(নিদ্র)

এই বলে তৃপ্তিকে ছেরে দিয়ে তার পাসে বসে পরলো নিদ্র । ছারা পেয়ে তৃপ্তি নিদ্রর হাতের সিনা কামড়ে ধরলো ।

:+আহহহহ । তৃপ্তি লাকছে ছার ।(নিদ্র)

কিন্তু এতো সহজে ছারার পাত্রী তৃপ্তি নয় । নিদ্র জোর করে তৃপ্তিকে কোন মতে হাত থেকে ছারালো ।

:+এটা হলো আমাকে ধমক দেওয়া শাস্তি । পরের বার ধমক দিলে এর থেকেও আরো জোরে কামড় দেবো ।(তৃপ্তি)

এই বলে তৃপ্তি মুখে সিস বাজাতে বাজাতে নিদ্রর রুম থেকে বরিয়ে গেল । নিদ্র কিছুখন তাকিয়ে থেকে পরনের গেঞ্জি খুলে হাতের সিনা দেখলো । অনেক গুলো দাতের দাগ পরে গেছে সিনায় । আর একটু হলে নিশ্চিত রক্ত বেরিয়ে যেতো । এরপর হাত দিয়ে ফোন খুজতে লাগলো নিদ্র । কিন্তু পেলো না । তৃপ্তি যওয়ার সাথে সাথে ফোনটাও কায়দা কারে নিয়ে গেছে । এটা বুঝতে পেরে নিদ্র একটু হেসে আবার সুয়ে পরলো ।

””””””””””””””””””””””””””””””””””””””
বিকেল ৪টায়
নিদ্রর হাতের বেন্ডেজ খুলে আবার ঔষধ লাগিয়ে বেন্ডেজ করে দিলো সালমা । এরপর আবার রুম থেকে বেরিয়ে যান তিনি । নিদ্র রুমে বসে রইলো ।
সামিয়া আর মিম তৃপ্তির রুমে বসে গল্প করছে । সজিব স্কুল থেকে এসেছে সবে মাত্র । তৃপ্তির রুমে বসে সামিয়া আর তৃপ্তি একাই বক বক করে যাচ্ছে । মিম কোন কথা বলছে না । সুধু বসে বসে তাদের কথা সুনছে ।

:+বেস্টু ওখানে গিয়ে আবার আমাদের ভুলে যাবি না তো ।(সামিয়া)

:+আরে না তোদের ভুলবো কেন । তোরা হলি আমার কলিজা বুঝচ্ছিস ।(তৃপ্তি)

:+আচ্ছা বেস্টু আমি তোকে এই ফোন নাম্বার,টা দিলাম ধর । ওখানে গিয়ে তোর নিদ্র ভাইয়ার ফোন দিয়ে কথা বলতে পারবি আমাদের সাথে ।(সামিয়া)

তৃপ্তির হাতে একটা কাজের টুকরো দিলো সামিয়া ।
তৃপ্তিও খুশি হয়ে ফোন নাম্বার নিয়ে নিলো । এরপর মিমের দিকে তাকিয়ে তৃপ্তি বললো ।

:+কি বেপার বেস্টু । তুই মন মরা হয়ে বসে আছিস কেন ।(তৃপ্তি)

:+দিলে বড় জ্বালারে । দিলে বড় জ্বালা । আমি বার বার বলছি ফিরে আয় । এই ছেরার মন পাবে না । তবুও ঝুলে আছে ।(সামিয়া)

:+মানে ।(তৃপ্তি)

:+মানে কিছু না । তুই এসব বুঝবি না ।(সামিয়া)

:+সামিয়া তুই প্লিজ চুপ করবি ।(মিম)

:+বেস্টু আমি তো একটা কথা ভুলেই গেছি ।(তৃপ্তি)

মিম আর সামিয়া অবাক হয়ে তৃপ্তির দিকে তাকালো।

:+কি কথা ।(মিম)

:+আরে আমার তো ক্রাস খাওয়াই হলো না । নিদ্র ভাইয়া তো আমাকে ক্রাস খাওয়ালো না । ভাইয়া বলছিল ক্রাস খাওয়াবে । আয় হায় এটা আমি ভুলে গেলাম । ক্রাস খেতে খুব মজা তাই না সামিয়া । তোরা নিশ্চয়ই মজা পেয়েছি ওটা খেয়ে । আর দেখ আমি এখনো খেতেই পারলাম না ।(তৃপ্তি)

মিম তার ডান হাত দিয়ে কপাল থাপ্পড়াতে লাগলো ।
সামিয়া কপালে হাত রেখে ফ্লোরের দিকে তাকিয়ে রইলো ।

:+সমস্যা নেই আমি ঢাকা গিয়ে খেয়ে নেবো । ঢাকা নিশ্চয়ই এগুলো অনেক বেসি পাওয়া যাবে । কি বলিস ।(তৃপ্তি)

:+হ্যা তুই ঢাকা গিয়েই খাস । তোর ভাইয়া তোকে বেসি করে খাওয়াবে । এখন আর এই ক্রাসের কথা তুলিস না তুই প্লিজ ।(সামিয়া)

:+সামিয়া আমি একটু আসছি ।(মিম)

:+তুই আবার কোথায় যাচ্ছিস ।(সামিয়া)

:+ভয় পাস না । এই বাড়িতেই আছি । ওর কথা সুনে পাগল হয়ে যাচ্ছি আমি । একটু নিচে থেকে গুরে আসি ।(মিম)

এই বলে তৃপ্তির রুম থেকে বেরিয়ে আসলো মিম ।
সামিয়া আর তৃপ্তি আবার বক বক করতে লাগলো ।
নিদ্র নিজ রুমে খাটের পাসে বসে ফোন দেখছিল । মিম নিদ্রর রুমের সামনে এসে ডান হাত বুকের বা পাসে রেখে জোরে একটা নিশ্বাস নিলো । এরপর নিদ্রর রুমে ডুকে পরলো । একে বারে নিদ্রর সামনে এসে দারালো মিম । নিদ্র ফোন থেকে মাথা তুলে মিমের দিকে তাকালো ।

:+আজই শেষ বারের মতো বিরক্ত করতে এসছি । আর কখনো বিরক্ত করবো না । আর বিরক্ত করতে পারবোও না মনে হয় । কারন কাল তো আপনি চলেই যাবেন ।(মিম)

নিদ্র কিছু বললো না । সুধু মিমের দিকে তাকিয়ে রইলো । মিম নিদ্রর সামনে হাটু গেরে বসে পরলো এরপর বললো ।

:+আচ্ছা আমি কি দেখতে এতোই খারাপ যে আপনার সাথে আমাকে মানাবে না । যানেন অনেক কষ্ট হয় আমার । আমি প্রথমে আপনার এই রুপ টাকা পয়াস দেখে সত্যি আপনার প্রেমে পড়েছি । কিন্তু সময়ের সাথে সাথে । এগুলো সব যেন কোথায় হারিয়ে গেছে । এখন সুধু আপনাকে চায় এই মন ।(মিম)

:+আমি তোমাকে আগের বলছি । তুমি আমার থেকে কিছুই পাবে না । অকারনে কষ্ট পাবে তুমি । কারন আমি আমার মন,,,।(নিদ্র)

মিম ডান হাত একটু উচু করে নিদ্রকে থামতে বললো । এরপর মিম আবার বললো ।

:+আমি যানি আপনি আপনার মন ওন্য কাওকে দিয়ে দিয়েছেন । এটা আপনি অনেক বার বলছেন । কিন্তু আমি এটাও বলছি আমি দেখতে চাই কে সে । কিন্তু আপনি আমাকে তার নাম ও বললেন না । তাকে দেখালেন ও না । আমি এখন আর তাকে দেখতেও চাই না । শেষ একটা রিকুয়েষ্ট করবো রাখবেন ।(মিম)

মুখ কাদো কাদো করে বললো মিম । নিদ্র একটু ভেবে বললো ।

:+বলো কি রিকুয়েষ্ট ।(নিদ্র)

:+শেষ বারের মতো আপনাকে একটি বার জরিয়ে ধরবো । প্রোমিজ করেছি এরপর আর কখনো আপনার সামনে আসবো না আমি ।(মিম)

নিদ্র কিছু বলার আগেই মিম নিদ্রকে জরিয়ে ধরল । নিদ্র কিছু একটা ভেবে মিমের মাথায় হাত রেখে বললো ।

:+তুমি চাইলে আমরা ফ্রেন্ড হয়ে থাকতে পারি ।(নিদ্র)

মিম আরো একটু নিদ্রকে শক্ত করে জরিয়ে ধরে নিলো । কিছুখন পর ছেরে দিয়ে চোখের পানি মুছতে মুছতে নিদ্রর রুম থেকে বেরিয়ে গেল মিম । নিদ্রর মনটা একটু খারাপ হলো মিমের জন্য । কিন্তু তার কিছু করার নেই । কারন সে তৃপ্তিকে ভালোবাসে । কিন্তু ভালোবাসি কথা’টা এখনো বলা হয়নি । তবে নিদ্র নিজেও যানে না সে কবে তৃপ্তিকে বলবে ভালোবাসি কিউটি । নিদ্রর রুম থেকে বেরিয়ে মিম তৃপ্তির রুমে গিয়ে সামিয়াকে নিয়ে চলে গেল চেয়ারম্যান বাড়ি থেকে ।

রাতে খাবার খেয়ে রুমে এসে সব জরুরি কাগজ আর জামা কাপড় গুছিয়ে বেগ পেক করে নিলো তৃপ্তি । সালমাও তৃপ্তিকে এসব গুছাতে সাহায্য করছেন ।

:+ওখানে গিয়ে একদম দুষ্টুমি করবি না ।(সালমা)

:+আচ্ছা ।(তৃপ্তি)

:+তোর বড় আম্মুর কথা সব সময় সুনবি ।(সালমা)

:+ঠিক আছে ।(তৃপ্তি)

এরকম আরো অনেক কথা বলে সালমা নিজের রুমে গিয়ে সুয়ে পরলেন । তৃপ্তিও বেগ গুলো তার রুমের এক পাসে রেখে সুয়ে পরলো ।

#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

((কপি করা নিষেধ))

[বি.দ্র: ভুল ত্রুটি ক্ষমার দিষ্টিতে দেখবেন ধন্যবাদ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here