তৃপ্তিতে_আসক্ত_নিদ্র🧡 #DcD_DaS #পর্ব__________14

0
118

#তৃপ্তিতে_আসক্ত_নিদ্র🧡
#DcD_DaS
#পর্ব__________14

সকালে কারো হাতের ইস্পশে ঘুম ভেঙ্গে যায় নিদ্রর । চোখ খুলে দেখলো তৃপ্তি সেই আগের দিনের মতো নিদ্রর ফোন হাতে নিয়ে বসে আছে । এটা দেখে নিদ্র হাই তুলতে তুলতে উঠে বসলো ।

:+ভাইয়া ।(তৃপ্তি)

:+হুমম ।(নিদ্র)

:+ফোনের লক খুলে দাও না । কাল তো গেম খেলতে দিলে না ।(তৃপ্তি)

নিদ্র তৃপ্তিকে এক হাত ধরে নিজের কাছে এনে পিছন থেকে জরিয়ে ধরলো ।

:+দাও না ভাইয়া ফোনের লক খুলে ।(তৃপ্তি)

নিদ্র তৃপ্তির হাত থেকে ফোন নিয়ে লক খুলে দিলো । লক খুলতে গিয়ে টাইমের দিকে নজর পরলো নিদ্রর দেখলো মাত্র সকাল ৭.৩৯বাজে ।

:+ এতো সকালে এসছিস গেম খেলার জন্য । রাতে ঘুমোসনি নাকি ।(নিদ্র)

তৃপ্তি নিদ্রর হাত থেকে ফোনটা চট করে নিয়ে গেম অপেন করলো । তৃপ্তিকে সালমা পাঠিয়ে ছিল নিদ্রকে ডেকে দিতে । আজ সকালে সবাই এক সাথে নাশতা করবে বলে । কিন্তু এখানে এসে ফোন দেখে সেই কথা ভুলেই গেছে তৃপ্তি । নিদ্র তৃপ্তিকে পিছন থেকে জরিয়ে ধরে আছে আর তৃপ্তি গেম খেলছে ।

:+তৃপ্তি ।(নিদ্র)

:+হুম ।(তৃপ্তি)

:+ঢাকা যাবি আমার সাথে ।(নিদ্র)

নিদ্রর কথা সুনে তৃপ্তি গেম অফ করে মাথা ঘুরিয়ে নিদ্রর দিকে তাকালো ।

:+তোর বড় আম্মু তোকে নিয়ে যেতে বলছে । ঢাকায় নিয়ে পড়াবে বলছে তোর বড় আম্মু ।(নিদ্র)

:+সত্যিইইইইইই ।(তৃপ্তি)

চিৎকার দিয়ে বলে উঠলো তৃপ্তি । তারপর নিদ্রর ফোন টাকে সাইডে রেখে নিদ্রর দিকে ঘুরে বসলো । আগ্রহ নিয়ে নিদ্র কিছু বলার আগে তৃপ্তি আবার বললো ।

:+সত্যি বড় আম্মু আমাকে ঢাকা নিয়ে যেতে বলছে ।(তৃপ্তি)

:+হুম । যাবি আমার সাথে ।(নিদ্র)

:+যাবো না মানে অবশ্যই যাবো,,,,,,।(তৃপ্তি)

হঠাৎ কিছু একটা ভেবে মন খারাপ করে মাথা নিচু করে ফেললো তৃপ্তি তারপর বললো ।

:+না ভাইয়া আমি যাবো না ।(তৃপ্তি)

তৃপ্তির এমন মন খারাপ করে মাথা নিচু করায় নিদ্র একটু অবাক হলো ।

:+যাবি না মানে এই তো বললি যাবি ।(নিদ্র)

:+আম্মু যেতে দিবে না ।(তৃপ্তি)

নিদ্র একটু হেসে দু’হাত দিয়ে তৃপ্তির দু’গাল চেপে ধরে মাথা উচু করে নিজের দিকে ঘোরালো । তারপর বললো ।

:+চাচি আম্মা কিছু বলবে না । উনি বলছে তুই যদি যেতে চাস তাহলে তিনি বাধা দিবেন না ।(নিদ্র)

:+সত্যি আম্মু এই কথা বলছে ।(তৃপ্তি)

:+হুম ।(তৃপ্তি)

:+তুমি একটু বসো আমি এখনোই আসছি ।(তৃপ্তি)

এই বলে তৃপ্তি নিদ্রর থেকে নিজেকে ছারিয়ে তার রুম থেকে বেরিয়ে গেল । নিদ্র সেদিকে কিছু খন তাকিয়ে থেকে একটা বাকা হাসি দিয়ে ওয়াসরুমে চলে গেল ।
তৃপ্তি নিচে এসে সোজা কিচেনে চলে গেল । সালমা কিচেনে সকালের নাশাতার জন্য রুটি বানাচ্ছেন । তার সকালের নাশতা বানানো প্রায় কমপ্লিট । তৃপ্তি কিচেনে এসে বললো ।

:+আম্মু ।,,, বড় আম্মু নাকি আমাকে ঢাকা যেতে বলছে ।(তৃপ্তি)

সালমা তৃপ্তির কথা সুনে তৃপ্তির দিকে তাকালো । কিছুটা অবাক হলেন তিনি । তারপর আবার নিজের কাজে মন দিয়ে বললেন ।

:+হুম । ইচ্ছে আছে তোর ঢাকা যাওয়ার ।(সালমা)

:+আম্মু,,,,, ।(তৃপ্তি)

:+তোর বড় আম্মু বলছে । ওখানে তোকে পড়া লেখা করাবে । যাবি ।(সালমা)

:+তুমি,,,,,,।(তৃপ্তি)

:+তুই যেতে চাইলে আমি কিছু বলবো না ।(সালমা)

এই কথা সুনার পর তৃপ্তি সালমাকে পিছন থেকে জরিয়ে ধরল ।

:+থ্যাংস ইউ আম্মু ।(তৃপ্তি)

সালমা বুঝে গেছে তৃপ্তি যেতে রাজি । নিদ্রদের বাসা থেকে সব দিক দিয়ে সুবিধা পাবে তৃপ্তি । তাই তিনি কিছু বললেন না । সুধু বললেন ।

:+তোর নিদ্র ভাইয়াকে ডাক দিয়েছিস ।(সালমা)

:+হুম । আচ্ছা আম্মু আমি আসছি ।(তৃপ্তি)

এই বলে তৃপ্তি কিচেন থেকে বেরিয়ে আসলো । বজলুর সোফার উপর বসে টিভি দেখছেন । সজিব সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে পরতে বসছে নিজের রুমে । তৃপ্তি আবার দৌড়ে দোতলায় আসলো নিদ্রর রুমে । দেখলো নিদ্র নেই । ওয়াসরুমে গেছে ভেবে নিদ্রর খাটের উপর গিয়ে বসে পরলো । তারপর ফোন হাতে নিয়ে লক খুলে গেম খেলতে লাগলো । ওই সময় নিদ্র তৃপ্তির সামনে লক খোলায় তৃপ্তি ভালো করে দেখে নিয়েছে । নিদ্র ওয়াসরুম থেকে বেরিয়ে দেখলো তৃপ্তি খাটের উপর বসে গেম খেলছে । নিদ্র কিছুটা অবাক হলো । তারপর আসতে আসতে খাটের কাছে এসে দারালো । দেখলো সত্যি তৃপ্তি গেম খেলছে । কিন্তু লক খুললো কি করে সেটা নিদ্রর মাথায় আসছে না । পরে ভালো করে ভেবে দেখলো । ওই সময় তো সে তৃপ্তির সামনে ফোনের লক খুলছে । নিদ্র তৃপ্তির পিছনে বসে ওর কোমর জরিয়ে ধরল । হঠাৎ এমন ভাবে জরিয়ে ধরাই তৃপ্তি কেপে উঠলো । তারপর পিছনে মাথা ঘুরিয়ে নিদ্রকে দেখে । খুশি হয়ে ফোন ফেলে নিদ্রকে জরিয়ে ধরল ।

:+ভাইয়া আম্মু বলছে আমি যেতে চাইলে যেতে পারি ।(তৃপ্তি)

:+তো কি আমার সাথে যাবে । আমার কিউটিটা ।(নিদ্র)

:+হুম । অবশ্যই যাবো । বড় আব্বু / আম্মুকে দেখিনি অনেক দিন হয়ে গেছে । আর ঢাকা শহর দেখা আমার একটা সপ্ন বলতে পারো ।(তৃপ্তি)

তৃপ্তি কখনো ঢাকা যায়নি । তাই তার সপ্ন সে ঢাকা গিয়ে পড়বে । তাই এই সুজুক হাত ছারা করতে চায় না সে ।

:+তাহলে চাচি আম্মা কিছু বলবে না ।(নিদ্র)

:+হুম । আর আব্বু তো এই নিয়ে কিছুই বলবেন না । কারন আমি যা চাই তিনি তাই করেন । কিন্তু ফোন কিনে দেন না ।(তৃপ্তি)

এরপর নিদ্রকে ছেরে দিয়ে আবার গেম খেলায় মন দিলো । নিদ্র তৃপ্তির কাধে নাক ঘসে বললো ।

:+অনেক খেলছিস । এবার ছার । ফোন চার্জে লাগাই ।(নিদ্র)

:+কিহহহ । ফোনে এখনো ৬৫% চার্জ আছে । না আমি আজ এই ফোন ছারছি না ।(তৃপ্তি)

এই বলে নিদ্রকে নিজে থেকে ছারিয়ে নিদ্রর ফোন নিয়ে দৌড়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেল তৃপ্তি ।

:+আরে ফোনে কল আসতে পারে ।(নিদ্র)

তৃপ্তি দরজার বাহিরে থেকে উকি দিয়ে বললো ।

:+কল আসলে আমি দিয়ে যাবো ।(তৃপ্তি)

এই বলে তৃপ্তি ফোন নিয়ে নিচে চলে গেল । নিদ্র রুমে কিছুখন বসে থেকে বেরিয়ে আসলো । সজিবের রুমের কাছে যেতেই দেখলো সজিব পড়ছে । তাই নিদ্র সজিবের রুমে ডুকলো ।

:+ভাইয়া তুমি এখানে ।(সজিব)

:+কি করছিস ।(নিদ্র)

:+পড়ছি ।(সজিব)

:+কি পড়ছিস ।(নিদ্র)

:+পড়ছি না মানে লেখছি । গনিত লেখছি ।(সজিব)

:+ওওও। চল নিচে যাই ।(নিদ্র)

:+আচ্ছা চলো । এটা পরে কমপ্লিট করবো ।(সজিব)

এরপর দুজনে টুক টাক কথা বলতে বলতে নিচে নামলো । নিদ্র নিচে নেমে দেখলো তৃপ্তি সোফার উপর বসে তার ফোন নিয়ে গেম খেলছে । বজলুর ডাইনিং টেবিলে বসে ফোনে কার সাথে যেন কথা বলছে । নিদ্র ডাইনিং টেবিলের দিকে চলে গেল। আর সজিব তৃপ্তির কাছে ।

:+আপু তুমি ভাইয়ার ফোন দিয়ে কি করছো ।(সজিব)

:+হুসসসস । চুপ । ডিস্টার্ব করিস না । ১৫ লেভেলে আছি আউট হয়ে গেলে একে বারে শেষ । অনেক কষ্টে এতো দুর পজন্ত আসছি ।(তৃপ্তি)

সজিব আর কথা না বলে তৃপ্তির পাসে গিয়ে বসলো । তৃপ্তি আপন মনে গেম খেলতে লাগলো ।

””””””””””””””””””””””””””””””””””””

সকালের নাশতা শেষ করে যে যার কাজে চলে গেল।
নিদ্র -তৃপ্তি সজিব মিম সামিয়াকে নিয়ে ঘুরতে বেরোলো । মিম আর সামিয়াকে আজ নিয়ে আসতে চায়নি নিদ্র । কিন্তু তৃপ্তি তাদের নিয়ে আসবেই বলে যেদ ধরলো । তাই নিদ্র আর বারন করতে পারলো না । কয়দিন পরে চলে যাবে তাই তৃপ্তি মিম আর সামিয়াকে একটু সময় দিতে চায় । ছোট থেকে তাদের ফ্রেন্ডসিপ । বেলা এখন সারে ১০টা । আজ একটা নতুন যায়গায় নিয়ে এসছে মিম সবাইকে । তৃপ্তি নিদ্রর ফোন দিয়ে কত রকমের ছবি তুলছে । একবার এভাবে তো আবার ওভাবে । নিদ্র হাটতে হাটতে তাদের থেকে কিছু দুরে চলে আসলো । এই যায়গাটা একে বারে নির্যন কাওকে দেখা যাচ্ছে না । পাসে একটা বিসাল বড় গাছ । হঠাৎ কেও নিদ্রকে ধাক্কা দিয়ে সেই গাছের আরালে নিয়ে আসলো । নিদ্র পিছনে ঘুরে তাকাতেই দেখলো মিম তার ঠিক সামনে দারিয়ে আছে ।

:+তুমি এখানে । ওরা কৈ ।(নিদ্র)

:+ওরা আছে ।(মিম)

:+তো তুমি এখানে কি করো ।(নিদ্র)

:+আপনার সাথে একা কথা বলবো বলে এসছি ।(মিম)

:+দেখো কাল একবার তৃপ্তি শরীর খারাপ করছে বাজে খাবার খেয়ে । আজ আবার কিছু করে বসবে । সামনে থেকে সরো ।(নিদ্র)

:+কিছু হবে না । আমি সামিয়াকে বলে এসছি ওদের দিকে নজর রাখতে ।(মিম)

:+আচ্ছা তুমি কি চাও বলো তো । আমি তো বলছি । আমি তোমাকে ভালোবাসাতে পারবো না । কারন আমি ওন্য কাও কে ভালো বাসি ।(নিদ্র)

হঠাৎ মিম নিদ্রকে জরিয়ে ধরে কেদে উঠো ।

:+প্লিজ আপনি ওন্য কাওকে ভালোবাসেন এটা বলবেন না । আমার অনেক কষ্ট হয় । আমি আপনাকে মন থেকে ভালোবাসি সত্যি বলছি । I LOVE YOU ।(মিম)

নিদ্র মিমকে জোর করে নিজে থেকে ছারিয়ে ঠাসস করে একটা চর মেরে দিলো ।

:+কথা কি কানে যায় না । আমি বলছি আমি ওন্য কাওকে ভালোবাসি । তারপরও আবার আমার সামনে এসছো । জোর করে ভালোবাসা পাওয়া যায়না বুঝচ্ছো । আর তুমি তৃপ্তির ফ্রেন্ড বলে বেচে গেলে । নাহলে আরো দু’টো চর দিতাম ।(নিদ্র)

এই বলে নিদ্র মিমের পাস কাটিয়ে আসতে যাবে । ওমনি মিম নিদ্রর হাত ধরে সামনে এনে নিদ্রর চোখে চোখ রাখলো । ৫ফুট ৩ ইঞ্চি মেয়েটা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি ছেলেটার চোখে চোখ রাখলো ।

:+আমি সত্যি বলছি আমি আপনাকে ভালোবাসি । আমি আপনাকে ছারা বাচবো না । আপনি ওন্য কারো হন এটা আমি দেখতে পারবো না ।(মিম)

নিদ্র চোখ বুঝে জোরে একটা নিশ্বাস নিয়ে সান্ত হয়ে বললো ।

:+তুমি আমাকে চেন মাত্র আজ দুই দিন । এরি মাঝে আমাকে এতো ভালো বেসে ফেলছো । তুমি আমাকে কতো টুকু চেনো । আমার সমন্ধে কতো টুকু যানো । কিছুই যানো না । তোমাকে একটা কথা বলি মন দিয়ে সুনো । নেক্সট টাইম আমার সামনে আসবে না । আমি তোমাকে কালও বলছি আজও বলছি । আমি আমার মন ওন্য কাওকে দিয়ে দিয়েছি । একান্তই এই মন সুধু তার এখানে আর কেও প্রবেশ করতে পারবে না । তুমি কিছু করলেও ওর থেকে আমার মন ফিরিয়ে আনতে পারবে না । গড ইট ।(নিদ্র)

:+প্লিজ বলবেন । কে সেই লাকি মানুষটা । যে আপনার মন নিয়ে নিয়েছে । আমি কিছু করলে ও তার থেকে আপনি মন ফিরিয়ে আনতে পারবেন না ।(মিম)

:+লাকি মানুষটা ও না । লাকি মানুষটা হলাম আমি যে ওকে পেয়েছি । আর রইলো ওকে দেখার বা ওর নাম সুনার । আমি বলি কি এখন না হয় এসব সিগ্রেট থাক ।(নিদ্র)

মিম চিৎকার দিয়ে বললো ।

:+কিন্তু আমাকে ভাবাচ্ছে । আপনি আমাকে রিজেক্ট করে কোন মেয়েকে নিয়ে ভাবছেন । আমি দেখতে চাই তাকে ।(মিম)

নিদ্র কিছু না বলে সেখান থেকে চলে আসলো । আর মিম পিছন থেকে চিৎকার দিয়ে বললো ।

:+আমি এতো সহজে আপনার পিছু ছারবো না মি.নিদ্র । আমি তো বের করেই ছারবো আপনি কার জন্য এই মিমকে রিজেক্ট করছেন ।(মিম)

নিদ্র ওখান থেকে ঘুরে তৃপ্তিদের দিকে কিছু দুরে আসতেই তৃপ্তি ঝরের গতিতে দৌড়ে এসে নিদ্রকে জরিয়ে ধরলো । আর ঠুকরে কাদতে লাগলো । নিদ্র তৃপ্তির মাথায় হাত রেখে বললো ।

:+কি হয়েছে তৃপ্তি ।(নিদ্র)

:+তুমি কোথায় গিয়ে ছিলে ।(তৃপ্তি)

:+একটু ওদিকে গিয়ে ছিলাম । কি হয়েছে এভাবে কাদছিস কেন ।(নিদ্র)

তৃপ্তি কেদেই যাচ্ছে ।

:+আরে বলবি তো কি হয়েছে ।(নিদ্র)

তৃপ্তি নিদ্রর বুক থেকে মাথা তুলে হাতের ইসারায় চার পাচটা ছেলেকে দেখিয়ে দিলো । নিদ্র সেদিকে তাকিয়ে দেখলো । সামিয়া আর সজিব ছেলে গুলোর হাত থেকে একটা ফোন নেওয়ার চেস্টা করছে । আর ছেলে গুলো একজন থেকে আরেক জনের কাছে ফোন পাস করছে । আর হাসা হাসি করছে । নিদ্র ফোনাটা দেখে চিনে ফেললো । এটা তো তার ফোন । তৃপ্তির হাতের দিকে তাকিয়ে দেখলো তার হাতে ফোন নেই । তৃপ্তি বললো ।

:+ছেলে গুলো আমার হাত থেকে ফোনটা নিয়ে গেছে আর দিচ্ছে না । সামিয়া আর সজিব বার বার বলছে তাও দিচ্ছে না ।(তৃপ্তি)

নিদ্র তৃপ্তিকে ছেরে দিয়ে ছেলে গুলোর দিকে হাটা ধরলো । তৃপ্তিও নিদ্র পিছু পিছু ছেলে গুলোর কাছে এসে দারালো । সামিয়া আর সজিব নিদ্রকে দেখে তার কাছে আসলো । সজিব বললো ।

:+ভাইয়া এই ছেলে গুলো তোমার ফোন নিয়ে গেছে । আপু অনেক বার বলছে তাও দিচ্ছে না । আর অনেক বাজে কথা বলছে আপুকে ওরা ।(সজিব)

এরপর তৃপ্তিকে দেখিয়ে মাথা নিচু করে সজিব বললো ।

:+আপুর হিজাব নিয়ে টানা টানি করছে ওরা ।(সজিব)

কথাটা সুনার পর নিদ্রর মাথা গরম হয়ে গেল । সান্ত স্বরে সামিয়ার দিকে তাকিয়ে বললো ।

:+তোমার নাম যেন কি ।(নিদ্র)

আজ দুদিন হয়ে গেল কিন্তু নিদ্র মিম আর সামিয়ার নাম এখনো যানে না । সামিয়া নিদ্রর চোখ দেখে ভয় পেয়ে গেল । এরপর ভাঙ্গা গলায় বললো ।

:+সা সা সামিয়া ।(সামিয়া)

:+ওদের নিয়ে ওদিকে যাও ।(নিদ্র)

:+না আমি তোমাকে ছেরে আর কোথাও যাবো না ।(তৃপ্তি)

নিদ্রর হাত ধরে বললো তৃপ্তি । নিদ্র তৃপ্তির দু’গালে হাত রেখে বললো ।

:+ আমি আসছি তো কিছু হবে না । ওর সাথে ওদিকে যা আমি ফোন নিয়ে আসছি । সামিয়া ওকে ওদিকে নিয়ে যাও ।(নিদ্র)

নিদ্রর কথা সুনে সামিয়া তৃপ্তি আর সজিবের হাত ধরে টেনে ওখান থেকে নিয়ে চলে গেল । নিদ্র ছেলে গুলোর কাছে এসে মাটির দিকে তাকিয়ে হাত বারিয়ে বললো ।

:+ফোনটা দে ।(নিদ্র)

চারটা ছেলের থেকে কিছু দুরে দারিয়ে একটা ছেলে ওন্য দিকে ঘুরে ফোনে কথা বলছে । সেই ছেলে টাকে উদ্দেশ্য করে একটা ছেলে বললো ।

:+আরে ভাই হিরো এসছে দেখে যা ।(ছেলে)

কিন্তু ছেলেটার কোন হেল দোল নেই । নিজের মতো ফোনে কথা বলেই যাচ্ছে । নিদ্র খানিকটা জোর গলায় বলে উঠলো ।

:+ফোনটা দে ।(নিদ্র)

ছেলে গুলো একটু ভয় পেয়ে গেল । এক পা পিছিয়ে চারো জনে চোখ বড় বড় করে নিদ্রর দিকে তাকালো । একটা ছেলে বললো ।

:+আমার ভাই ঢাকা কলেজের বড় একজন নেতা বুঝলি ।(ছেলে)

আরেকটা ছেলে বললো ।

:+হিরো গিরি দেখাতে এসছিস নাকি । তাহলে এভবে মাটির দিকে তাকিয়ে হাত বারিয়ে আছিস কেন । ভিক্ষা চাচ্ছিস ।(ছেলে)

চারো জনে হেসে উঠলো । হাসির শব্দ সুনে কিছু দুরে দারিয়ে থাকা সেই ছেলেটি কান থেকে ফোন সরিয়ে তাদের দিকে তাকালো । দেখলো একটা ছেলে মাথা নিচু করে মাটির দিকে তাকিয়ে হাত বারিয়ে আছে । তার ফ্রেন্ডরা আর ভাই হাসা হাসি করছে । এটা দেখে সে একটা সুকনো ডোক গিললো । তারপর ফোনটা কেটে ভয়ে ভয়ে তারাতাড়ি তাদের কাছে এসে একটা ছেলের হাত থেকে টান দিয়ে নিদ্রর ফোনটা নিয়ে নিদ্রর হাতে দিলো । তারপর বললো ।

:+সরি ভাই আমরা যানতাম না ওরা আপনার সাথের কেও । আমাদের মাপ করে দেন ।(ছেলে)

নিদ্র মাথা তুলে ছেলেটার দিকে তাকালো । একটু অবাক হলো নিদ্র । আর পাসে দারিয়ে থাকা চারো জনে অবাক হয়ে ছেলেটার দিকে তাকিয়ে আছে । নিদ্র হাত থেকে ফোনটা পকেটে নিয়ে নিলো । পাস থেকে একটা ছেলে বললো ।

:+আদি তুই পাগল হয়েছিস । এই সাধারন একটা ছেলের কাছে মাপ চাচ্ছিস তুই ।(একটা ছেলে)

আদি নিদ্রর চোখের দিকে তাকিয়ে ভয়ে দু’পা পিছিয়ে গেল । নিদ্র আবার মাথা নিচু করে ফেললো । আদি যেই ছেলেটা এই কথা বললো । সেই ছেলের গালে একটা থাপ্পড় দিয়ে বললো ।

:+তুই যানিস ইনি কে । আমি কথা বারাতে চাই না । তারাতাড়ি মাপ চা ভাইয়ার কাছে ।(আদি)

:+আদি,,,,,,,।(ছেলেটি)

:+আমি বলছি মাপ চা ভালো আছে এখনো ।(আদি)

:+ভাই তুই কি বলছিস এসব ।(ছেলে)

ওদের কিছু বলতে না দিয়ে নিদ্র বললো ।

:+তৃপ্তির হিজাব নিয়ে টানা টানি করছে কে আদি ।(নিদ্র)

ছেলে চার’টা অবাক হয়ে গেল । আদিকে নিদ্র চিনে কি করে । আদি নিদ্রর কাছে এসে তার হাত ধরে বললো ।

:+ভাই এবারের মতো মাপ করে দেন । নেক্সট টাইম আর কখনো কোন মেয়েকে টিচ করবো না ।(আদি)

:+এজন্য লিডার বানিয়েছি তোকে মেয়েদের টিচ করার জন্য ।(নিদ্র)

:+সরি ভাই ।(আদি)

:+ ওর গায়ে টাচ করছে কে ।(নিদ্র)

কথাটা বলে আদির দিকে মাথা তুলে তাকালো নিদ্র । আদি ভয়ে নিদ্রর হাত ছেরে দিয়ে একটু দুরে দারিয়ে একটা ছেলের দিকে হাত বারিয়ে দেখিয়ে দিল । নিদ্র এক পা এগিয়ে গেল । আদি তারাতাড়ি নিদ্রর পা জরিয়ে ধরল ।

:+ভাই,,, ভাই এবারের মতো মাপ করে দেন । আমি কথা দিচ্ছি । ও আর কখনো কোন মেয়ের দিকে চোখ তুলে তাকাবে না । ও আমার ভাই হয় । প্লিজ ভাই এবারের মতো মাপ করে দেন আমার ভাইকে ।(আদি)

ছেলে চারো জনে অবাক চোখে তাকিয়ে আছে আদির দিকে । যে আদি ঢাকা******* কলেজের বড় একজন নেতা । সেই আদি এখন একটা ছেলের পা ধরে আছে । আদির শক্তিতে তারা যে কোন মেয়েকে টিচ করতে পারে । আর সেই আদি এখন একটা ছেলের পা জরিয়ে ধরে আছে । সত্যি বড় ধরনের একটা শক খেলো চারো জনে । আদি নিদ্রর পা ছেরে দিয়ে তার ভাইকে নিদ্রর পায়ের কাছে এনে ফেললো ।

:+মাপ চা ভাইয়ের কাছে তারাতাড়ি ।(আদি)

:+ভাই তুই ।(ছেলে)

:+আমি বলছি তারাতাড়ি মাপ চা ।(আদি)

ছেলেটি দারিয়ে নিদ্র দিকে ঘুরে মাথা নিচু করে বললো ।

:+সরি ভাইয়া মাপ করে দেন । আর কখনো কোন মেয়েকে টিচ করবো না । গায়ে হাত দেয়া তো দুরের কথা ।(ছেলে)

নিদ্র ছেলেটির থুতনিতে ডান হাত দিয়ে চেপে ধরে নিজের চোখের দিকে ঘোরালো । নিদ্রর চোখ দেখে ছেলেটা ভয় পেয়ে গেল । চোখ দু’টো লাল হয়ে আছে নিদ্রর ।

:+তুই সুধু আদির ভাই বলে এখন বেচে গেলি । নাহলে তুই দেখতি আজ আমার আসল রুপ । তুই কোথায় হাত দিয়েছিস তুই নিজেও যানিস না । আদি তোর সাথে ঢাকা গিয়ে কথা হবে ।(নিদ্র)

দাতে দাত চেপে এই বলে নিদ্র ছেলেটাকে ছেরে দিয়ে সেখান থেকে চলে গেল । আদি যেন হাফ ছেরে বাচলো । ছেলেটি আদির কাছে গিয়ে বললো ।

:+ভাই তুই সাধারন এই ছেলেটাকে এতো ভয় পেলি । তুই না ঢাকা ********কলেজের নেতা । তোর একটা ফোনে ৪০/৫০টা ছেলে এমনিই ছুটে চলে আসবে । আর তুই এই ছেলেটাকে ভয় পেয়ে গেলি ।(ছেলে)

আদি ঠাসসস করে তার ভাইয়ের গালে একটা চর দিয়ে বললো ।

:+ভাইয়ের চোখ দেখে ছিস তুই । ভয় পেলি কিনা সেটা বল ।(আদি)

আদির ভাই গালে হাত দিয়ে বললো ।

:+ভয় তো একটু পেয়েছি ।(ছেলে)

:+উনার চোখ না যত ভংকর । তার থেকেও ভয়ংকর উনার বেগ্রাউন্ট ।(আদি)

আদির ভাই সহ সাথের তিন জনে আদির দিকে চোখ বড় বড় করে তাকালো । আদি আবার বললো ।

:+আজ আমি যেই পজিশনে আছি সবই নিদ্র ভাইয়ের কারনে । উনি চাইলে আমাকে আরো উপরে উঠাতে পারেন । আবার চাইলে এসব থেকে ছুরে ফেলে দিতেও পারেন । আর কি বললি তুই । আমি ফোন করলে ৪০/৫০টা ছেলে এমনি এমনিই চেলে আসবে । হ্যা টা সত্য আমার একটা ফোনে ৪০/৫০টা ছেলে এমনি এমনি চলে আসবে । কিন্তু উনার একটা ফোনে টাক ভরে ছেলেরা এসে দারাবে তার পিছনে । কার সাথে টক্কর নেয়ার কথা বলছিস তুই । আমি সুধু একটা কলেজের নেতা । আর উনি আমরা যেই এরিয়ায় থাকি সেই এরিয়ার সব কলেজের নেতা বুঝলি । তোরা সুধু উনাকে দেখলি উনার সাথে যে আরো পাচ জন আছে তাদের দেখলে পেন্টে মুতে দিবি তোরা । মানুষের বাহির থেকে বুঝা যায় না কে কেমন বুঝলি । তাই সব সময় আজকের পর থেকে ভেবে চিন্তে কথা বলবি । আর তোদের সব কয়টাকে বলছি ভালো হয়ে যা । আজ আমি এখানে ছিলাম বলে বেচে গেলি । না হলে এতোখনে সব কয়টা মাটিতে গরাগরি করতি । আমার এখন ভয় করছে ঢাকা গিয়ে ভাইয়ের সামনে মুখ দেখাবো কি করে । তোদের জন্য আজ আমার মাথা হেট হলো । উনি বলছে ঢাকা গিয়ে আমার সাথে কথা হবে । আমার এখন ভয় হচ্ছে উনি না আবার আমার এই পজিশনে ছিনিয়ে নিয়ে উন্য কাওকে দিয়ে দেয় । তাহলে আমার লাস টাও কেও খুযে পাবে না । আজ এখানে আসা টাই ভুল হইছে । আমি বার বার বলছি মেয়েটার ফোন দিয়ে দে । একটু দুষ্টামি করতে গিয়ে এখন তোরা আমার কি খতি করছিস তোরা নিজেরাই যানিস না । আমি বাসায় যাচ্ছি তোরা আয় ।(আদি)

কথা গুলো এক দোমে বলে আদি চলে গেল । ফাস্ট টাইম আদির মুখে কারো এমন বেগ্রাউন্ট সুনলো আদির তিন ফ্রেন্ড আর তার ভাই । তারা ভাবতো আদিই বড় লিডার তার উপরে আর কেও নেই । আদির কথা গুলো চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে চুপচাপ দারিয়ে সুনছিল চারো জনে ।
নিদ্র সেখান থেকে এসে দারালো তৃপ্তিদের কাছে । তৃপ্তি সামিয়া সজিব মিম দারিয়ে ছিল কিছু দুরে । নিদ্র মিমের দিকে একটা রাগি দিষ্টি নিক্ষেপ করলো । তারপর তৃপ্তি আর সজিবের হাত ধরে সেখান থেকে হাটা ধরলো । মিম অনেক ভয় পেয়ে গেল । চেয়ারম্যান বাড়িতে ফিরে আসলো আবার সবাই ।

”””””””””””””””””””””””””””””””””””
বিকেল ৩টা বাজে
সজিব নিজ রুমে ঘুমাচ্ছে । সালমা নিচে বসে টিভি দেখছেন । বজলুর কিছু খন আগে আবার বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেছেন । তৃপ্তি নিদ্রর রুমে এসে তার সামনে বসে । নিদ্রর কান যালা পালা করে ফেলছে । সেই কখন থেকে তৃপ্তি নিদ্রকে বলে যাচ্ছে । ছেলেটা নিদ্র পা জরিয়ে ধরল কেন । আর নিদ্র ওদের কিছু না করে চলে এলো কেন ।

:+সালার এতো বড় সাহস তৃপ্তির মাথার হিজাব নিয়ে টানা টানি করে । তুমি কিছু করলে না কেন । নাক ফাটিয়ে দিতে বাদর ছেলেটার । আর তোমাকে আমার থেকে দুরে যেতে কে বলছে । কতটা ভয় পেয়েছি যানো । মনে হচ্ছিল দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল । কি হলো কথা বলছো না কেন ।(তৃপ্তি)

নিদ্র চুপ করে তৃপ্তির দিকে তাকিয়ে আছে । এতোখন বক বক করে হাফিয়ে গেছে তৃপ্তি । নিদ্রকে চুপ করে থাকতে দেখে তৃপ্তির গায়ে যেন কাটা বাধলো । বসা থেকে উঠে নিদ্রর পিছনে গিয়ে নিদ্র মাথার চুল গুলো খামছি মেরে টেনে ধরলো তৃপ্তি ।

:+আহহ । তৃপ্তি লাকছে ।(নিদ্র)

:+এখন লাকছে হ্যা । এতোখন যে আমি বক বক করছি কানে যায় না । আমাকে একা রেখে যেতে কে বলছে সয়তান ছেলে । এবার বলো ছেলেটা কেন তোমার পা ধরলো ? আর তুমি ওদের কিছু করলে না কেন ? আর আমাকে একা রেখে কোথায় গিয়ে ছিলে ?(তৃপ্তি)

:+এই প্রশ্ন গুলোর মাজে কোনটার উওর দেবো ।(নিদ্র)

তৃপ্তি নিদ্রর চুল গুলো আরো একটু জোরে টান দিয়ে বললো ।

:+প্রথমে বললো ওই ছেলেটা তোমার পা ধরছিল কেন ?(তৃপ্তি)

:+ও ওর ভুল বুঝতে পারছে তাই পা ধরছে বাচ এতো টুকুই । ছার না বেথা লাকছে ।(নিদ্র)

:+না আগে আমার সব প্রশ্নের উওর দিবে তারপর ছারবো । এবার বলো । তুমি ওদের কিছু করলে না কেন ?(তৃপ্তি)

:+আরে বাবা ওরা ওদের ভুল বুঝতে পারছে আর মাপ ও চেয়েছে । তাই কিছু করিনি ।(নিদ্র)

:+আচ্ছা বুঝলাম কিন্তু তুমি আমাকে একা রেখে কোথায় গিয়ে ছিলে ?(তৃপ্তি)

:+যায়গাটা অনেক সুন্দর ছিল তাই একটু আলাদা ভাবে ঘুরতে ছিলাম ।(নিদ্র)

তৃপ্তি এই কথা সুনে নিদ্রর পিঠে পায়ের দু’হাটু ঠেকিয়ে চুল গুলো আরো জোরে টান মেরে ধরে বললো ।

:+সয়তান ছেলে । আমাকে ছেলে গুলো বাজে কথা বললো । মাথার হিজাব নিয়ে টানা টানি করলো আর উনি ঘুরতে বেস্ত । ছারবো না আমি তোমাকে আজ । তোমার সব কয়টা চুল ছিরবো আমি ।(তৃপ্তি)

এই বলে তৃপ্তি নিদ্রর চুল গুলো টানতে লাগলো । নিদ্র তৃপ্তিকে কোন মতে নিজে থেকে ছারিয়ে সামনে এনে শক্ত করে পিছন থেকে জরিয়ে ধরল । এরপর জোরে একটা নিশ্বাস নিলো ।

:+ছারো আমাকে । একদম আমাকে ধরবে না । কথা বলবে না আমার সাথে । আমিও কথা বলবো না তোমার সাথে ।(তৃপ্তি)

নিদ্র তৃপ্তির কাধে থুতুনি রেখে বললো ।

:+এতো রাগ করছে আমার কিউটিটা । আচ্ছা ঠিক আছে এখন থেকে আর কখনো একা ছারবো না ।(নিদ্র)

:+লাগবে না । আমি আর কোথাও যাবো না তোমার সাথে ।(তৃপ্তি)

নিদ্র তৃপ্তির গালে তলতো করে একটা চুমু খেলো । তৃপ্তি নিদ্রর দিকে মাথা ঘুরিয়ে তাকালো ।

:+পাপ্পি দিলে কেন ।(তৃপ্তি)

:+আমার কিউটিটা তো রাগ করছে । তাই ভাবলাম একটা পাপ্পি দিলে তার রাগ কমবে ।(নিদ্র)

:+কিন্তু আমার তো রাগ কমে নি ।(তৃপ্তি)

:+তো কি করতে হবে মহা রানী ।(নিদ্র)

:+ফোন দাও গেম খেলবো । তাহলে রাগ কমবে ।(তৃপ্তি)

:+না আমি আর ফোন দেবো না ।(নিদ্র)

:+দিতে হবে এএএএএএএএএএএএএ ।(তৃপ্তি)

চিৎকার দিয়ে বলে উঠলো তৃপ্তি । নিদ্র তৃপ্তিকে ছেরে দিয়ে । নিজের দু’কান দু’হাত দিয়ে চেপে ধরলো । তৃপ্তি থামছে না দেখে । নিদ্রর তারাতাড়ি বালিসের নিচ থেকে ফোন বের করে তৃপ্তি হাতে দিলো । ফোন পেয়ে তৃপ্তি নিদ্রর রুম থেকে বেরিয়ে গেল । নিদ্র ডান হাত বুকে রেখে জোরে একটা নিশ্বাস নিয়ে সুয়ে পরলো ।
সালমা টিভি দেখছিল হঠাৎ তৃপ্তির চিৎকার সুনে দোতলায় তারাতাড়ি উঠছিলেন তিনি । কিন্তু সিরিতেই তৃপ্তির সাথে দেখা হয়ে যায় ।

:+কিরে চিৎকার করছিলি কেন ।(সালমা)

তৃপ্তি তারাতাড়ি নিদ্রর ফোন দু’হাত দিয়ে পিছনে লুকিয়ে বললো ।

:+তে তেলাপোকা দেখছিলাম ।(তৃপ্তি)

এরপর তৃপ্তি কিছু একটা ভেবে নিজের রুমে দিকে আবার ফিরে এলো । সালমাও আবার নিচে চলে যান ।

””””””””””””””””””””””””””””””””””””

রাতে খাবার টেবিলে বসে আছে সবাই । আজকে ঘুরতে যাওয়াতে কি কি হয়েছে এই বিসয়ে কিছুই বাড়িতে যানায়নি নিদ্র বা সজিব এবং তৃপ্তি । নিদ্র বারন করে দিয়েছে সবিজ আর তৃপ্তিকে যাতে সালমা বা বজলুরকে এই বিসয়ে কিছু না বলে । সালমা নিদ্রকে খাইয়ে দিচ্ছে । তৃপ্তি সজিব বজলুর আপান মনে নিচের দিকে তাকিয়ে খাচ্ছে ।

:+চাচু আমার একটা কথা ছিল ।(নিদ্র)

নিদ্র কথা সুনে তার দিয়ে তাকালো সবাই ।

:+কি কথা ।(বজলুর)

:+আমি আর এখানে থাকতে পারবো না । যে জন্য এসেছি সেটা তো হয়েই গেলো । তৃপ্তি তো আমার সাথে যাবেই । তাহলে এখানে থেকে আর কি করবো । আর ঢাকা থেকে অনেক কল আসছে আমার । এখন আর এখানে বসি দিন থাকা যাবে না ।(নিদ্র)

:+আরো কয়দিন থেকে যা । এতো দিন পর এলি ।(বজলুর)

:+বুঝার চেস্টা করো । আমাকে ঢাকা ফিরতে হবে তারাতাড়ি ।(নিদ্র)

:+এরো কয়দিন থেকে যাও বাবা । তোমরা চলে গেলে তো পুরো বাড়িটা ফাকা হয়ে যাবে ।(সালমা)

:+চাচি আম্মা বুঝার চেস্টা করো আমার ঢাকা যাওয়াটা জরুলি ।(নিদ্র)

:+কিন্তু এই হাত নিয়ে ড্রাইভ করতে পারবি ।(বজলুর)

:+হাতের কাটা যায়গা গুলো এখন অনেক টাই সুকিয়ে গেছে । আমি ড্রাইভ করতে পারবো সমস্যা হবে না ।(নিদ্র)

:+আমি বলি কি,,,,,,।(সালমা)

সালমাকে থামিয়ে বজলুর বললো ।

:+সালমা আর কথা বারিয়ো না । তা কবে যাবি ।(বজলুর)

:+ভাবছি কাল ভোরে রওনা দেবো ।(নিদ্র)

:+কি বলছিস তুই এসব কাল ভারে মানে ।(বজলুর)

:+না ভাইয়া কাল যাওয়া যাবে না ।(তৃপ্তি)

নিদ্র তৃপ্তির দিকে তাকিয়ে বললো ।

:+কেন ।(নিদ্র)

:+কাল আমি ইস্কুলে গিয়ে মার্সিট আর সাটিফিকেট তুলবো । এগুলো ছারা তো কলেজে ভর্তি হতে পারবো না ।(তৃপ্তি)

:+তাও তো কথা । আচ্ছা তাহলে পরসু ভোরে রওনা দেবো ।(নিদ্র)

:+আচ্ছা ।(তৃপ্তি)

:+কিন্তু,,,,,,,,।(সালমা)

:+সালমা ও যেহেতু থাকতে চাইছে না । নিশ্চই কোন কারন আছে । বাধা দিও না । এখন যেতে দাও পরে না হয় আবার আরেক দিন আসবে ।(বজলুর)

সালমা আর কিছু বললো না । খাবার খেয়ে যে যার রুমে গিয়ে সুয়ে পরলো । নিদ্র রুমে এসে ফোন চার্জে লাগিয়ে খাটে সুয়ে পরলো । কিছু খনের মধ্যে অতল ঘুমে তলিয়ে গেল নিদ্র ।

#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

((কপি করা নিষেধ))

[বি.দ্র: ভুল ত্রুটি ক্ষমার দিষ্টিতে দেখবেন ধন্যবাদ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here