তৃপ্তিতে_আসক্ত_নিদ্র🧡 #DcD_DaS #পর্ব__________11

0
125

#তৃপ্তিতে_আসক্ত_নিদ্র🧡
#DcD_DaS
#পর্ব__________11

:+আমি তো তোকে কিউটি বলেই ডাকবো ।(নিদ্র)

:+ভালো হবে না কিন্তু ভাইয়া । আমার এই সব নাম একদম পছন্দ না । এই যা ফোনটা তো আবার লক হয়ে গেল ।(তৃপ্তি)

:+এদিকে দে ।(নিদ্র)

তৃপ্তি মন খারাপ করে নিদ্রর হাতে ফোন দিলো । নিদ্র ফোনে লক খুলে দিলো । তৃপ্তি আবার খুশি হয়ে নিদ্রর হাত থেকে ফোন নিয়ে ফোনের ডাটা অন করে প্লেস্টোরে চলে গেল । নিদ্র তার বাম হাত দিয়ে তৃপ্তির ডান গাল একটু ছুয়ে নিলো । এরপর নিদ্র বসা থেকে উঠে তার বেগ থেকে ব্রাস নিয়ে ওয়াশরুমে ফ্রেশ হতে চলে গেল । ওয়াসরুমে গিয়ে পরলো এক বিপদে । এখন ফ্রেশ হবে কি করে । হাত তো কাটা । ভেজানো যাবে না । কিছু খন ভেবে চিন্তে দু’হাতের বেন্ডেজ ধিরে ধিরে খুলে ফেললো নিদ্র । কাটা যায়গা গুলো লাল হয়ে আছে । তবে রক্ত বের হচ্ছে না এখন । এরপর কোন রকমে ফ্রেশ হয়ে বের হলো । টাওয়াল দিয়ে মুখ মুছে বাহিরে বেরিয়ে আসলো নিদ্র । বের হয়ে কিছুখন দ্বারিয়ে রইলো । কারন তৃপ্তি নিদ্রর খাটের ওপর বসে ফোনে গেম খেলছে । তৃপ্তি ঠোট কামরে দু’হাত দিয়ে নিদ্রর ফোন টাকে চেপে ধরে একবার ডান দিকে নিচ্ছে আবার বাম দিকে । নিদ্র হাসি দিয়ে কিছুখন দারিয়ে থেকে তৃপ্তির কাছে আসলো ।

:+হইছে । এবার তো ছার । অনেক খেলেছিস ।(নিদ্র)

নিদ্রর কথা সুনে মাথা তুলে নিদ্রর দিকে তাকালো তৃপ্তি । মন খারাপ করে বলল ।

:+কি বলো ভাইয়া তুমি । সবে মাত্র ইনিস্টউল করছি গেম’টা ।(তৃপ্তি)

নিদ্র তৃপ্তির কাছে এসে তার পিছনে বসে তৃপ্তির কোমর জরিয়ে ধরল । তারপর নিদ্র নিজের থুতুনি তৃপ্তির কাধে রাখলো ।

:+আমার কিউটি’টা বুঝি গেম খেলতে পছন্দ করে ।(নিদ্র)

তৃপ্তি তার মাথা উপর নিচ করে বলল ।

:+হুমমমমমম।(তৃপ্তি)

:+আর কি কি পছন্দ আমার কিউটি টার ।(নিদ্র)

:+উমমমমম ।🤔 ঘুরতে যাওয়া । গেম খেলা । আরে অনেক কিছু । এখন বলতে পারবো না । এখন গেম খেলতে দাও ।(তৃপ্তি)

:+তা চাচুকে বললে তো একটা ফোন কিনে দেয় ।(নিদ্র)

:+বলছি অনেক বার । কিন্তু আব্বু বার বার বারন করে দিয়েছে । ফোন কিনে দিবে না আমায় ।(তৃপ্তি)

এই বলে তৃপ্তি আবার গেম খেলতে সুরু করলো । নিদ্র তৃপ্তির কাধে নাক ঘসে বলল ।

:+আমার যে খিদে পেয়েছে । আমাকে কি খাবার দিবে না আমার কিউটি’টা ।(নিদ্র)

নিদ্রর কথা সুনে গেম খেলা অফ করে দিলো তৃপ্তি । এরপর নিদ্রর হাত কোমর থেকে ছারিয়ে নিলো । তারপর নিদ্র দিকে ঘুরে বসলো তৃপ্তি ।

:+আরে আমি তো ভুলেই গেছি । তুমি তো এখনো কিছু খাওনি । চলো চলো নিচে যাই ।(তৃপ্তি)

এই বলে হাত থেকে ফোন টাকে সাইডে রেখে খাট থেকে নেমে দ্বারালো তৃপ্তি । খাট থেকে নেমেই নিদ্রর হাতের দিকে চোখ গেল তৃপ্তির । চিৎকার দিয়ে বলে উঠলো তৃপ্তি ।

:+আহহহহহহহহহহহ । ভাইয়া তোমার হাতের এই অবস্তা কেন ।(তৃপ্তি)

সালমা কিচেনে রান্না করছিলো । হঠাৎ তৃপ্তির চিৎকার সুনে তিনি তারাতারি দোতলায় আসেন । প্রথমে তৃপ্তির রুম চেক করেন দেখলেন তৃপ্তি সেখানে নেই । পরে তিনি নিদ্রর রুমে যান । গিয়ে দেখেন তৃপ্তি নিদ্রর খাট থেকে কিছু দুরে দারিয়ে আছে । আর নিদ্র খাটের উপর বসে দু’হাত দেখছে । সালমা বিসয়টা বুঝতে পারেন । তৃপ্তি নিদ্রর হাত দেখে ভয়ে চিৎকার দিয়েছে । সালমা রুমের ভিতরে এসে বলেন ।

:+কি হয়েছে’রে তৃপ্তি ।(সালমা)

তৃপ্তি চমকে উঠে পিছনে ঘুরে তাকালো । সালমাকে দেখে সালমার কাছে তারাতারি চলে যায় তৃপ্তি । কাল রাতে নিদ্রর দেয়ালে ঘুসি দেওয়াটা ভালো করে খেয়াল করেনি তৃপ্তি । ভয়ে সালমাকে জরিয়ে ধরে ছিল দুই ভাই বোন ।

:+আম্মু,,,, আম্মু ভাইয়ার হাত ।(তৃপ্তি)

সালমা নিদ্র হাতের দিকে একবার তাকিয়ে তৃপ্তিকে বলল ।

:+তুই নিচে রান্না ঘরে যা । চুলোয় তরকারি বসিয়ে এসছি আমি । একটু নারা চারা দে । আবার দেখিস বেসি পাক নামো করতে যাস না ।(সালমা)

:+আ আ আচ্ছা ।(তৃপ্তি)

এই বলে নিদ্রর রুম থেকে বেরিয়ে গেল তৃপ্তি । তৃপ্তি বেরিয়ে যেতেই সালমা নিদ্রর কাছে আসে ।

:+ও ছোট মানুষ ভয়ে চিৎকার দিয়েছে । তৃপ্তি এইসব দেখতে পারে না । ভয় পায় অনেক । বাবা তোমার হাতে না বেন্ডেজ করে দিয়ে ছিলাম । বেন্ডেজ কৈ ।(সালমা)

:+আসলে চাচি আম্মা । আমি ফ্রেশ হওয়ার সময় ও গুলো খুলে ফেলি ।(নিদ্র)

:+ঘা তো এখনো সুকোয়নি পানি লাগিয়েছো কেন ।আমাকে ডাকতে আমি হ্যাল্প করতাম বা তৃপ্তিকে বলতে ও হ্যাল্প করে দিতো ।(সালমা)

:+বাদ দাও ।(নিদ্র)

:+আচ্ছা বাবা তুমি বসো আমি আসছি ।(সালমা)

এই বলে সালমা নিদ্রর রুম থেকে বেরিয়ে নিজের রুমে গিয়ে ফাউস্ট বক্স নিয়ে আবার এলো নিদ্রর রুমে ।

:+এখন আমি আবার ঔষধ লাগিয়ে বেন্ডেজ করে দিচ্ছি । আর খুলবে না । তোমার চাচাকে বলবো তোমার জন্য ঔষধ নিয়ে আসতে ।(সালমা)

নিদ্র কোন কথা বললো না । সালমা আবার ওয়াস করে বেন্ডেজ করে দিলো নিদ্র হাত । সব কিছু গোছ গাছ করে দারালো সালমা । নিদ্র সালমার উদ্দেশ্য বলল ।

:+থ্যাংস ইউ চাচি আম্মা ।(নিদ্র)

:+কানের নিচে দিবো দু’টো । এটা কি বাবা থ্যাংস বলে পর করে দিচ্ছো আমাদের ।(সালমা)

:+আরে না,,, আমি আসলে,,,,।(নিদ্র)

:+নিচে আসো খাবে । কালকে আসার পর থেকে এখনো কিছু খাওনি ।(সালামা)

:+ঠিক আছে তুমি যাও আমি আসছি ।(নিদ্র)

সালমা নিদ্রর রুম থেকে চলে গেল । নিদ্র ফোন টাকে চার্জে লাগিয়ে নিচে নামার জন্য পা বারালো । অতিতকে পিছনে ফেলে দিয়ে সামনে এগিয়ে যাবে নিদ্র । আজ থেকে গত কাল ও এর আগের সব ভুলে সামনে এগিয়ে যাবে ডিসিশন নিয়ে নিয়েছে সে কাল রাতেই । এতপর নিচে এসে খাওয়ার টেবিলে বসলো নিদ্র ।
তৃপ্তি কিচেনে ছিল সালমার সাথে । নিদ্রকে টেবিলে বসতে দেখে তৃপ্তি সালমাকে বলল।

:+আম্মু ভাইয়া এসে গেছে । খাবার দিয়ে আসো ।(তৃপ্তি)

সালমা সকালের নাস্তা রুটি আর আলু ভাজি করে ছিল । একটা প্লেটে তিনটা রুটি আর ভাজি নিয়ে তৃপ্তিকে বলল সালমা ।

:+যা খাইয়ে দিয়ে আয় ।(সালমা)

:+খাইয়ে দেবো মানে ।(তৃপ্তি)

:+তোর ভাইয়া হাতে ব্যাথা পেয়েছে । নিজ হাতে খেতে পারবে না । দেখলি না একটু আগে হাতে কতটা ব্যাথা পেয়েছে । তাই তুই খাইয়ে দে । আর আমার এখনো অনেক কাজ বাকি । না হলে আমিই খাইয়ে দিতাম । তারাতাড়ি যা ।(সালমা)

:+কিন্তু,,,,,।(তৃপ্তি)

+কোন কিন্তু না । ছেলেটা বাড়িতে এসেছে প্রজন্ত এখনো কিছু খায়নি । তারাতাড়ি যা ।(সালমা)

:+ঠিক আছে ।(তৃপ্তি)

এই বলে কিচেনের বেসিংয়ে হাত ধুয়ে সালমার হাত থেকে খাওয়ার প্লেট হাতে নিলো তৃপ্তি । তারপর খাবার টেবিলের দিকে পা বারালো । নিদ্র চেয়ারে হেলান দিয়ে চোখ বুঝে বসে ছিল । তৃপ্তি খাবার টেবিলে প্লেটটা রেখে নিদ্রর পাসের একটা চেয়ারে বসে একটা রুটি থেকে খানিকটা ছিরে নিদ্রকে ডাক দিলো ।

:+ভাইয়া ।(তৃপ্তি)

নিদ্র চোখ খুলে তৃপ্তির দিকে তাকিয়ে দেখলো । তৃপ্তি হাতে রুটি আর ভাঝি নিয়ে নিদ্রর মুখের সামনে ধরে আছে । নিদ্র চোখে ইসারা করলো এসব কি । তৃপ্তি বলল ।

:+রুটি আর ভাজি আম্মু তোমাকে খাইয়ে দিতে বলছে । তোমার তো হাতে ব্যাথা তাই ।(তৃপ্তি)

নিদ্র কোন কথা না বলে তৃপ্তির হাত থেকে রুটিটা মুখে নিলো । এরপর তৃপ্তি নিদ্রকে খাইয়ে দিচ্ছে আর নিদ্র তৃপ্তির দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে খাচ্ছে । রুটি দু’টো খাওয়ার পর নিদ্র বলল ।

:+বাস বাস আর খাবো না । পেট ভরে গেছে ।(নিদ্র)

:+ আর একটা আছে খেয়ে নাও ।(তৃপ্তি)

:+না আর না ।(নিদ্র)

:+আরে খাও তো ।(তৃপ্তি)

এই বলে শেষ রুটিটা থেকে খানিকটা ছিরে ভাজি নিয়ে নিদ্র মুখের সামনে ধরলো তৃপ্তি । নিদ্র আর বারন করতে পারলো না । শেষ রুটিটা খাওয়া শেষ হতেই কোথা থেকে তৃপ্তির দু’টো ফ্রেন্ড এসে হাজির হলো তৃপ্তিদের বাড়ি । কিছু দুরে দ্বারিয়ে রইলো তারা । তৃপ্তি নিদ্রর মুখ মুছে দিয়ে প্লেটটা হাতে নিয়ে কিচেনে চলে গেল । নিদ্র চেয়ার থেকে উঠে পিছনে ঘুরতেই দেখলো দু’টো মেয়ে তার দিকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে । নিদ্র সেদিকে কোন ঘুরুক্ষেপ না দিয়ে টিভির রিমোট হাতে নিয়ে সোফার উপর দু’পা তুলে বসে টিভি অন করলো । মেয়ে দু’টো নিদ্রর সামনে দিয়ে চলে গেল কিচেনের দিকে ।
তৃপ্তি কিচেনের বেসিংএ প্লেটটা রেখে হাত ধুয়ে দ্বারালো । সালমা বলল ।

:+খাওয়া হয়ে গেছে । আর লাকবে,,,,,, ।(সালমা)

সালমাকে আর কিছু বলতে না দিয়ে তৃপ্তি বলল ।

:+ভাইয়া তো দু’টো খেয়েই থেমে গেছিলো । আমি তো জোর করে তিন টাই খাওয়ালাম । আর তুমি বলছো আর লাকবে কিনা ।(তৃপ্তি)

:+আসতে পারি ।(মেয়ে)

সালমা আর তৃপ্তি কথা বলছিল তখনি তৃপ্তির ফ্রেন্ডরা কিচেনের সামনে আসলো ।

:+আরে সামিয়া মিম তোরা এসে গেছিস ।(তৃপ্তি)

তৃপ্তির এই দু’টোই ফ্রেন্ড সামিয়া আর মিম । তৃপ্তির কথার উওর না দিয়ে সামিয়া সালমাকে বলল।

:+কেমন আছেন আন্টি ।(সামিয়া)

:+ আলহামদুলিল্লাহ ভালো । তোমরা কেমন আছো ।(সালমা)

:+আমরাও ভালো আছি । তৃপ্তি তোর সাথে কথা আছে এদিকে আয় ।(মিম)

তৃপ্তি তাদের কাছে গিয়ে বলল ।

:+কি হয়েছে বল ।(তৃপ্তি)

:+তোর রুমে চল তারপর বলছি ।(সামিয়া)

এই বলে তৃপ্তির হাত ধরে টেনে দুজনে তৃপ্তির রুমের দিকে নিয়ে যেতে লাগলো । সিরির কাছে গিয়ে দারিয়ে পরলো তৃপ্তি । কারন সে দেখলো নিদ্র সোফার উপর বসে টিভি দেখছে । তৃপ্তি নিদ্রর উদ্দেশ্য বলল ।

:+ভাইয়া তুমি এখানে কি করছো ।(তৃপ্তি)

তৃপ্তির কথার আওয়াজ সুনে নিদ্র টিভি থেকে চোখ নামিয়ে তৃপ্তির দিকে তাকালো তারপর বলল ।

:+কি করছি মানে । টিভি দেখছি দেখছিস না ।(নিদ্র)

:+রুমে গিয়ে রেডি হও ।(নিদ্র)

নিদ্র কিছুটা ভাবান্তক হয়ে বলল ।

:+কেন ?(নিদ্র)

:+ঘুরতে যাবো । তারাতাড়ি রেডি,,,,,,,,,।(তৃপ্তি)

তৃপ্তিকে আর কিছু বলতে না দিয়ে সামিয়া আর মিম তাকে টেনে নিয়ে চলে আসলো তৃপ্তির রুমে । নিদ্র সেদিকে কিছুখন তাকিয়ে থেকে আবার টিভি দেখায় মন দিলো । তৃপ্তির রুমে এসে দরজা লাগিয়ে দিলো মিম । সামিয়া তৃপ্তির উদ্দেশ্য বলে উঠলো ।

:+বেস্টু,,,,,বেস্টু,,,,,এটা কেরে । এটাই তোর সেই নিদ্র ভাইয়া ।(সামিয়া)

:+হ্যা কেন ।(তৃপ্তি)

:+আমি ক্রাস খাইছি বেস্টু ।(মিম)

তৃপ্তিকে জরিয়ে ধরে বললো মিম । সামিয়া পিছন থেকে বলে উঠলো ।

:+এই মিম সাবধান তোর আগে আমি ক্রাস খেয়েছি । সাইডে সরে যা বলছি ।(সামিয়া)

:+এ্যা বললেই হলো ।(মিম)

তৃপ্তি মন খারাপ করে বললো ।

:+এটা আবার কি জিনিস । তোরা আমাকে একা রেখে খেয়ে ফেললি । তোদের সাথে আরি । যা বেরিয়ে যা আমার রুম থেকে ।(তৃপ্তি)

:+আরে বেস্টু এটা খাওয়ার জিনিস না । এটাকে ভালো লাগা বলে । মানে,,,,,,।(মিম)

:+ তোকে আর মানে বুঝাতে হবে না । সর এখান থেকে আর আমার রাস্তা ক্লিয়ার কর ।(সামিয়া)

:+তোরা থামবি । একে তো আমাকে না খাইয়ে একা একা খেয়ে ফেলছিস । আবার এখানে এসে সেই খাওয়া নিয়ে কারা কারি করছিস ।(তৃপ্তি)

:+আরে,,,,,। আচ্ছা বেস্টু একটা কথা বলতো তুই উনাকে খাইয়ে দিচ্ছিলি কেন ।(মিম)

:+হ্যা,,,,,,,হ্যা । তুই উনাকে খাইয়ে দিচ্ছিলি কেন ।(সামিয়া)

:+কাল ভাইয়া হাতে ব্যাথা পেয়েছে তাই খাইয়ে দিতে হয়েছে ।(তৃপ্তি)

:+ওও । তাহলে কোনো সমস্য নেই বোন ভাইকে খিয়ে দিতেই পারে । কি বলিস মিম ।(সামিয়া)

:+হুমম । রাইট ।(মিম)

:+সাইডে সর ।(সামিয়া)

:+সামিয়াআআআআআআ।(মিম)

:+আসতে গলা নামিয়ে কথা বল । আচ্ছা ভালো কথা । আমারা যে নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করছি । আবার এটা না হয় তৃপ্তি আর নিদ্র ভাইয়ার মধ্যে কিছু চলছে ।(সামিয়া)

মিম একটু ভেবা চেকা খেয়ে তৃপ্তির দিকে তাকালো ।

:+আমার আর নিদ্র ভাইয়ার মধ্যে কিছু চলছে মানে কি বলছিস তুই ।(তৃপ্তি)

:+তোদের মধ্যে আবার প্রেম সুরু হলো নাতো বেস্টু । তাহলে প্রেম করার আগেই ছ্যােকা খেয়ে যাবো বেস্টু ।(মিম)

:+এই প্রেম আবার কি জিনিস । কোথায় খাকে এ ।আর ছ্যােকা কি জিনিস ।(তৃপ্তি)

:+সামিয়া তুই ও না । এতো কিছুই যানে না এই সমন্ধে । আর তুই সন্দেহ করছিস এই মেয়েকে । এ এটাও যানে না । ক্রাস কাকে বলে । আর এ করবে প্রেম ।(মিম)

:+আচ্ছা বেস্টু কিছু নিয়ে আয় যা ।(সামিয়া)

:+পারবো না । তোদের মতো মুটকি দের খাইয়ে আমার সব শেষ । নিজেদের টাকা জমিয়ে রাখিস আর আমার টাকায় ফুরতি করিস ।(তৃপ্তি)

:+এটা কবে বুঝলি তুই বেস্টু ।(মিম)

:+অনেক আগে থেকেই । এখন আমি অনসন করবো তোদের জন্য । এতো দিন আমার যত টাকা খেয়েছিস সব বের কর ।(তৃপ্তি)

:+আচ্ছা বাদ দে । শেষ তোর কাছে একটা জিনিসই চাইবো বেস্টু ।(সামিয়া)

:+কি বল ।(তৃপ্তি)

:+আমার লাইন ক্লিয়ার কর ।(মিম)

:+মিম সাইডে সর তুই ।(সামিয়া)

:+বললেই হলো । আচ্ছা আমরা একটা ডিল করি ।(মিম)

:+কিহ।(সামিয়া)

:+আমাদের মধ্যে যাকে পছন্দ করবে । সেই হবে উনার বউ । আর সেকেন্ড জন আর আসবে না তার লাইফে । রাজি ।(মিম)

:+হুম আমি রাজি । দেখবি আমিই পাবো উনাকে ।(সামিয়া)

:+দেখা যাবে ।(মিম)

:+আআআআআআআ । আমি কিছু বুঝতে পারছি না তোরা কি নিয়ে কথা বলছিস । লাইন ক্লিয়ার / প্রেম / ক্রাস । এসব কি তোরা প্লিজ আমাকে একটু বলবি ।(তৃপ্তি)

:+আসলে,,,,,,,,।(মিম)

মিমকে থামিয়ে দিয়ে সামিয়া বললো ।

:+মিম তুই থাম । ওসব কিছু না বেস্টু আমরা যাস্ট তোর সাথে মজা করছিলাম ।(সামিয়া)

:+এটা আবার কি ধরনের মজা ।(তৃপ্তি)

:+সামিয়া আমি কিন্তু সিরিয়াস ।(মিম)

:+আমিও সিরিয়াস বাট ওর সামনে এই সব বেপারে কিছু বলা যাবে না আন্টি বারন করছে বুজলি ।(সামিয়া)

:+ওকে । তাহলে ডিল ফাইনাল ।(মিম)

:+হুম । ফাইনাল ।(সামিয়া)

:+যা ফাইনাল করার করেনে । আমাকে ক্রাস আজকেই খাওয়াতে হবে । নাহলে তোদের পিছনে বাস দেবো আমি বলে দিলাম ।(তৃপ্তি)

:+এতো আচ্ছা মসিবতে পরলাম এখন সামিয়া । এই পাগলকে এখন কি করে বুঝাবো ।(মিম)

:+ওরে আমার পিচ্চি বেস্টু । অবুজ বালিকা । আপনি এই সব কিছু না বুঝলে । প্লিজ এসব খেতে চাইয়েন না আমরা আপনাকে এসব দিতে পারবো না ।(সামিয়া)

:+আমি কিছু যানি না । আমি ক্রাস খাবো মানে খাবো । তোরা যদি আমাকে ক্রাস না খাওয়াস তাহলে তোদের সাথে আজকের পর থেকে আর কথা নাই বায় ।(তৃপ্তি)

এই বলে সামিয়া আর মিমকে রেখে তৃপ্তি তার রুম থেকে বেরিয়ে আসলো ।

#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

((কপি করা নিষেধ))

[বি.দ্র: ভুল ত্রুটি ক্ষমার দিষ্টিতে দেখবেন ধন্যবাদ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here