তৃপ্তিতে_আসক্ত_নিদ্র🧡 #DcD_DaS #পর্ব__________12

0
121

#তৃপ্তিতে_আসক্ত_নিদ্র🧡
#DcD_DaS
#পর্ব__________12

এই বলে সামিয়া আর মিমকে রেখে তৃপ্তি তার রুম থেকে বেরিয়ে আসলো । মিম সামিয়ার উদ্দেশ্য বললো ।

:+এখন কি করবি ।(মিম)

:+ভাব কি করা যায় ।(সামিয়া)

তৃপ্তি নিজের রুম থেকে বিরবির করতে করতে নিচে নামলো । নিচে নেমে দেখলো সালমা নিদ্রর সাথে কথা বলছে । আর নিদ্র সোফার উপর মাথা নিচু করে বসে আছে । গত কালকের বিষয়ে কথা বলছিল সালমা । তৃপ্তি দুরুত পায়ে হেটে নিদ্রর পাসে বসে বললো ।

:+আচ্ছা ভাইয়া ক্রাস কি ? এটা দেখতে কেমন ? খায় কি করে ?(তৃপ্তি)

তৃপ্তির এমন কথায় নিদ্র তৃপ্তির দিকে অবাক হয়ে তাকালো । তারপর সালমার দিকে তাকালো নিদ্র । সালমা নিদ্রর উদ্দেশ্য বলল ।

:+ও বাহিরের দুনিয়ায়র সাথে কম পরিচিত । স্কুল /বাড়ি / পরা সুনা আর ওর দুটো ফ্রেন্ড এটাই ওর লাইফ ।(সালমা)

:+ওর ফ্রেন্ডদের থেকেও তো কিছু সিখতে পারে ।(নিদ্র)

:+আমি বারন করছি ওকে এগুলো না সিখাতে ।এইসব বিষয়ে ওকে না বলতে ।(সালমা)

তৃপ্তি সালমা আর নিদ্রর এই কথা গুলোতে কান না দিয়ে । সে আবার নিদ্রকে বলল ।

:+বল না ভাইয়া ক্রাস খেতে কেমন লাগে । খেয়েছো তুমি কখনো ?(তৃপ্তি)

তৃপ্তির মাথায় এখন সুধু ক্রাস ঘুরে বেরাচ্ছে । কারন সামিয়া আর মিম এটা খেয়ে মাজ পেয়েছে তাই সেও খাবে ।

:+কে বলছে তোকে এসব ।(সালমা)

:+মিম আর সামিয়া বলাবলি করছিল । ওরা নাকি ক্রাস খেয়েছে । এটা নিয়ে তো ওদের মধ্যে জগরাও হচ্ছিল । আমি খেতে চাইলাম ওরা আমাকে দিতে পরবে না বলছে । আমিও বলে এসছি আমি তো ক্রাস খাবোই । ওরা খাওয়াবে না হলে ওদের,,,,,। (তৃপ্তি)

:+এসব বাদ দে । তোকে,,,,,,,।(সালমা)

সালমাকে থামিয়ে দিয়ে নিদ্র বলল ।

:+চাচি আম্মা তুমি যাও আমি দেখছি ।(নিদ্র)

সালমা সেখান থেকে চলে গেল । নিদ্র তৃপ্তির দিকে ঘুরে বসে বলল ।

:+একটু আগে যেই দুটো মেয়েকে দেখলাম ওরাই তোর ফ্রেন্ড ।(নিদ্র)

:+হুম ।(তৃপ্তি)

:+ওরা তোকে রুমে নিয়ে যাওয়ার পর কি কি বলছে সব বল তো ।(নিদ্র)

তারপর তৃপ্তি মিম আর সামিয়া যা বলছে সব বললো নিদ্রকে ।

:+আচ্ছা এই বেপার ।(নিদ্র)

:+কি বেপার ।(তৃপ্তি)

:+কিছু না । তো এখন তুই ক্রাস খাবি তাই তো ।(নিদ্র)

:+হুমমম ।(তৃপ্তি)

:+ওকে ।(নিদ্র)

:+কিন্তু আমি তো যানি না ক্রাস কোথায় বিক্রি করে ।(তৃপ্তি)

:+আমি যানি ।(নিদ্র)

:+তাহলে চলো রেডি হয়ে নাও আমরা বাহিরে ঘুরতে যাবো । আম্মু তো আমাকে বাহিরে যেতেই দেয় না । স্কুল আর বাড়ি ছারা আর কোথাও যেতে দে না ।(তৃপ্তি)

:+যা রুমে গিয়ে রেডি হ ।(নিদ্র)

:+সত্যি ঘুরতে যাবে ।(তৃপ্তি)

:+সত্যি নাকি মিথ্যা সেটা রেডি হয়েনে তারপর বুঝবি । একটু আগে তো তুই বললি আমাকে রেডি হতে ঘুরতে যাবি । এখন আবার সত্যি মিথ্যা যাছাই করছিস কেন ।(নিদ্র)

:+আমি তোমাকে টেস্ট করছিলাম তুমি যাবে কি না । তুমি রাজি হলে আম্মু নিসচ্ছই যেতে দিবে ।(তৃপ্তি)

:+ওওও । এখন যা ।(নিদ্র)

তৃপ্তি সেখান থেকে দৌড়ে সিরি বেয়ে নিজের রুমে চলে আসলো । নিদ্র সেদিকে কিছু সময় তাকিয়ে থেকে তারপর সোফার উপর থেকে নেমে সেও নিজের রুমে চলে আসলো । নিদ্র নিজের রুমে এসে বাহিরে যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে নিলো । এদিকে তৃপ্তি নিজের রুমে যেতেই ওর ফ্রেন্ডরা ওকে বললো ।

:+কিরে কোথায় গিয়েছিলি ।(মিম)

:+নিচে ভাইয়ার কাছে । তোরা তো আমাকে ক্রাস খাওয়াবি না তাই ভাইয়ার কাছে গেলাম । ভাইয়া বলছে আমাকে ক্রাস খাওয়াবে ।(তৃপ্তি)

তৃপ্তি কথা সুনে মিম আর সামিয়া হা করে তৃপ্তির দিকে তাকিয়ে রইলো । মিম বললো ।

:+তুই কি তোর ভাইয়াকে সব বলে দিয়েছিস । আমরা যা বল্লাম ।(মিম)

:+হুমম ।(তৃপ্তি)

সামিয়া আর মিম মাথায় হাত দিয়ে হা করে তৃপ্তির দিকে তাকিয়ে রইলো ।

:+কিরে এরম হা করে তাকিয়ে আছিস কেন । মুখ বন্ধ কর মশা ডুকবে ।(তৃপ্তি)

এই বলে ওদের সামনে থেকে চলে গেল তৃপ্তি । মিম আর সামিয়া নরে চরে বসলো । তৃপ্তি তার আলমারি খুলে একটা ড্রেস বাহির করলো । তারপর একটা নীল কালারের বোরখা । সামিয়া এসব দেখে তৃপ্তিকে বললো ।

:+ বেস্টু কোথাও যাবি নাকি ।(সামিয়া)

:+হুম বাহিরে যাবো ঘুরতে । ভাইয়া নিয়ে যাবে ।(তৃপ্তি)

সামিয়া আর মিম এই কথা সুনে বসা থেকে উঠে তৃপ্তির কাছে এসে বললো ।

:+বেস্টু,,,, বেস্টু আমরাও যাবো আমাদেরও সাথে নে না ।(মিম)

:+না তোদের নিয়ে যাবো না । তোরা হলি একটা রাক্ষসী । সাধারণ স্কুলে যাই তোরা আমার সব টাকা শেষ করে ফেলিস । না যানি ঘুরতে নিয়েগেলে কত খরচ করবি ।(তৃপ্তি)

:+সত্যি বলছি বেস্টু এক টাকাও খরচ করবো না তোর । প্লিজ আমাদেরও সাথে নে ।(মিম)

:+ঠিক আছে ।(তৃপ্তি)

:+কিন্তু আমরা কি পরে যাবো আমরা তো কিছু নিয়ে আসিনি । এগুলো পরে তো যাওয়া যাবে না । (সামিয়া)

:+আমার এখানে একস্টা আরো দু’টো বোরখা আছে ওগুলো তোরা দুইজনে পরে নে ।(তৃপ্তি)

:+হাহাহা । তুই হলি চার ফুট । আর আমরা হলাম পাচ ফুট । তোর বোরখা আমাদের গায়ে লাগবে ।(মিম)

:+মিইইইইইইইম ।(তৃপ্তি)

:+কুল কুল । আমরা বাড়ি থেকে রেডি হয়ে আসি । বাচ পাচ মিনিট হ্যা পাচ মিনিট আমাদের জন্য দ্বারাস ।(সামিয়া)

:+উউউহহহ । তারাতাড়ি যা ।(তৃপ্তি)

সামিয়া আর মিম চেয়ারম্যান বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিজেদের বাড়ি চলে গেল । তৃপ্তি ওয়াসরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে বেরোলো । তারপর জামা পায়জামা পরে বোরখা হিজাব নিকাব পরে বের হলো । নিচে সোফার উপর বসে আছে নিদ্র । তৃপ্তি নিদ্রর কাছে গিয়ে দ্বারিয়ে বললো ।

:+চলো ভাইয়া যাওয়া যাক ।(তৃপ্তি)

নিদ্র তৃপ্তির দিকে একবার তাকিয়ে সে বললো ।

:+কে আপনি আপু ।(নিদ্র)

তৃপ্তি তার ডান হাত দিয়ে মুখের উপর থেকে নিকাব সিরে নিলো । নিদ্র তাকিয়ে বললো ।

:+এইসব কি তৃপ্তি ।(নিদ্র)

:+বোরখা পরছি । আম্মু বোরখা ছারা কোথাও বেরোতে দেয় না । বোরখা ছারা বের হলে আম্মু বলছে সেদিন আমার খাওয়া দাওয়া বন্ধ । আমি না খেয়ে থাকতে পারি না ।(তৃপ্তি)

নিদ্র কিছু বললো না । সালমা এসে দ্বারালো তাদের মাঝে । তৃপ্তিকে বোরখা পরা অবস্তায় দেখে সালমা বললো ।

:+কিরে কোথায় যাচ্ছিস ।(সালমা)

:+ঘুরতে ।(তৃপ্তি)

:+চাচি আম্মা আমি নিয়ে যাচ্ছি আমার সাথে যাবে ।(নিদ্র)

:+কিন্তু,,,,,,।(সালমা)

:+আমি আছি কোন সমস্য হবে না । আর ও চেয়ারম্যানের মেয়ে । কে কি বলবে ওকে ।(নিদ্র)

সালমা একটা হাসি দিয়ে সেখান থেকে চলে যেতে যেতে বললো ।

:+সাবধানে যা । নিদ্র বাবা ওর খেয়াল রাখিস ।(সালমা)

এতপর নিদ্র আর তৃপ্তি বেরিয়ে আসলো চেয়ারম্যান বাড়ি থেকে । গ্রামের রাস্তা দিয়ে নিদ্র বাম হাত ধরে হেটে যাচ্ছে তৃপ্তি । হাতে বেথা থাকার কারনে গারি নিয়ে আসেনি নিদ্র । তবুও গারি নিয়ে আসতে চেয়ে ছিল কিন্তু তৃপ্তি বারন করে । বাড়ি থেকে বেরিয়ে তৃপ্তি মিম আর সামিয়ার কথা বললো নিদ্রকে । এজন্য তারা এখন মিম আর সামিয়া দের বাড়ির দিকে যাচ্ছে । কিছু দুর যাওয়ার পর বোরখা পরা দু’টো মেয়ে এসে দ্বারালো নিদ্র আর তৃপ্তির সামনে ।

:+এতো সময় লাগে তোদের ।(তৃপ্তি)

:+সরি দোস্ত ।(সামিয়া)

:+হুম চল ।(তৃপ্তি)

এরপর আরো কিছু দুর হেটে গিয়ে তারা একটা অটোতে উঠলো । সামিয়া একটা যায়গার নাম বললো । অটো ওয়ালা সেই যায়গায় তাদের নিমিয়ে দিলো । যায়গাটা কিছুটা পার্কের মতো । কিছু কিছু কাপল দেখা যাচ্ছে । নিদ্রর হাত ধরে হাটছে তৃপ্তি । সামিয়া আর মিম এতে কোন অবাক হলো না । কারন তৃপ্তি কোথাও গেলে সাথে যে থাকবে তার হাত ধরবে । নিরবতা ভেঙ্গে তৃপ্তি বললো ।

:+ভাইয়া আমাকে না ক্রাস খাওয়াবে বলছিলে । কোথায় ক্রাস আমি খাবো নিয়ে চলো না ।(তৃপ্তি)

নিদ্র তৃপ্তির দিকে এক বার তাকিয়ে আবার সামিয়া মিমের দিকে তাকালো । তারা দুজনে অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে হাটছে ।

:+আরো একটু সামনে চল তারপর ।(নিদ্র)

নিদ্রর কথা সুনে সামিয়া আর মিম দ্বারিয়ে পরলো । তৃপ্তি তাদের দিকে তাকিয়ে বললো ।

:+কিরে তোরা দ্বারিয়ে পরলি কেন আয় । তোরা না বলছিলি আমাকে ক্রাস খাওয়াতে পারবি না । তোদের খাওয়াতেও হবে না । ভাইয়া আমাকে খাওয়াবে তোদেরও খাওয়াবে আয় ।(তৃপ্তি)

তারা আরো কিছু দুর হেটে যাওয়ার পর দেখলো একটা দিঘি(বড় পুকুর)। দিঘির পারে একটা ফুচকার দোকান । ফুচকা দেখে তৃপ্তির চোখ চকচক করে উঠলো । নিদ্রর হাতে একটা যাকুনি দিয়ে তৃপ্তি বললো ।

:+ভাইয়া ফুচকা খাবো প্লিজ প্লিজ প্লিজ । (তৃপ্তি)

তৃপ্তি নিদ্রর হাত যাকুনি দেওয়াতে কেটে যাওয়া যায়গায় একটু টান অনুভব করে নিদ্র । কিন্তু কিছু বললো না । মুখের ভংগি আগের মতোই রেখে বললো ।

:+ফুচকা খাওয়া ভালো না ।(নিদ্র)

:+ধুর ঙ্গিয়ান দিও না চলো । SSC পরিক্ষার পর থেকে আর খাওয়া হয়নি । বাড়ি থেকে আম্মু বেরোতে দেয়নি তাই খেতেও পারিনি ।(তৃপ্তি)

:+তুই ফুচকা চিনিস ।(নিদ্র)

:+চিনবো না কেন । আমাদের স্কুলের সামনে বারেক কাকার দোকান আছে । ওখানে আমরা প্রতিদিন খেতাম ।(তৃপ্তি)

এই বলে নিদ্রর হাত ধরে টানতে টানতে সেই ফুচকা দোকানের কাছে নিয়ে আসলো তৃপ্তি নিদ্রকে সাথে মিম আর সামিয়াও । তারা চার জনে চারটা চেয়ারে বসে পরলো। তৃপ্তি ফুচকাওয়ালাকে বললো ।

:+ভাইয়া চার প্লেট ফুচকা দিন ।(তৃপ্তি)

:+আমি খাবো না তোরা খেলে খা ।(নিদ্র)

:+কেন । ও বুঝচ্ছি তোমার তো হাতে বেথা সমস্য নেই আমি খাইয়ে দেবো । আমি আছি তো ।(তৃপ্তি)

:+না হাতে বেথার জন্য না । আমি এসব জিনিস খাই না ।(নিদ্র)

:+ঠিক আছে তাহলে আমরা খাই তুমি বসে থাকো ।(তৃপ্তি)

তারপর তিনটা ফুচকার প্লেটের অডার দিলো তৃপ্তি । আর নিদ্র ফোন হাতে নিয়ে জেককে মেসেজ করলো । ফুচকাওয়ালা কিছু খন পর তিন প্লেট ফুচকা ওদের তিন জনের হাতে দিলো । ফুচকা হাতে পেয়ে তৃপ্তি মুখে সামনে থেকে নিকার সরিয়ে ঘপা ঘপ খাওয়া সুরু করলো । সামিয়া আর মিম প্রথমে অংখচ বোধ করলেও পরে তারাও খেতে লাগলো । নিদ্র ফোন পকেটে রেখে তৃপ্তির দিকে এক দিষ্টিতে তাকিয়ে রইলো । তারপর বললো ।

:+আসতে খা । কেও তো নিয়ে যাচ্ছে না । এভাবে খেলে মানুষ কি বলবে ।(নিদ্র)

তৃপ্তি নিদ্রর দিকে তাকিয়ে হাতে আরেকটা ফুচকা নিয়ে মুখে পুরে দিলো । নিদ্র আর কিছু বললো না । তিন মিনিটের মধ্যে এক প্লেট ফুচকা শেষ করে ফেললো তৃপ্তি । সামিয়া আর মিমের প্লেটে এখনো দু’টো করে ফুচকা আছে । তৃপ্তি আবার আরেক প্লেট অডার করলো ।

:+তৃপ্তি আর না । এক প্লেটেই এনাপ । শরীর খারাপ করবে ।(নিদ্র)

:+প্লিজ ভাইয়া আর এক প্লেট তারপর আর খাবো না । আবার কবে খেতে পাবো যানি না ।(তৃপ্তি)

:+না আর এক প্লেটও না ।(নিদ্র)

:+প্লিইইইইজ শেষ আর এক প্লেট প্লিজ তারপর আর কিছু চাইবো না ।(তৃপ্তি)

:+ওকে ।(নিদ্র)

তৃপ্তি খুশি হয়ে তারাতারি আরেক প্লেট অডার করলো । তারপর সামিয়া আর মিমের দিকে তাকিয়ে বললো ।

:+কিরে তোরা আর খাবি ।(তৃপ্তি)

:+না ভাই এতেই এনাপ । আর চলবে না ।(সামিয়া)

:+আমারও আর চলবে না ।(মিম)

তৃপ্তি কিছু বললো না । সামিয়া আর মিম শেষের দু’টো ফুচকা খেয়ে প্লেট রেখে হাত মুখ ধুয়ে নিলো । ফুচকাওয়ালা আরেক প্লেট ফুচকা তৃপ্তির হাতে দিয়ে গেল ।

:+আপনার সাথে আমাদের কিছু কথা আছে ।(মিম)

নিদ্র এক মনে তৃপ্তির খাওয়া দেখছিল ঠিক তখনি মিম নিদ্রর পিছনে এসে এটা বললো ।

:+কি বলবে বলো ।(বিদ্র)

:+এখানে না একটু ওদিকে আসুন ।(মিম)

তৃপ্তি নিদ্র আর মিমের দিকে একবার তাকালো । তারপর সামিয়াকে খুজরে লাগলো দেখলো সামিয়া কিছু দুরে একটা গাছের নিচে দারিয়ে আছে । তৃপ্তি আবার ফুচকা খাওয়ায় মন দিলো । নিদ্র বললো ।

:+তৃপ্তিকে এখানে একা রেখে যেতে পারবো না ।(নিদ্র)

:+কিছু হবে না । আমরা তো আর বেসি দুরে যাচ্ছি না । ওইযে গাছ’টার নিচে ।(মিম)

:+তৃপ্তি,,,,,,।(নিদ্র)

নিদ্রকে থামিয়ে দিয়ে তৃপ্তি বললো ।

:+আচ্ছা ও তোমাকে যেতে বলছে যাও না । নিচ্ছই কিছু জরুরি কথা আছে । আমার সামনে বলবে না ।(তৃপ্তি)

:+কিন্তু,,,,,,।(নিদ্র)

:+আমি এখান থেকে কোথাও যাবো না প্রোমিজ । তুমি যাও ।(তৃপ্তি)

নিদ্র বসা থেকে উঠে মিমের সাথে সামিয়ার কাছে আসলো । নিদ্র এখানে এসে বললো ।

:+তোমরা কি বলবে সেটা আমি যানি । তবুও বলো সুনি ।(নিদ্র)

:+যানেন যেহেতু তখন আর কি বলবো । তৃপ্তি নিচ্ছই বলছে ।(সামিয়া)

:+তবুও সুনি তোমরা কি বলো ।(নিদ্র)

:+দেখুন আমার সোজা কথা । আমিও আপনাকে পছন্দ করছি সামিয়াও পছন্দ করছে । আপনাকে দেখে আমি ফিট হয়ে গেছি । সারাখন সুধু আপনাকে নিয়ে থাকতে ইচ্ছে হচ্ছে এখন ।(মিম)

নিদ্র কিছু না বলে সামিয়ার দিকে তাকালো ।

:+ওর মনে কি চলছে আমি যানি না । তবে আপনাকে দেখার পর থেকে আমার মন সুধু আপনাকেই চায় ।(সামিয়া)

:+হয়েগেছে তোমাদের কথা এবার আমি বলি ।(নিদ্র)

:+বলেন । তবে ভেবে চিন্তে বলবেন । আমাদের দু’জনের মধ্যে একজনকে বাছাই করতে হবে ।(মিম)

:+তোমাদের দু’জনের কেওই আমার হবে না ।(নিদ্র)

নিদ্র কথা সুনে মিম আর সামিয়া এক পা পিছিয়ে নিদ্রর দিকে চোখ বড় বড় করে তাকালো । সামিয়া বললো ।

:+কারন যানতে পারি ।(সামিয়া)

:+ কারন আমার মন ওন্য কেও নিয়ে গেছে ।(নিদ্র)

সামিয়া আর মিম দুজন দুজনকে দেখে আবার নিদ্রর দিকে তাকালো । মিম বললো ।

:+কে সে ।(মিম)

নিদ্র ওখান থেকে তৃপ্তির দিকে একবার তাকিয়ে আবার মিমের দিকে তাকিয়ে বললো ।

:+আছে এক জন বলা যাবে না । সিগ্রেট ।(নিদ্র)

:+দেখুন আমি কিন্তু মজা করছি না । আমি সিরিয়াস । (মিম)

:+আমিও সিরিয়াস ।(নিদ্র)

:+আচ্ছা আমাদের মাজে কি নেই যেটা ওই মেয়েটার মাজে আছে । যে আপনার মন নিয়েছে ।(মিম)

:+বিশেস কিছু একটা । যেটা তোমাদের মাজে নেই । তবে তোমরা দেখতে অনেক সুন্দর আমার থেকেও ভালো ছেলে পাবে । আমি এটা ভেবে অবাক হচ্ছি তোমরা গ্রামের মেয়েরা এতো এগিয়ে গেছো ।(নিদ্র)

:+কেন পিছিয়ে থাকলে বুঝি খুসি হতেন ।(মিম)

:+আমি এখন যেই পরিস্থিতিতে আছি । বলতে পারো তোমরা পিছিয়ে থাকলে খুশি হতাম ।(নিদ্র)

:+এখন আপনি কি বলবেন ক্লিয়ার করে বলুন । আমার আপনাকেই চাই ।(মিম)

মুখ কাদো কদো করে বললো মিম । সামিয়া মিমের দিকে একবার তাকিয়ে কিছুটা অবাক হলো । তারপর মিমের কানে কানে বললো ।

:+দোস্ত তুই পটাতে পারলে তোর করে নে । আমার আর দরকার নেই এই বেটার । বায় আমি তৃপ্তির কাছে যাচ্ছি তোরা আয় ।(সামিয়া)

এই বলে সামিয়া সেখান থেকে চলে গেল ।
নিদ্র সামিয়ার দিকে এক বার তাকিয়ে আবার মিমের দিকে তাকালো ।

:+দেখো তুমি সবে SSC পাস করছো তোমার মধ্যে এখন একটা আবেগ কাজ করছে । আচ্ছা তোমাকে একটা কথা বলি । তুমি আমার কি দেখে আমাকে প্রপোজ করতে এসছো ।(নিদ্র)

:+আপনি দেখতে হ্যেন্ডসাম / মাথার চুল গুলো ইট্টাইলেস / টাকা পয়সার অভাব নেই । এর থেকে বেসি কি চাই আর একটা মেয়ের ।(মিম)

:+মন । যেটা থেকে ভালোবাসা কাজ করে । যেটা থেকে ভালোলাগা কাজ করে । আমি যেটা ভেবে ছিলাম সেটাই । তোমার মাজে এখন আবেগ কাজ করছে । তুমি আমাকে ইট্টাইলেস হ্যেন্ডসাম টাকা পয়সা দেখে প্রোপোজ করতে এসছো ।(নিদ্র)

:+নাহ,,,,,,,।(মিম)

মিমকে আর বলার সুজুক না দিয়ে নিদ্র আবার বললো ।

:+এখনো তুমি অনেক ছোট । সামনে এখনো তোমার অনেক রাস্তা খোলা আছে । অযথা আমার পিছনে সময় নষ্ট করো না । লাভ হবে না । আমি আগেও বলছি এখনো আবার বলছি । আমার মন ওন্য কেও নিয়ে গেছে । আমাকে আর ডিস্টার্ব করো না বায় ।(নিদ্র)

এই বলে সেখান থেকে চলে আসলো নিদ্র তৃপ্তি দের কাছে । তৃপ্তির পাসের চেয়ারে বসতেই তৃপ্তি প্লেট থেকে শেষ একটা ফুচকা মুখে পুরলো । নিদ্র অবাক হয়ে তৃপ্তির দিকে তাকিয়ে রইলো । সামিয়া তৃপ্তির উদ্দেশ্য বললো ।

:+রাক্ষসী কে আমরা না তুই ।(সামিয়া)

:+অবশ্যই তোরা এখনতো ভালো সাজচ্ছিস ভাইয়াকে দেখে ।(তৃপ্তি

মিম এসে সামিয়ার পাসে বসলো । নিদ্র তৃপ্তির দিকে এক দিষ্টিতে তাকিয়ে রইলো । সামিয়া আর মিম কিনিয়ে যেন কানে কানে ফুস ফুস করতে লাগলো । তৃপ্তি হাত থেকে প্লেট রেখে একটা ডেক মারলো । তারপর হাত মুখ ধুয়ে ভালো ভাবে নিকাপ পরে নিলো । নিদ্র তখনও তৃপ্তির দিকে তাকিয়ে ছিল ।

:+মামা ৩৫০ টাকা হইছে ।(ফুচকাওয়ালা)

ফুচকাওয়ালার কথা সুনে বাস্তবে ফিরলো নিদ্র । অবাক হয়ে বললো ।

:+কত টাকা হইছে ।(নিদ্র)

:+৩৫০টাকা ।(ফুচকাওয়ালা)

:+কমনে কি । এক প্লেটের দাম কতো ।(নিদ্র)

:+এক প্লেটের দাম ৫০ টাকা । আর উনি ৫ প্লেট আরা এনারা এক প্লেট করে দু প্লেট মোট সাত প্লেট । সাত প্লেটের দাম ৩৫০ টাকা হইছে ।(ফুচকাওয়ালা)

তৃপ্তি আর সামিয়া মিমকে দেখিয়ে বললো ফুচকা ওয়ালা । নিদ্র তৃপ্তির দিকে একটা রাগি দিষ্টি নিক্ষেপ করলো । তৃপ্তি ভয়ে সামিয়া আর মিমের পিছনে চলে গেল । নিদ্র টাকা দিয়ে সেখান থেকে হাটা ধরলো । তৃপ্তি তারাতাড়ি নিদ্রর হাত ধরলো । তারপর পায়ে পা মিলিয়ে হাটতে হাটতে বললো ।

:+সরি ভাইয়া । অনেক দিন পর দেখেছি । তাই লোভ সামলাতে পারিনি । আর কখনো এমন করবো না ।(তৃপ্তি)

:+একা ছেরেছি তাই এমন করলি হ্যা । মানুষের বাহিরের খাওয়ার একটা লিমিট আছে । এখন যদি শরীর খারাপ করে । চাচি আম্মা এই করনেই তোকে একা ছারে না । এখন আমি বুঝচ্ছি । ছার আমার হাত ।(নিদ্র)

এই বলে নিদ্র তৃপ্তির হাত থেকে নিজের হাত ছারিয়ে নিলো । তৃপ্তি দারিয়ে পরলো । নিদ্র সামনের দিকে হাটা ধরলো । সামিয়া আর মিম এসে দ্বারালো তৃপ্তির পাসে ।

:+তোর ভাইয়ার রাগ একটু বেসি তাই না ।(সামিয়া)

তৃপ্তি মন খারাপ করে বললো ।

:+হুমমমমম ।(তৃপ্তি)

:+মন খারাপ করিস না । চল যাই ।(সামিয়া)

নিদ্র আগে আগে হাটছে । আর তৃপ্তি সামিয়া মিম নিদ্রর পিছনে হাটতে লাগলো । সামিয়ার হাত ধরে হাটছে তৃপ্তি । কিছু দুর গিয়ে একটা অটো ভারা করলো নিদ্র বাড়ি ফিরে যাওয়ার জন্য । অটোতে উঠে বসলো চারোজনে । মিম এক দিষ্টিতে নিদ্রর দিকে তাকিয়ে রইলো । আর নিদ্র মাথা নিচু করে ফোনের দিকে তাকিয়ে রইলো । তৃপ্তি আর সামিয়া বকবক করতে লাগলো । নিদ্র রাগি চোখে তৃপ্তির দিকে তাকাতেই তৃপ্তি মুখ বন্ধ করে ফেলে । ঘন্টা খানিকের মাঝেই চেয়ারম্যান বাড়ির সামনে এসে দ্বারলো অটো । নিদ্র আটোর ভারা দিয়ে বাড়ির ভিতরে চলে গেল । সামিয়া আর মিমকে বিদায় দিয়ে তৃপ্তি ভয়ে ভয়ে বাড়ির ভিতরে ডুকলো । এরপর তারাতারি দৌড়ে নিজের রুমে চলে গেল তৃপ্তি । নিদ্র রুমে এসে চেঞ্জ করে খাটের উপর বসলো,,,,,,,,।

#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

((কপি করা নিষেধ))

[বি.দ্র: ভুল ত্রুটি ক্ষমার দিষ্টিতে দেখবেন ধন্যবাদ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here