তৃপ্তিতে_আসক্ত_নিদ্র🧡 #DcD_DaS #পর্ব__________9

0
118

#তৃপ্তিতে_আসক্ত_নিদ্র🧡
#DcD_DaS
#পর্ব__________9

নিদ্রর পাস থেকে উঠে আসলো বজলুর । এতপর খাটের উপর থেকে নিদ্রর ফোন হাতে নিলো । ফোনের স্কিনে তাকিয়ে দেখলো জেক নামে নাম্বার সেভ করা । সেই নাম্বার থেকে কল আসছে ।

:+নিদ্র এই জেক কে । ওর নাম্বার থেকে কল আসছে ।(বজলুর)

:+তারাতাড়ি ফোন এদিকে দাও ।(নিদ্র)

বজলুর নিদ্রর কাছে এসে নিদ্রর কানে ফোন ধরলো ।

:+হ্যালো জেক ।(নিদ্র)

:+কিরে কল কেটে দিলি কেন ।(জেক)

এই কথার উওরে নিদ্র কোন কথা বললো না ।

:+আচ্ছা বাদ দে । এখন ওকে কি করবো বল ।(জেক)

:+আমি তোকে লোকেশন পাটিয়ে দিচ্ছি এই লোকেশনে নিয়ে আয় । আর সাথে যেই তিনজন ছেলেকে মেরে ছিস ওদের ওখানেই পুতে ফেল ।(নিদ্র)

:+ঠিক আছে ।(জেক)

:+আচ্ছা তাহলে এখন রাখ । লোকেশনে এসে কল করিস ।(নিদ্র)

জেক কল কেটে দিলো । বজলুর নিদ্রর কান থেকে ফোন সরিয়ে সাইডে রাখলো । সালমা চোখ বড় বড় করে নিদ্রর দিকে তাকিয়ে বলল ।

:+কয় জন মারা গেছে ।(সালমা)

:+মোট চার জন । জেসিকা আর সাথে তিনটা ছেলে ।(নিদ্র)

:+মানে কি । জেসিকার সাথে তিন’টা ছেলে কি করছিল ।(সালমা)

সালমার এই কথা সুনে নিদ্র সালমার দিকে একটু তাকিয়ে আবার মাথা নিচু করে ফেললো ।

:+আচ্ছা আমি খাবার নিয়ে আসছি খাবি ।(সালমা)

:+না চাচি আম্মা খাবো না ।(নিদ্র)

:+খাবি না মানে । অনেক খন হলো এসছিস এখনো কিছু খেলি না । না খেলে রাতে ঘুম আসবে না ।(বজলুর)

:+প্লিজ জোর করো না । আমি খাবো না এখন কিছু । ভালো লাকছে না । তোমরা যাও আমি একটু রেস্ট নেব।(নিদ্র)

এই বলে বসা থেকে উঠে খাটে আসলো নিদ্র । বজলুর আর কিছু না বলে রুম থেকে চলে গেল । সালমা ফ্লোর থেকে নিদ্র ফোন’টা হাতে নিয়ে খাটে রাখলো ।

:+মন খারাপ করিস না সব ঠিক হয়ে যাবে ।(সালমা)

তারপর ল্যাপটপের ভেঙ্গে যাওয়া পাট গুলো কুরিয়ে সালমা রুম থেকে চলে গেল । নিদ্র কপালে হাত রেখে সুয়ে পরলো । কিছু খন পর সালমা আবার এলো নিদ্রর রুমে । তার হাতে বালতি আর একটা নেকরা(কাপরের টুকরো) । সালমা বালতি নিয়ে দেয়ালের পাসে দারালো । তারপর দেয়ালে লেগে থাকা রক্ত ভালো করে মুছে নিলো । ফ্লোরের রক্ত গুলো মুছে সালমা আবার চলে গেল । নিদ্র সুয়ে সুয়ে সব দেখছিল । কিছু খন পর নিদ্রর ফোনে কল আসে । নিদ্র ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখলো । ফরহাদ আহমেদ কল করছে । মানে নিদ্রর বাবা । নিদ্র কোন কিছু না ভেবে কল রিসিপ করলো । গারিতে আসার সময় অনেক বার কল করেছিল ফরহাদ । কিন্তু নিদ্র ফোন সাইলেন্ট করে রেখে দেয় । শেষ নিদ্র জুথির সাথে দেখা হওয়ার আগে কথা বলে ছিল ফরহাদ আহমেদের সাথে । তারপর আর কথা হয়নি ।

:+কিরে কি সুনছি এগুলো ।(ফরহাদ)

:+কি পাপা ।(নিদ্র)

:+জেসিকা,,,,,,,,,,,,।(ফরহাদ)

:+হ্যা পাপা আজ দেখা হয়েছে । আর আজই ও শেষ হয়ে গেছে ।(নিদ্র)

নিদ্র কাদে উঠলো । ফরহাদ নিজের ছেলেকে শান্ত করার জন্য বললো ।

:+দেখ বাবা সবারই একদিন চলে যেতে হবে । তবে জেসিকা যে পাপ করছে । এতে ওর এই মিত্যু
কাম্য ছিল ।(ফরহাদ)

:+আমার শেষ একটা বন্ধু ছিল । খারাপ ছিল বাট মনে একটা সান্তি ছিল যে একজন তো আছে । সেও আজ চলে গেল । শত ঘৃনা করলেও জেসিকা আমার অনেক কাছের ফ্রেন্ড ছিল পাপা । আমার অনেক কষ্ট হচ্ছে পাপা ।(নিদ্র)

:+কাদিস না । এখন বল ওকে কি করলি ।(ফরহাদ)

:+আমি ওকে মারিনি পাপা । ও নিজে,,,,,,,,।(নিদ্র)

:+আমি সব যানি । বজলুর আমাকে সব বলছে । আমি বলতে চেয়েছি ওর লাশ টাকে এখন কি করলি।(ফরহাদ)

:+এখনো কিছু কিরিনি পাপা । তবে সবাইকে যেখানে কবর দিয়েছি সেখানেই ওকে করব দেবো ।(নিদ্র)

:+হুম সেটাই ভালো হবে । আর আমি সুনছি জেক নাকি ওর কাছে গেছে ।(ফরহাদ)

:+হ্যা পাপা ।(নিদ্র)

:+কেন ?(ফরহাদ)

:+আমি যাস্ট ওকে বুঝাতে চেয়েছি ওর কিত্র কর্ম গুলো কথা । যে গুলো ও আমাদের সাথে করেছে । আমি তো একজনের কাছে প্রোমিজ করেছি আমি ওকে মারবো না । আর সেই বুঝ যখন জেসি বুঝলো । তখন ও মরন পথ বেছে নিলো পাপ । নিজের পেটে নিজে ছুরি ঢুকিয়ে তারপর গলায় ছুরি চালিয়ে,,,,,,,,।(নিদ্র)

:+থাক আর বলতে হবে না । বজলুর আমাকে সব বলছে ।(ফরহাদ)

:+এখন রাখি তাহলে পাপা । পরে আবার কল করবো ।(নিদ্র)

:+হ্যা সব মিট মাট করে পরে আবার আমায় কল করে যানস সব । আর তুই এখনো কিছু খেলি না কেন,,,,,,।(ফরহাদ)

টু টু টু টু
নিদ্র কল কেটে দিলো ।

:+এই ছেলে টাও না । দিন দিন কিযে করছে । (ফরহাদ)

:+কি হলো ও পৌঁছে গেছে ।(আমেনা)

:+আরে আমি তো তোমাকে আগেই বলছি নিদ্র চলে গেছে । এখন ও রুমে সুয়ে আছে ।(ফরহাদ)

:+তোমাকে কেমন যেন বিচলিত মনে হচ্ছিল ও সাথে কথা বলার সময় ।(আমেনা)

:+আরে বাদ দাও তো । আসো ঘুমাবো ।(ফরহাদ)

:+এই ছারো ছারো একদম আমাকে জরিয়ে ধরবে না । বুড়ো হয়েছে এখনো,,,,,,,,,,,,।(আমেনা)

:+বুড়ো হয়েছি বলে কি ভালোবাসা কমে গেছে ।(ফরহাদ)

:+আরে আমি কি তাই বলছি নাকি ।(আমেনা)

:+তাহলে চুপচাপ সুয়ে থাকো ।(ফরহাদ)

রাত ২টা বেজে ৪৫ মিনিট…………..

চেয়ারম্যান বাড়ি এখন পুরো নিস্তব্ধ সবাই অতল ঘুমে তলিয়ে আছে । নিদ্র কপালে হাত রেখে সুয়ে আছে । তখনি তার ফোনে কল আসলো । নিদ্রর চোখে ঘুম নিয়ে ফোন রিসিপ করলো ।

:+কিরে কৈ তুই আমরা লোকেশনে এসে দারিয়ে আছি ।(জেক)

জেকের কথা সুনে নিদ্র চট করে উঠে বসলো ।

:+তোরা পাঁচ মিনিট দ্বারা আমি এখনি আসছি ।(নিদ্র)

এই বলে কল কেটে দিলো নিদ্র । খাট থেকে নেমে পেন্টের পকেটে ফোন ডুকিয়ে নিলো । এতপর বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসলো নিদ্র । গেটের সামনে চেয়ারে বসে ঘুমে জিমো ছিলো আলম । হঠাৎ নিদ্রকে দেখে উঠে দ্বারালো ।

:+আরে বাজান তুমি এতো রাতে বাড়ি থেকে বের হইছো কেন ।(আলম)

:+একটা কাজ আছে চাচা । আপনি গেট খুলুন ।(নিদ্র)

:+কি কাজ বাজান । আমারে বলো আমি করে দেই ।তোমার কষ্ট করতে হইবো না ।(আলম)

:+আপনি আগে গেট খুলুন তারপর বলছি ।(নিদ্র)

আলম আর কোন কথা না বলে গেটের তালা খুলে দিলো । তারপর নিদ্র আর আলম গেটের বাহিরে এসে দ্বারালো ।

:+চাচা গেটে তালা লাগিয়ে আমার সাথে আসুন ।(নিদ্র)

:+আচ্ছা বাজান তুমি দ্বারাও ।(আলম)

আলম বাহিরে থেকে গেটের তালা লাগিয়ে দিলো । চেয়ারম্যান বাড়ি থেকে কিছু দুরে দ্বারিয়ে আছে পাঁচটা মাইক্রো গারি । প্রথম গারিটার সমানে হেলান দিয়ে দ্বারিয়ে আছে জেক । আর বাকি ছেলে গুলো প্রকৃতির ডাকে সারা দিয়ে নিজেদের কাজ সারছে । নিদ্র আর আলম হেটে যাচ্ছে সুন সান রাস্তা দিয়ে ।

:+চাচা ।(নিদ্র)

:+বলো বাজান ।(আলম)

:+আপনার মনে আছে আজ থেকে পাচ বছর আগের কথা ।(নিদ্র)

:+হা হা হা । কিযে বলো না বাবা । মনে থাকবে না কেন । আমি আজ ১০ বছর ধরে তোমাদের এই বাড়িতে দারোয়ানির চাকরি করছি । আমার করায় করায় সব মনে আছে । নিজের গ্রামের বাড়িতে ভালো চাকরি হওয়াতে আর কোথাও যাইনি আমি । সব মনে আছে আমার । তোমরা আমার অনেক কষ্ট দুর করছো । তোমরা পাচ জন কতো সুন্দর ভাবে এই বাড়িতে দৌড়াতে । পুরো বাড়ি মাতিয়ে রাখতে তোমরা পাঁচ জন । কিন্তু সময়ের সাথে সাথে সব পালটে গেছে ।(আলম)

:+আপনার মনে আছে সেই অন্ধকার রাতের কথা চাচা ।(নিদ্র)

আলম একটু দারিয়ে পরলো নিদ্রও দ্বারালো ।

:+তুমি কোন রাতের কথা বলছো বাজান ।(আলম)

:+সেই রাতের কথা । যে রাতে আমি ছয়’টা লাশ নিয়ে এসে ছিলাম এই বাড়িতে ।(নিদ্র)

:+হঠাৎ আবার সেই রাতের কথা কেন বাজান । আমি সেই রাতের কথা সব ভুলে গেছি ।(আলম)

:+ভয় পাবেন না চাচা । আপনি সত্যটা সব যানেন । তাহলে ভয় কিসের ।(নিদ্র)

:+সেই রাতের সব লাশ আজও আমার চোখের সামনে ভেসে উঠে বাবা ।(আলম)

:+আজ আরো একটা সেই রকম লাশ দেখবেন চাচা ।(নিদ্র)

আলম দু’পা পিছিয়ে নিদ্রর দিকে চোখ বড় বড় করে তাকালো ।

:+এই সেই বৃক্তি চাচা । যে নিজের সব ধংস করে । পাপের পথে পা বারিয়েছে ।(নিদ্র)

:+তাহলে আজ আমি সেই পাপিকে দেখতে যাচ্ছি । সেই বেইমানকে । যে নিজের বন্ধু হত্যা কারি সেই বৃক্তিকে ।(আলম)

:+হ্যা চাচা । চলুন সময় নষ্ট হচ্ছে । অনেক কাজ বাকি ।(নিদ্র)

:+হ্যা দেখবো । আমি দেখবো সেই পাসন্ড মেয়েটাকে । চলো বাজান ।(আলম)

নিদ্র আর আলম এসে দ্বারালো জেকের সামনে ।

:+কিরে এই লোক আবার কে ।(জেক)

:+আমাদের বাড়ির দারোয়ান চাচা । আমি চাচা বলে ডাকি উনাকে । তোরাও চাচা বলে ডাকবি ।(নিদ্র)

:+আচ্ছা । আসসালামু আলাইকুম চাচা ।(জেক)

:+ওয়ালাইকুম আসলাম । ভলো আছো বাবা ।(আলম)

:+জ্বি চাচা ভালো । আপনি ভলো আছেন ।(জেক)

:+এই তো আল্লা যেমন রাখছে । ভালোই আছি আল্লা রহমতে ।(আলম)

:+জেক ও কৈ ।(নিদ্র)

:+গাড়ির ডিঁকিতে ।(জেক)

:+বের করে নিয়ে আয় ।(নিদ্র)

:+সবুজ, ফরহাবি, রাসেল, ইমন, । মেয়েটাকে বের করে নিয়ে আয় ।(জেক)

জেকের কথা সুনে চারো জনে দুই নাম্বার গারির পিছনের ডিঁকি থেকে জুথির লাশ বের করে আনলো । তারপর জেক নিদ্র আর আলমের সামনে রাখলো জুথির লাশ । জুথির লাশের চারো পাসে দ্বারিয়ে পরো সবাই । জুথির লাশটা সাদা কাপড় দিয়ে মোরানো । রক্তে লাল হয়ে আছে সাদা কাপর’টা । একটা ছেলে জুথির মুখের কাপর সরিয়ে দিলো । নিদ্র জুথির মুখের দিকে তাকিয়ে সেখানেই হাটু গেরে বসে পরলো ।

:+আজ খুব সুন্দর লাকছে তোকে দোস্ত । সত্যি বলছি খুব সুন্দর লাকছে ।(নিদ্র)

:+নিদ্র নিজেকে সমলা রাত অনেক হয়েছে । আমাদের আবার ফিরতে হবে ।(জেক)

জেক নিদ্রর দু’কাধে হাত রেখে বলল । নিদ্র আলমের দিকে তাকিয়ে বলল ।

:+দেখেন চাচা এই সেই বেইমান । আজ কতো সুন্দর করে ঘুমাচ্ছে । কতো সুন্দর লাকছে ওকে তাই না ।(নিদ্র)

আলম নিজের চোখের পানি মুছে বলল ।

:+বাজান আর সময় নষ্ঠ করো না । রাত অনেক হইছে । এবার ওরে কবর দেওয়ার বেবস্তা করো ।(আলম)

:+আমি ওকে যেখানে কবর দেবো । সেই যায়গাটাই ভুলে গেছি । আমি ভুলে গেছি আমার কলিজার বন্ধুদের কবর কোথায় দিয়েছি । চাচা আমাকে নিয়ে চলুন সেই যায়গায় ।(নিদ্র)

:+চলো ।(আলম)

এতপর সবাই আলমের পিছু পিছু জুথির লাশ নিয়ে হাজির হলো সেই যায়গায় । যেখানে পাচ বছর আগে নিদ্র / বজলুর / আলম মিলে ছায়টি দেহকে কবর দিয়ে ছিল । কবর গুলোর পাসে সুয়িয়ে রাখা হলো জুথির লাশ । আর কবর ছয়টির সামনে হাটু গেরে বসে পরলো নিদ্র ।

:+দেখ বাবা তোর আম্মু নিয়ে আসছি । তুই আম্মু আম্মু বলে জিবনের শেষ নিশ্বাস তেগ করেছিস । আজ তোর সেই আম্মুকে নিয়ে আসছি আমি । দেখ কতো সুন্দর করে ঘুমাচ্ছে । হয়তো তোদের কাছে চলে গেছে এখন তাই না । দেখ রিক আমাকে মাপ করে দিস । আমি পারলাম না ওকে ভালো করে এই পৃথিবীতে রাখতে । চলে গেছে ও তোদের কাছে । মাপ করবেন আন্টি আপনার মেয়েকে ভালো করে এই পৃথিবীতে রাখতে পারলাম না । কিরে কেমন আছিস তোরা দুইডা । আমাকে একা রেখে ওখানে এখন সবাই হাসি খুসিতে মেতে আছিস তাই না । কারন তোদের বন্ধু এখন ভালো হয়ে তোদের কাছে চলে গেছে । মাপ করে ওকে আবার কাছে নিয়ে নিস তোরা সবাই । নাহলে ও অনেক কষ্ট পাবে । শত হক আমাদের বন্ধু তো । ঘৃণা করে দুরে ঢেলে দিলে হবে । সত্যি কারের বন্ধু কখনোই দুরে সরে যায় না ওকে কথাটা যেন সব সময় মনে থাকে । (নিদ্র)

:+নিদ্র,,,,,নিদ্র,,,,,কুল । উঠে আয় ওখান থেকে ।(জেক)

:+আরে দ্বারা বেটা । আজ অনেক দিন পর ওদের দেখছি । একটু কথা বলে নেই ।(নিদ্র)

জেক কোন কথা না বলে নিদ্রকে ওখান থেকে তুলে একটু দুটে নিয়ে আসলো । তিনজন ছেলে একটা কবর খুরতে বেস্ত হয়ে পরলো ।

:+এখানে বসে থাক ।(জেক)

:+আরে ছার না ওদের সাথে একটু কথা বলি । আজ অনেক দিন পর দেখা ।(নিদ্র)

:+ভাই আমাদের সাথে কথা বলেন । আমরা আপনার থেকে কিছু যানতে চাই ।(রাসেল)

নিদ্র ছেলেটার দিকে তাকিয়ে বলল ।

:+কি যানবা তোমরা এখন আমার থেকে ।(নিদ্র)

:+ভাই আপনাদের বন্ধুত্বটা কি ভাবে কি মানে আমারা কেওই কিছু বুঝতে পারছি না ।(রাসেল)

:+আজ না আরেক দিন বলবো ।(নিদ্র)

:+না ভাই আজই বলেন প্লিজ ।(রাসেল)

:+আমাদের বন্ধুত্ব সেই ছোট বেলা থেকে । এই অজপাড়াগাঁই জন্ম আমার আর জেসিকার । ছোট বেলা থেকেই আমরা পাচ বন্ধু এক সাথে থাকতাম । আমি, জেসিকা, রিক, বৃষ্টি আর নিলয় । আমাদের লাইফ ছিল বিন্দাচ । রিক বৃষ্টি আর নিলয়ের কেও ছিলনা মানে তারা ছিল এতিম । একদিন আব্বু ওদের রাস্তায় কুরিয়ে পায় । সেই থেকেই ওরা আমাদের সাথে থাকতো । আমরা যেমন পরা লেখায় ভালো ছিলাম । তেমনি আবার দুষ্টুমিতেও ফাস্ট বয় ছিলাম আমরা সবাই । সমস্য সুরু হয় SSC পরিক্ষার পর । SSC পরিক্ষার পর আমি চলে যাই ঢাকায় । কারন আব্বু তখন নতুন ছোট খাটো ব্যবসা সুরু করে ঢাকায় । তাই আমাকে আর আম্মুকে ঢাকায় নিয়ে যায় । দশম শ্রেণি প্রজন্ত আমি এই গ্রামে থেকেই পরেছিলাম । আমি ঢাকায় চলে যাই এক বছর হয়ে গেছে । কিন্তু আমার একা ভালো লাকছিল না । তাই আমি আব্বুকে বলে ওদের চারো জনকে ঢাকায় নিয়ে যাই । কলেজে ভর্তি করেদেই ওদের চারো জনকে । জেসিকার আব্বু মারা যায় আমরা যাখন ৫এ পরিক্ষা দেই সেই সময় । ওর আম্মু একা গ্রামে রয়ে যায় আর ওকে আমি ঢাকায় নিয়ে যাই । কিন্তু সবাই আলাদা আলাদা থকতে সুরু করে । আমাদের বাসায় থাকবে না কেও । জেসিকা,রিক,বৃষ্টি,নিলয় সবাই এস্টা বাসা নিয়ে থাকতে সুরু করে । কিন্তু আমি রিক আর জেসিকাকে একটু কাছা কাছি থাকতে দেখতাম । কিন্তু ওরা যে বিয়ে করে ফেলেছে এটা আমি যানতাম না । ওরা SSC পরিক্ষার পরই বিয়ে করে ফেলে । এটা আমি পরে যানতে পরি । আবেগের বসে পরে বিয়ে করে নেয় ওরা । তবে এটা কেও যানতো না । তারপরও আমাদের সব ঠিক ছিল । হাসি খুসি দুষ্টুমিতে আমাদের দিন চলতে থাকে । কিন্তু এর ফাকে আবার জেসিকার দু’টো যমজ বাচ্চাও হয় যায় । একটা ছেলে আরেকটা মেয়ে । ওদের নাম রিকের নাম অনুসারে রাখে জেসিকা । ছেলের নাম রাখে রিসব আর মেয়ের নাম রাখে রিধি । এটা আমি বৃষ্টি নিলয় কেওই যানতামা না । ওরা যে বিয়ে করেছে এটাই আমরা যানতাম না আর বাচ্চা তো দুরের কথা । কেটে যায় আরো এক বছর । ইন্টার শেষ করে ভর্তি হই অনার্সে । নিলয়,বৃষ্টি,রিক ছোট একটা জব করতো । জেসিকা কোন কিছু করতো না । সুধু ভার্সিটি আড্ডা আর বাসায় ছিল ওর লাইফ । আমরা যখন অনার্স তিন এ পরি তখন রিক আর জেসিকার ছেলে মেয়ের বয়স ৫ বছর । সমস্য হয় তখনি । হঠাৎ একদিন রাতে ৮টায় রিক আমাকে ফোন করে বলে দেখা করবে । সাথে নাকি বৃষ্টি নিলয়ও আছে । আমি আর কোন কিছু না বলে সেদিন রাতে বাসা থেকে বেরিয়ে পরি । তারপর ওদের দেওয়া লোকেশনে চলে যাই । গিয়ে ওদের দেখে আমার হাত পা কাপতে সুরু করে । কারন বৃষ্টি নিলয় রিক রক্তাক্ত হয়ে পরে আছে সেই যায়গায় । আমি দৌড়ে গিয়ে বৃষ্টি আর নিলয়কে ধরি । ধরে দেখি ওদের গলায় ছুরি দিরে আগাত করার দাগ । কিন্তু ওদের ধরে আমি চমকে উঠি কারন ওরা মারা গেছে । তারপর রিক কে ধরি কিন্তু দেখি ও এখনো শ্বাস নিচ্ছে । রিকের পেটে বুকে তিনটা ছুরি বসানো । আমি রিককে ধরতে রিক বলে উঠে ।

ফ্লেসবেক……….

:+আমার বাচ্চা দুটোকে বাচা দোস্ত । তোর পায়ে পরি ওদের বাচা ।(রিক)

:+কি বলছিস তুই তোর বাচ্চা মানে ।(নিদ্র)

:+আমি আর জেসিকা বিয়ে করেছি আজ ছয় বছর হয়ে গেছে । আমাদের দুটো বাচ্চাও হয়েছে । তাদের নাম রিসব আর রিধি ।(রিক)

:+কি বলছিস এস তুই রিক ।(নিদ্র)

:+হ্যা দোস্ত এটা সত্যি । এটা কেও যানে না । সুধু জেসিকার মা ছারা । জেসিকার মা এখন আমার বাচ্চা দের কাছে । দোস্ত প্লিজ আমার বাচ্চা দের বাচা।(রিক)

:+কিন্তু কে মারবে ওদের । আর তোদেরই বা কে মেরেছে ।(নিদ্র)

:+জেসিকা ।(রিক)

:+মানে । কি বলছিস তুই ।(নিদ্র)

:+হ্যা আমি সত্যি বলছি । ওই মেয়ে আমাকে আর বৃষ্টি নিলয়কে লোক দিয়ে মেরেছে । আমার বাচ্চা দেরও ও মেরে দেবে প্লিজ দোস্ত তুই আমার বাচ্চা দের বাচা।(রিক)

:+কিন্তু কেন ও তোদের মারেছে ।(নিদ্র)

:+কারন ও সেক্স নামক অন্ধকার দুনিয়ায় তলিয়ে গেছে । ও আমার ভালোবাসার সাথে বিস্বাস ঘাতকতা করে সেই অন্ধকার পথ বেছে নিয়েছে । প্রথমে আমি কিছু যানতাম না । পরে বৃষ্টির সন্দেহ হয় জেসিকার উপর পরে সে আমাকে বলে । আমি সব খোজ নিয়ে দেখি । ও দিনের পর দিন হোটেলে গিয়ে ছেলেদের সাথে সারিরিক সম্পর্ক করছে । আর আজ আমি ওকে হাতে নাথে ধরি । যার ফল স্রুতিতে আমাদের মরতে হচ্ছে । দোস্ত আমার বাচ্চা দের বাচা ।(রিক)

:+আমি তোকে ছাবো না জেসি । তোর মরন আমার হাতেই হবে আমি আসছি জেসি ।(নিদ্র)

:+না নিদ ওর কিছু করিস না । প্রচন্ড ভালোবাসি আমি ওকে । ওর কিছু হলে আমি মরেও সান্তি পাবো না । ওকে সুধু তুই এই পাপের পথ থেকে বের করে আনবি । কথা দে দোস্ত তুই ওকে কিছু করবি না । কথা দে ওকে মারবি না তুই । কথা দে নিদ ।(রিক)

:+কথা দিলাম দোস্ত ওকে কিছু করবো না । সুধু ওর বিবেক টাকে যাগিয়ে তুলবো ।(নিদ্র)

:+সান্তি পেলাম দোস্ত । এবার আমার বাচ্চাদের বাচা দোস্ত তারাতারি যা ।(রিক)

:+কিন্তু তোকে এভাবে রেখে,,,,,।(নিদ্র)

:+আমার কথা ভাবিস না । আমার সময় শেষ । ********যায়গায় আমার বাচ্চারা আর জেসিকার আম্মু আছে । আমি যানি জেসিকা ওদের মারতে বলেনি সুধু আমাদের মারতে বলছে । কিন্ত এখানে আমাদের যারা মেরেছে তারাই বলেছে আমার বংশের শেষ প্রদিপ নিভিয়ে দিবে । মানে আমার বাচ্চাদের মেরে ফেলবে । প্লিজ দোস্ত ওদের বাচা,,,,,,,।(রিক)

বর্তমান……….

:+প্লিজ দোস্ত ওদের বাচা । এই বলে রিক আমার কোলে শেষ নিশ্বাস তেগ করে । তারপর আমি ওদের ও ভাবে রেখেই চলে আসি রিকে বাসার সামনে । ওদের বাসার সামনে এসে দেকি জেক এক দিষ্টিতে রিকের বাসার দিকে তাকিয়ে আছে,,,,,,,,,,।

#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

((কপি করা নিষেধ))

[বি.দ্র: ভুল ত্রুটি ক্ষমার দিষ্টিতে দেখবেন ধন্যবাদ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here