তৃপ্তিতে_আসক্ত_নিদ্র🧡 #DcD_দীপ্ত #পর্ব__________24

0
98

#তৃপ্তিতে_আসক্ত_নিদ্র🧡
#DcD_দীপ্ত
#পর্ব__________24

নিজের রাগ কন্ট্রোল করে ক্লাবের রুম থেকে বেরিয়ে আসে নিদ্র । বেরিয়ে দেখে রাহুল + সাব্বির + রাশেদ + সুজন বসে বসে জিরা’পানি খাচ্ছে । আর জেক বসে আছে গালে হাত দিয়ে । জেকের এসব ড্রিংক পছন্দ না তাই সে এগুলো খায় না । নিদ্র আসতে করে ওদের কাছে এসে আবার বসলো । ওরা পাঁচ জনে নিদ্রর দিকে তাকিয়ে রইলো । রাহুল জিরা’পানির বোতল মুখে ঠেকিয়ে নিদ্রর দিকে তাকালো । সবাই উৎসুক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে নিদ্রর দিকে । নিদ্র কি বলকে সেটা সুনার জন্য । পুরো পিন পিন নিরোবতা চলছে সবার মাজে । রাহুল জিরা’পানির বোতল থেকে কিছু পানি মুখে নিলো এমন সময় নিদ্র জেকের উদ্দেশ্য বলে উঠলো ।

:+কিরে,,,,,, ওরা সবাই খাচ্ছে । তুই খাচ্ছিস না কেন ।(নিদ্র)

রাহুলের মুখ থেকে ফুরুত করে সব পানি বেরিয়ে আসলো । ভেবেছিল নিদ্র এখন সরি বলবে ওদের । কিন্তু না তার কিছুই করলো না । আর যে এগুলো খায় না তাকে বলছে এগুলো কেন খাচ্ছে না । কি আজব বেপার । সবাই আবার আগের মতো খাওয়া সুরু করলো । নিদ্র যে সরি বলবে না এটা ডের বুঝে গেছে সবাই । জেক নিদ্রকে বললো ।

:+ রাগ কমছে এখন । না আরো বাকি আছে । সালা কি মার টাই না দিলি । পুরো দুটো গালই ফাটালি ।(জেক)

নিদ্র বসা থেকে দারিয়ে জেকের সামনে আসলো । জেক একটু ভরকে গেল । সে আবার কোন ভুল কিছু বলে ফেললো নাতো । সুকনো একটা ঢোক গিলে, নিজের দু’গাল দু’হাত দিয়ে চেপে নিলো জেক । নিদ্র জেকের দিকে একটু ঝুঁকে জেকের চোখে চোখ রেখে শান্ত গলায় বললো ।

:+ও না,,,,,,,আমার এই বুকের বা পাসের পুরো খালি যায়গা’টা দখল করে নিয়েছে । পাগল করে দিয়েছে পিচ্চি’টা আমাকে । ওর দিকে যে চোখ তুলে তাকাবে, সে আর ঠিক থাকতে পারবে না । পুরো এলোমেলো করে দেবো আমি তাকে ।(নিদ্র)

সবাই সুধু হাবলাকান্তের মতো তাকিয়ে আছে নিদ্রর দিকে । নিদ্র যে তৃপ্তিকে নিয়ে এতোটা সিরিয়াস হবে এটা কেও ভবতে পারেনি । জেক নিজের গাল থেকে হাত নামিয়ে নিদ্রকে বলে উঠলো ।

:+সরি দোস্ত,,,,আসলে আমরা ভাবতেই পারিনি তুই এতোটা সিরিয়াস হবি ।(জেক)

নিদ্র আবার সোজা হয়ে দারালো । এবার রাহুল নিদ্রর সামনে এসে দারিয়ে বললো ।

:+সরি ‘রে,,,, আসলে আমি কিছু না যেনে ওই সব বলে ফেলছি ।(রাহুল)

নিদ্র এবার আবার রাহুল আর জেকের গালে একটা করে চড় মারলো । সাব্বির +রাশেদ +সুজন সুধু অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে নিদ্রর দিকে । রাহুল আর জেক নিজেদের গালে হাত রেখে বললো ।

:+মারলি কেন ?(জেক+রাহুল)

:+সরি বলার জন্য । আমারও কিছু ভুল আছে । কৈ আমি তো সরি বলছি না । তাহলে তোরা কেন বলবি । ব বন্ধুত্বে ন নো স সরি ন নো ক্ষমা,,,, ও ওনলি ফা ফান ।(নিদ্র)

শেষের কথা গুলো বলতে গলা ধরে আসছিল নিদ্রর । রাহুল আর জেক নিদ্রর দিকে চোখ বড় বড় করে তাকালো । নিদ্র ওন্য দিকে ঘুরে চোখে আসা পানি চট করে মুছে নিলো । কিন্তু করোরই এটা চোখ এরায় না । এখানে থাকা পাঁচ জনে সুধু অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে নিদ্রর দিকে । সাব্বির +রাশেদ +সুজন নিদ্রর চোখের পানি মোছা দেখে বসা থেকে দারিয়ে গেল । জেক কিছু’টা আভাস পেয়ে যায় নিদ্রর চোখে পানি কেন এসছে । নিদ্রকে পিছন থেকে জরিয়ে ধরে জেক ।

:+জানি না তোর আগের বন্ধুদের মতো আমরা হতে পারবো কি না বা পারছি কি না । কিন্তু কথা দিচ্ছি সব সময় আমাদের সাথে পাবি, কখনো ছেরে যাবো না তোকে ।(জেক)

:+খুব মনে পরছে ওদের জেক । কেন হলো এমন । এমনটা না হলে হতো না । তোদের মতো আমিও যখন আমার বেস্ট ফ্রেন্ডদের সরি বলতাম তখন ওরা কি করতো যানিস । আমার একটা গালে চড় মেরে বলতো “বন্ধুত্বে নো সরি নো ক্ষমা,,,, ওনলি ফান” ।(নিদ্র)

নিজের চোখের পানি মুছে বলে নিদ্র । সাব্বির +রাশেদ +সুজন +রাহুল নিদ্রর সামনে এসে দারালো । রাশেদ বললো ।

:+তোকে না বলছি আগের সব ভুলে যেতে ।(রাশেদ)

:+দেখ নিদ্র আগের সব ভুলে যা । সুধু সুধু নিজে কষ্ট পাচ্ছিস ।(সুজন)

:+আমার কিছু বলার নাই ।(সাব্বির)

বুকে দু’হাত গুজে বলে সাব্বির । রাহুল এবার বলে উঠলো ।

:+আরে ভাই আমরা তো ফানই করছি । এখানে আবার কান্না কাটি কিসের । কান্না কাটি করলে লাভ হবে না বস । এখন আমাদের ট্রিড দিতে হবে ।(রাহুল)

এক গাল হেসে বলে রাহুল । নিদ্র একটু অবাক হয়ে বললো ।

:+কিসের ট্রিড ।(নিদ্র)

জেক নিদ্রকে ছেরে দারালো । এরপর সবাই এক সাথে চিৎকার করে বলে উঠলো ।

:+আমাদের ভাবি যে আমরা পেয়ে গেছি সেই জন্যওওওওওওওও ।(সবাই)

নিদ্র নিজের দু’কান দু’হাত দিয়ে চেপে ধরে বললো ।

:+ওই থাম তোরা ।(নিদ্র)

:+নে থামলাম এবার ট্রিড দে ।(সাব্বির)

:+আমি ওয়ালেট আনতে ভুলে গেছি ।(নিদ্র)

:+তা বললে তো হবে না মামা । ট্রিড তো তোমাকে দিতেই হবে ।(সুজন)

:+ওয়ালেট আনতে ভুলে গেছিস কোন প্রবলেম নেই । নূরানি রেস্টুরেন্টে তো আমাদের পরিচিত । চল ওখানে গিয়ে খাওয়াবি । বিল না হয় পরে দিবি ।(জেক)

:+আসলে আমি,,,,,,,,,,,,,,,।(নিদ্র)

:+কোন ফাকি বাজি চলবে না । আজ তোকে খাওয়া তেই হবে । ওই ধর ওরে সবাই ।(রাহুল)

বলতে দেরি ধরতে দেরি হলো না কারোর । নিদ্রকে ধরে আলগি দিয়ে তুলে ক্লাবের বাহিয়ে নিয়ে আসলো সবাই । এরপর বাইকে উঠিয়ে রওনা দিলো নূরানি রেস্টুরেন্টের দিকে ।

—————————————–

বিকেল ৩টা বাজে……………
নিদ্র নিজ রুমে ঘুমিয়ে আছে । ফরহাদ অফিসে । তৃপ্তি নিচ তলায় সোফার উপর আমেনার কোলে মাথা রেখে সুয়ে টিভি দেখছে আর গল্প করছে । আমেনা তৃপ্তির মাথার চুল গুলোতে বেনি কেটে দিচ্ছেন ।
দুপুরে রেস্টুরেন্ট থেকে খেয়ে আসাতে বাসায় এসে কিছু খায়নি নিদ্র । আমেনা এই নিয়ে বেসি কিছু বলেন’নি । কারন নিদ্র প্রায়ই এমন করে । তৃপ্তি আমেনার মুখের দিকে একবার তাকিয়ে আবার টিভির দিকে তাকিয়ে বললো ।

:+আচ্ছা বড় আম্মু । মানুষের পাওয়ার যদি টিভির ভিতরের কাটুন মেনদের মতো মেজিকাল পাওয়ার হতো । তাহলে কেমন হতো ।(তৃপ্তি)

:+আ,,,,,,,,,,,,।(আমেনা)

:+মানুষের যদি মেজিকাল পাওয়ার থাকতো । তাহলে সবার আগে আমি তোকে মেজিক করে পরি বানিয়ে দিতাম ।(নীলা)

তৃপ্তি আর আমেনা কথা বলছিল ঠিক তখনি নীলার আগমন ঘটে সেখানে । আমেনা একটু হেসে নীলার দিকে তাকায় । তৃপ্তিও নীলার দিকে তাকায় । আমেনার কোল থেকে উঠে বসে তৃপ্তি । নীলা এসে তৃপ্তির পাসে বসে বললো ।

:+কি ঠিক বলছি না । পরি বানালে বেটার হবে না আন্টি ।(নীলা)

:+না একদন না । আমার কাছে মেজিক পাওয়ার থাকলে আমি তোমাকে,,, ডায়নোসর,,,,, না না না,,,,, ড্রাগন,,,,,না,,,,,গড়িলা,,,,,না না,,,,,,ওটাকে কিযেন বলে,,,, উমমম,,,,,ও হা মনে পরছে । সব জন্তুদের রানী,,,, কূয়িন ফারহা । মাই ফেবারিট কাটুন ।(তৃপ্তি)

:+এটা কোন কথা । আমি তোকে পরি বানাতাম । আর তুই আমাকে ডায়নোসর, ড্রাগন,গড়িলা,জন্তুদের রানী কূয়িন ফারহা এগুলো বানাতি ?(নীলা)

মন খারাপ করে বলে নীলা । আমেনা এদের এমন কথা সুনে হাসতে লাগলো । তৃপ্তি বললো ।

:+আরে আপু তুমি যানো না । কূয়িন ফারহার অনেক খমতা । তুমি তো আর কাটুন দেখো না তুমি যানবে কি করে । আমি যদি পারতাম তাহলে আমি কূয়িন ফারহা হয়ে যেতাম । আমার একটা ইসারায় সব জন্তু সবাইকে শেষ করে দিতো । ড্রাগনের পিঠে বসে পুরো পৃথিবী ঘুরে বেরাতাম আমি । কিন্তু কূয়িন ফারহা হচ্ছে ভালো কাওকে কিছু করে না ।(তৃপ্তি)

আমেনা হাই তুলতে তুলতে বললেন ।

:+আমার একটু ঘুম পাচ্ছে আমি রুমে গেলাম তোরা বসে বসে কথা বল ।(আমেনা)

আমেনা সেখান থেকে চলে গেল । নীলা তৃপ্তির দিকে তাকালো । এরপর তৃপ্তির হাত থেকে রিমোট নিয়ে টিভির চেনেল পালটে দিলো ।

:+আরে আপু তুমি এটা কি করলে । প্লিজ কাটুন’টা দেও । কাটুন’টা প্রায় শেষ প্রজায় ।(তৃপ্তি)

:+না কাটুন আর দেখা হবে না । কাটুন দেখে দেখে কাটুনের মতো ভাবা সুরু করে দিয়েছিস তুই ।(নীলা)

তৃপ্তি রাগে ফুঁসতে সুরু করলো । নীলার হাত থেকে রিমোট নেয়ার জন্য নীলার উপর যাপিয়ে পরলো তৃপ্তি ।

নিদ্র ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিলো । এরপর মোবাইল’টা হাতে নিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে আসলো । উদ্দেশ্য এখন ক্লাবে যাবে । একটু সামনে যেতেই আমেনা সাথে দেখা হয় নিদ্রর । আমেনা নিদ্রকে দেখে বললেন ।

:+কোথায় যাচ্ছিস এখন ।(আমেনা)

:+কোথায় আর যাবো,,,,,,,, ক্লাবে যাচ্ছি ।(নিদ্র)

আমেনা আর কিছু বলেন না । তিনি নিজের রুমে চলে গেলেন । নিদ্র আবার দু’পা সামনে গিয়ে কিছু একটা ভেবে দারিয়ে পড়লো । এরপর নিজের পেন্টের পকেট চেক করো । হ্যাঁ এখনো ওয়ালেট নিতে ভুলে গেছে নিদ্র । আবার নিজ রুমে বেক করে ড্রয়ার থেকে ওয়ালেট নিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে আসলো সে । অতপর নিচ তলায় নেমে নিদ্র দেখলো তৃপ্তি আর নীলা সোফার উপর রিমোট নিয়ে কারা কারি করছে । নিদ্র সোফার কাছে এসে বুকে দু’হাত গুজে দারালো । নিদ্রকে দেখে নীলা চট করে সোফা থেকে উঠে দারালো । হঠাৎ নীলা দারিয়া যাওয়াতে তৃপ্তি একটু অবাক হয় । এরপর তৃপ্তি পিছনে ঘুরে নিদ্রকে দেখে সেও দারিয়ে যায় । নিদ্র রাগি চোখে তাকিয়ে আছে তৃপ্তি আর নীলার দিকে । নীলা কোন কিছু না বলে তৃপ্তি হাতে রিমোট দিয়ে সেখান থেকে চলে গেল । তৃপ্তি মাথা নিচু করে দারিয়ে রইলো । নিদ্র নীলার যাওয়ার দিকে একবার তাকিয়ে আবার তৃপ্তির দিকে দাত কটমট করে তাকিয়ে বললো ।

:+শরীরের অবস্তা এমন কেনো তোর ।(নিদ্র)

তৃপ্তি নিজের গায়ের দিকে তাকালো । পুরো ঘামে ভিজে চেপ চেপা হয়ে গেছে সে । বুকের ওড়না কখন যে সোফার উপর পরে গেছে টেরই পায়নি । উড়না হাতে নিয়ে তারাতাড়ি বুকের উপর দিয়ে নিলো তৃপ্তি এরপর আসতে করে বললো ।

:+আসলে আমি রিমোট নেয়ার চেষ্টা করছিলাম নীলা আপুর থেকে ।(তৃপ্তি)

নিদ্র চোখ বুঝে হালকা একটু ধমকের সুরে বললো ।

:+সোজা এখন রুমে যাবি । রুমে গিয়ে এসি ছেরে দিয়ে চুপচাপ বেডের উপর বসে থাকবি । রুম থেকে যদি এক পা বেরিয়েছিস তো পা ভেঙ্গে ফেলবো ।(নিদ্র)

নিদ্র ধমকে সুনে একটু কেপে উঠে তৃপ্তি । সেখানে আর দারিয়ে না থেকে সিরির দিকে পা বারায় সে । আর মনে মনে বলে ।

:+শয়তান তোকে তো আমি পরে দেখে নিবো । আমাকে ধমক দেওয়া । বাদর কোথা কার ।(তৃপ্তি)

মনে মনে আন বান বকতে বকতে সিরি বেয়ে নিজ রুমে চলে আসে তৃপ্তি । নিদ্র তৃপ্তির যাওয়ার দিকে খানিক খন তাকিয়ে ছিল । এরপর একটা মুচকি হাসি দিয়ে আবার বাড়ির বাহিরের দিকে পা বারালো । অতপর বাইক নিয়ে ক্লাবে চলে আসলো নিদ্র । ক্লাবে এসে দেখলো রাহুল বসে আছে একা, আর কেও কে দেখা যাচ্ছে না । নিদ্র বাইক পার্ক করে ক্লাবের ভিতরে গেল ।

:+একা একা বসে আছিস কেন । ওরা কোথায় ।(নিদ্র)

রাহুল নিদ্রর দিকে তাকিয়ে বললো ।

:+জেকের বাসায় গেছে । আন্টি নাকি সবাইকে ডেকেছে ।(রাহুল)

:+তাহলে তুই যাসনি কেন ।(নিদ্র)

:+ ভালো লাগছিল না তাই যাই নি । তোকে তো কয়েকবার কল দিয়েছে জেক,,,,, তোর ফোন কৈ ।(রাহুল)

নিদ্র রাহুলের সামনে একটা চেয়ার টেনে বসতে বসতে বললো ।

:+ফোন সাইলেন্স ছিল তাই বুঝতে পারিনি ।(নিদ্র)

:+ওওওও ।(রাহুল)

নিদ্র চেয়ারে ঠিক হয়ে বসে রাহুলকে বললো ।

:+কখন গিয়েছে ওরা ।(নিদ্র)

:+গিয়েছে তো অনেক খন হয়ে গেছে । চলে আসবে কিছু খনপর ।(রাহুল)

:+সকালে কি নিয়ে কথা বলছিলি তুই,সাব্বির আর রাশেদ ।(নিদ্র)

:+আর বলিস না । সাব্বির +রাশেদ +সুজন নাকি চলে যাবে ।(রাহুল)

নিদ্র অবাক হয়ে বললো ।

:+চলে যাবে মানে । ওরা আসছে তো এখনো ঠিক মতো দু’মাসও হয়নি ।(নিদ্র)

:+কি যানি । ওরা বলছে ওদের আব্বুরা নাকি অনেক বকা বকি করছে ।(রাহুল)

:+ওহ । তা কবে যাবে ওরা এই বেপারে কিছু বলছে ।(নিদ্র)

:+বলছে আরো দুই/তিন দিন থাকবে ,তারপর চলে যাবে ।(রাহুল)

:+আচ্ছা চল চা খেয়ে আসি । ওরা আসুক তারপর এবেপারে কথা হবে । আর নূরানি রেস্টুরেন্টের বিলটাও বাকি পরে আছে ওটাও দিয়ে আসি চল ।(নিদ্র)

:+ঠিক আছে চল ।(রাহুল)

এই বলে ক্লাব থেকে বেরিয়ে আসলো নিদ্র আর রাহুল ।

নিচতলা থেকে নিজের রুমে এসে এসি টাকে বারিয়ে দিয়েছে তৃপ্তি । রাগে পুরো গা জ্বলে যাচ্ছে তার । বেডের উপর গোল হয়ে বসে গালে হাত দিয়ে নিদ্রকে বকে যাচ্ছে তৃপ্তি ।

:+কতো বড় সাহস আমার পা ভেঙ্গে ফেলবে । শয়তান ছেরা বড় আম্মুকে আমি যদি আজ না বলছি । তাহলে আমার নামও তৃপ্তি না । দেখে নেবো আমি তোকে ।(তৃপ্তি)

এমন আরো অনেক রকমের বকা বকি করছে তৃপ্তি নিদ্রকে । নীলা নিজের ফ্ল্যাটে গিয়ে পাঁচ মিনিটও না থেকে আবার আসলো তৃপ্তির রুমে ।

:+আসতে পারি ।(নীলা)

তৃপ্তি নীলার দিকে একবার তাকিয়ে আবার মুখ ঘুটিয়ে নিলো । নীলা তৃপ্তির রুমের ভিতরে প্রবেশ করতে করতে বললো ।

:+বাহ বাহ,,,,, আমার উপর রেগে আছে নাকি সুইটি ।(নীলা)

এই বলে তৃপ্তির পাসে এসে বসলো নীলা । তৃপ্তি গাল ফুলিয়ে ওন্য দিকে তাকিয়ে বললো ।

:+যাও তোমার সাথে কথা বলবো না । তোমার জন্য আমি এখন বকা খেলাম ভাইয়ার কাছে । রিমোট’টা দিয়ে দিলে কি হতো ।(তৃপ্তি)

নীলা তৃপ্তির গলা জরিয়ে ধরে বলে উঠলো ।

:+সরিইইই,,,,,সুইটিইইই ।(নীলা)

:+এই ছারো ছারো ।(তৃপ্তি)

:+কি হয়েছে ।(নীলা)

:+আরে ঘামে পুরো ভিজে গেছি দেখতে পারছো না ।(তৃপ্তি)

নীলা তৃপ্তিকে ছেরে ঠিক হয়ে বসলো । এরপর তৃপ্তির দিকে ভালো করে তাকিয়ে বললো ।

:+তাই তো । এমন অবস্থা কেন তোর ।(নীলা)

:+তোমার সাথে রিমোট নিয়ে কারা কারি করতে গিয়েই তো এমন হলো । দারাও আমি এগুগো চেঞ্জ করে আসি ।(তৃপ্তি)

:+আচ্ছা চেঞ্জ করে আয় । আমরা ছাদে যাবো ।(নীলা)

:+এখন ।(তৃপ্তি)

:+হুম এখন । এখন রোদ কমে গেছে । ৪টা বাজে ।(নীলা)

:+ঠিক আছে । তুমি বসো আমি আসছি ।(তৃপ্তি)

এই বলে বেড থেকে নেমে কাবাড থেকে একটা হলুদ ড্রেস বের করলো তৃপ্তি । এরপর সোজা ওয়াসরুমে চলে গেল সে । নীলা বসে বসে ফোন চলাতে লাগলো । কিছুখন পর হলুদ ড্রেস’টা পরে ওয়াসরুম থেকে বেরিয়ে আসলো তৃপ্তি । নীলা তৃপ্তির দিকে হা করে তাকিয়ে আছে । পুরো হলুদ পরি লাকছে তৃপ্তিকে । বেড থেকে নেমে দারালো নীলা । তৃপ্তি এসে ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ার থেকে ছাদের চাবি বের করে হাতে নিলো ।

:+চলো যাই ।(তৃপ্তি)

:+আগে এদিকে আয় ।(নীলা)

এই বলে তৃপ্তির এক হাত ধরে টান দিয়ে নিজের কাছে নিয়ে আসলো নীলা । এরপর তৃপ্তির কাঠে এক হাত রেখে ফোন’টা একটু উচু করে একটা সেলফি তুলে নিলো সে ।

:+এবার চল ।(নীলা)

:+এটা কি হলো ।(তৃপ্তি)

নীলা তৃপ্তির দিকে ঘুরে তৃপ্তির দু’গাল দু’হাত দিয়ে টানতে টানতে বললো ।

:+একটা পিক তুল্লাম সুইটি । দেখতে তো একে বারে রসগোল্লার মতো লাকছে । তাই পিক তোলার লোভটা আর সামলাতে পারিনি । নিদ্র যে কি করে নিজেকে সামলে রেখেছে । এটা এক মাত্র আল্লাই ভালো যানে ।(নীলা)

:+কি বললে তুমি ।(তৃপ্তি)

নীলা একটু ভেবাচেকা খেয়ে যায় । তৃপ্তির গাল থেকে হাত নামিয়ে বলে উঠলো ।

:+না না না,,,,,, কিছু না । আমি আসলে,,,,,,,,আচ্ছা চল ছাদে যাই ।(নীলা)

:+আচ্ছা চলো ।(তৃপ্তি)

এরপর দু’জনে টুকটাক কথা বলতে বলতে লিফটের কাছে এসে দারালো । এরপর লিফটে করে পাঁচ তলায় আসলো তারা । তৃপ্তি এখন আর ভয় পায় না লিফটের ভিতরে । পাঁচ তলায় এসে নীলা আগে নিজের রুমে গিয়ে ফোন চার্জে লাগালো এরপর তৃপ্তিকে নিয়ে ছাদের সিরির দিকে হাটা ধরলো । অতপর ছাদের দরজার কাছে আসলো তারা । তৃপ্তি হাতের চাবি দিয়ে ছাদের দরজার তালা খুলে দিলো । দরজা খুলতেই দমকা একটা বাতাস এসে লাগলো তাদের গায়ে । সংগে সংগে চোখ বুঝে নিলো তৃপ্তি । নীলার আর তর সইছে না । সে তৃপ্তির হাত ধরে টান দিয়ে ছাদে নিয়ে আসলো । এরপর ছাদের দরজা লাগিয়ে দিলো নীলা । দরজা লাগিয়ে পিছনে ঘুরে তাকাতেই চোখে মুখে খুশির ঝলক মেরে উঠে নীলার । গোলাপ, গাধা, বেলি,,,,,এরমক আরো অনেক রকমের ফুল গাছ দিয়ে সাজানো এই ছাদ । ছাদের এক কোনায় দোলনা দেখে আরো অনেক হেপি হয়ে যায় নীলা । দোলনা’টা বেলি ফুলের লতা দিয়ে পেঁচানো । থোকায় থোকায় বেলি ফুল ধরে আছে তাতে । লোভ সামলাতে না পেরে দোলনার উপরে গিয়ে বসে পরে নীলা । তৃপ্তি চোখ বুঝে সুধু ফুল গুলোর সুবাস নিচ্ছে । এভাবে কিছু সময় যাওয়ার পর হঠাৎ তৃপ্তির কানে নীলার কন্ঠে গান ভেসে এলো । সে চোখে খুলে নীলাকে খুজতে লাগলো । দেখলো নীলা দোলনার উপর বসে গান গাইছে আর দোল খাচ্ছে । তৃপ্তি মুখে হাসি এনে নীলার কাছে গেল ।

:+কেমন ফিল হচ্ছে আপু ।(তৃপ্তি)

নীলা গান অফ করে তৃপ্তির দিকে তাকালো । তৃপ্তি তাকিয়ে আছে নীলার দিকে । নীলা দোলনা থেকে নেমে এসে তৃপ্তির গালের সাথে নিজের গাল লাগিয়ে তৃপ্তিকে জরিয়ে ধরে বললো ।

:+যাস্ট ওসাম । যা আমি মুখে বলে বুঝাতে পারবো না । থ্যাস ইউ,,,,,,থ্যাস ইউ,,,,,,থ্যাস ইউ সুইটি ।(নীলা)

তৃপ্তির গালে চুমু খেয়ে বলে নীলা । তৃপ্তি বলে উঠে ।

:+এটা কি হলো আপু ।(তৃপ্তি)

:+কি হলো ।(নীলা)

অবাক হয়ে তৃপ্তিকে ছেরে দারিয়ে বলে নীলা । তৃপ্তি নীলাকে বললো ।

:+তুমি পাপ্পি দিলে কেন ।(তৃপ্তি)

:+এমনি দিলাম । আমার ভালো লাগলো তাই ।(নীলা)

:+এটা কোন কথা । তোমার ভালো লাগছে তাই তুমি আমাকে পাপ্পি দিবা ।(তৃপ্তি)

:+হুম দিবো । প্রয়োজন হলে আরো দিবো । জানিস আজ এক/দের মাস প্রজন্ত তোর নিদ্র ভাইয়ার পিছনে আমি এই ছাদে উঠার জন্য ঘুরছি । কিন্তু তোর খাচ্চর ভাইয়া আমাকে পাত্তাই দিলো না । ছাদে কি করনে আমাদের উঠতে দেয়না এবার আমি বুঝতে পারছি । এই ফুল গাছ গুলোর জন্য তাই তো । তাহলে এই ফুল গাছ গুলোকে এবার আমি ভাইরাল করে দেবো । সাথে এমন এক ফুলকে ভাইরাল করবো যে লোকে দেখে লাইক করতে দ্বিতীয় বার আর ভাবে না ।(নীলা)

এক দোমে কথা গুলো বলে নীলা । তৃপ্তি কিছু না বুঝতে পেরে নীলাকে বললো ।

:+মানে,,,,, কি বলছো তুমি ।(তৃপ্তি)

:+ও তুই বুঝবি না ।(নীলা)

:+আপু প্লিজ ছাদের কোন ফুল গাছ বা ফুল তুমি ছিরো না । তাহলে নিদ্র ভাইয়া আর আমাদের ছাদে আসতে দিবে না ।(তৃপ্তি)

:+আরে না,,,,,আমি ফুল ছিরবো কেন ।(নীলা)

:+তাহলে যে তুমি,,,, কি সব বললে ।(তৃপ্তি)

:+ও গুলো তুই বুঝবি না । এখন চল ।(নীলা)

তৃপ্তি অবাক হয়ে বললো ।

:+কোথায় যাবো এখন আবার ।(তৃপ্তি)

:+চুপচাপ আমার সাথে চল ।(নীলা)

এই বলে তৃপ্তির হাত ধরে ছাদ থেকে নামিয়ে নিজের রুমে তৃপ্তিকে নিয়ে আসলো নীলা ।

#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,

(।কপি করা নিষেধ।)

[।বি.দ্র: ভুল ত্রুটি ক্ষমার দিষ্টিতে দেখবেন ধন্যবাদ।]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here