#হিংস্র_ভালোবাসা
#Season_2
#Writter_Farhana_Chobi
#পর্ব-৪
.
.
.
🍁
— দোস্ত এখন তো বল কাহিনি কি …???(ইভা )
— ফারহা রেগে পা থেকে জুতো খুলে ইভার দিকে ছুড়ে মেরে বলে…” সালি তোর এতো ইচ্ছা কাহিনি জানার তা যা না তোর ওই ক্রাশের কাছে গিয়ে শোন কাহিনি”
— ইভা প্রথমে ভরকে গেলে ও পরে তেতে ওঠে ” হারামি পেতনি কি হয়ছে তা আমি তোর কাছে শুনমু ওই বাল ছালের কাছে শুনতে যামু ক্যান কো ” (ফারহা কে মেনেজ করার জন্য ইভার আগুনের সম্পর্কে বাজে কথা বললো)
— ইভা আমি বলছি আসলো কাহিনি ..(তিন্নি)
— হ্যা হ্যা বল শুনছি..(ইভা)
— অনার্স ফাস্ট ইয়ারে তখন আমরা সবাই মিলে ডিসাইড করলাম কোথাও ঘুরতে যাবো তো ক্লাস শেষ করে আমরা বেরিয়ে পরলাম ……..
— ঘুরতে যাবি বলে তো বেরিয়ে পড়লাম তা যাবি টা কোথায় ঠিক করেছিস..??(আফিফ)
— এই একটা কাজ করলে হয় না সামনে তো বানিজ্য মেলা হচ্ছে সেখানে চল …(ফারহা)
— ওয়াও দারুন হবে চল ..(তিন্নি)
ফারহা তিন্নি আফিফ রাব্বি হাসান একসাথে মেলায় ঘুরতে লাগলো ৷ হঠাৎ করেই ফারহা খেয়াল করে তিন্নি হা করে কি যেনো দেখছে ফারহা তিন্নি কে ধাক্কা দিয়ে জ্বিগাসা করে..
— এই তেলাপোকা এভাবে তাকিয়ে কি দেখছিস হা তোর চোখ তো এবার কপালে উঠে যাবে….(ফারহা)
— দোস্ত আমিও যা দেখছি তুই ও কি তাই দেখছিস..??(তিন্নি)
— না রে তেলাপোকা তুই যা দেখছিস আমি তা দেখতে পারছি না দয়া করে বলবি তুই কি দেখছিস..???(ফারহা বিরক্তি নিয়ে জানতে চাইলো )
তিন্নি হাত দিয়ে ইশারা করে ফারহা কে দেখার জন্য ৷ ফারহা সামনে তাকিয়ে দেখে দুরে একটা হ্যান্ডসাম ইয়াং বয় একাই চার পাঁচ জন ছেলে কে বেধরম পেটাচ্ছে ৷ ছেলে গুলো প্রায় আধমরা হয়ে গেছে ৷
— তেলাপোকা একটা ছেলে এভাবে এতোগুলো ছেলে কে পিটাচ্ছে আর তুই হা করে গিলছিস চল ছেলেটাকে থামাতে হবে নয় ওদের মেরেই ফেলবে….(ফারহা)
— পাগল নাকি তুই জানিস এই ছেলে গুলো কতো খারাপ কিছুক্ষন আগে দুইটা মেয়ে কে টিস করছিলো ৷
— ওহ তাহলে তো ঠিকি আছে …
— দোস্ত ছেলেটা না সেই হ্যান্ডসাম ব্লু শার্ট ওয়াইট প্যান্ট ফোল্ট করা হাতা হাতে ওয়াইট করা মাচিং ওয়াচ চুল গুলো জেল দিয়ে সেট করা খোচা খোচা দারি যাষ্ট ওয়াও দোস্ত প্লিজ কিছু একটা কর না…(তিন্নি)
— দেখ তিন্নি তুই ভালো করেই জানিস আমি এই সব পছন্দ করি না তারপর ও কেনো আমাকে বলছিস হু….(ফারহা)
— ধুর বল তোর সাহস নেই ৷ আচ্ছা শোন আমার জন্য তোকে কিছু করতে হবে না কিন্তু তুই যদি ছেলে টাকে তোর প্রেমে ফেলতে পারিস কম করে সাত দিন প্রেম করতে পারিস তাহলে তোকে আমি জিন্দিগীতে কখনো প্রেম ভালোবাসা নিয়ে কিছু বলবো না গড প্রমিস…(তিন্নি)
— স্যাট আপ তিন্নি তোর এই ফালতু চেলেন্জ আমি কখনো মানবো না কারন কারো লাইফ নিয়ে খেলার অধিকার আমার নেই ৷(ফারহা)
— ছিঃ ছিঃ ফারু তুই আমাদের গ্যাংয়ের হেড হয়ে তুই সামান্য চ্যালেন্জ নিতে ভয় পাচ্ছিস..৷ কলেজের কেউ যদি এই কথা জানতে পারে তাহলে তো কাউ কে মুখ দেখাতে পারবো না …(আফিফ)
— রাইট দোস্ত , ফারু তুই যদি চ্যালেন্জ টা না নিস তাহলে আমরা ধরে নিবো তুই আমাদের গ্যাংয়ের হেড হওয়ার যোগ্য না …(হাসান)
— কিহ এতো বড় কথা ওকে চ্যালেন্জ এক্সেপ্টেট …
ফারহা রেগে ছেলেটির দিকে এগিয়ে যায়….
— আল্লাহ বলেতো দিলাম পারবো কিন্তু এখন কি করি ৷ ছেলেটি তো দেখছি ফোনে কথা বলছে এখন কি যাবো ……( ফারহা দাত দিয়ে নখ কাটতে কাটতে ছেলেটির দিকে তাকিয়ে আছে )
— নাহ ড্যাড আজ মিটিং টা এটেন্ড করতে পারবো না তুমি মিটিং টা সামলে নেও …..(আগুন)
— …………….
— থ্যাংকস ড্যাড….
ফারহা ভাবছে ফোনে কথা বলা হয়তো শেষ এখন যদি টোপ টা ফেলা যায়….
— এক্সকিউজ মি …(ফারহা)
–ড্যাডের সাথে কথা বলছিলাম তখনি মনে হলো কোন মিষ্টি শুরেলা কন্ঠ… পিছুনে তাকিয়ে দেখি একটা পরি উহু ভুল বললাম জান্নাতের হুর , দুধে আলতা গায়ের রং টানা টানা চোখ গোলাপি ঠোট, লম্বা স্লিকি চুল , মুখে নেই কোন আধুনিকতার ছোয়া অসম্ভব সুন্দর লাগছে …হা করে আগুন ফারহা কে দেখছে….
— এই যে হ্যালো এরকম হ্যাবলার মতো তাকিয়ে আছেন কেনো ..?? মেয়ে মানুষ কি কখনো দেখেন নি নাকি..?? অসভ্য লোক শালি তেলাপোকাটার জন্য এই হ্যাবলার সাথে সেধে কথা বলতে হচ্ছে ৷ আর না জানি কি কি করতে হয় চ্যালেন্জ এক্সেপ্টে করার জন্য…(বির বির করে)
ফারহা এবার রেগে এক প্রকার চিৎকার করে বলে…
— এই যে কানা হাতি এভাবে তাকিয়ে কি দেখছেন হা…(ফারহা)
— হঠাৎ ফারহার চিৎকার করায় আগুনে ধ্যান ভাঙ্গে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায় আগুন কিন্তু ফারহা কথা গুলো শুনে রেগে যায়….
— What … কি কি বললে কানা হাতি হাউ ডেয়ার ইউ , ইউ নো হু আম আই…(রেগে বললো আগুন)
— এমা আপনি নিজেই জানেন না আপনি কে হাউ ট্রেন্জ তা মিস্টার আপনি আপনার নাম টাও কি ভুলে গেছেন…?? নাকি আপনাকে মেন্টাল হসপিটালে ভর্তি করে দিয়ে আসতে হবে..(হাসতে হাসতে বললো ফারহা)
— এই মেয়ে ওহেতুক ফালতু কথা না বলে কেনো এসেছো তাই বলো..??(রেগে)
— ফাস্টলি এই মেয়ে বলা বন্ধ করুন আমার একটা সুন্দর নাম আছে ফারহা রহমান ৷ শুনুন আপনাকে একটা কথা বলতে এসেছি ৷ কথাটা বলে আমি চলে যাবো ৷তার আগে আপনার নাম টা বলুন মিস্টার কানা হাতি……(ফারহা)
আগুন দাতেঁ দাঁত চেপে বললো..” আগুন খান ৷খান গ্রপ এন্ড কম্পানির একমাত্র মালিক ৷
ফারহা হা করে শুধু শুনে গেলো…
— ওহ মাই রাস্তা এর সাথে কি নাটক টা করা ঠিক হবে ..??
— আমার পরিচয় তো দিলাম এখন তুমি বলো ….
— আ,,আমি বলবো..? ওহ হ্যা আমি তো বলবো শুনুন আমি আপনাকে পছন্দ করি এটাই বলতে এসেছিলাম….
কথাটা বলেই গট গট করে হেটে চলে গেলো ফারহা এদিকে আগুন ফারহার চলে যাওয়া দেখছে তখনি গাড়ি থেকে আগুনে পি এ নেহা বের হয়ে আগুনের পাশে দারায়….
— স্যার মেয়ে টা আপনাকে কি সব বলে গেলো আর আপনি তা চুপ চাপ শুনে গেলেন কিছু বললেন না…(নেহা)
আগুন বাকা হেসে নেহা কে বলে ” মিস নেহা মেয়েটার পুরো ইনফরমেশন চাই আমার ”
— পেয়ে যাবেন স্যার….(নেহা)
— হুম এখন চলুন অফিসে যেতে হবে….
.
.
.
.
.
— এই কেউ আমার হাতে একটা চিমটি কাট ৷ আমার তো বিশ্বাস হচ্ছে না ফারু কাজ টা করেছে …(তিন্নি)
— তিন্নি এক্টিং কম কর ফারু এখনো ওর চ্যালেন্জ কম্পিলিট করে নি ……(আফিফ)
— চুপ করবি তোরা , শোন চ্যালেন্জ যখন এক্সসেপ্ট করেছি তখন আমি কাজ টা করে দেখাবো ৷ এখন বাড়ি ফিরতে হবে চল৷
ফারহা তিন্নি আফিফ রাব্বি হাসান মেলা থেকে বেরিয়ে যে যার বাড়িতে চলে গেলো …….
*পরের দিন …..
— হ্যালো মিস …(আগুন)
— কলেজে ঢুকবো এমন সময় পিছুন থেকে কারো গলা পেয়ে পিছুনে তাকাতে শক্টড আমি. লোক টা এখানে কি করছে….(মনে মনে)
— তো মিস ফারহা কাল তো আমাকে প্রপোজ করলেন কিন্তু নাম্বার টা তো দিলেন না সেটা তো দিন …(টেডি স্মাইল দিয়ে)
— আ,,আপনি এখানে কি করে…ফারহা কে থামিয়ে দিয়ে…
— মিস ফারহা আপনি ভূলে যাচ্ছেন আমি আগুন খান ….
ফারহা আশে পাশে তাকিয়ে ওর বন্ধুদের খুজতে থাকে তখনি দুরে দেখতে পায় তিন্নি আফিফ রাব্বি হাসান ওদের দিকে তাকিয়ে আছে ৷ ফারহা ওদের দেখিয়ে দেখিয়ে কথা বলতে থাকে আগুনের সাথে…….
— নো মিস্টার খান আমি কিছুই ভুলে যাই নি ৷ তো আপনি এখানে কি মনে করে ..??(ফারহা)
— গার্লফ্রেন্ডের সাথে মিট করতে এসেছি…(আগুন)
আগুনের মুখে গার্লফ্রেন্ডের কথা শুনে ফারহার মুখ থেকে হাসি উধাও হয়ে যায় কারন ফারহা আগুন কে পছন্দ করে এমনটা নয় কারন টা হচ্ছে গার্লফ্রেন্ড থাকলে আগুন তো ফারহার সাথে প্রেম করতে রাজি হবে না ৷ আর আগুন রাজি না হলে ফারহা চ্যালেন্জ টা হেরে যাবে এটা ভেবেই ফারহার মুড অফ হয়ে গেলো….
— ওহ আচ্ছা তাহলে আপনার গার্লফ্রেন্ড এই কলেজে পরে বেশ তো ৷ আচ্ছা এখন তাহলে আসি আপনি আপনার গার্লফ্রেন্ডের দেখা করে নিন…(ফারহা)
— হ্যা তাই তো করছি…(রহস্যময় হাসি দিয়ে)
— তাই তো করছেন মানে ..?? এখানে তো আপনার গার্লফ্রেন্ড নেই (অবাক হয়ে বলে ফারহা)
— কেনো তুমি ..! তুমি তো আমার গার্লফ্রেন্ড ….
আগুনের মুখে কথা শুনে ফারহা বড় শড় একটা টাস্কি খায় ৷ ভাবতেই প্রাউড ফিল করছে ফারহা কারন ও চ্যালেন্জ টা প্রায় জিতে গেছে শুধু মাত্র এই ছয়টা দিন ওকে যে ভাবে হোক আগুন কে পটিয়ে সাথে রাখতে হবে..৷
— ওহ এতোবড় বিজনেসম্যান আমার মতো সামান্য এক মিডিলক্লাস মেয়ের সাথে রিলেশনে জরাবে এটা একটু বেশি বেশি হয়ে যাচ্ছে না…(বাজিয়ে দেখি সালা কে )
— তুমি সবার কাছে সামান্য হলে ও আমার কাছে তুমি অসাধারন ৷ আচ্ছা এখানে দারিয়ে কি সব কথা বলবে কোথায় একটা বসে কথা বললে হতো না৷ সামনে তো একটা রেস্টুরেন্ট আছে সেখানে যাওয়া যাক….(আগুন)
ফারহা কে নিয়ে আগুন গাড়িতে ওঠে চলে গেলো আর এদিকে তিন্নি রা হা করে ওদের যাওয়া দেখছে….
— হে রে ফারহা তাহলে চ্যালেন্জ টা জিতে গেলো …(আফিফ)
— হুম আমার ও তাই মনে হচ্ছে …(রাব্বি)
— দেখা যাক বাকি ছয়দিন কি হয় ৷ তার উপর নির্ভর করে ফারহার হার জিত…
— রাইট , চল ক্লাসে যাই ..
— হুম চল….
.
.
.
.
.
#To_be_Continued………….. 🍁🍁🍁
(বিঃদ্রঃ ভূলট্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ভালো না লাগলে ইগনোর করুন আর একটা কথা আগামি কয়েক দিন কোন স্টোরি দিবো না যদি সময় পাই তাহলে সেটা আলাদা বেপার🙄)
.
