হিংস্র_ভালোবাসা #Season_2 #Writter_Farhana_Chobi #পর্ব-৩ .

0
655

#হিংস্র_ভালোবাসা
#Season_2
#Writter_Farhana_Chobi
#পর্ব-৩
.
.
.
🍁
— স্টপ দিস ননসেন্স ৷ তোরা যদি ক্লাস করতে চাস তাহলে আয় নয়তো আমি গেলাম ( আফিফ…..)

আফিফের ধমকে ইভা ফারহা চুপ করে ক্লাসে চলে যায়…

— আবে ইয়ার স্যার এতো লেট করছে কেনো আমার তো আর সহ্য হচ্ছে না ওনাকে দেখার জন্য…(তিন্নি)

— আব্বে তুই একটু চুপ থাকবি নাকি উষ্টা মাইরা ক্লাসের বাইরে ফালায় দিমু…(ফারহা)

ফারহার কথা শেষ হতে না হতে ক্লাসের বাকি স্টুডেন্টরা দারিয়ে সালাম দিতে লাগলো ফারহা বাকিদের দিকে তাকিয়ে বুজতে পারলো নিউ স্যার ক্লাসে এসেছে ৷ ফারহা ও দারিয়ে সামনে তাকাতে নিউ স্যার কে দেখে শক্টড কারন নিউ স্যার আর কেউ না ফারহার এক্স বয়ফ্রেন্ড আগুন খান ৷ আগুন ক্লাসে ঢুকে ফারহার মুখ দেখে আগুন এক পৌশাচিক হাসি দিলো তা দেখে ফারহার অজ্ঞান হওয়ার উপক্রম কোন মতে নিজের সিটে বসে দাত দিয়ে নখ কাটতে শুরু করলো আসলে ফারহা যখন কোন বিষয় নিয়ে টেনশন করে তখন দাতঁ দিয়ে নখ কাটতে থাকে……

— এই ফারু তোর কি হলো এভাবে দাঁত দিয়ে নখ কাটছিস কেনো…??(ইভা)

— দোস্ত সব জানতে পারবি এখন আল্লাহ ওস্তে চুপ কর …(ফারহা)

ইভা হা করে ফারহার কান্ড দেখতে ..

— আফিফ ফারহা কি পাগল টাগল হলো নাকি নিউ স্যার কে দেখে এমন করছে কেনো..??(অবাক হয়ে ইভা আফিফের কাছে জানতে চাইলো )

— শোন তুই কিছুদিন হলো আমাদের গ্যাং টায় আসছিস অনেক কিছুই জানিস না তবে চিন্তা নাই কলেজ শেষ হলে সব টা জানতে পারবি…(আফিফ)

— হেই ইউ স্টান্ড আপ (ফারহার পুরো গ্যাং টাকে উদ্দ্যশ্যে করে বলে উঠল আগুন)

আগুনের কথা শুনে ইতি মধ্যে ফারহার হাত পা কাপা কাপি শুরু হয়ে গেছে …

— সালা নেন্টি ইদুর , কালা হনুমান , মুচির জুতা, ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চা , হাতির লেজ ,, দেশে আর কোন কলেজ ছিলো না যে এই কলেজে জয়েন্ট করতে হলো ..?? আল্লাহ এই চিপকুর থেকে এবার কি করে বাচবো পথ দেখাও আল্লাহ কথা দিচ্ছি আর কখনো বাজি ধরবো না ……(মনে মনে)

মনে মনে একরাশ বকা দিতে দিতে ফারহা সহ বাকি রা উঠে দারালো…..

— ক্লাসে ডিসট্রাব করছেন কেনো আপনারা ..?? আর ইউ ( ফারহা কে উদ্দেশ্য করে) এটা ক্লাস রুম আর আপনি কোন বাচ্চা না যে ক্লাস রুমে বসে বসে দাঁত দিয়ে নখ কাটবেন…( বেবি এবার কোথায় পালাবে . তোমাকে নিজের করে নিতেই এই কলেজে প্রফেসর হয়ে আসা বেবি ৷ এবার আমাকে নিয়ে খেলার শাস্তি পাবে তুমি তোমাকে নিজের করে নিবো আমি এ্যাট এনি কষ্ট )

ফারহা কে এভাবে ঝাড়ি দেওয়াতে ক্লাসের বাকি সবাই হেসে ফেলে তা দেখে ফারহার যেনো লজ্জায় মাথা কাটা যাওয়ার মতো অবস্তা ৷ তা দেখে আগুন স্বজোড় ডাস্টার টেবিলের উপর বারি মারতেই ক্লাসের সবাই চুপ হয়ে যায় ….

— কি হচ্ছে টা কি এখানে এটা কি বাজার নাকি ক্লাস রুম হ্যা ..?? আজ ফার্স্ট দিন তাই কিছু বললাম না নেক্টস দিন থেকে যেনো কোন প্রকার শব্দ না হয় ক্লাসে ওকে ….

— ওকে স্যার (সবাই এক সাথে)

— আপনারা বসুন আর কখনো আমার ক্লাসে কথা বলবেন না ৷ আর বাচ্চাদের মতো দাতঁ দিয়ে নখ কাটবেন না ইজ দ্যাট ক্লিয়ার…???(আগুন)

আগুনের কথা মতো সবাই মাথা নেরে হা বললে ও ফারহা চুপ করে বসে ছিলো কোন প্রকার টু শব্দ পর্যন্ত করে নি ৷ আগুন ফারহার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে সবার সাথে পরিচিত হতে লাগলো…..

— আচ্ছা এখন সবার সাথে পরিচিত হওয়া যাক : মাইসেল্ফ আগুন খান আমি একজন বিজনেস ম্যান …

— স্যার আপনি বিজনেসম্যান তাহলে কলেজে কেনো টিচার হয়ে আসলেন..??(স্টুডেন্ট)

— জানি না কেনো আমাকে জ্বালাতে নিশ্চয় না হলে এতো বড় বিজনেসম্যান কেনো এই কলেজে পড়াতে আসবে( মনে মনে ফারহা বলতে লাগলো)

— গুড ক্রশ্চেন আসলে বিজনেসম্যান হওয়া টা আমার ড্যাড মানে আরিয়ান খানের ইচ্ছে ছিলো তাই ড্যাডের ইচ্ছে পূরন করলাম কিন্তু এখন আমার ইচ্ছে গুলো পূরন করা ইচ্ছে হলো আর তার সাথে একটা পার্সোনাল রিজন …..

— স্যার আপনি এতো হ্যান্ডস্যাম ড্যাসিং কুল দেখতে আপনার কোন গার্লফ্রেন্ড নেই..??

সামনের ব্যান্চের নেকা মেয়ে আইরিন কায়দা করে জানতে চাচ্ছে আগুনের গার্লফ্রেন্ড আছে কিনা..?আইরিনের প্রশ্নের প্রতি উওরে আগুন মুচকে হেসে বলে উঠলো ” থাকবে না কেনো আছে আর সে এই কলেজে এই ডিপার্টমেন্টে পরে……”

আগুনের কথা শুনে স্টুডেন্টদের মধ্যে এক প্রকার হই চই লেগে গেলো কারন তারা জানতে চায় তাদের মধ্যে স্যারের গার্লফ্রেন্ড কে.৷ এদিকে ফারহার বুজতে বাকি নেই যে আগুন তার কথাই বলছে রাগে কটমট করে তাকিয়ে রইল আগুনের দিকে এদিকে আগুন ফারহা দিকে না তাকিয়ে অন্য স্টুডেন্টের সাথে পরিচিত হতে লাগলো……..

কিছুক্ষণ পর ঘন্টা পরতে আগুন ফারহা চোখ মেরে বেরিয়ে যেতে ইভা ফারহা কে চেপে ধরে কাহিনি জানার জন্য ফারহা ইভার হাত ছাড়িয়ে ব্যাগ নিয়ে ক্লাসরুম থেকে বেরিয়ে যায় সাথে সাথে তিন্নি আফিফ হাসান রাব্বি ও বেরিয়ে যায়………
.
.
.
.
.
.
.
— বস কেমন আছেন এখন..??(আসলাম)

— গুড ,আসলাম আমি আজ বাড়ি যেতে চাই ব্যাবস্তা কর…(মেঘ)

— বস আপনি তো এখনো অসুস্থ ৷ পুরোপুরি সুস্থ হননি তাহলে..??(আসলাম)

— মাঝে মাঝে আমার ইচ্ছে করে তোর ওই মোটা মাথাটা ফাটিয়ে দেখতে যে কি আছে তোর ওই মাথায়….(রেগে বললো মেঘ)

মেঘের কথা গুলো আসলামের বোধগম্য হলো না আগের বারের মতো মাথা চুলকাতে চুলকাতে কেবিন থেকে বেরিয়ে ডক্টরের কাছে গেলো…..মেঘ ফোনে কল আসতে কানে ব্লটুথ লাগিয়ে বলতে লাগলো….

— হ্যালো ওখান কার কি খবর ..??(মেঘ)

— বস এখান কার অবস্তা খুব একটা ভালো না আপনাকে আজ বা কালের মধ্যে ইউ এস আসতে হবে নয় তো ডিল টা হাত ছাড়া হয়ে যাবে …….(ফোনের অপাশ থেকে বললো)

— মেঘ কিছুক্ষন ভেবে বললো ” ওকে আমি কাল আসছি ”

— ওকে বস , বস আর একটা কথা ফাহাদ চৌধুরীর খবর পাওয়া গেছে তিনি বর্তমানে ইউএসয়ে একটা হোটেলে আছে….

— বাহ দাবার গুটি গুলো কে খুজতে না খুজতে নিজে এসে হাজির ,খেলা জমে যাবে তাহলে………মেঘ নিজের মনে মনে কথা গুলো বলে হাসতে লাগলো……

— হ্যালো হ্যালো বস ক্যান ইউ ইয়ার মি…

— ইয়েস টেল মি ..

— বস এখন কি করবো ফাহাদ চৌধুরী কে কি শুট করবো….

— নাহ ফাহাদ চৌধুরী কে নজরে রাখ কি করছে কোথায় যাচ্ছে ইভেন কল ট্রাপ কর৷

— ওকে বস…

মেঘ কল ডিসকানেক্ট করে বেডে হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করে শুয়ে পরে …….

— বস …(আসলাম)

মেঘ চোখ মেলে দেখে আসলাম দারিয়ে আছে. মেঘ বিরক্তি নিয়ে আসলাম কে ইশারা করে জানতে চায় হয়েছে…??

— বস ডক্টর পার্মিশন দিয়ে দিয়েছে ৷(মুখ গুমরা করে)

— গুড তা এটা বলতে যেয়ে মুখের এই অবস্তা করে রেখেছিস কেনো.?? (মেঘ)

— কিছু না বস , একটা নিউজ আছে..(আসলাম)

— বলে ফেল ..( চোখ বন্ধ করে)

— বস ফারহা ম্যামের বাবা আশিকুর রহমানের বিষয় কিছু কথা ছিলো..!!( আসলাম)

ফারহার নাম শুনে মেঘ চোখ মেলে তাকায়…

— কি নিউজ তা ঝটপট বলে ফেল…(মেঘ)

— বস লোক টা মটে ও সুবিদার না ৷ আমার লোক বললো লোক টা মাঝ রাতে চোরের মতো কালো কাপড় পরে কোথায় যেনো বেরিয়ে গেলো….(আসলাম)

— লোক গুলো ওদের পিছু নেই নি কেনো ইডিয়ট …(রেগে বললো মেঘ)

— বস আমার লোকেরা পিছু নিয়েছিলো কিন্তু হঠাৎ অন্ধকারে কোথায় যে মিলিয়ে গেলো তা কেউ দেখতে পায়নি …(মাথা নিচু করে বললো আসলাম)

আসলামের কথা শুনে মেঘ দাতেঁ দাতঁ চেপে বলে উঠল…” আমার মনে হচ্ছে তুই আর এই পজিসনে থাকার যোগ্য না তোর পজিসন টা অন্য কাউ কে দিতে হবে…”

— সরি বস আর হবে না ৷ এই বারের মতো ক্ষমা করে দিন…(আসলাম)

মেঘ আসলাম কে ভাইয়ের মতো খুব স্নেহ করে কিন্তু মাঝে মাঝে আসলামের এমন বোকা বোকা কান্ড দেখে মেঘ ক্ষেপে যায় তখন উলটা পালাটা কথা বলে আসলাম কে আর আসলাম মাথা নিচু করে সব কথা শোনে……

— আমার প্রেয়সীর খবর কি আসলাম…???(মেঘ)

— বস ম্যাম এখন কলেজে আছে কাল রাতে বাড়ি যায়নি ওনার বেস্টু তিন্নির বাড়িতে থেকে গেছে….(আসলাম)

— ওহ , শোন কলেজে কিছু লোক এপোয়েন্ট কর যারা প্রত্যেক টা সেকেন্ডে আমার প্রেয়সী কে চোখে চোখে রাখবে ….(মেঘ)

— ইয়েস বস ,, তাই হবে …(আসলাম)

— হুম আর একটা কথা কাল ইউএস যাবো তার ব্যাবস্তা কর ….(মেঘ)

— ওকে বস ….

আসলাম কেবিন থেকে চলে যেতে মেঘ চোখ বন্ধ করে প্লান করা শুরু করলো……
,
,
,
,
,
— দোস্ত এখন তো বল কাহিনি কি …???(ইভা )

— ফারহা রেগে পা থেকে জুতো খুলে ইভার দিকে ছুড়ে মেরে বলে…” সালি তোর এতো ইচ্ছা কাহিনি জানার তা যা না তোর ওই ক্রাশের কাছে গিয়ে শোন কাহিনি”

— ইভা প্রথমে ভরকে গেলে ও পরে তেতে ওঠে ” হারামি পেতনি কি হয়ছে তা আমি তোর কাছে শুনমু ওই বাল ছালের কাছে শুনতে যামু ক্যান কো ” (ফারহা কে মেনেজ করার জন্য ইভার আগুনের সম্পর্কে বাজে কথা বললো)

— ইভা আমি বলছি আসলো কাহিনি ..(তিন্নি)

— হ্যা হ্যা বল শুনছি..(ইভা)

— অনার্স ফাস্ট ইয়ারে তখন আমরা একদিন ……..
.
.
.
.
.
হি হি হি যারা মেঘ কে নিউ টিচার ভেবে ছিলেন তাদের জন্য এক বালতি সমবেদনা জানাই 😆🤣কারন টা নিশ্চয় বুজতে পেরেছেন😁😁

#To_be_Continued…………..🔥🔥🔥

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here