হিংস্র_ভালোবাসা #Season_2 #Writter_Farhana_Chobi #পর্ব-২

0
738

#হিংস্র_ভালোবাসা
#Season_2
#Writter_Farhana_Chobi
#পর্ব-২
.
.
.
🍁
*পরের দিন ……..

— আসলাম কে আমাকে হসপিটালে এডমিট করেছে..??(মেঘ)

— বস মেয়েটার নাম জ্বিগাসা করার সময় পায়নি তবে ওই মেয়েটি মে বি যাওয়ার সময় পার্স টা ফেলে গেছে ৷ এই দেখুন….(পার্সটা মেঘের হাতে দিয়ে)

— মেঘ পার্সটা খুলতে একটা হাস্যমুখ চোখে পরতে মেঘের দুচোখ ওখানে আটকে যায় ওই মায়াবী চোখে৷ মেঘ মৃদু হেসে ফারহার ছবিতে চুমু খেয়ে বলে উঠলো” আমার প্রেয়সী ”

— বস মেয়েটা কি আপনার পরিচিত..??(আসলাম)

আসলামের কথার প্রতি উওরে মেঘ বাকা হেসে বলে” আসলাম এতোদিন যাকে পাগলের মতো খুজছিলাম সে আজ নিজের অজান্তে আমার কাছে এসে ধরা দিলো ৷”

— তার মানে বস এই সেই মেয়ে যাকে আপনি পাগলের মতো এতোগুলো দেশে খুজে বেরিয়েছেন..??(আসলাম)

–আসলাম তোমার প্রশ্নে আমার উওর ৷ কিন্তু এখন তোমাকে কি করতে হবে নিশ্চয় আমাকে বলে দিতে হবে না..??(মেঘ)

— বস আমি আগেই সব ডিটেইলস কালেক্ট করে ফেলেছি …(আসলাম)

— গ্রেট …..

— বস নাম ফারহা রহমান ৷ ওনার বাবা আশিকুর রহমান সামান্য একজন ব্যাংকার আর মা গৃহিনী ৷ ছোট একটা ভাই আছে ইন্টার ফাস্ট ইয়ারের ছাত্র ৷ আর হ্যা ম্যামের এক বেস্টফ্রেন্ড আছে নাম তিন্নি জামান ৷

— বাহ বিডি তে এসে পুরো আইডেন্টি চেন্জ করে ফেলেছে আমার প্রেয়সী গ্রেট ৷ আসলাম আশিকুর রহমানের আরো কিছু ডিটেইলস চাই আমার …(মেঘ)

— বস সব ডিটেইলস তো আপনাকে দিয়েছি..??(আসলাম)

— নো আসলাম নো তোমার এই টুকু খবর যথেষ্ট নয় ৷ তোমাকে আর ও অনেক কিছু জানতে হবে ৷ কিছু লোক কে প্রেয়সীর বাড়ি টা নজরে রাখতে বলো সাথে আশিকুর রহমান কে ও ৷ কোথায় যায় , কি করে , কার কার সাথে কথা বলে ইন অল ডিটেইলস আমার চাই গট ইট..??(মেঘ)

— ইয়েস বস …

— নাও লিভ,,

মেঘের কথায় কেবিন থেকে আসলাম সহ বাকিরা বেরিয়ে যায় কিন্তু মেঘের মুখে এখনো সেই রহস্যময় বাকা হাসি লেগে আছে ৷ মেঘ ফারহার ছবি টা হাতে নিয়ে ফারহার ছবি বার বার ছুয়ে দিয়ে বলতে লাগলো….

— প্রেয়সী আর কতো চোর পুলিশ খেলবে বলো এতোগুলো বছর তোমাকে খুজে চলেছি কিন্তু তুমি যে জেদি একরোখা কিছুতেই আমার হাতে আসতে চাইছো না ৷ কিন্তু এবার তো তোমাকে আমার কাছে আসতেই হবে ৷ তোমাকে আমার হতেই হবে …..(মেঘ)

মেঘ ফারহার ছবির দিকে তাকিয়ে কথা গুলো বলার পর খেয়াল করে আসলাম হুট করে কেবিনে ঢুকে পরে তা দেখে মেঘ বেশ চটে যায় ৷ মেঘ কিছু বলতে যাবে তার আগেই আসলাম তোতলা তে তোতলাতে বলে উঠলো ….

— সরি বস আসলে আমার একটা প্র…. প্রশ্ন ছিলো ..!(আসলাম)

— আসলামের কথা শুনে রাগের সাথে কিছুটা বিরক্ত নিয়ে মেঘ বলে ” বল”

— বস এই মেয়েটি যে আপনার সেই প্রেয়সী তা আপনি কি করে শিওর হলেন ..?? না মানে ছয় বছর আগে আপনি আপনার প্রেয়সী কে দেখেছিলেন তিনি যে তার প্রমান কি ..?? মেয়েটি তো আপনার প্রেয়সী না ও হতে পারে ..??(আসলাম)

— ভেরি ইমপ্রেসিব আসলাম কিন্তু তুই ভুলে যাচ্ছিস আমি কে ৷ আমার চোখে ফাকি দেওয়া যে কারো পক্ষে কখনো পসিবল না তা আমার থেকে তুই ভালো জানিস ….(মেঘ)

— বস প্লিজ বলুন না ..??(আসলাম)

মেঘ রহস্যময় হেসে আসলাম কে বলতে লাগলো..” ছয় বছর আগের সেই ঝড়ের রাতের কথা মনে আছে তোর ..??”

— হ্যা বস মনে আছে ইতালির লাস্ট নাইটের কথা বলতে বলতে থেমে যায় আসলাম “বস তার মানে সেই রাতে আপনি ..!!”

— স্টপ আসলাম এখনো যদি তুই বুজতে না পারিস তাহলে.. ….একটু থেমে মেঘ বলে ওঠে নাও লিভ আসলাম…..

আসলাম মাথা চুলকাতে চুলকাতে মুখে একরাশ কনফিউশন নিয়ে কেবিন থেকে বেরিয়ে গেলো…..

.
.
.
.
.
— ফাররররররররু কি হলো তোর সেই কখন থেকে তোকে ডেকে যাচ্ছি তোর তো কোন রেন্সপন্স নেই দেখছি ৷ কি হয়েছে তোর বলবি আমায়..??(তিন্নি)

— জানু কাল ওই ছেলে টাকে দেখে না আমার কেনো যেনো খুব চেনা চেনা লাগছে ৷ কোথায় যেনো দেখেছি লোক টাকে আমি কিন্তু কিছুতেই মনে করতে পারছি না …(ফারহা)

–দেখ ফারু আমার মনে হয় তুই ছেলে টাকে নিয়ে একটু বেশি ভাবছিস তাই হয়তো তোর এমন টা মনে হচ্ছে ৷ বাই দ্যা ওয়ে তুই কোন ভাবে ওই ছেলেটার উপর ক্রাশ খেয়ে বসে আছিস না তো.?? (ফাজলামি করে বললো তিন্নি)

— তেলাপোকাকি বাচ্চি তোর মনে হয় ওরকম গুন্ডা টাইপ সারাক্ষন মারা মারি খুন খারাবি করে এমন ছেলের উপর আমি ক্রাস খাবো ৷ তাহলে শুনে রাখ আমি যার তার উপর ক্রাশ খাই না আমার রুচির সাথে এ ছেলে যায় না হু…(একদমে কথা গুলো বলে থামলো ফারহা আর এদিকে তিন্নি হা করে ফারহার কথা শুনে যাচ্ছে আর বোঝার চেষ্টা করছে ফারহা ছেলের টার বদনাম করলো নাকি ওর নিজের সুনাম করল )

— কি তেলাপোকা কলেজ যাবি না ..?? (ফারহা)

— যাবো তার আগে আমাকে তেলাপোকা বলা বন্ধ কর ৷ আমাকে কি তেলাপোকার মতো বিদঘুটে দেখতে নাকি হু ..(মুখ ফুলিয়ে)

— দেখ তুই যখনি আমার মেজাজ হাইবল্টেজে তুলে দিস তখন এই তেলাপোকা নাম টাই মুখে আসে বার বার ৷ যদি তেলাপোকা নাম টা শুনতে না চাস তাহলে প্লিজ আমাকে রাগানো অফ কর নাহলে সারা জীবন ধরে তোকে তেলাপোকা বলে ডাকবো …(ফারহা)

তিন্নি রেগে ফসফস করতে করতে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে পরলো সাথে ফারহা ও বেরিয়ে পরলো কিন্তু সমস্যা হলো বাইরে বেরিয়ে কোন রিকসা না পেয়ে ফারহা তিন্নি পায়ে হেটে কলেজে যেতে লাগলো কিন্তু মাঝপথে একটা রিকসা হুট করে দারিয়ে ফারহা তিন্নি কে ডাকতে থাকে….

— আম্মারা আপনারা কি যাবেন গেলে চলেন আমি আপনাগো নামায় দি ..(রিকসা ওয়ালা)

— মামা উওরা যাবেন ..??(ফারহা)

— হো যামু ওঠেন গা….

ফারহা তিন্নি রিকসায় বসে কিছু দুর যেতেই ফারহা খেয়াল করে পিছুনে কেউ ওদের ফলো করছে ৷ তিন্নি ফারহার মুখে এমন চিন্তা দেখে জ্বিগাসা করলো….

— কিরে ফারু তোকে এতো চিন্তিত লাগছে কেনো কি হয়েছে তোর..??

— নাহ তেমন কিছু না কিন্তু কেনো যেনো মনে হচ্ছে কেউ আমাদের ফলো করছে…(ফারহা)

ফারহার কথা শুনে তিন্নি চার দিকে তাকিয়ে দেখতে লাগলো কিন্তু তিন্নির চোখে এমন কিছুই পরেনি যেটা ওর কাছে ঘটকা লাগে…..

— ফারু আমার মনে হচ্ছে তোর পেট গরম হয়েছে তুই প্লিজ বাসায় গিয়ে ঠান্ডা পানি মাথায় ঢালবি বুজলি…(তিন্নি)

— নাহ তিন্নি আমি ঠিক বলছি কেউ আমাদের ফলো করছে কিন্তু তুই বুজতে পারছিস না (মনে মনে)

— কিরে এখনো বসে আছিস কেনো নেমে আয়…

ফারহা রিকসা থেকে নেমে কলেজ গেটে তাকিয়ে দেখে আফিফ , হাসান , ইভা , নেহা দারিয়ে আছে ওদের জন্য…তিন্নি ব্যাগ থেকে টাকা বের করে রিকসা ওয়ালা দিতে যাবে তখনি দেখে সামনে কেউ নেই…..

— ফারু রিকসা ওয়ালা মামা কই গেলো..??এখানেই তো ছিলো..??(তিন্নি)

— হ্যা তাই তো আর টাকা নিয়ে কোথায় উধাও হয়ে গেলো..??(ফারহা)

–যাগ গে বাদ দে টাকা গুলো তো বেচেঁ গেলো তাই না …( দুষ্ট হাসি দিয়ে )

— তুই আর বদলালি না তেলাপোকা ..🤣🤣

তিন্নি তেলাপোকা নাম টা শুনে রেগে আফিফের দিকে এগিয়ে গেলো….

— কিরে শাকচুন্নি এতো দেরি করলি কেনো সেই কখন থেকে দারিয়ে আছি…(আফিফ)

— তোকে কে বললো দারিয়ে থাকতে হু ..

— এই এই তোরা এখন প্লিজ আর ঝগড়া শুরু করিস না ৷ ক্লাস শুরু হতে আর পাচঁ মিনিট বাকি আছে ৷ চল প্লিজ আজ নিউ স্যারের ক্লাস আছে শুনেছি স্যার নাকি খুব ইয়াং আর হ্যান্ডসাম ….(ইভা)

— এতো হ্যান্ডসাম ব্যাটা আমাদের কলেজে কি করে ..(ফারহা)

— ওহ কি ল্যাঙ্গুয়েজ ফারু ঠিক করে কথা বল উনি আমার ক্রাশ আমার প্রিন্স চার্মিং ..(ইভা)

— তোর ক্রাশ তোর কাছে রাখ আমার ঠেকা পরছে তোর ক্রাশ কে নিয়ে কিছু বলার …(ফারহা)

— স্টপ দিস ননসেস ৷ তোরা যদি ক্লাস করতে চাস তাহলে আয় নয়তো আমি গেলাম ( আফিফ…..)

আফিফের ধমকে ইভা ফারহা চুপ করে ক্লাসে চলে যায়…

— আবে ইয়ার স্যার এতো লেট করছে কেনো আমার তো আর সহ্য হচ্ছে না ওনাকে দেখার জন্য…(তিন্নি)

— আব্বে তুই একটু চুপ থাকবি নাকি উষ্টা মাইরা ক্লাসের বাইরে ফালায় দিমু…(ফারহা)

ফারহার কথা শেষ হতে না হতে ক্লাসের বাকি স্টুডেন্টরা দারিয়ে সালাম দিতে লাগলো ফারহা বাকিদের দিকে তাকিয়ে বুজতে পারলো নিউ স্যার ক্লাসে এসেছে ৷ ফারহা ও দারিয়ে সামনে তাকাতে নিউ স্যার কে দেখে শক্টড …………
.
.
..
.
#To_be_Continued…………. 🍁🍁🍁
{বিঃদ্রঃ ভূলট্রুটি হলে তা ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ৷ আর ভালো না লাগলে প্লিজ ইগনোর করুন }

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here