😍Surprise Lover😍
#Arohi_Afrin
Part:25+26
সকালে সাজির ডাকে আরোর ঘুম ভাঙে,,,সাজি ডাকতে ডাকতে দরজা ভাঙার উপক্রম হয়েছে,,আরো উঠে মাথা চেপে কিছুক্ষন বসে রইলো,,,সারারাত কান্না করার ফলে মাথাটা ভীষণ ভারী হয়ে আছে,,,,,এদিকে সাজি ডেকেই যাচ্ছে,,,আরো উঠে দরজা খুলে দিল,,,,
সাজি কিছু বলতে চেয়েও আরোর মুখ দেখে বলতে পারলো না,,কারণ কান্নার জন্য তার চোখ মুখ ফোলে আছে,,,দেখে বুঝায় যাচ্ছে কান্না করেছে,,সাজি বললো,,,,
সাজি:আরো??তুর মুখের কি অবস্তা করেছিস??কান্না করেছিস নাকি??
আরো:কান্না কেন করতে যাবো,,কান্না করিনি,
সাজি:সত্যিই তো???
আরো:হুম,,,
সাজি:কাল তুকে কতোবার text আর call দিলাম,,,একবারও ধরলিনা,,,
আরো:Sorry year আসলে একটু খারাপ লাগছিলো তাই,,,,
সাজি:খারাপ লাগছিল নাকি আয়ান স্যারের সাথে ডেটিং এ গিয়েছিলি, হুম??
আরোর আয়ানের কথা শুনে ভীষণ কান্না পাচ্ছে কিন্তু কান্না চেপে বললো,,
আরো:তেমন কিছু না,
সাজি:বুঝি,, কাল তোকে Surprise দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু তুই,,,,,,
আরো:হাহ এমনি কাল যে সারপ্রাইজ পেয়োছি সারাজীবন মনে থাকবে(একটু ছোট করে বললো,,সাজি তেমন বুঝতে পারেনি,,)
সাজি:মানে?
আরো:কিছুনা,,তুর কলেজ যেতে দেরী হবে,,তাড়াতাড়ি যা,,,
সাজি:আমার দেরী হবে মানে??তুই কি যাবি না??
আরো:না রে মাথাটা ব্যাথা করছে,,,,
সাজি:আচ্ছা,,,, ঔষধ খেয়ে নিস,,আর ফোন দিস কেমন?
আরো:আচ্ছা যা,,,
সাজি আর কি বলতে চেয়েছিল তার আগেই আরো দরজা বন্ধ করে দিল,,,,,,,এই মূহুর্তে তার কান্না পাচ্ছে,সাজির সামনে অনেক কষ্টে কান্না লুকিয়েছে,আরেকটু হলে গাল বেয়ে জল গড়িয়ে পরতো,,
সাজি:আব,,,,ধুর দরজায় বন্ধ করে দিল,,
রেহানা রহমান:আরে সাজি চলে যাচ্ছো কেন,নাস্তা করে যাও,,,
সাজি:না আন্টি অন্য একদিন করবো,,,,
রেহনা রহমান:আরো বুঝি এখনো রেড়ি হয়নি??
সাজি:আন্টি ও নাকি যাবে না,,খারাপ লাগতেচে মনে হয়,,
রেহনা রহমান:ওহ মেয়োটা কি যে করে না,,আচ্ছা মা তুমি যাও,,,
সাজি:ok aunty bye,,
সাজি কলেজ চলে গেল,,কলেজে ডুকতেই জান্নাতের সাথে দেখা,,জান্নাত বললো,,,,
জান্নাত:সাজি তুই একা?আরো কই??
সাজি:আরোর নাকি খারাপ লাগতেছে তাই আসেনি,,
জান্নাত:কি বলিস,,
সাজি:জানিস আরোর চোখ মুখ ফোলে গিয়েছে মনে হয় খুব কান্না করেছে,,কিন্তু স্বীকার করছেনা,,,,
জান্নাত:কান্না কেন করবে কেন??
সাজি:স্যারের সাথে কিছু হয়েছে কিনা কে জানে!!
জান্নাত:আচ্ছা ক্লাসে চল,,,,ক্লাস শুরু হবে এখন,,
সাজি:হুম চল,,,
সাজি আর জান্নাত ক্লাস করতে চলে গেল,,,সাজি জান্নাত সহ ক্লাসে সবাই অবাক কারণ আয়ানের ক্লাস আজ অন্যজন নিচ্ছে,,সাজি বললো,,
সাজি:জানতু I am damn sure স্যারের সাথে হয়তো কিছু একটা হয়েছে,,,
জান্নাত:আমারও তাই মনে হচ্ছে,,,খুব ভয় হচ্ছে আরোর জন্য,,
সাজি:আমারও,,,,,
1st class এর পর সবাই বলাবলি করছে,আয়ান কেন আসেনি এই ব্যাপরে,,
পরপর ৪টা ক্লাস কমপ্লিট করার পর হঠাৎ সাজির মোবাইলে কল এলো,,সাজি দেখে আরোর মা কল করেছে,,,সাজি কল রিসিভ করতে আরোর মা কান্না জড়িত কন্ঠে বললো,,
-সাজি মা আমার মেয়েটা দরজা বন্ধ করে সে কখন বসে আছে,,,এখনো খোলার নাম নেই,
সাজি:কি বলছেন আন্টি এখনো দরজা off করে বসে আছে??
-হুম তুমি আর জান্নাত একটু আসতে পারবে?যদি তোমাদের কথায় দরজাটা একটু খোলে,,
সাজি:আচ্ছা আন্টি আসছি আপনি টেনশন করিয়েননা,,
-হুম মা একটু তাড়াতাড়ি আসো,,,
সাজি কল কেটে দিলো,,জান্নাত বললো,,
জান্নাত:কি হয়েছে সাজি?আরো ঠিক আছে তো?
সাজি:কিচ্ছু ঠিক নেই রে জানতু আরোর বাসায় যেতে হবে চল,,
জান্নাত:আচ্ছা আচ্ছা চল,,
সাজি আর জান্নাত রিকশা নিয়ে তাড়াতাড়ি চলে গেল,,সাজি অনেকবার আরোকে ফোন দিল বাট আরো ফোন ধরছেনা,,,,টেনশেনে সবার যায় যায় অবস্তা,,, দুজনে ভাড়া মিঠিয়ে আরোর বাসায় আসলো,,,আরোর মা দরজা খুলে দিয়ে সোজা আরোর রুমের সামনে আসলো,,
রেহান রহমান:দেখো না সাজি কিছু বলছেও না,, দরজাও খুলছেনা,,
সাজি দরজা ধাক্কাতে ধাক্কাতে বললো,,
সাজি:আরো????প্লিস দরজ খুল,,,শুনতে পাচ্ছিস??দরজা খুল,,,
আরোর কোনো রেসপন্স পাচ্ছেনা,, সবাই অনেক ধাক্কাতে থাকে,,আরিফ রিতিমত কেঁদে দিল,,আরোর বাবাও কম চেষ্টা করেনি,,এবার সাজি বললো,,
সাজি:না এভাবে হবে না,,আন্কেল দরজা ভাঙার ব্যবস্তা করেন,,
আরোর বাবা দরজা অনেক কষ্টে ভাঙলেন,,,দরজা খোলে যা দেখলো সেটা দেখার জন্য কেউ প্রস্তুত ছিলোনা,,,,আরোর মা জোরে চিৎকার দিলেন,,,,,
চলবে!!
😍Surprise Lover😍
#Arohi_Afrin
Part:26
আরোর বাবা দরজা অনেক কষ্টে ভাঙলেন,,,দরজা খোলে যা দেখলো তা দেখার জন্য কেউ প্রস্তুত ছিলোনা,, আরোর মা জোরে চিৎকার দিলেন,,,,,আরো নিচে অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে,,,
রেহানা রহমান:আরো????(কাদঁতে কাদঁতে আরোকে ডাকতে লাগলো)
জান্নাত: আন্টি আপনি শান্ত হোন,,,,
সাজি:আন্কেল প্লিস তাড়াতাড়ি ডক্টর আনার ব্যবস্তা করেন,,
আফজাল রহমান:হ্যা হ্যা আমি এখনি দ্বীপকে কল করছি,,,
আফজাল রহমান তাড়াতাড়ি দ্বীপকে কল করে সব বললেন,,দ্বীপ ও আর দেরী করলো না,,
দ্বীপ একজন ডক্টর,,আরোদের ছোটবেলা থেকেই ডক্টর দ্বীপ সবসময় তাদের চিকিৎসা করেছেন,,,দ্বীপ আরো আর আরিফ খুব স্নেহ করেন,,,দ্বীপ আসতেই আফহাল রহমান বললেন,,
আফজাল রহমান:দ্বীপ বাবা একটু দেখো না আমার মেয়েটাকে,,,,
দ্বীপ:আন্কেল আপনারা কেউ টেনশন করিয়েননা,,,আমি দেখছি,,,,
রেহানা রহমান এখনো কাদঁছে,,,,
দ্বীপ:আন্টি কাদঁবেননা আমি দেখছি ব্যাপারটা,,,
দ্বীপ আরোকে চেক করে বললেন,,
দ্বীপ:আন্টি আন্কেল আপনার এতো কেয়ারলেস কিভাবে হতে পারলে,,আমি আপনাদের কতোবার বলেছি ওর প্রতি খেয়াল রাখবেন ওর খাওয়া দাওয়ার ব্যাপরেও,,,মনে হচ্ছে মেয়েটা কিছুই খায়নি,,আর মানসিক ভাবে অনেক Depressed,,,
আফজাল রহমান:আরো টিক হয়ে যাবে তো,,দ্বীপ??
দ্বীপ:হ্যা আমি একটা ইনজেকশন দিয়ে দিচ্ছি আর কিছু ঔষধ লিখে দিচ্ছি,,,ঔষধ গুলা ওকে নিয়মিত খাওয়াতে হবে,,,,
রেহানা রহমান:এবার থেকে ওর পুরোপুরি খেয়াল রাখবো আমি,,
দ্বীপ:আচ্ছা ও এতো Depressed হয়ে গেছে কেন,,আপনারা কিছু কি জানেন??
রোহানা রহমান:না তে,,কাল সন্ধা থেকে এভাবে নিজেকে বন্ধি করে রেখেছে,,
দ্বীপ:ও আচ্ছা,,,,,আমি তাহলে যায়,,ঔষদ কিন্তু ঠিক করে খাওয়াতে হবে,,,
রেহানা রহমান মাথা নাড়িয়ে হ্যা বললেন,,দ্বীপ চলে গেল,,আফজাল রহমান ও ঔষধ কিনতে চলে গেলেন,,,,,,
কিছুক্ষন পর আরোর জ্ঞান ফিরে,,,সবার মুখে হাসি ফুটলো,,,,আরো নিভু নিভু চোখে তাকালো,,,
রেহানা রহমান:আরো মা,আমার তুই ঠিক আছিস তো??
আরো:হ্যা মা ঠিক আছি,,,,তুৃমি কান্না কেন করছো বলোতো,,দেখ আমি সুস্থ আছি,,,(আস্তে আস্তে বললো)
রেহানা রহমান:কতোবার করে বলি তোকে খাওয়া দাওয়া কর,,কিন্তু কোনো কথায় শুনিসনা,,নিজের কি অবস্তা করেছিস,,,
আরো কথাটা শুনার পর কিছু বললো না,অপর পাশে তাকাতেই দেখে সাজি আর জান্নাত,,, আরো বললো,,,
আরো:তুরা এই সময় এখানে??
সাজি:এক থাপ্পড়ে উগান্ডায় পাঠাবো,,খাওয়ার প্রতি এতো উদাসীন কেন তুই হ্যা?
জান্নাত:আরো??তুর কি এমন হয়েছে বলতো,,,কাল থেকেই নাকি নিজেকে এই রুমে বদ্ধ করেছিস,,কি এমন হয়েছে?
সাজি:রাইট,,, বল কি হয়েছে,,,
আরো তার মাম্মার আর আরিফের দিকে থাকালো,,,,সাজি আর জান্নাতের বুঝতে বাকি রইলো না যে আরো ওদের সামনে বলতে পারবে না,,,,তাই সাজি বললো,,,,
সাজি:আব,,আন্টি আপনি আরোর জন্য খাবার নিয়ে আসেন,,ডক্টর তো বললো খেয়ে ওর ঔষধ খেতে হবে,,
রেহানা রহমান:ও হ্যা আমি যাচ্ছি,,,,
রেহানা রহমান চলে যাওয়ার পর সাজি আরিফ দিকে তাকিয়ে বললো,,,
আরিফ:কিরে পুচকু দাড়িয়ে আছিস কেন,,,যা,,আমরা আরোর সাথে কথা বলি,,
আরিফ:আমার সামনে বললে কি হয়,,
সাজি:আচ্চা যা,,, ভাবলাম তুই যদি যাস তুকে চকলেট দিবো কিন্তু,,,
আরিফ:কে বলেছে যাবো না,,তুমি তো জানো আপি আমি গুড বয়,,,
সাজি:হ্যা জানি তো যা,,,,
আরিফ চলে যাওয়ার পর সাজি আরোর দিকে তাকিয়ে শান্ত গলায় বললো,,,
সাজি:আরো??কি হয়েছে তুর?আয়ান স্যারের সাথে কোনো ঝামেলা হয়েছে??
আরো আয়ানের নাম শুনে কান্না আর আটকাতে পারলোনা,,,,ফুঁপিয়ে কেঁদে দিলো,,
জান্নাত:আরে কাদঁছিস কেন??প্লিস কাঁদিস না,,আচ্ছা এখন বলিসনা একটু সুস্থ হো,,তখন না হয় বলিস,,,
আরো:আমি সুস্থ আছি,,,,
জান্নাত:তাহলে???কি এমন হয়েছে যার জন্য নিজেকে কষ্ট দিচ্ছিস তুই!!!
আরো কেঁদে বললো,,,
আরো:সব শেষ,,সব,,,,
সাজি:কি বলছিস এসব,,
আরো:স্যার কোনোদিন আমাকে ভালোবাসেনি,,,,সব প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য আমার সাথে নাটক করেছে,,,
জান্নাত:কিসের প্রতিশোধ??
আরো কালকের সব ঘটনা বললো,,,সাজি আর জান্নাত রেগে গেলো,,,,
সাজি:ওনার সাহস কি করে হয়,,সামন্য থাপ্পড়ের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য তুর সাথে ভালোবাসার নাটক করলো?
জান্নাত: কিন্তু আমার বিশ্বাস হচ্ছে না স্যার এটা করবে,,,বিকজ স্যারের চোখে তুর জন্য ভালোবাসা ছিল,,তুকে হারানোর ভয় ছিল,
আরো:সেটা আমিও বিশ্বাস করতাম কিন্তু ওনি রায়াকে কিছুদিন পর,,,,,,,,বিয়ে করবে,,(আরো কান্না করতে লাগলো,)
সাজি:কান্না থামা আরো,,নিজেকে শক্ত কর,,,,
আরো:কিভাবে পারবো বল,,ওনি আমার,অভ্যাসে পরিণত হয়েছে,,,,আমি কাল কতো আশা নিয়ে গিয়েছিলাম জানিস,,,,কিন্তু,,,এতো বড়ো একটা সারপ্রাইজ যে আমার জন্য অপেক্ষা করছে আমি কখনো ভাবিনি,,,,
আরোর কান্না দেখে সাজি আর জান্নাতের চোখেও পানি চলে আসলো,,,,
আরো:ওনি আজ রায়াকে নিয়ে এসেছেন??নিশ্চয় এখন ওনি খুব ভালো আছেন আমাকে কষ্ট দিয়ে,,
জান্নাত:আজ স্যার আসেনি,,,
এর মধ্যে রেহানা রহমান খাবার নিয়ে আসলো,,,আরো তাড়াতরি চোখের জল মুছে নিল,,,,রেহানা রহমান বললো,,
রেহানা রহমান:দেখি হা কর,,
আরো:মাম্মাম আমার খেতে,,
রেহানা রহমান:মার খাবি যদি না খাস,,,
আরোকে জোর করে খাইয়ে দিল,,এরপর সাজি আর জান্নাতকে ও অনেক জোর করে খাওয়ালো,,,,খাওয়া দাওয়ার পর সাজি বললো,,
সাজি:আরো আজ আমরা যায়,,আর শুন সুস্থ হলে তারপর কলেজ যাবি,,আর পুরনো কথা মাথায় রাখিস না,,ঝেড়ে ফেলে দে,,,
আরো:হুম,,,,,,
সাজি আর জান্নাত চলে গেল,,,,,,
আরো নিজে নিজে বললো,,,,চায়লেও কি ভুলতে পারবো??আপনি তো অভ্যাস হয়ে গেছেন,,এতে সহজে কি অভ্যাসটা ত্যাগ করা সম্ভব??..
এদিকে আয়ান তার রুমের দেয়ালে থাকা একটা ছবির সামন দাড়িয়ে বললো,,,
আয়ান:নিয়তি হয়তো এটায়,,,আয়ান আর তাকতে পারলো না গাড়ি নিয়ে কোথায় যেন চলে গেল,,,,
কিছুদিন পর,,,,,
আরো এখন সুস্থ,, আরোর মাম্মাম তার সবসময় খেয়াল রেখেছেন,,আরো রেহানা রহমানের কোলে মাথা রেখে শুয়ে আছে,,রেহানা রহমান হাত ভুলিয়ে দিচ্ছে তার মাথায়,,,আরো তার মাম্মের দিকে তাকিয়ে ভাবছে,, সবার ভালোবাসা মিথ্যা হলেও পরিবারের ভালোবাসা কখনো মিথ্যা হতে পারেনা,,রেহানা রহমান খেয়াল করলো আরো তার দিকে তাকিয়ে কি যেন ভাবছে,,,
রেহানা রহমান:কি রে কি ভাবছিস,,,
আরো:মাম্মাম তুমি এতো ভালো কেন?
রেহানা রহমান:পাগলি মেয়ে কি বলছিস,,,
আরো:তুমি World এর best মাম্মাম,,
রেহানা রহমান আরোর কপালে চুমু দিয়ে বললেন,,”আমার মেয়েটাও অনেক ভালো,,
আরো কোল থেকে উঠে বললো,,,
আরো:পাপ্পা কোথায়??
রেহানা রহমান:বারান্দায় বসে পেপার পরছে হয়তো,,কেন?
আরো:আমি পাপ্পার কাছে যায়,,
রেহানা রহমান:আচ্ছা যা,,,,
আরো বারান্দায় গেলো চুপিচুপি,,আরো দেখলো তার বাবা পেপার পরছে মনযোগ দিয়ে,,আরো পিছন থেকে চোখ ধরলো,,আরোর পাপ্পা বললো,,
আফজাল রহমান:আমি জানি এটা আমার আরো মামনি,,
আরো সামনে এসে বললো,,
আরো:কিভাবে জানলে??
আফজাল রহমান হাসলো,,,,আরো চুপচাপ দাড়িয়ে আছে দেখে আফজাল রহমান বললো,,,
চলবে!!