#তুমি শুধু আমার
#লেখিকাঃমোনালিসা
#পর্বঃ১৭
মেঘ আর আকাশ দুই জনেই বের হওয়ার সাথে সাথেই টিনা গাড়ি নিয়ে বের হয়।
আকাশ;;কিরে এতো রাতে এইভাবে গাড়ি চালিয়ে আমরা কোথায় যাচ্ছি কিছুই তো বললি না,,মেঘ তুই চুপ করে আছিস কেনো,,,,
মেঘ,আকাশ কে কিছু বলতে যাবে তার আগেই মেঘের চোখ পরে গাড়ির গ্লাসের দিকে,,, একটা কালো গাড়ি তাদের ফলো করছে,,,, মেঘ সিউর হওয়ার জন্য গাড়িটা আধ ভাঙা রাস্তা দিয়ে নিয়ে যায়,,,,কিন্তুু মাঝ পথেই টিনা মেঘের গাড়ি টা হারিয়ে ফেলে,,,,টিনা সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি থামায়,,গাড়ি থেকে বের হয়ে দেখে যে মেঘের গাড়িটা দেখা যাচ্ছে না,,,,
সেই সময় টিনার গাড়ির লোকেশন চেক করে শফিক আসে,,,,গাড়ি থেকে বের হয়ে তারাতারি করে টিনার কাছে যায়,,,,,
শফিক;;তুমি এইখানে এইভাবে দাড়িয়ে আছো কেনো আর মেঘের গাড়ি বা কোথায়,,,,
—-টিনা,আমি তো ঠিকঠাক ভাবেই ফলো করেছি কিন্তুু,,,,
শফিক;;কিন্তু কি??
টিনা;;মেঘ হাওয়ার বেগে গাড়ি চালিয়ে কোথায় গেলো দেখতে পেলাম না,,,
শফিক;;তোমাকে দিয়ে কোন একটা কাজ ঠিকঠাক ভাবে হয় না,,,এইভাবে দাড়িয়ে না থেকে গাড়িতে গিয়ে বসো,,,
আকাশ;;কিরে এইভাবে গাড়িটাকে এমন আধ ভাঙা রাস্তায় নিয়ে এলি কেনো,,,,
মেঘ;;কেউ আমাদের গাড়ি ফলো করছিল,,তাই বাধ্য হয়ে এই কাজ টা করতে হয়েছে,,,এখন কি তুই গাড়ি থেকে নামবি না কি??
মেঘ আর আকাশ দুইজনেই গাড়ি থেকে নেমে যায়,,,রনি মেঘ কে দেখা মাএই সাথে সাথে চলে আসে,,,,
মেঘ;;ওর কি অবস্থা??
রনি;;তেমন একটা সুবিধা না স্যার,,,
মেঘ;;ওকে চলো,,,
মেঘ আকাশ রনি তিন জনেই বাড়ির ভিতরে ঢুকে পরে,,,,মেঘ আকাশ কে নিয়ে রুমে ঢুকতেই আকাশ অাবাক হয়ে যায়,,,,
আকাশ;;রাতুল,,,,মেঘ তুই রাতুল কে ধরে এনেছিস,,,কিন্তুু কিভাবে??
—-মেঘ,আকাশে প্রথম থেকে সব কিছুই খুলে বলে,,,আকাশ এইসব শুনা মাএই ভীষন রেগে যায়,,,
আকাশ;;বাঁচিয়ে রেখেছিস কেনো,,মেরে ফেল??
মেঘ রাতুলের সামনে গিয়ে চেয়ারের উপর এক পা রেখে প্রশ্ন করতে থাকে কিন্তুু রাতুল কোন ভাবেই মুখ খুলতে চায় না,,,
রাতুল;;আমাকে মেরে ফেললেও আমি কিছুই বলবো না বলেই রাতুল হেসে দেয়,,,
মেঘ আর নিজের রাগ কে কন্ট্রোল করতে না পেরে হাতে গান টা নিয়ে পরপর ৬টা গুলি করে রাতুলের বুক পুরো ঝাজরা করে দেয়,,,,এই মূহুর্তে মেঘ কে দেখতে হিংস্র বাঘের চাইতেও কম লাগছে না,,,,(রনি কে উদ্দেশ্য করে)এই লাশ টা কে এমন জায়গায় ফেলবে যেনো কেউ খুজে না পায়,,,,ক্লিয়ার,,!!!
রনি;;ওকে স্যার,,,,
আকাশ;;মেঘ তুই রাতুল কে তো মেরে দিলি কিন্তুু শফিকের পরের প্ল্যান কি তা আমরা কিভাবে জানবো,,,
—–মেঘ আকাশের দিকে তাকিয়ে বাকা হেসে বলে,,,,সেইটা নিয়ে তুই চিন্তা করিস না,,,আমি সব সামলে নেবো,, এখন চল অনেকটা দেরি হয়ে গেছে,,,এই বলেই দুইজন বের হয়ে যায়।।
শফিক রাগের মাথায় টিনার সামনে একজন গার্ডকে ফোন করে,,,
শফিক;;যেই ভাবেই হক যেমন করেই হক রাতুল কে আমার চাই,,,
গার্ড;;ওকে স্যার,,,
শফিক ফোন টা কেটে দিয়ে কিছু গার্ডকে ইশারা করতেই সামনে চলে আসে,,,টিনার মনে সন্দেহ হওয়াতে শফিকের সামনে গিয়ে দাড়ায়,,,
টিনা;;এখন কি করবে,,,মেঘ কে কিভাবে খুজে পাবে আর রাতুলকে বা কোথায় ভাবে,,,,
শফিক,টিনার দিকে তাকিয়ে বাকা হেসে বলে,, তোমার এইসব নিয়ে ভাবতে হবে না,,,,
টিনা;;তুমি কি করতে চাইছো বলতো,,, মেঘের ক্ষতি করার চেষ্টা করো না,,,তোমার সাথে আমার কি কথা ছিলো যে তুমি মেঘের কাছ থেকে বৃষ্টিকে সরিয়ে দেবে,,,,
শফিক;;সরি টিনা আমি তোমার কথা রাখতে পারলাম না,,, তুমি যখন আমার কাজে আসো নি তাহলে তোমাকে বাচিয়ে রেখে কি লাভ,,,,মেঘের সাথে সাথে তুমি ও মারা যাবে,,,
টিনা;;তুমি ভুল করছো শফিক আমি কি করতে পারি তা তুমি জানো না,,,আমি মেঘ কে সব কিছু বলে দেবো যে তোমার পরের প্ল্যান কি বলেই টিনা গাড়ির দিকে যেতে থাতে,,,
শফিক;;সরি টিনা বেবি সেই সুযোগ তুমি আর পাবে না,,,গার্ড কে ইশারা করতেই একজন শফিকের হাতে গান দেয়,,,সাথে সাথে শফিক টিনার দিকে গুলি করে,,,,গুলির করার সঙ্গে সঙ্গে টিনা নিচে পরে যায়,,,শফিক টিনার সামনে এসে এক হাটু ভাজ করে বলে আমার সাথে যে শক্রুতা করে তাকে আমি ছাড়ি না বলেই পরপর আরও কয়েক বার গুলি করে,,,টিনা সেইখানেই সাথে সাথে মারা যায়,,,শফিক গার্ডের সামনে এসে বলে এর লাশ টা এখান থেকে খাদে ফেলে দেও যাতে কেউ জানতে না পারে,,,,ক্লিয়ার,,,!!!
গার্ড;;ওকে স্যার,,,,
শফিকের কথামতো গার্ডরা টিনার লাশটাকে খাদে ফেলে দেয়,,,,,
মেঘ আর আকাশ দুইজনেই বাড়ির মেন গেটের সামনে এসে গাড়ি থামাতেই একজন গার্ড এসে গেইটা খুলে দিতেই মেঘ গাড়ি চালিয়ে বিতরে ঢুকে পরে,,মেঘ আকাশ গাড়ি থেকে নেমে গাড়ির চাবি টা গার্ডের কাছে দিয়ে সোজা উপরে তার রুমে চলে যায়,,, রুমে গিয়ে দেখে যে নীলা আর বৃষ্টি বেশ জমিয়ে আড্ডা দিচ্ছে,,,,মেঘ কে দেখা মাএই বৃষ্টি,,,,
বৃষ্টি;;তুমি এতোখন কোথায় ছিলে,,,,তুমি জানো নীলা কে দিয়ে আমি তোমাকে সাড়া বাড়িতে খুজেছি,,,কোথায় ছিলে তুমি???
মেঘ;;একটু কাজ ছিলো,,,,বলেই মেঘ ওয়াশরুমে চলে যায়,,,
—–এভাবে মাঝখানে বেশ ভালো দিন গুলা যেতে থাকে,,, আকাশ নীলাকে বিরক্ত করা,, মেঘ বৃষ্টি ভালোবাসা আরও গভীর হতে থাকে।।।
✨✨✨✨
বৃষ্টি এখন নিজের পায়ে দাড়াতে পারে,,,,খুব সকাল মেঘ ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করে অফিসে চলে যায়,,নীলা সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে যায়,,,,বৃষ্টি এলিনার সাথে কথা বলে তার রুমে এসে চুপ করে বসে থাকে,,,,,বৃষ্টির কিছুই ভালো লাগছে না,,,বৃষ্টি বারান্দায় গিয়ে দেখে আকাশ টা ভিষন মেঘলা হয়ে আছে যে কোন সময় বৃষ্টি পরতে পারে,,,বৃষ্টি আজকে কালো রঙের শাড়ি পরে ছিলো তার সাথে পায়ে নুপুর পরেছে,,,বৃষ্টি যেখান দিয়ে হেটে যায় সেইখান দিয়ে নুপুরের শব্দ হতে থাকে,,,বৃষ্টি বারান্দার ছোট দোলনায় বসে সুন্দর এই মূহুর্ত টা উপভোগ করছে,,,হঠ্যাৎ করেই এক ফোটা বৃষ্টি পানি এসে বৃষ্টির চেহারায় এসে পরলো,,,,সাথে সাথে ঝুমঝুম করে বৃষ্টি পরতে শুরু করলো।।বৃষ্টি খুশি হয়ে দৌড়ে ছাদে চলে গেলো,,,ছাদে গিয়ে বৃষ্টি অবাক হয়ে যায় তার চারপাশে বিভিন্ন রকমের ফুল দিয়ে ছাদ টা সাজানো,,,,বৃষ্টি এপাশ থেকে ওপাশ শুধু ছুটাছুটি করছে,,,,
মেঘ অফিস থেকে এসে নিজের রুমে গিয়ে দেখে বৃষ্টি কোথাও নেই,,,মেঘ কোর্ট টা হাত থেকে রেখে বৃষ্টি কে খুজতে থাকে,,,,কিন্তুু মেঘ বৃষ্টি কে কোথাও খুজে পায় না,,,মেঘ যেই না নিজের রুমে আসবে তখনি মেঘের চোখ পরে ছাদের দরজার দিকে,,,মেঘ বুঝতে পারে যে বৃষ্টি ছাদে আর এক মুহুর্ত দেরি না করে সোজা ছাদে চলে যায়।
ছাদের দরজার কাছে দাড়াতেই মেঘের ভিতর থেকে স্বস্তির নিঃশ্বাস বের হয়ে এলো।বৃষ্টি ছাদের মাঝখানে দুইহাত মেলে দাড়িয়ে আছে।বৃষ্টি লম্বা চুল গুলা ছাড়া পিঠে এলোমেলো ভাবে ছড়িয়ে আছে আর সেই গুলো থেকে টুপটুপ করে পানি পরছে।বৃষ্টির ছাড়া শরীর বৃষ্টির পানিতে ভিজে যাওয়ায় কারনে শাড়িটা গায়ের সাথে লেপ্টে আছে।যার জন্য শরীরের অনেক কিছু মেঘের বজ্রপাতের আলোতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।
মেঘ আস্তে আস্তে বৃষ্টির পাশে গিয়ে দাড়ায়।মেঘ বৃষ্টির পানিতে পুরাই ভিজে গেছে।সাদা সার্ট টা মেঘের সারা শরীরে লেগে আছে।বৃষ্টি তুমি এইখানে আর আমি তোমাকেএএএএ
আর বলার সুযোগ হলো না মেঘের।কারন এর আগেই বৃষ্টি মেঘের ঠোটেঁ ঠোটঁ ডুবিয়ে দিলো।বৃষ্টি মেঘের ঘাড়কে একদম নিজের কাছে নিয়ে আসে তারপর মেঘের দুহাত টেনে নিজের কোমড়ে রাখে,,,,এরপর বৃষ্টি নিজেই মেঘের দুপায়ের ওপর ভর দিয়ে একহাত দিয়ে মেঘের সার্ট খামচে ধরে অন্য হাত মেঘের চুলে গুজে ঠোটঁ দুটো আরও গভীরে নিয়ে নিয়,,,বৃষ্টি যেই না মেঘের কাছ থেকে সরে যাবে সাথে সাথে মেঘ বৃষ্টি কে পাজা কোলে তুলে নিয়ে ছাদ থেকে রুমে চলে এসে আস্তে করে বিছানায় শুয়ে দিয়ে একহাতে শক্ত করে বৃষ্টির কোমড় চেপে ধরে আবার ঠোটঁ জোড়া আকরে ধরে।আচমকাই বাহিরে হুট করেই বিদুৎ চমক দিয়ে উঠে।বড় করিডোর খোলা ছিলো
তার মাঝে দিয়েই তীব্র ঠান্ডা বাতাস আসছে। বৃষ্টি আচমকা চমকে গিয়ে মেঘ কে জড়িয়ে ধরে।মেঘ বৃষ্টির হাত গুলো শক্ত করে চেপে ধরে।কেমন যেনো এক মন কাড়া অবস্থান আবিভার্ব ঘটে সবদিকে আর তাতে যেনো মেঘ বৃষ্টির নতুন করে ভালোবাসার পূনর্তা পায়💖
#চলবে,,,,,,,,,
(কি লিখেছি জানি না।ভুল হলে ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন)