#তপ্ত_ভালোবাসা
#লেখিকাঃ_রিক্তা ইসলাম মায়া
#পর্বঃ_৬২
.
🍁
আমার এমন চিন্তা ভাবনা মাঝে উনি আস্তে আস্তে আমার মুখ থেকে নিজের হাতটা সরিয়ে ফেলে আমাকে শান্ত ভাবে দাড়িয়ে থাকতে দেখে। হালকা হাতে আমার লেহেঙ্গা ভিতর থেকে আমার পেট স্পর্শ করতে থাকে সাথে ডীপলি ভাবে আমার ঘাড়ে ওপর নিজের ঠোঁট দুটো চেপে ধরতেই, আমি মূহুর্তে কেঁপে ওঠে নিজের দুইচোখ বন্ধ করে নেই। সাথে উনার (রিদ) এমন স্পর্শ সয্য করতে না পেরে সাথে সাথে উনার দিকে ঘুরে নিজের দুহাতে উনাকে শক্ত করে জরিয়ে ধরে উনার বুকের মধ্যে নিজের মুখে লুকায়।
.
আমার হুট করে উনাকে জরিয়ে ধরাটার জন্য মোটেও প্রস্তত ছিল না উনি। সেই সাথে আমার উনার বুকের মধ্যে মুখ লুকানোটাও ছিল চমকিত কিছু উনার জন্য। আমি উনাকে জরিয়ে ধরতেই উনি কিছুক্ষণ স্তব্ধ হয়ে দাড়িয়ে থেকে স্মিত হেসে আস্তে করে আমাকে নিজের দু’হাতে বাহুডরে আবদ্ধ করে নেই সাথে সাথে। শক্ত করে জরিয়ে ধরে আমার মাথায় ডীপলি একটা কিস করে। আমি উনার কিস করাতে খানিকটা কেঁপে ওঠি। উনি আমাকে কেঁপে উঠতে দেখে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় নিজের দু’হাতে আমার গাল আঁকড়ে ধরে নিজের বুক থেকে আমার মাথাটা উঁচু করে উনার ফেস বরাবর আমার ফেসটা তুলে ধরে। তখন উনার চোখে মুখে বিচরণ করছিল এক অজানা তৃষ্ণনা। উনার ঘায়েল করা চোখ দুটোতে ছিল বহুদিন তৃষ্ণা মিটানোর আকাঙ্খা। আমার এক মূহুর্তে জন্য মনে হয়েছিল উনি (রিদ) আজকে এই দিনটার জন্য হয়তো অনেক দিনের অপেক্ষায় ছিলো। বহু তপস্যা ফল আজকের এই দিনটি। উনি আমার গাল আঁকড়ে ধরে খানিকটা আমার দিকে ঝুঁকে আমার কপালে ওপর একটা ছোট চুমু খাই। উনি আমার কপালে ওপর চুমু খাওয়াতে আমি সাথে সাথে নিজের চোখ বন্ধ করে নেই। সাথে নিজের দুহাতে উনার পাঞ্জাবি দুই সাইড আঁকড়ে ধরি মুষ্টি বদ্ধ করে। উনার এমন স্পর্শে আমার শিহরিত শরীর ও মনের মধ্যে এক অন্য রকম অনূভুতি হচ্ছিল যেটা আমি আজকে আগে কখনোই ফিল করেনি। আমার এই নতুন ফিলিংসটা নাম কি দিব তা জানা নেই এই মূহুর্তে আমার। শুধু জানি খুব স্পেশাল মনে হচ্ছে নিজেকে উনার কাছে। উনি আমার কপালে ওপর চুমু খেয়ে চোখ তুলে তাকায় আমার দিকে নেশাক্ত দৃষ্টিতে। আমাকে চোখ বন্ধ করে রাখতে দেখে নিজের কাছে টেনে নিয়ে আমার বন্ধ চোখে পাতায় ছোট দুটো চুমু খাই ধীরে ধীরে। পরে আস্তে করে আমার গালে উনার ঠোঁট চেপে ধরতেই আমার হুস ফিরে আসে। আমি ভয়ে পেয়ে সাথে সাথে উনাকে হালকা ধাক্কা মারি নিজের থেকে সরানোর জন্য। উনি আমাতে মন্ত থাকায় আমার সামান্য ধাক্কা উনি নড়ে উঠে আর আমি সাথে সাথে উনার বাহুডোর থেকে মুক্ত হয়ে পরি। কি হয়েছে উনি বুঝে উঠার আগেই আমি লেহেঙ্গা দুই সাইড আঁকড়ে ধরে সামনের দিকে ঘুরে, দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করতেই পিছনে থেকে সাথে সাথে আমার একহাত শক্ত করে চেপে ধরে, আমাকে ঘুরিয়ে হেঁচকা টানে নিজের বুকের মধ্যে ফেলে। উনার হঠাৎ করে আমাকে হেঁচকা টান মারাই আমি তাল সামলাতে না পেরে হুমড়ি খেয়ে পরি উনার বুকের ওপর। আমার একহাত কমড় বরাবর পিছন থেকে শক্ত করে ধরে নিজের সাথে মিশিয়ে নিয়ে উঁচু করে। আমি দুই পায়ে ভর করে উঁচু হয়ে দাঁড়ায় উনার সামনে। আমি ভয়াৎ দৃষ্টিতে উনার দিকে তাকাতেই উনি খানিকটা বিরক্তি মাখা কন্ঠে বললো…….
.
—” উঁহুম কোনো ডিস্টার্ব নয়?
.
উনার এমন কথায় আমি ভয় ভয় নজরে তাকায় উনার দিকে। শুকনো একটা ঢুক গিলে করুণ সুরে বলে উঠি….
.
—” আমার ভয় করছে আপনাকে। প্লিজ আমাকে ছেড়ে দিন।
.
আমার এমন কথার সাথে সাথে উনি আমাকে আর কিছু বলতে না দিয়ে আমাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিতে নেয় সামনে থেকে ফ্লোরে। আমি ফ্লোরে চিৎ হয়ে পড়ার আগেই উনি আমাকে সামনের থেকে শক্ত করে আমার কমড় চেপে ধরে নেই। আমি ভয়ে চিৎকার করে নাক মুখ হিচকে বন্ধ করে নিজের দুহাতে উনার পাঞ্জাবি কলার চেপে ধরে ফ্লোরে ওপর ঝুলে থাকি আর বড় বড় নিশ্বাস নিতে থাকি। উনি আমার কমড় চেপে ধরে আমাকে ঝুলন্ত অবস্থায় রেখে আমার কানের কাছে নিজের মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বলে উঠে……
.
—” এবার ভয় লাগছে আমাকে? এটা বলে ভয়। তুমি চাইলে এর থেকে বড় ড্রোজটা দিতে পারি তোমাকে ভয়ে। কি দিব?
.
উনার এমন কথায় আমি সাথে সাথে চোখ তুলে তাকাই উনার দিকে। আমার সামান্য কথায় উনি এতটা রিয়েক্ট করবে সেটা কখনোই ভাবিনি আমি। আমার উনার ওপর এবার সত্যি সত্যিই ভয় করছে। উনি যদি এবার উল্টো পাল্টা কিছু করে বসে আর যার জন্য সবাই যদি জেনে যায় যে উনি এই মূহুর্তে আমার রুমে আছে আমার সাথে তো আমি সবাইকে কি বলবো। যে উনি কি জন্য এসেছে এখানে? উনাকে কোনো বিশ্বাস নেই কোনো কিছুতে। আমি উনার দিকে ভয় ভয় নজরে তাকিয়ে থেকে ভয়াৎ কন্ঠে বলে উঠি……
.
—” কেন করছেন এমনটা আপনি আমার সাথে?
.
আমার এমন কথায় উনি উনার অন্য হাতে আমার গালের সাইড করতে করতে বলে উঠে…..
.
—” তুমিটা আমার একমাত্র অপশন। তাই তোমাকে ঘিরেই আমার সবকিছু।
.
—” মানে? (কনফিউজড হয়ে)
.
আমাকে কনফিউজড হতে দেখে উনি আমাকে ঝুলন্ত অবস্থায় রেখে আমার কপালে নিজের কপাল টিকিয়ে বলে উঠে…..
.
—” মানেটাই তো তোমাকে খুঁজতে হবে। আর এখন ডিস্টার্ব করো না বউয়ের কাছে এসেছি। অন্য কোথাও নয়।
.
উনার এমন কথায় মূহুর্তে চুপ করে যায় আমি। হ্যাঁ উনি উনার বউয়ের কাছে এসেছে অন্য কোথাও নয়। তাহলে এতো কিসের আপত্তি আমার উনাকে নিয়ে। এই জন্য হয়তো আমার শরীর ও মন বারবার উনাকে সাদ্বরে গ্রহণ করছিল। কোনো রকম বাঁধা দিতে মন চাচ্ছিল না আমার। উনি আমাকে চুপ করতে দেখে মূহুর্তে আমাকে কোলের তুলে নেই উনার। পরে আমাকে কোলে করে ড্রেসিং টেবিলের সামনে তাকের ওপর বসিয়ে দিয়ে আয়না ওপর নিজের একটা হাত রেখে আমার দিকে ঝুকে পড়ে। আমি আয়নার সাথে মিশে উনার দিকে তাকায় কাতর দৃষ্টিতে। উনি আমার দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে বলে উঠে………..
.
—” খুব বেশি সুন্দর লাগছে বউ। তোমাকে এই সাজে সজ্জিত করার ইচ্ছা ছিল অনেক দিনের। যেটা আজ পূরণ করলাম। অবশ্য ইচ্ছা এইভাবে পূরণ করার কথা ছিল না কিন্তু তোমার জন্য এই ভাবে পূরণ করতে হচ্ছে আমাকে।
.
উনার কথা পিষ্টে সাথে সাথে প্রশ্ন করে বলে উঠি…..
.
—” আপনার পছন্দে আজ আমাকে এই ভাবে সাজানো হয়েছে? আমার সাজটা কি আপনার দেওয়া?
.
আমার এমন কথায় উনি স্মিত হেসে বলে উঠে……
.
—” কি করি বলো তো বউটা তো আমার তাই দ্বায়িত্বটা ও আমারই। তাই পছন্দে সাজানোর সাথে সাথে বউকে হলুদ ও লাগাতে চলে এসেছি।
.
—” যদি কেউ চলে আসে রুমে তো?
.
আমার এমন প্রশ্নটা হয়তো পছন্দ হলো না উনার। তাই তো উনি সাথে সাথে হালকা বিরক্তি নিয়ে বলে উঠে…..
.
—” কেউ আসবে না এখানে সব ব্যবস্হা করেই এসেছি।
.
—” কেউ আসবে না?
.
—” কেন কেউ আসলে তুমি হেপি হবে নাকি? সবার সামনে স্বামীর হাতে হলুদ লাগাতে চাও নাকি? যদি চাও তাহলে চলো আমার সাথে বাহিরে। আমিতো সেটাই চাই শুধু তোমার জন্য পারছিলাম না সেটা করতে। বউ আমার তাই আমার কোনো কিছুতেই আপত্তি নেই চলো।
.
কথাটা বলেই উনি আমাকে ধরতে যাবে আমি সাথে সাথে উনাকে নাহুচ সুরে বলে উঠি……
.
—“না না আমি বাহিরে যাবো না। আমার এখানে কোনো সমস্যা নেই।
.
আমার নাহুচ করাতে হয়তো উনি কিছুটা কষ্ট পেয়েছে। তাই তো উনি নিরবে একটা দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলে নিজেকে ঠিক করে নিয়ে আস্তে করে বলে উঠে……..
.
—” তুমি কখনো বুঝতে চাও নি আমি কি চাই? তবে এতটাও দেরি করো না আমাকে বুঝতে যার ফল প্রশ্রুত তোমাকে না হারাতে হয় আমাকে। তোমার একটা হ্যাঁ করাতে আমি দুনিয়া এক করে দিব। কিন্তু তোমাকে আমার জন্য প্রথমে হ্যাঁ টা করতে হবে। তোমার হ্যাঁ টা ছাড়া আমিও একটা কদমও নড়বো না। আর এতো যদি তোমাকে হারাতেও হয় আমার তারপরও আমি চুপ থাকবো। মনে রেখে তোমার হ্যাঁ টায় হবে আমার পরবর্তী পদক্ষেপ।
.
উনার এমন মার প্যাঁচ কথায় আমি স্তব্ধ হয়ে যায়। উনি আমাকে কি বুঝাতে চাইছে সেটাই বুঝতে পারছি না। আমি কিসের জন্য হ্যাঁ করবো তাও ঠিক করে বুঝতে পারছি না। উনি কি আমাকে উনার বউ হিসাবে নিতে চাইছে নাকি আমাকে অন্য কোনো ইশারা পরছে। আমি দ্বিধা ভক্ত হয়ে বাক রুদ্ধ হয়ে বসে থাকি জায়গায় উনার দিকে অবুঝ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে। উনাকে বলার মতো কিছুই ছিল না আমার।
.
উনি আমাকে চুপটি করে বসে থাকতে দেখে উনার ডানহাত দিয়ে আস্তে করে আমার চুলের খোঁপা খুলে দিতে থাকে। আমি তখনো চুপ করে বসে থেকে উনার কাছে সুমতি জানাচ্ছিলাম। উনি আমার সম্পূর্ণ চুলের খোঁপাটি খুলে দিতেই আমার চুল গুলো সব এলোমেলো ভাবে আমার মুখের ওপর আঁচড়ে পড়ে। আমার মুখের ওপর এলোমেলো ভাবে চুল পড়তেই উনি আবারও নিজের হাতে সেই চুল গুলো আমার মুখের ওপর থেকে নরম হাতে আস্তে আস্তে সেই গুলো কানের পিছনে গুছিয়ে দিতে থাকে। পরে উনার ডানহাতে আমার গালের সাইড করে গলা স্পর্শ করে সেখানটাই নিজের ঠোঁট স্পর্শ করে। আমি কেপে ওঠে একহাতে উনার কাঁধ জরিয়ে ধরে ও অন্য হাতে উনার চুলের মুষ্টি শক্ত করে আঁকড়ে ধরি নিজের সাথে। উনি আমাকে এমন করতে দেখে পরপর আরও কয়েকটি চুমু খাই আমার গলায়।
.
(কাল নেক্সট পার্ট দিব, কোনো রকম মিস হবে না)
.
.
.
চলবে……….