😍Surprise Lover😍
#Arohi_Afrin
Part:11+12
পরদিন সকালে আরো রেডি হয়ে সাজি সহ college এ চলে গেল,,College গেট এ আসতেই আরোর মনে হলো কেউ তার ওরনা ধরে রেখেছে,,,
পেছনে তাকিয়ে দেখে একটা ছেলে নিচের দিকে তাকিয়ে ঘড়ি ঠিক করছে,,মুখ না দেখে আরো দিলো এক থাপ্পড়,,,
,,,,,,,,,,,
আয়ান কলেজ গেট আসছে তার ঘড়ি ঠিক করতে করতে হঠাৎ কেউ ওকে থাপ্পড় মারলো,,,,
আরোর চোখ কপালে কারণ আরো আয়ান কে থাপ্পড় মেরেছে,,আয়ান তো রেগেমেগে বোম হয়ে যাচ্ছে,,,,রাগে তার চোখ দুটি অনেক লাল
হয়ে গেছে,,,
আরো:So,,,
আরোকে কিছু বলতে না দিয়ে আয়ান রেগে চলে গেল,,,
সাজি:কি করছিস আরো তুই?স্যার তো রেগে বোম হয়ে গেল,,
আরো:বিলিভ মি সাজি আমি ইচ্ছে করে করিনি,,আরো এতুটুকু বলেই কান্না করে দিল,,,
জান্নাত :আরে কান্না কেন করছিস,,দেখ সবাই কিভাবে তাকিয়ে আছে,,,
আরো সাজি জান্নাত তিন জন class এ গেল,,
,,,,,,,,,,
আয়ান ক্যাবিনে গিয়ে টেবিলে ২/১ ফাইল ছিল ,, সেগুলো ফেলে দিল,,
আয়ান:ভেবেছিলাম আজ তোমায় সরি বলবো,,কিন্তু তুমি আজ যেটা করলে,,,,,,,আজ পর্যন্ত কেউ আমার সাথে আঙুল তুলে কথা বলেনি সেই জায়গায় তুমি আমাকে বিনা কারনে থাপ্পড় মারলে,,
রাগে আয়ানের গা জ্বলে যাচ্ছে,,,,
,,,,,,,,
আরো:গতকাল স্যার আমার পেছনে ছুটে ছিল সরি বলার জন্য,,,আর আজ থেকে আমার ছুটতে হবে,,,,,
সাজি:না জানি স্যার কতো রেগে আছে,,,
এরমধ্যে আয়ান ক্লাস করতে এলো,,আয়ান আরোর দিকে একবার ও তাকাচ্ছে না,,আরোর কাছে আজ কোনো পড়া জিগ্যেস করছে না,,,,আয়ান ক্লাস থেকে চলে যাওয়ার সময় আরোর দিকে চোখ পড়লে আরো কানে ধরে ইশারা করে সরি বললো,,বাট আয়ান উল্টা ফিরে চলে গেল,,,
আরো আবার অসহায় মুখ নিয়ে জান্নাত আর সাজির দিকে তাকালো,,,,
আরো:আমি এখন কি করবো,,স্যার তো আমার দিকে তাকাচ্ছে না,,,,মনে হয় বেশি রেগে আছে,,,
জান্নাত :তো রেগে তাকবে না,,তুই সবার সামনে স্যারকে এবাবে থাপ্পড় মারলি,,
সাজি:আচ্ছা তুই থাপ্পড় কেন মারলি সেটা বল,
আরো সব বললো,,
সাজি:কিন্তু তুর ওড়না ধরলো কে??
আরো:কেউ ধরেনি গাছের সাথে খানিকটা লেগে গিয়েছিল,,
সাজি:ওওও,,,না দেখে মারলি তো স্যার রাগবে না,,থাক সরি বলে দিস,,,
এরপর তিন জন সব ক্লাস কমপ্লিট করলো,,ক্লাস শেষ করে চলে যাওয়ার জন্য পা বাড়ালে দেখে আয়ান ও যাওয়ার জন্য বের হচ্ছে,,,
আরো:সাজি ২ মিনিট দাড়া স্যার কে একটা সরি বলি যদিও রাগ যাবেনা,,বাট বলে আসি,,
সাজি:আচ্ছা যা,,
আরো দৌড়ে যেতেই তার আগে রায়া চলে আসে,,,
রায়া:হেই আয়ান,,ক্লাস শেষ নাকি!!
আয়ান:আরে রায়া তুমি??হুম শেষ,, তুমি এইখানে যে??
রায়া:একটা কাজে এসেছিলাম,,,বাড়ি যাচ্ছিলাম,,
আয়ান দেখলো আরো দারিয়ে সব দেখছে,, আরোর চেহেরা দেখে আয়ানের মনে হলো খুব রেগে আছে +কষ্ট ও,,,আয়ান ইচ্ছে করে আরোকে দেখিয়ে রায়াকে বললো,,
আয়ান:ওহ তাই?তাহলে চলো তোমাকে ড্রপ করে দেই,,
রায়া:সত্যিই?
আয়ান:হুম চলো,,
তারপর রায়া আর আয়ান গাড়ি করে চলে এলো,,,,,
এদিকে আরো সব দেখে রেগে গেল আর অনেক কষ্ট পেলো,,,সাজি আর জান্নাত আসলো,,
জান্নাত :স্যার তো সেদিনের মেয়েটিকে নিয়ে চলে গেল,,
আরো:রায়া,,
জান্নাত :রায়া কে??
আরো:যে মেয়েটাকে নিয়ে স্যার গেল সেই মেয়েটি,,,
জান্নাত :ওও,,একটা কথা আমার মাথায় আসছে না স্যার সাথে এই মেয়েটার এতো ভাব কিসের,,,
সাজি:স্যারের Girl friend ও হতে পারে,,
কথাটা শুনে আরো অনেকটাই কষ্ট পেলো,,ভাবলো,, (হতেও পারে),,,
জান্নাত :হয়তো,,স্যার এর মতো এতো handsome ছেলের gf তাকবেনা এটা হয়?
সাজি:যা বলেছিস আর,,
আরো:আমার ভালো লাগছেনা,, আমি যাচ্ছি তুরা আয়,,
আরো তাদের উত্তরের অপেক্ষা না করে রিকশা করে চলে গেল,,,,,
সাজি:আরে চলে গেল,,
জান্নাত :আমার মনে হয় আরো অনেক কষ্ট পেয়েছে,,
সাজি:হুম আমারও,,কিন্তু ও এতো কষ্ট কেন পাচ্ছে?
জান্নাত :i think আরো স্যার কে something something করে,,
সাজি:আমারও এটা মনে হয়,,ব্যাপার না আরোর মুখ থেকে বের করতে হবে,,,
এরপর সাজি আর জান্নাত ও চলে গেল,,,,
রায়া তো হেব্বি খুশি,,,গাড়িতে রায়া ভাবছে,
রায়া:(মনে হয় আয়ান ও আমাকে ভালোবাসে,)
আয়ান :(আরোর মুখ দেখে কেন যেন মনে হলো খুব কষ্ট পেয়েছে,, তাতে আমার কি,,কিন্তু আরোর চেহারাটা বারবার চোখের সামনে ভেসে আসছে) কিছুক্ষন পর রায়া বললো,,
রায়া:আয়ান কি ভাবছো??
আয়ান:কিছু না,,
রায়া:আচ্ছা আয়ান একটা কথা বলো,,তুমি কাউকে ভালোবাসো??
আয়ান গাড়ি দাড় করালো,,
রায়া:গাড়ি দাড় করালে যে?
আয়ান:তোমার বাড়িতে এসে গেছি দেখো,
রায়া: Oops Sorry,,
আয়ান:Ok byee,
রায়া:byee take care,,
আয়ান গাড়ি নিয়ে চলে গেল,,,,
রায়া তো ঘরে এসে নাচানাচি শুরু করে দিল,,,আয়ান নিজ থেকে তাকে ড্রপ করে দিলো,,
অন্যদিকে আরো ঘরে আসলো, কিছু না বলে তার রুমের দিকে পা বাড়াতে তার মাম্মাম বললো,,
রেহানা রহমান:কিরে আরো আজ একবার ও ডাকলি না,,,অন্যদিন হলে তো মাম্মাম মাম্মাম বলে বাড়ি মাথায় করিস,
আরো:কিছু না মাম্মাম এমনি,,আমি রুমে যাচ্ছি,
রেহানা রহমান:আচ্ছা fresh হয়ে খেতে আয়,,
আরো:মা আমার ইচ্ছে নেই,,তোমরা খেয়ে নাও,,
রেহেনা রহমান:চুপচাপ খেতে আয়,কোনো কথা না,
আরো:আচ্ছা একটু পর আসছি,,
আরো রুমে এসে ব্যাগটা ছুড়ে সুফায় ফেলে দিল,,,বিছানায় বসে মুখে হাত দিয়ে কান্না করতে থাকে,,,আর বলে,,
আরো:যদি সত্যিই মেয়েটি ওনার ভালোবাসার মানুষ হয় তাহলে আমাকে কেন এইবাবে কাল বাসার নিছে এসে সরি বোর্ড হাতে নিয়ে দাড়িয়ে থাকতো কেন?
রেহানা রহমান :কিরে আরো আয় না খেতে,,
আরো চোখ মুছে বললো,,হুম মা আসছি,,,
এরপর আরো একটু fresh হয়ে সামান্য খেয়ে রুমে এসে মন খারাপ করে বসে আছে,,,এরপর আবার ঘুমিয়ে গেল,,,
রাতে খেয়ে সাজিকে কল দিলো,,
সাজি:ওই শাঁকচুন্নি এতো রাতে কল দিছিস যে?
আরো:সরি ইয়ার,,,একটা হেল্প করবি??
সাজি:কি হেল্প?
আরো:তুর কাছে আয়ান স্যারের number আছে??
সাজি:কেন বলতো?(একটু মজা করে বললো)
আরো:আরে বলনা,,
সাজি:একটু দেখতে হবে,,
আরো:আচ্ছা খুজে পেলে মেসেজ করে দিস,,
এরপর সাজি কিছুক্ষন পর মেসেজ দিলো,,আরো খুশি মনে মেসেজ open করতেই মুখটা আবার ফ্যাকাসে হয়ে গেল,,সাজি মেসেজে বললো,
“সরি ইয়ার স্যার এর number নাই,,”
আরো আর কিছু বললো না,,ভাবলো কাল দেখা হলে সরি বলবে,,
পরদিন,,
চলবে!!!
😍Surprise Lover😍
#Arohi_Afrin
Part:12
পরদিন আরোর খুব সকালে ঘুম ভেঙে যাই,,,তাই সে দেরী না করে নামাজ পরে নেই,,,নামাজ পড়ে একটু ছাদেঁ হাটতে যাই,,আরো ছাদেঁর এক কোণায় দাড়িয়ে সকালের পরিবেশটা উপভোগ করছে,,ব্যাস্ত শহর,,কোলাহল মুক্ত,,, এক শীতল বাতাশ আরোকে ছোঁয়ে দিল,,আরো চোখ বন্ধ করে উপভোগ করছে,,, আর চোখের সামনে আয়ানের সেই সরি বোর্ড নিয়ে দাড়িয়ে থাকার দৃশ্য ভেসে আসছে,,,চোখ খুললে সে সে অনুভব করে তার চোখে জল,,, আর বারবার রায়ার সাথে আয়ানের সেই জড়িয়ে ধরার কথা মনে পড়ছে,,,আরো নিজে নিজে বলছে,,
আরো:জীবনের প্রথম ভালোবাসা নাকি সব সময় ভুল মানুষের সাথে হয়,,,,,,আমি সত্যি স্যার কে ভালোবেসে ফেলেছি??তার উত্তর আমি নিজেও জানিনা,,,,,,না জানি আজ আমার জন্য কি অপেক্ষা করছে!!
আরো দেখলো সূর্যের আলো ফুটছে,,তাই সে নিচে এলো,,,আর ভাবলো আজকের নাস্তাটা সেই বানাবে,,,তাই দেরী না করে নাস্তা বানিয়ে নিল,,,,,মা বাবা আরিফ সবাই অবাক,,
আরিফ:ইদানীং আমি একটু না অনেক বেশী অবাক হচ্ছি,,,
আরো:বুড়ো, তুই দেখছি একটু না অনেক বেশি পেকে গেছিস,,
আরিফ:ভূল বললি আমি কোনো ফল না যে পাকবো,,
আরো:okk sorry mera vai,,
আরিফ:হুম It’s ok meri behen (Attitude নিয়ে বললো)
আরো:এইবার সবাই নাস্তা করতে আসো,,,
আফজাল রহমান :আজ আমার মামুনিটা বুঝি নাস্তা তৈরি করেছে??
আফজাল রহমান :হুম পাপ্পা,,
সবাই নাস্তা সেরে নিল,,,
আরো College এর জন্য রেডি হয়ে প্রতিদিনের মতো সাজিকে Call দিল,,Than দুজনে College এ এসে জান্নাত এর সাথে দেখা করলো,,
জান্নাত :আজোও তাহলে একটু early আসলি,,
সাজি:হুম দেখলাম তুইও দেখি আসলি,,
জান্নাত :আরো বেবী তুই চুপ করে আছিস কেন?
আরো:এমনি,,চল ক্লাসে,,,
তিনজনে ক্লাসে আসলো,,,,আয়ানও আজ ক্লাস করছে বাট আরোর দিকে একবারের জন্যও তাকাচ্ছে না,,,আরোর নিজের উপর ভীষণ রাগ হচ্ছে,,,,
ক্লাস শেষ করে আরো সাজি জান্নাত কেন্টিনে আসলো,,,সাজি আর জান্নাত বকবক করলেও আরো চুপচাপ,,, অন্যদিন হলে আরো ছোটোখাটো একটা ঝগরা করে ফেলতো,,,,কিন্তু আজ সে চুপচাপ,,,,,
আজ আবারও আসলো রায়া,,,,,,রায়া এসে সোজা আরোদের কাছে আসলো,,
রায়া:আচ্ছা তোমাদের নিউ টিচার আয়ানের কেবিন কোনটা একটু দেখিয়ে দিবে?
সাজি দেখিয়ে দিল,,আরো তো রিতি মতো রাগে কাপছে,,
রায়া আয়ানের কেবিনে গেল,,
আয়ান:আরে রায়া তুমি আমার কেবিনে?
রায়া:হুম,কেমন আছো??
আয়ান:ভালো, তুমি?
রায়া:এইতো ভালো,, আচ্ছা আজ তোমাদের কলেজটা একটু ঘুরে দেখাওনা please,
আয়ান:এখন?
রায়া:হুম,
আয়ান প্রথমে না বলতে ছেয়েছিল,আবার ভাবলো(আরোকে একটু জেলাসি ফিল করালে কেমন হয়??Good idea)
আয়ান:ok চলো,,
রায়া:Thank you so much Ayan,,
আয়ান রায়াকে পুরো কলেজ ঘুরে দেখাচ্ছে,,,,রায়া বারবার আয়ানের কাধে হাত রাখছে,,,আয়ানের অবশ্য অনেক বিরক্ত লাগছে,,,, আয়ান দেখলো আরো তাদের দিকে রাগী দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে,,তাই সে রায়াকে কিছু বললোনা,,
আরো সাজি আর জান্নাতকে বললো,,
আরো:সাজি আমি পারছিনা,,রোজ রোজ এই রায়া মেয়েটাকে আমি সহ্য করতে পারছিনা,,
সাজি:কেন, মেয়েটা তুর কি ক্ষতি করেছে?
আরো:জানিনা,,আমি বাড়ি যাচ্ছি,,আমার এক মূহুর্তও ভালো লাগছে না,,
সাজি:আচ্ছা চল আমিও যাবো,,আমার একটু কাজ আছে,,
জান্নাত :তো আমি থেকে কি মুড়ি বিক্রি করবো??
আরো:না মুড়ি না ice-cream বিক্রি করিস,,আমরা free তে খেতে পারবো,,আরো কথাটা বলেই সাজির সাথে hi5 দিল,,
এদিকে আয়ান এক দৃষ্টিতে আরোর হাসির দিকে তাকিয়ে আছে,,,ভাবছে (বাহ কিউটিপাই এর হাসিটা ও অনেক কিউট,,,মেয়েটাকে আমি বুঝতে পারিনা কিছুক্ষন আগে আমাদের দিকে রাগিভাবে তাকিয়ে ছিল আবার এখন হাসছে)
জান্নাত :তুদের কিছু বলে শান্তি পায়না,,
সাজি:শান্তি পাবিও না,,
আরো:আমরা যতোদিন বেচে আচি টেনশন নিসনা তুকে আমরা শান্তিতে তাকতে দিবো না,,বলে আবার হাসতে লাগলো,,আরো তো সব কিছু ভুলে হাসতে লাগলো
জান্নাত :তুদের জামায় গুলার জন্য বড়ো টেনশন হচ্ছে,,বেচারা গুলা জানেইনা তাদের জন্য কি সুনামি অপেক্ষা করছে,,,
সাজি:আহারে আসছে টেনশন ওয়ালি,,তুই তো জুনায়েদ বাবুর জীবনটা তেনা তেনা করবি,,বেচারা আমাদের জিজু,,
তিনজনে হাসতে লাগলো,,
আরোর চোখ গেল আয়ানের দিকে, আরো দেখলো আয়ান তাকিয়ে আছে,,তাই সে বললো,
আরো:সাজি চল না,,
সাজি:ওহ ভুলে গিয়েছিলাম চল চল,,
জান্নাত :উর্ধ গগনে বাজে মাদল,
সাজি:নিম্নে উতলা ধরণী তল
আরো:কবিতা না বলে চলরে চলরে চল,,
😁😁😁😁😁😁😁
এরপর তিনজনে বাসায় চলে গেল,,,,
আরো প্রতিদিনের মতো lunch করে বারান্দায় এসে ভাবতে লাগলো কি করে স্যারের রাগ ভাঙানো যাই,,,,,
পরদিনও আয়ান আরোর দিকে একবার ও তাকাচ্ছে না,,,,এইভাবে অনেক দিন চলে যায়,,আয়ানের রাগ ভাঙার কোনো নাম গন্ধও নেই,,
আরো:বাহরে সামান্য একটা চড় খেয়ে আমাকেই ভুলে গেল,,
সাজি:না জানি আরো তুই আর কিছু করলে স্যারের কি অবস্তা হবে,,
আরো:আমার ভালো লাগছেনা এভাবে রোজ রোজ ইগনোর আমি নিতে পারছিনা,,
জান্নাত :নিতে না পারলে ফেলে দে,,
সাজি:আচ্ছা আরো একটা কথা বল,,তুই স্যারকে ভালোবাসিস?
আরো:এটা কি ধরণের কথা?আমি কোন দুঃখে ওই ধলা বিলায়কে ভালোবাসতে যাবো,,
আয়ান এদিকে লুকিয়ে সব শুনছে,,আর মনে মনে ভাবছে,
আয়ান:মিস কিউটিপাই ভালো তো তুমি আমাকেই ভাসবে,,,আমার রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছো তুমি,,,
,,,,,,,,,,
সাজি:আমারা কিন্তু সব জানি,,
আরো:বেশি জানা ভালো না,,,আর জানলে বসে বসে মুড়ি খা,,
সাজি:😒😒
আরো:😎😎
পরেরদিন আয়ান একটু আড় চোখে আরোর দিকে তাকালো,,আয়ান দেখলো আরো একটা খাতার পৃষ্ঠায় বড়ো করে সরি লিখলো,,আর সরির O লেটার টা সেড ইমুজির মতো করে লিখলো,,আয়ানের সামান্য হাসি পেলো,,কিন্তু তা দেখালো না,,Attitude ভাব নিয়ে আবার পড়াতে শুরু করলো,,,আরোর ভীষণ কান্না পাচ্ছে,,সে ভাবলো,(শাঁকচুন্নার জন্য আর কি কি করতে হবে আল্লাহি জানে,,)
আয়ান Class শেষ করে তার কেবিনের দিকে পা বাড়াতে কেউ আয়ানের হাত ধরে টান দিয়ে একটা ক্লাসের পিছনে নিয়ে আসলো,,,আয়ান বেচারা তার দিকে ভুত দেখার মতে তাকিয়ে আছে,,সে,
চলবে!!