Addicted_love Part:18

0
1091

Addicted_love
Part:18
Aarizona Ella
কি হলো তাকিয়ে আছো কেন?অনেক হ্যান্ডসাম আমি সেটা জানি সো আর তাকিয়ে নজর লাগিয়ো না😜😎
খাইয়ে দিতে বলেছি তোমাকে,, দিবে না খাইয়ে?(ইশফাক)😀
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,মাথা নিচু করে মাটির দিকে তাকিয়ে আছি।
খুব খিদা পেয়েছে আমার 😧(ইশফাক)
টেবিল থেকে বাটি নিয়ে উনার সামনে ধরলাম,খাওয়াতে চেয়েও পারছিনা,সংকোচবোধ কাজ করছে কেন জানি,,
স্যুপ চামচে নিয়ে উনার মুখের সামনে ধরলাম,,আমার হাত কাপছে খুব,,।
কি হলো কাপছো কেন এভাবে,,কারেন্ট নেই তো আমার মাঝে যে আমাকে ছুলে শক লাগবে তোমার 😒(ইশফাক)
হুহ😒😒
এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন?(ভ্রু কুচকে)
কেন তাকানোর জন্য কি টেক্স লাগবে?(ইশফাক)
হা করছেন না কেন?
তিতা করলা তোমার প্রিয় আমার না, কিউট ফেসে তিতা করলার লুক শোভা পাই না,তাই কিউট হাতখানা দিয়ে কিউট কিউট মুখ বানিয়ে খাইয়ে দাও তারপর খাব!!এই তেতো তেতো মন আর ভাল্লাগছে না(ইশফাক)😩
প্লিজ হা করেন ঔষধ খেতে হবে।।(আকুতি করে)
ভালবেসে খাওয়াও তারপর।(ইশফাক)
ভালবেসে আবার কি ভাবে খাওয়াই?😕
প্রেকটিক্যালি দেখাতে হবে?(ইশফাক)
বলতে বলতেই উনি আমার মুখের সামনে নিজের মুখ টা আস্তে আস্তে ঘেসে দিচ্ছেন😨
ওহরে আল্লাহ এই বেডার মধ্যে কোন দিন যে সৎ বুদ্ধি স্থাপন করবেন।।🙏
না না থাক আর দেখাতে হবে না,উনি আমার মুখের সামনে থাকাকালীন উনার গাল চেপে ধরে এক চামচ স্যুপ মুখের ভিতরে পুরে দিলাম।।
হাহাহাহাহাহা😂(ইশফাক)
উনি হাসছে,আর আমি বার বার উনার এই হাসির মায়ায় পরে যাই কেন?উনার দিকে তাকিয়ে আমিও মুচকি হাসছি।
শুধু কি হাসবা নাকি খাইয়েও দিবা?(ইশফাক)
ক,,,,ক,,কই হাসলাম,??না খেয়ে আপনি নিজেই তো হাসছেন,,, অন্য দিকে তাকিয়ে বলছি।।
খাইয়ে দাও।{ইশফাক}মাথা আমার সামনে এগিয়ে দিয়ে হা করে আছেন।
এক এক করে উনাকে খাইয়ে দিচ্ছি,উনি খাচ্ছে কম আমার দিকে তাকিয়ে আছেন বেশি।
উনি এভানে তাকিয়ে থাকায় আমার আনইজি লাগছে,উনার চাহনি টা যেনো আমার ভিতরে বেত্রাঘাত করছে।।
খাওয়াও প্রায় শেষ, আর বেশিক্ষন থাকা চলবে না,শিগগিরই এখান থেকে কেটে পরি নাইলে যেটার ভয় এতদিন আমার মধ্যে বিরাজ করছিলো সেটা ই হয়ে বসবে।
উনার মুখে লেগে থাকা খাওয়ার আমি মুছে দিচ্ছি তারমধ্যে উনি আমার হাত উনার ঠোঁটে দিয়ে হাল্কা হাল্কা ছোয়াচ্ছেন,,
আমি আঁতকে উঠছি উনার কান্ডে।।আমি তড়িঘড়ি উনার মুখের সামনে থেকে হাত সরিয়ে উঠে দাঁড়ালাম।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,😦😮উনি আমার দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।আমার আচমকা এমন করাতে হয়তো।।
আচ্ছা আমি আসি আজকে।
আবার কখন আসবে?(ইশফাক)
আমার কারনে আজকে আপনার এই অবস্থা তাই আপনি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত আমি আপনার সেবায় নিয়জিত থাকব।আমি কারও কাছে ঋণী হয়ে থাকতে চাই না।মানুষত্যের খাতিরে আমার যদি আপনার পাশে থাকতে হয় তা আমি থাকব।আমার বিনিময়ে যদি কেউ সুস্ততা লাভ করে তবে আমি তা করতে এক পাও পিছিয়ে যাই না।
ইশফাক আমার দিকে করুন দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।হইতো আমার কাছে এমন কিছু আশা করে নি।
মানবতার খাতিরে ঔষধ গুলো খাইয়ে দিয়ে যাও।(ইশফাক)
আমি ফিরে উনার দিকে তাকালাম,একটা মানুষ কিভাবে এতোটা নিরক্ষিপ্ত হতে পারে।উনি এমন কেন?কেন উনি নিজেকে এতটা নিচে নামাচ্ছে।।
আমি বাইরে গিয়ে কাওকে পাঠাচ্ছি,
বলেই কেবিন থেকে বেরিয়ে গেলাম।উনার কথায় আমার চোখ এর জল টলমল করছিল।
পর পর ৫ দিন আমি উনার সেবায় নিয়জিত ছিলাম।
উনাকে দেখা কেমন জানি আমার অভ্যাস এ পরিনত হয়েছে।
আজ কিছুক্ষনের মধ্যে উনাকে রিলিজ করা করা হবে।
আমি উনার যাবতীয় জিনিসপত্র গুছিয়ে দিচ্ছি,উনি হঠাৎ আমার হাত ধরে হেচকা টান দিয়ে উনার উপরে বসিয়ে দিলেন।
আপনি কি পাগল হয়ে গেছেন নাকি?কি করছেন এসব?😰😰😰
প্রেকটিস করে রাখা ভালো কারন আগামি কয়েকমাস পর রোজ এভাবে তোমাকে আমার উপর বসতে হবে😁😁(ইশফাক)
ছাড়ুন বলছি আমাকে।প্লিজ কেও এসে পরবে।
তো আসুক,আমার হবু বউ কে কোলে বসিয়েছি বাহিরের কোন আবালা নারী কে তো আর বসায় নি হাহাহাহা😂😂😂(ইশফাক)
উনাকে ধাক্কা দিয়ে উঠে আসলাম।।
রাগলে তোমাকে আরও হেব্বি লাগে (ইশফাক)এক চোখ টিপ দিয়ে।
আম শুধু রাগে ফুসছি এই লোক টার দেখছি কোন রাগ অভিমান কিচ্ছুই নেই।।আজব মানুষ।
কিছুক্ষণের মধ্যে উনাকে রিলিজ করা হলো।উনার পা ভাংগার কারনে হুইলচেয়ারে করে উনাকে কার পর্যন্ত নেয়া হলো।
সাথে মা,ভদ্রলোক,আমি আর কয়েকজন বডিগার্ড আছে।
উনাকে কারে তুলে ভদ্রলোক টি উনার সাথে বসলো।
পিছনে আরেকটি কারে উনার গার্ডস রা সবাই এক এক করে উঠে বসলো।
আমি আর মা বাইরে দাঁড়িয়ে আছি। উনি মায়ের সাথে কিছুক্ষন কথা বলার পর গাড়ি স্টার্ট দিলো।
পিছন থেকে একটা ওয়ার্ডবয় আমাদের ডাক দিল।
হ্যালো মেম।আপনাদের কেবিনে এই ব্যাগ টি ফেলে আসা হয়েছে।।(লোক)
উফফফফফফ ।এটা তো ইশফাকের।
আরে হা সব নিয়েছে এটা নিতে ভুলে গিয়েছে হয়তো। (মা)উনার হাত থেকে নিতে নিতে।
এখন উনাকে কই খুজবো।।আজাইরা যত্তসব।।। 😤
এতো বিরক্ত হওয়ার কি আছে?ছেলেটা কি আমাদের পর?ওর বাসায় পাঠিয়ে দিব আর কি।(মা)
ছেলেটা আমাদের আপন ও না😒
বাসায় গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলাম প্রায় সন্ধ্যা হয়ে এসেছে।
রুমে গিয়ে শুলাম কিছুক্ষণ। এপাশ ওপাশ হচ্ছি আর উনার কথা চিন্তা করছি।উনার প্রতি এতো কড়া না হলেও পারতাম।।
এসব চিন্তা করতে করতে ঘুমের দেশে তালিয়ে গেলাম।
সকাল ঘুম থেকে উঠে ঘর গুছাতে গুছাতে উনার ব্যাগের দিকে নজর পড়লো।
একবার দেখা উচিত কি আছে।খুলতেই দেখি উনার সব মেডিসিন ব্যাগে রাখা।😱তাহলে কাল রাতে উনি মেডিসিন না নিয়ে ছিলেন।।এখন কি হবে,উনার বাড়িও তো চিনি না আমি।উনাকে ফোন দেওয়াটা বিশেষ জরুরি।
ফোন হাতে নিতেই দেখছি ২৪ টা মিসডকল ইশফাকের।,😟কল বেক করলাম পর পর দুইবার কল দিচ্ছি কিন্তু কেউ ধরছে না।
তৃতীয় বার দিতেই কল ধরলেন।
হ,,হ,,হহ্যালো কেমন আছেন?
তোমাকে ছাড়া কিভাবে ভালো থাকি বলতো?(ইশফাক)
,,,,,,,,,,,,,,আমি এগুলো শুনার জন্য ফোন দেই নি আপনাকে।।
আমিতো আরো অনেক খুশি হয়ে গিয়েছিলাম,যে কেউ তো আছে যে আমার খবর নিতে ফোন করেছে।যাক সেটা আমার বেড লাক।(ইশফাক)হাফ শ্বাস ছেড়ে।
উনার কথাটা আমার বুকে তীরের মতো আঘাত করেছে।
,,,,,,,,,,,,,,,,।
যাই হোক আমার মেডিসিন আর ব্যাগ হয়তো হসপিটালে ফেলে এসেছি।কাল রাতে অনেক খুজেছি কিন্তু পাই নি,তোমাকে জিজ্ঞেস করার জন্য কল কিরেছিলাম।(ইশফাক)
হুম আমিও তারই জন্য কল করেছি।আপনার ব্যাগ ফেলে এসেছিলেন ওয়ার্ডবয় আমাদের হাসপাতালের বাহিরে পেয়ে দিয়ে গিয়েছিল।আমার কাছেই আছে।কাওকে পাঠান।
ড্রইভার ছাড়া আর কেও নেই বাসায়।(ইশফাক)
অই ভদ্রলোক টি কোথায়?
অফিসের একটি জরুরী কাজে গিয়েছে আসতে দেরি হবে,কাল রাতেও ঔষধ খাওয়া হয় নি।(ইশফাক)
আমি আপনার বাড়ি চিনি না।
আচ্ছা আমি ড্রাইভার এর দিয়ে গাড়ি পাঠাচ্ছি তুমি ঔষধ নিয়ে চলে আসো।(ইশফাক)
আমি কেন যাবো? 😒
আরেকটা পা ভেংগে দিয়ে যেতে😒সবসময় কি এভাবে রুড বিহেভ করা জরুরি? (ইশফাক)ঝাড়ি দিয়ে।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,যেভাবে বলছে আমি যেনো চাকর হুহ।মনে মনে।
আমাকে গালি দেওয়া শেষ হলে কিছুক্ষণের মধ্যে গাড়ি পাঠাচ্ছি তারাতারি এসো।নাহলে ঔষধ না খেয়ে মরতে হবে।(ইশফাক)
উনার কথা গুলা আমাকে খুব বেশি আঘাত করছে কিন্তু কেন তা জানি না।মুখে না বল্লেও মন চাই উনার কাছে বার বার যেতে।
,,,,,,,,,,হুম।
রেডি হয়ে রুমের বাইরে গিয়ে মাকে বললাম
মা আমি ইশফাক চৌধুরীর ব্যাগ দিতে যাচ্ছি,উনি কল করেছিল আর উনার ঔষধ পত্র সব এই ব্যাগে তাই তাৎক্ষনাক উনার বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হতে হচ্ছে,যদি ফিরতে দেরি হয় তাহলে তুমি খেয়ে নিও।
কিন্তু কিভাবে যাবি?তুই তো ওর বাসা চিনিসও না?(মা)
উনি গাড়ি পাঠাচ্ছেন।
আচ্ছা তাহলে সাবধানে যাস।(মা)
আচ্ছা।
নিচ থেকে গাড়ির হর্ন এর আওয়াজ আসছে,আমার আর বুঝতে বাকি রইলো না যে ইশফাকের গাড়ি এসেছে।
ঘর থেকে বেরিয়ে নিচে নেমে,ইশফাক পাঠিয়েছে কিনা জিজ্ঞেস করলাম।
ড্রাইভার মাথা নাড়িয়ে হা বললো।
ব্যাগ নিয়ে গাড়িতে উঠে পরলাম।
চলবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here