Addicted_love Part:58(২য় খন্ড) aarizona ella

0
1067

#Addicted_love
Part:58(২য় খন্ড)
aarizona ella
এই চাবিটা কোন সামান্য কিছু না,,এটার সাথে আমার প্রত্যেক কিছু জড়িয়ে আছে,আমার জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত,,আর আজকে আমি এটা তোমার কাছে সঁপে দিচ্ছি,,এখন থেকে সব কিছু তোমার অধীনে,তোমার দায়িত্ব তাই তুমি সবকিছু নিজের করে সাজিয়ে,গুছিয়ে নাও।খুব আবেগ প্রবন হয়ে ইশফাক কথাগুলো বললো।।
কিন্তু আমি কিভাবে?😟চিন্তিত হয়ে বললো এলা।
তুমি আমার স্ত্রী,, আমার অর্ধাঙ্গিনী,,তুমি কবির চৌধুরীর বড় ছেলের বউ কোন সামান্য ব্যাপার না, তোমার প্রাপ্য এটা আর আমার পরে তোমাকেই সব কিছু সামলাতে হবে।(ইশফাক)
কেন আপনি কি কোথাও যাচ্ছেন নাকি?😕(এলা)
এলা be mature Jaan,,It’s not funny,,..বুঝার চেষ্টা করো আমি কোথাও যাচ্ছি না এক্সাম্পল হিসেবে বললাম এটা।সব কথা কি ভেঙে বলা জরুরি? (ইশফাক)
না আমি ভেবেছি আপনি কোথাও যাচ্ছেন তাই😑(এলা)
বাচ্চামি ছেড়ে দাও জান,,তোমার সংসার কিভাবে গোছাবে সেটা সম্পুর্ন তোমার উপর।😊চাবিটা সামলিয়ে রেখো।এবার চলো খেয়ে আসি।(ইশফাক)।
হুম।।চাবিটা আমি আলমারিতে রাখছি।(এলা)।।
রাখতে পারো😊(ইশফাক)
এলা খাটে একপাশ হয়ে শুইয়ে আছে,,,ইশফাক পিছন থেকে এলাকে জড়িয়ে ধরে শুইয়ে পড়লো।
কি চিন্তা করছো জান?(ইশফাক)
কই কিছু না,,,,দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললো এলা।।
কি হয়েছে জান?এলাকে তার দিকে ফিরিয়ে এলার গালে হাত রেখে জিজ্ঞেস করলো ইশফাক।।
মায়ের কথা মনে পড়ছে খুব।😞(এলা)
মন খারাপ করার কি আছে বাবু,তোমার জামাই ইশফাক চৌধুরী এখনো বেঁচে আছে😊😊বুকে আসো বলে এলাকে তার বুকের সাথে জড়িয়ে নিলো ইশফাক।
একটা কথা ভাবছিলাম!!!(ইশফাক)
কি?(এলা)
চলো কয়েকদিন এর জন্য কোথাও ঘুরে আসি,,তোমার মন ও ভালো হয়ে যাবে সাথে আমাদের হানিমুন টা ও।(ইশফাক)
কোথায় যাবো ইশফাক?(এলা)
নিউইয়র্ক যাবো,,,সেখানে একটি ঐতিহাসিক চার্চ আছে তোমাকে দেখিয়ে আনবো😊(ইশফাক)
কখন যাবো? (এলা)
কাল সকালে টিকিট করলে বিকেলের মধ্যে রওয়ানা হওয়া যাবে😊(ইশফাক)
থ্যাংকস্ ইশফাক।।আমার মনের অবস্থা বুঝার জন্য 😊(এলা)
শুধু থ্যাংকস্ দিলে চলবে না,,,(ইশফাক)
তাহলে?😕😕😕(এলা)
এদিকে এসো বলছি,,,এলাকে নিজের কাছে এনে তার ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দিলো ইশফাক।এলাও ইশফাক কে আকড়ে ধরেছে,,এলার ওড়না আর নিজের শার্ট খুলে মেঝেতে ফেলে দিলো ইশফাক,,রাত যত গভীর হচ্ছে তাদের ভালবাসার গভীরতা ততই গহিনে তালিয়ে যাচ্ছে,,।।🙏🙈
পরেরদিন বিকেলে তারা দুজন নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে গেলো।
২ঘন্টায় তারা সেখানে গিয়ে পৌছালো,,।।
আমরা এখন কোথায় যাবো? (এলা)
গাড়ি আসছে,,এখন হোটেলে উঠবো।।,কিছুক্ষন অপেক্ষা করতে হবে জান।।(ইশফাক)
১০ মিনিট পর একটা ব্ল্যাক কালারের গাড়ি এসে এয়ারপোর্টের পার্কিং এ থামলো।
ইশফাক কাকে কল করছে,, কিছুক্ষন পর ২ জন গার্ডস্ এসে ব্যাগ,লাগেজ নিয়ে গাড়িতে রাখলো।।
চলো জান,,,এলার হাত ধরে গার্ডস্ গুলোর পিছে পিছে গাড়িতে উঠে বসলো দুজন।
ড্রাইভার গাড়ি চালাচ্ছে,,খুব ঠান্ডা এখানে এলা কাপছে।।
আমি তোমাকে বলেছিলাম যে শোউল টা নিতে এখন দেখো ঠান্ডায় কাঁপছো,,গ্লাস তুলে দিলে বমি করবে আর নামানো থাকলে ঠান্ডা লেগে যাবে।তোমাকে যে কি করি আমি,,আমাকে পাগল বানিয়ে ছাড়বে তুমি।বলেই ইশফাক তার কোর্ট খুলে এলার গায়ে ঝাপিয়ে দিলো।
আপনার ঠান্ডা লাগছে না,,,?(এলা)
আমার পাশে এতো সুন্দরী একটা বউ আছে ঠান্ডা লাগার কোন প্রশ্ন ই উঠে না,,,হট হট লাগে আমার যখন তুমি আমার পাশে থাকো।এলার কপালে চুমু দিয়ে বললো ইশফাক।
এলা ইশফাক এর কাধে মাথা রেখে বাইরের আকাশ দেখছে,,চোখের কোনে জল টলমল করছে এলার,,।
এতটা সুখী হবো কখনো ভাবি নি,,মনে মনে ভাবছে এলা।
ইশফাক এলার কাধে হাত দিয়ে জড়িয়ে আছে,তার মাথায় মাথা ঠেকালো ইশফাক।।
বিশাল এক হোটেলের সামনে গিয়ে গাড়ি থামলো।গাড়ি থেকে নেমে বার বার চোখ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখছে এলা,,
Pan Pacific business class Hotel….
এলা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে কারন সে এমন হোটেল কখনো দেখেনি পর্যন্ত,,বেশ আকর্ষনীয় আর অনেক ক্লাসি একটা পরিবেশ,,আধুনিকায় কাতর সবকিছু।
নিজের খুব অদ্ভুত লাগছে,কারন সে এই পরিবেশের সাথে কি আদৌ মানানসই? মনে মনে ভাবছে এলা।
হোটেলের ভিতর ঢুকতে ঢুকতে এদিক ওদিক তাকাচ্ছে এলা,গোটা হোটেল রাজপ্রাসাদ এর মতো,
ভিতরে ঢুকতেই ইশফাক কে সবাই অনেক রেস্পেক্ট করছে,দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে ইশফাক কে চিনে না এমন কেউ নেই এখানে।
সাবাই স্যার স্যার বলে সম্বোধন করছে,।
জান আনইজি ফিল করার দরকার নেই এটা তোমার জামাইর হোটেল।(ইশফাক)
এলা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে,, বেশ অদ্ভুত লাগছে এলার,,এ কি স্বপ্ন নাকি সত্যি?।।
ইশফাক না রিসিপশনে গেছে না কিছু করেছে শুধু এলার হাত ধরে লিফটে ওঠা শুরু করলো।
১৪ তলায় পৌছে থামলো লিফট।
পরের লিফটে ম্যানেজার সহ ৪ জন এসে হাজির।
Pacific special রুমের দরজা খুলে আমাদের লাগেজ গুলো শিফট করে দিয়ে তারা বেরিয়ে পড়লো।।
জান ফ্রেশ হয়ে নাও।। খাবার টা আমি রুমে আনিয়ে নিচ্ছি,,আজকে রাতটা রেস্ট করে কাল সকাল চারিদিক ঘুরবো।।।এলার কপালে চুমু দিয়ে বললো ইশফাক।
হুম মুচকি হেসে জবাব দিলো এলা।
ওয়াশ্রুমের গিয়ে দেখছে সবকিছু অদ্ভুত,,কিভাবে কি করবে কিছুই বুঝতে পারছে না এলা,,সব মেশিনিকাল,,,বেসিনের পাইপের লক টা পর্যন্ত কিভাবে চালু করবে বুঝতে পারছে না সে।ওয়াশ্রুমের দরজা টা পর্যন্ত লাগাতে পারেনি ।নিজেকে ছোট লাগছে অনেক ফ্লোরে বসেই ফুপিয়ে ফুপিয়ে কান্না করতে শুরু করলো এলা,,।
ফুপানোর আওয়াজ শুনে ইশফাক চমকে উঠলো,ওয়াশ্রুমের সামনে গিয়ে দেখছে দরজা খোলা,, ভিতরে ঢুকে এলাকে কাঁদতে দেখে ঘাবড়ে গেলো ইশফাক।
দৌড়ে এলার পাশে গিয়ে নিচে বসে পড়লো।।
জান কি হয়েছে কাঁদছো কেন?এলায়া,,জান কিছু বলো,,না বললে কিভাবে বুঝবো।ইশফাক এর ও কান্না করে দেয়ার উপক্রম।
এলা ফুপিয়ে ফুপিয়ে এখনো কাঁদছে।।
জান কি হয়েছে?এখন আমিও কান্না কিরে দিবো৷ কিন্তু😢😢।
এলা কিছু বলছে না শুধু কাঁদছে।
এলাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো ইশফাক।
ব্যাথা পেয়েছো?নাকি ভয় লেগেছে জান?শান্ত গলায় জিজ্ঞেস করলো ইশফাক।
ইশফাক আমি আপনার যোগ্য না,,,আমি এই পরিবেশ এর সাথে খাপ খাই না,, নিজেকে খুব ছোট লাগছে,,এখানের কোন কিছুর যোগ্যতা আমার নেই,,আমি এমন একটা মেয়ে যে ওয়াস্রুম এর দরজা টা পর্যন্ত লাগাতে পারি নি,বেসিন এর পাইপ কিভাবে অন করে তা পর্যন্ত জানা নেই আমার।আমাকে কোথাও নিয়ে গেলে আপনার অপমান হতে হবে😭😭😭😭😭হাউমাউ করে কাঁদছে এলা।
সসসসসসস।।।।চুপ একদম।এলার গালে দুহাত দিয়ে এলাকে থামিয়ে দিলো ইশফাক।
জান কেউ ই শুরু থেকে কিছু শিখে আসে না,,সেই পরিবেশের সাথে মিশতে মিশতেই সব শিখে,,মা এর গর্ভ থেকে যেমন আমরা কিছু শিখে আসি না,যখন শিশু বেলায় আমরা হাটতে শিখি হোচট খেতে খেতে একটা পর্যায় হাটতে শিখি কথা বলতে শিখি,,,বড় হতে থাকি,, ঠিক তেমনি নতুন কিছু আমাদের জীবনে আসার পর তার সাথে মিশতে মিশতেই সব শিখে যায় ঠিক তোমার বেলায়ও কোন কিছু ব্যাতিক্রম না।যতদিন আমি আছি তোমাকে কোন কিছুর চিন্তা করতে হবে না,তুমি ইশফাক চৌধুরীর বউ তোমাকে এমন বিগড়ে যাওয়া মুডে মানায় না,,আর তোমাকে আমি আগলে নিয়েছি,,কখনো কারও কাছে ছোট হতে দিবো না তোমাকে। কান্না থামাও তোমার কান্না আমার একদম সহ্য হয় না জান।।
এলা ইশফাক কে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আছে,ইশফাক ও এলাকে তার বুকে শক্ত করে আকড়ে ধরেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here