addicted_love Part:8

0
1194

#addicted_love
Part:8
Writer:Aarizona Ella
উনার সাথে দেখা করে আসার পর থেকে কেমন জানি লাগছে, কি হচ্ছে আমার কিছু বুঝে উঠতে পারছিনা।
যতই দিন যাচ্ছে ততই উনার প্রতি টান টা কেমন জানি তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে।সব কিছুই এলোমেলো হয়ে গেছে।
শুধু উনার বলা কথা গুলা বার বার কানে বাজছে।
জব থেকে বাসায় ফিরতে আজকে লেট হয়ে গেছে।
রাত প্রায় ১১:৩০ হবে।সকাল থেকে হাল্কা হাল্কা বৃষ্টি ও হচ্ছে থেমে যাবে ভেবে ছাতা টাও আনিনি।
অঝোরে বৃষ্টি হওয়া শুরু করে দিয়েছে।একটা গাড়ি ও চোখে পরছে না।বারের পাশের একটি পাব্লিক ছাউনির নিচে গিয়ে দাঁড়লাম।অপেক্ষা করছি বৃষ্টি থামার আর আশেপাশে কোন রিকশা পাওয়া যায় কিনা।
উফফ প্রায় আধা ঘন্টা যাবৎ দাঁড়িয়ে আছি বৃষ্টি থামার নাম ও নিচ্ছে না।না কোন রিক্সা আসার আভাস পাওয়া যাচ্ছে।বৃষ্টি থামলে নাহয় হেটে অর্ধেক রাস্তা পার করা যেতো।
কয়েকজন ছেলে দেখি দুর থেকে হেটে হেটে আমার এইদিক দিয়েই আসছে।
আমার এদিকে আসতে দেখে কলিজার পানি শুকিয়ে একেবারে কাঠ হয়ে যাচ্ছে।
তাদের এদিকে আসতে দেখে বৃষ্টির পরোয়া না করে হাটা শুরু করলাম।
পিছনে তাকিয়ে দেখি আমাকেই ফলো করে আমার পিছন পিছনে আসছে।
হাটার গতি বাড়িয়ে দিলাম।দেখি তারা আমার সাথে সাথে তাদের গতিও বাড়িয়ে দিয়েছে।
এবার আমি নির্ঘাত বুঝে ফেলেছি আজকে আমার রেহাই নেই।
আমার ইজ্জত সম্মান আজকে বৃষ্টির পানির সাথে ধুয়ে যাবে।
হাটা বাদ দিয়ে এবার কোন ব্রেক ছাড়া ডাইরেক্ট দৌড়াতে শুরু করেছি।
এমনভাবে দৌড়াচ্ছি যে কোথায় যাচ্ছি নিজেও জানি না।
ভিজে পুরা চৌচির অবস্থা।আর দৌড়াতে পারছি না।দম বন্ধ হয়ে আসছে।এমন সময় হঠাৎ একটা কারের সামনে আছড়ে পড়লাম।
লোকটিও গাড়ি থামিয়ে নেমে এলেন!
ইশফাক চৌধুরী!!!
উনাকে সামনে দেখে জান ফিরে এলো।।।
একি তুমি এতো রাতে এখানে এই অবস্থায় কি করছো?(অস্থিরতা আর রাগের সাথে জিজ্ঞেস করলেন)ইশফাক।
জব থেকে বের হতে আজকে একটু দেরি হয়ে গিয়েছিল।পাব্লিক ছাউনির নিচে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলাম বৃষ্টি থামার জন্য।
কিন্তু হঠাৎ কিছু ছেলে আমাকে তাড়া করছিল।তাদের হাত থেকে বাঁচতে,,,,,,,,,,,,,,,,,,
পিছনে ফিরতেই দেখি ছেলেগুলো এসে হাজির।
উনি রাগান্বিত দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে আছে তাদের দিকে।টেনে আমাকে তার পিছনে এনে দাঁড় করালেন।
কি চায়?(চিৎকার করে তাদের বললেন)ইশফাক।
মালডা রে আমাগো দিয়া দেও।আজাইরা খেচাল করতে আইসো না।ভালো ভালোই কইতাসি।(ছেলেগুলা)
আয় আমার পিছন থেকে নিয়ে যা!( ইশফাক)
কি বলছেন এইসব পাগল হয়ে গেছেন নাকি?(চমকে)
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
আয় নিয়ে যা!তাদের উদ্দেশ্য করে বল্লো (ইশফাক)
তাদের থেকে একজন এগিয়ে আসছে আমাকে নিতে
তিনি হাত ফোল্ড করছে। আমার সামনে আসতেই তিনি ওই লোক টি কে আচমকা ধোলাই দিতে শুরু করে দিলেন।
সবাই এগিয়ে আসতে তিনি এক একটা কে মেরে তক্তা বানাচ্ছেন।তাদের মধ্যে একজন উনার মুখে একটি ঘুসি মেরে দিতেই উনি আরও হিংস্র হয়ে গিয়ে তাদের ইচ্ছা মতো মেরে রক্তাক্ত করে দিলেন।
যদি প্রানের ভয় থাকে তাহলে এখনো সময় আছে চলে যা।
এমন কারো সাহস হয় নি এখনো যে ইশফাক চৌধুরী কে হারাতে পেরছে।(ইশফাক)
সবাই মর্মান্তিক ভাবে আহত।যে যার মতো প্রান বাঁচিয়ে পালালো।
এতো রাত পর্যন্ত বাইরে থাকার কি দরকার হা?এমন কি হয়েছে যে এতো রাত পর্যন্ত তোমাকে বাইরে থাকতেই হবে।সময়ের খেয়াল রাখাটা কি প্রয়োজন ছিলো না?সবসময় আমি আসবো না তোমাকে বাচাতে।আজকে কো–ইন্সিডেন্টলি যদি আমি না আসতাম তাহলে কি হতো তার আন্দাজা আছে তোমার? (অনেক জোরে চিতকার করে)ইশফাক।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,(চোখ থেকে অনা বরত পানি পরছে উনার কথা গুলো কাটার মতো বিধছে)
i am sorry.মাথা ঠিক ছিল না যার কারনে একটু বেশিই বলে ফেলেছি।যদি ওরা তোমার কোন করতো তাহলে কি হতো বলো?(খুব নরম স্বরে বল্লো (ইশফাক)
উনার দিকে মাথা তুলে তাকাতেই দেখি উনার ঠোঁটের কোনে থেকে রক্ত পরছে। দেখে কেনো জানি খুব খারাপ লাগলো।
আপনার ঠোঁট থেকে রক্তে পরছে।আমি দু:খিত আমার কারনে আজকে আপনি এতো টা ব্যাথা পেয়েছেন(মাথা নিচু করে কাদতে কাদতে বললাম কথা গুলো)
আমি ব্যাথা পেয়েছি এটা বড় বেপার না।বড় ব্যাপার হলো আমার এই ব্যাথার বিনিময়ে তোমাকে আমি ওই কুকুরদের হাত থেকে বাঁচাতে পেরেছি।এর বেশি কিছু চাই নি আমি।(ইশফাক)
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,(লোকটা এতো ভালো কেন।এই লোকের মায়া আমাকে এতো টানছে কেন?) মনে মনে।
কি ভাবছেন ম্যাডাম?( ইশফাক)
কই কিছু না।ওড়না নিয়ে উনার ঠোঁটে থাকা রক্ত মুছতে গেলে তিনি আমার হাত ধরে ফেললেন।
কি করছেন ম্যাডাম?(ইশফাক)
আসলে রক্ত আমার একদম সহ্য হয় না তাই মুছে দিচ্ছিলাম।(আমতা আমতা করে বললাম)
তাহলে ঠিক আছে ম্যাডাম মুছে দিন।।।(মুচকি হেসে)।।[ইশফাক]
হুম।(ওড়না উনার ঠোঁটে লাগিয়ে)
আহহহহহহহহহহ(হাল্কা চেচিয়ে) [ইশফাক]
উফফ sorry sorry!(অস্থির হয়ে)
It’s ok(হেসে)[ইশফাক]
হুম।।।।(মুচকি হেসে)
চলো।রাত অনেক হয়েছে।গাড়ি তে উঠো(ইশফাক)
চুপচাপ গাড়ি তে উঠে পড়লাম।
আড়চোখে তাকিয়ে আছি উনার দিকে।খুব মায়া কাজ করছে উনার জন্য। অজানা এক অনুভুতি আমার মনে আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে।
গাড়ি থামিয়ে।
তোমার গন্তব্যে চলে এসেছি(ইশফাক)
জানি না কিভাবে আপনার শুকক্রিয়া আদায় করবো কিন্তু আজকে আপনি আমার জিবনের অনেক বড় একটা ক্ষতি হতে বাঁচিয়েছেন আমার লাকি চার্ম হয়ে।অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।যদি কখনো সময় পান তবে আমার বাসায় অবশ্যই আসবেন।
খুব শিগগিরীই আসবো। আজকে আমি আসি।(ইশফাক)
আল্লাহ হাফেজ।
উনি গাড়ি ঘুরিয়ে চলে গেলেন।উনার যাওয়ার পানে চেয়ে আছি।
চলবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here