addicted_love Part:9

0
1176

#addicted_love
Part:9
Writer:Aarizona Ella
বেল দিচ্ছি।মা দরজা খুলতেই
ঠাসসসসসসসসসসসসসসস!
গালে হাত দিয়ে অবাক হয়ে মায়ের দিকে তাকিয়ে আছি।চোখ থেকে শুধু পানিই পরছে।
এতোদিন ভাবতাম আমার মেয়ে কখনো আমার দেওয়া শিক্ষাকে আলিংগন করবে না।কিন্তু আমি ভুল ছিলাম দোস আমার যে আমি তোকে এতো বিশ্বাস করে কখনো কোন কিছুর জন্য প্রশ্ন করি নি।আর তার বিনিময়ে তুই আমাকে আজ এই দিন দেখিয়েছিস।(মা)খুব রেগে আছে।
কিন্তু আমার অপরাধ টা কি মা?(কান্না করতে করতে)
কে ছিল রে ওই ছেলেটা? আর ক টা বাজছে জানিস তুই?(মা)
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,(শুধু অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি মায়ের দিকে)
চুপ করে আছিস কেন?বলবিই বা কি আর!এতো রাতে আমার নাক কাটিয়ে এসেছিস আর কিই বা মুখ আছে তোর যে সাফায় গাইবি।(মা)
মা আ আ আ আ!!আমার কথা টা তো শুনো একবার।
কোন কথা শুনতে চাচ্ছি না আমি।আমার দেওয়া শিক্ষাতেই কোন কমতি ছিল।এতো রাতে বাসায় এসেছিস তাও একটা ছেলের সাথে একটুও লজ্জা করলো না তোর।(মা)
মা(অঝোরে কাঁদতে লাগ্লাম)
কাল থেকে যেতে হবে না কোথাও। কোন চাক্রিও করতে হবে না!তোর মামা আমার জমির বাবদ মাইনে খরচ পাঠিয়ে দিবে।
,,,,,,,,,,,,,,,,(জিজ্ঞাসু দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে)
হা জমি ভাড়াতে দিয়েছি।(মা)
কাপর পালটে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে খেয়ে নে।বেড়ে রেখেছি।(ঝাড়ি দিয়ে)[মা]
মাথা খুব ব্যাথা করছে।কান্নার জন্ন্য চোখে কিছু দেখছি না।
ওয়াস্রুম এ গিয়ে প্রায় আধা ঘন্টা যাবৎ কান্না করেছি।মা কখনো আমাকে এভাবে বকে নি।
বকেছে তার জন্য কোন দু:খ নেই কিন্তু মা আমাকে আজকে না বুঝে অবিশ্বাস করেছে।ইচ্ছে করছে মরে যেতে।
কিন্তু আমি মরে গেলে যে মা একা হয়ে যাবে।
ফ্রেশ হয়ে কাপড় চেঞ্জ করলাম।না খেয়েই শুয়ে পারলাম। খুব ক্লান্ত লাগছে আজকে।তাই ঘুম টা ও আসতে দেরি করে নি।
আজকে ৩ দিন আমি জব এ যাচ্ছি না।
মাও আমার সাথে কেমন জানি ভার ভার হয়ে কথা বলে।কোন প্রয়োজন ছাড়া কথা বলছে না।যেটা আমাকে খুব কস্ট দিচ্ছে।মাকে কিভাবে বোঝাব যে আমার কোন দোস নেই।
কেমনে কি বলবো মা তো আমার সাথে কথাই বলছে না।
উফফফফফ খুব অসহ্য লাগছে মায়ের এই ব্যাবহার।
সন্ধ্যায় আমার রুমের জানালা দিয়ে মেঘলা আকাশ দেখছি।আকাশটা ও আজকে ফ্যাকাশে হয়ে আছে।মনে হয় ঝুম বৃষ্টি শুরু হবে!
এমন সময় কলিং বেল এর আওয়াজ শুনতে পেলাম।
কে আপনি?(মা)
আসসালামু আলাইকুম আন্টি(,,,,,,,,,)
ওয়ালাইকুম আসসালাম।কে আপনি? কাকে চাচ্ছেন?(মা)
এটা কি মিস এলার বাড়ি?আর যদি আমার ভুল না হয় তবে আপনি এলার মা?(…………)
হা কিন্তু আপনি কে?(মা)
আমি ইশফাক চৌধুরী। আসলে এলার কিছু জিনিস আমার কাছে রয়ে গিয়েছিল তা ফিরিয়ে দিতে এসেছি।(ইশফাক)।
এলার সাথে আপনার কিভবে পরিচয়? (মা)
জি আমি এলার একটা বন্ধুর মতো।আন্টি বাসায় আসতে বলবেন না আমায়?(ইশফাক)
হা বাবা অবশ্যয়।ভিতরে আসো।(মা)
সোফায় বসো। আমি এলা কে ডেকে আনছি।
পুরা ঘর চোখ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখছি।
এতো খারাপ ও না।গরিব হিসেবে ঘর খুব ভালোই সাজিয়েছে।(ইশফাক)মনে মনে।
আসসালামু আলাইকুম কিভাবে আসা হলো আমাদের বাসায়?(আমি)
ওয়ালাইকুম আসসালাম।কেমন আছো এলা?(ইশফাক)
জি ভালো আপনি?
হা আছি আর কি কোনরকম।(ইশফাক)
তা কিভাবে আসা হলো আমদের বাড়িতে?
ওইদিন তোমার ব্যাগ আমার গাড়ির সামনে পড়েছিল ওটা তুলে গাড়িতে রেখেছিলাম।মারামারির চক্করে ব্যাগ এর কথা ভুলে গিয়েছিলাম দিতে।বাসায় ফিরে দেখি তোমার ফোন আরও অনেক কিছুই আছে ভেবেছি হয়তো তোমার প্রয়োজনীয় হতে পারে।বারে গিয়েছিলাম তোমার জন্য। কিন্তু তুমি আসো নি পর পর ৩ দিন অপেক্ষা করেছি তুমি আসার কিন্তু আসোনি। ভেবেছি বৃষ্টিতে ভিজার কারনে হয়তো তুমি অসুস্থ হয়ে গেছো তাই ভাবলাম তোমার ব্যাগ ফিরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি তোমাকে একফাকে দেখেও যাই এক কাজের দুই কাজ হবে।(ইশফাক)
ওহ আচ্ছা অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।তবে আমি মোটেও অসুস্থ নই।আপনি এসেছেন আমি অনেক খুশি হয়েছি।(মুচকি হেসে)
তাহলে জব এ গেলা না কেন এই ৩ দিন?(মা)
ছেড়ে দিয়েছি মা বারন করেছে।(মন খারাপ করে)
ওহ আচ্ছা।ওইদিন তুমি দেরিতে আসায় হয়তো আন্টি ভুল বুঝেছে।(ইশফাক)
চা আর নাস্তার সাথে মা এর আগমন।
আরেহ আন্টি এইসব এর কি দরকার ছিল?খমাখা কষ্ট করেছেন। (ইশফাক)(দাঁড়িয়ে গিয়ে)।
এ তো কিছুই না বাবা তুমি অথিতি আমাদের।তাই এতে মোটেও কষ্টের কিছু নেই।তুমি বসো।(মা)
আন্টি( ইশফাক)
জ্বী?(ফিরে জওয়াব দিল)মা।
আপনার সাথে কিছু কথা ছিলো! আপনি প্লিজ বসুন(ইশফাক)
হুম বাবা বলো(বসতে বসতে বল্লো) মা।
আন্টি আপনি হয়তো এলা কে ভুল বুঝেছেন।আমি দু:খিত আপনার পারিবারিক বেপারে নাক গলানোর জন্য। কিন্তু আমার বলা টা জরুরি।(ইশফাক)
কিসের বেপারে?(অবাক হয়ে)মা।
ওই যে ওইদিন এর বেপারে।এলার বাসায় ফিরতে যেদিন দেরি হয়েছিলো। (ইশফাক)
,,,,,,,,,,,,,,,,(ইশফাক এর দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টি তে তাকিয়ে)।মা।
যতটুকু আমি বুঝেছি আপনার বুঝতে ভুল হয়েছিলো আন্টি।(ইশফাক)
তারপর ওইদিন এর সমস্ত ঘটনা খুলে বললেন মাকে।
আমি কাদছি(মাথা নিচু করে)
মা আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
আমাকে কিছু বললি না যে ওইদিন।?(মা)
তুমি বলার সুজোগ দিলা কবে?(অভিমানী কন্ঠে)।
স্যরি মা। আমাকে ক্ষমা করে দে।আমি অহেতুক ভুল বুঝেছি তোকে। ইশফাক না আসলে তো কখনো জানতাম ই না।[আমার দিকে এগিয়ে আসতে আসতে](মা)
আরে মা কি করছো?তুমি আমার মা আমার ভালোর জন্যই করেছো।ক্ষমা চাইতে হবে না তোমার।থাপ্পড় টা একটু কষেই পড়েছিল আর কি।যদিও বেথা একটু বেশিই পেয়েছিলাম।কিন্তু সমস্যা নেই আমি আবার ওতো দূর্বল না।(হেসে হেসে বললাম)
তাহলে আরেকটা দেওয়া যায় কি বলিস?(মা)
না না থাক আমি দুর্বল না হলেও আমার আবার থাপ্পড় খাওয়ার শক্তি ওতো নাই।হাহাহাহাহা
একটু বেশিই দুষ্টু হয়ে গেছেন আপনি!(মা)
হেহেহেহে(হাল্কা হেসে)
ধন্যবাদ বাবা তুমি যদি না বলতে এই মেয়ে কখনই কিছু বলতো না।মরে যাবে এরপরও মুখ খুলবে না।(মা)
আরেহ আন্টি কি যে বলেন।আমি আপনার ছেলের মতো তাই ধন্যবাদ দিয়ে আমাকে পর করে দিবেন না প্লিজ।হয়তো এটা আল্লাহর ইচ্ছা ছিলো যে এলার ব্যাগ ফিরিয়ে দেওয়ার ইংগিতে তিনি আমাকে হঠাৎ এখানে পাঠিয়েছেন।(ইশফাক)।
হুম বাবা।(গালে হাত বুলিয়ে) তোমরা কথা বলো।
না আন্টি আজকে যাই।আরেকদিন আসবো আর আপনার সাথে জমিয়ে আড্ডা দিব।(ইশফাক)
ঠিক আছে বাবা আবার এসো।(মা)
আসলে কিন্তু বিরক্ত হতে পারবেন না(হেসে হেসে বল্লো)
আরে ধুর পাগল।অবশ্যই আসবে।তুমি আসলে আমার খুব ভাল্লাগবে।(মা)
ঠিক আছে আন্টি আজকে আসি।(ইশফাক)
আচ্ছা বাবা।(মা)
নিজের খেয়াল রেখ আর এলা।মাকে দেখে রেখ।আসি(ইশফাক)।
আচ্ছা।
তিনি বের হয়ে গেলেন।আমি দরজা বন্ধ করার সময় তাকে আবার ডাক দিলাম।
শুনেন।
হা বলো?(আমার দিকে ফিরে)
ধন্যবাদ মায়ের ভুল ভাংগিয়ে দেওয়ার জন্য। (মুচকি হেসে বললাম)
ওটা আমার কর্তব্য ছিলো আর বার বার ধন্যবাদ দেওয়া বন্ধ না করলে মুখ সেলাই করে দিব কিন্তু, পাগল।(ভ্রু কুচকে)
আচ্ছা।আপনি কিভাবে জানলেন মা আমাকে ভুল বুঝে রেগে ছিলো?
ওইদিন রাতেই ব্যাগ ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য তোমার পিছু পিছু আসতেই দেখলাম আন্টি তোমাকে বকছে।তাই আর আসিনি।পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার অপেক্ষায় ছিলাম।(ইশফাক)
আমি উনার দিকে অপলক তাকিয়ে ছিলাম এতক্ষন। ইচ্ছে করছে আলতো করে ছুয়ে দিই।
একটা মানুষ এতো টা কজি কেম্নে হয়।(মনে মনে)
কি দেখছেন ম্যাডাম?(ইশফাক)
উনার কথাই ধ্যান ভাংলো।
ক ক ক,,, কই কিছু দেখছি না তো আপনার কথা শুনছিলাম।(আমতা আমতা করে উত্তর দিলাম)
যেতে দিবেন ম্যাডাম নাকি আজকে এখানেই রেখে দিবেন?(ইশফাক)
হাহাহাহাহাহা।।।
আচ্ছা আসি।(ইশফাক)মুচকি হেসে।
আচ্ছা।
চলবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here