প্রিয়তমা❤️ #সিজন_২ #writer-সালসাবিল সারা পর্ব-৪

0
965

#প্রিয়তমা❤️
#সিজন_২
#writer-সালসাবিল সারা
পর্ব-৪
*
*
কোচিং এ আসা যাওয়াটা জুমুর সাথেই করতে হয়।তাছাড়া ওর বাসা তো আমার বাসা থেকে পাঁচ মিনিটের পথ।আমাকে নামিয়ে দিয়ে এরপর জুমু ওদের বাসায় চলে যায়।

এভাবেই যাচ্ছে দিনকাল পড়ালেখার মাঝে।কোচিং এ সবাই আমাদের একটু বেশি কেয়্যার করে।আর কোচিং এর পরিচালক আদনান ভাই যিনি সাদিফ ভাইয়ার ফ্রেন্ড!! উনি তো প্রত্যেক ক্লাস শেষে এসে এসে জিজ্ঞেস করবে….

“ছোট আপু,আর জুমান তোমরা পড়া বুঝতে পারছো তো..?? না বুঝতে পারলে অবশ্যই আমাকে জানাবে।
আর কোনো সমস্যা হলেও আমাকেই বলবে।ঠিকাছে”?

আমি আর জুমু বেচারী কি আর করবো! উনার কথার উত্তরে দাঁত কেলিয়ে একটা হাসি দিই।।আর উনি মাথা নাড়িয়ে চলে যান।

আদনান ভাইয়ের এই ব্যাপারটা সত্যিই অদ্ভুত লাগে..!!

কারণ এত্তগুলো স্টুডেন্টের মাঝে উনি আমাদের দুইজন থেকেই পার্সোনালি জিজ্ঞেস করে কথাগুলো।
আর বাকি স্টুডেন্টদের থেকে শুধুই একবার জিজ্ঞেস করবে তাও সব ক্লাস শেষে।

অনেকেই এই নিয়ে কানাঘুষা করে…আমরা নাকি সাদিফ ভাইয়ার পাওয়ারের জন্যেই কোচিং এ এত কেয়ার পাই।কথাটা শুনলে মাথা খারাপ হলেও এটাই সত্যি কথা..!আসলেই তো উনারা সাদিফ ভাইয়াকে চিনে বিধায় আমাদের এত যত্ন নেন।

যদিও অন্যদের এসব কথা একদম সত্যি কিন্তু তাও এই কথা শুনতে মোটেও ভালো লাগে না..!!
কোচিং এর সবাই একজোট আর আমি,জুমু অন্য জোট।
যাক সমস্যা নেই..আমি আর জুমু দুইজন মিলে একাই দুইশো।।আমরা নিজেদের মতোই থাকি কোচিং এ..কে কি বললো ঐসব শুনে মন খারাপ করার কোনো মানেই হয় না।।

*
*
সকাল থেকে আজ প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে।একটু আগে থেকেই ঝড়ো হাওয়া শুরু হলো…!

আজ মনে হয় আর কোচিং যাওয়া হবে না।যাক ভালই হলো..!!

এতোক্ষণ বই খাতা নিয়ে বসে ছিলাম আর বৃষ্টি দেখছিলাম।কিন্তু বৃষ্টির বেগ বুঝে আমার মনে শান্তির হওয়া বইতে লাগলো… কারণ আজ কোচিং এ যাওয়া হবে না।।তাও নিচ থেকে ঘুরে এসে জুমুকে একটা কল দিবো।

নাচতে নাচতে নিচে নেমে এলাম।মা রান্নাঘরে কাজ করছে।আর ভাবী রুমে। ভাইয়াও আজকে যায় নি অফিসে।কিভাবে যাবে এই বৃষ্টির মাঝে..??
কিন্তু রাফসান ভাই গেলো ফুটবল খেলতে।।

রান্নাঘরে গিয়েই মাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলাম…

“আম্মাজান..আজকে প্লিজ ভুনা খিচুড়ি করো না!সাথে গরু মাংস ভুনা করো।প্লিজ”???

মা আমার দিকে ফিরে বললো…

” খিচুড়ি নাহয় করলাম..কিন্তু গরু মাংস যে খাবেন আপনার এলার্জির কি হবে”???

“মা..এক পিস খেলে কিছুই হবে না।আর শুধু কি আমার জন্যে রান্না করবে নাকি?বাসার বাকি সবাই তো খাবেই..। সো নো বাড়াবাড়ি আজকে তুমি খিচুড়ি আর গরু ভুনা করবেই।।।
হেল্প লাগলে বলো??আর না লাগলে গেলাম আমি। জুমুকে ফোন করতে হবে”।

“আচ্ছা আমার ফুল।রান্না করে দিবো।কিন্তু মাংস এক পিসের বেশি খাওয়া যাবে না।আর আমার লাগবে না সাহায্য।যা তুই”।

আম্মাজানের কপালে একটা চুমু দিয়ে আবারো নাচতে নাচতে গেলাম বাবার রুমে।

গিয়ে দেখলাম বাবা আমার এই ঠান্ডা আবহাওয়ায় ঘুম বিলাস করছে।

ভাবলাম বাবার সাথে আড্ডা দিবো কিন্তু এখন তো তা অসম্ভব।

রুমে গিয়েই জুমুকে কল দিলাম…একটুপরে সে কল রিসিভ করলো…

“হ্যাঁ ফুল বল”…(ঘুম ঘুম কণ্ঠে)

“বেব তুই এখনো ঘুম..!!ভাই আজকে যা বৃষ্টি হচ্ছে কোচিং এ তো যাওয়া লাগবে না।
আমার না অনেক খুশি লাগছে।।আজ আর তিন ঘণ্টা বসে থাকতে হবে না”।

“কি যে বলিস না।দেখবি একটু পরেই বৃষ্টি নেই।এখনকার বৃষ্টি তো শুধু এখনই তুফান এসে উল্টিয়ে দেই আর এখনই আবার রোদে চিকচিক।
আজ আবার পরীক্ষাও আছে।দোআ করি যেনো বৃষ্টি চলে না যাক”।

“হ্যাঁ।আমি রাতেই পড়ে নিয়েছিলাম পরীক্ষার পড়া।আমিও দোআ করি বৃষ্টি না যাওয়ার জন্যে।
পরীক্ষা হলে তো দুই ঘণ্টা হবে তারমানে তিনটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত থাকবে আজকে কোচিং”।

“আচ্ছা বেব।কল রাখছি।তোর ভাইয়া কল দিচ্ছে। পরে ফোন দিবো”।

“হুঁ।যা যা প্রেম কর”।

কল কেটেই আফসোস করতে লাগলাম।ইসস আজ যদি একটা প্রেমিক থাকতো আমিও তাহলে এতক্ষণ ফোনে কথা বলে বলে বৃষ্টি বিলাস করতাম।কিন্তু আফসোস এত প্রপোজাল আসার পরেও আমার কেনো যেনো কোনো ছেলেকে মনে ধরে নিই।

আর আমার গুণধর সাদিফ ভাইয়া সে তো আমাকে অনেক আগেই থ্রেট দিয়ে রেখেছেন।।এসব ছেলেপেলের সাথে কথা বলতে দেখলেও নাকি আমাকে মেরে ভূত বানিয়ে দিবে…।

উনার এসব কথা শুনলে আমার গা জ্বলে যায়।। একেতো নিজে এক পাথর।প্রেম, ভালোবাসা বুঝে না।তাইতো আমাকে নিজের মতো পাথর বানাতে চাচ্ছে।।

অবশ্য প্রেম করার কোনো মন মানসিকতা আমার নেই।কারণ , সাদিফ ভাইয়ার এক কাণ্ড দেখে আমার আক্কেল হয়েছে।।
এই গল্প অন্য একদিন বলবো!!

আর প্রেম যারা করে ওদের অবস্থা মাঝে মাঝে এমন করুণ হয়… কান্নাকাটি করে একেবারে অবস্থা বারোটা বাজিয়ে ফেলে। এত কান্নাকাটি করার চেয়ে প্রেম না করায় ভালো।

আল্লাহ্ জানেন আমার কপালে কি আছে।

🌸

দুপুর একটার দিকে রোদ উঠে চকচক।এসবের কোনো মানে হয় নাকি??? কোথায় ভাবলাম আজকে দুপুরে একটা জোরে সোরে ঘুম দিবো আর এখন..!!কি থেকে কি হয়ে গেলো!!

একরাশ কষ্ট নিয়ে নামাজ পড়ে নিলাম।নামায শেষে একেবারে নিচে চলে গেলাম।ভাবী,ভাইয়া,মা,বাবা সবাই লিভিংরুমে বসে আছে। আমাকে দেখামাত্রই ভাবী বলে উঠলেন….

“ফুল!আজ কি কোচিং যাবে”?

“ভেবেছিলাম যাবো না কোচিং,কিন্তু এখন দেখো বাহিরে রোদে ফকফকা।ভাল্লাগে এসব ভাবী??আর আজকে পরীক্ষাও আছে।তাই যেতে হবে অবশ্যই”।

“আচ্ছা তবে খেয়ে নাও এখনই।তুমি তো আবার লাঞ্চ করে একটু ঘুমাও”।

আমার সাথে একেবারে সবাই একসাথে লাঞ্চ করে নিলো।

লাঞ্চ করেই রুমে গিয়ে চিত হয়ে শুয়ে পড়লাম।উফফ একটুও মন চাচ্ছে না কোচিং যেতে।

*
*

ঘুম থেকে উঠে দেখলাম ঘড়িতে এখন ২.১০।
হায় আল্লাহ্!!আজ কি কোচিং যেতে লেট হয়ে যাবে??
তাড়াহুড়ো করে রেডি হওয়া শুরু করলাম।।

এর পাঁচ মিনিট পরেই দরজায় কেউ নক করলো।।আর আমি কাপড় পড়তে পড়তেই দরজা খুলে দিলাম।কারণ আমি জানি এখন আমার জুমুজান ই আসবে।

আমাকে দেখে জুমু একপ্রকার চিল্লিয়ে বলতে লাগলো..

“এখনো কাপড় নিয়ে টানাটানি করছিস??আজ এক্সাম দিতে খুব ভালই লেট হবে”।।

কথাটা বলেই জুমু আমার ব্যাগ গোছাতে লাগলো।

আর আমি চটপট কোনমতে কামিজ পড়ে ওরনা জড়িয়ে নিয়ে, চুল গুলো একটা খোঁপা করে নিলাম।

কোচিং এ পৌঁছাতে দশ মিনিট লেট হলো।কোচিং এ গিয়েই তাড়াতাড়ি লিখে শুরু করে দিলাম।

লিখার মাঝেই জানালা দিয়ে খেয়াল করলাম বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে।।তার মানে আবার বৃষ্টি আসবে..!!!

ইয়াহু!!!
পাশে বসা জুমুকে মিন মিন করে বললাম….

“বেবি!!! ইটস গোইং টু রেইন।আমরা ভিজবো আজকে বৃষ্টিতে..প্লিজ!!!আর বাসায় তো জানে না আজকে আমাদের একঘন্টা আগে ছুটি।তাই আমরা পূর্ব পাশের রাস্তাটাতে গিয়ে চিল করবো আর ভিজবো।ঐদিকে কখনো যায় নি আমরা”।

আমার কথায় জুমু ওর কুনুই দিয়ে আমার পেটের পাশে
একটা গুতা দিলো।।আর চোখ বড় করে বলতে লাগলো..

“ভাইয়া নিতে আসবে আজকে।ওর নাকি এইদিকে কাজ আছে।ভিজতে দেখলে রাস্তায়, মেরে চ্যাপ্টা করবে দুনোজনকে”।

আর কিছু বললাম না কারণ হলের গার্ড বার বার আমাদের দিকে নজর দিচ্ছিলেন।যা হবে এক্সাম শেষে হবে।।

🌸

টাইম শেষ হওয়ার আগেই এক্সাম শেষ হয়ে গেল।।আমি আর জুমু মিলে কোচিং এর করিডোরে দাঁড়িয়ে আছি।
আদনান ভাই এসে একবার জিজ্ঞেস করে গেলেন আমরা এখানে কেন দাঁড়িয়ে আছি।
উনার কথার উত্তরে জুমু বলল.. “কিছুনা গাড়ির জন্য ওয়েট করছি”।
আদনান ভাইয়া আর কিছু না বলে চলে গেলেন।

বাইরে তুমুল বৃষ্টি পড়ছে। আজ কেন জানি বৃষ্টিতে ভেজার লোভটা আমাকে খুব ভালোভাবেই জেঁকে ধরেছে।।

“বোন,প্লিজ আয় না।পাঁচ মিনিট পরেই চলে আসবো।এখন মাত্র ৪.৪০বাজে। আয়”।

“দোস্ত…তোর জ্বর”…

জুমুকে কিছু বলতে না দিয়ে একটানে বাইরে নিয়ে গেলাম।।ঝুম বৃষ্টিতে আমি জুমুর হাত ধরে টানতে টানতে দৌড়াচ্ছি।।

আর পিছনে আদনান ভাই আমাদের ডাকছে।।

কিন্তু আমরা থেমে নেই।।এইদিকে জুমুও একেবারে চুপ হয়ে গেলো।কারণ এই বৃষ্টির মুগ্ধতা কারো উপেক্ষা করার শক্তি নেই।।

এক দৌড়েই আমরা পূর্ব দিকের রাস্তায় চলে এলাম।অনেক সুন্দর এই জায়গাটা।সবুজে ঘেরা,সাথে এই বৃষ্টির ছোঁয়া..জায়গাটাকে আরো মুগ্ধকর করে তুলেছে।

চুল গুলো খুলে দিলাম।আর মোবাইল তো একেবারে বইএর ভিতরে ঢুকিয়ে নিলাম যেনো পানি না লাগে।।

আমি আর জুমু অনেক আয়েশ করে ভিজছি।। আশে পাশে দু একটা গাড়ি যাচ্ছে।।এই দিকটা একদম নিরব।।

“জুমু!! কয়টা বাজে”??

“৪.৫৮”(হাতে থাকা ঘড়ির দিকে তাকিয়ে)

“মাত্রই??কিন্তু মনে হচ্ছে অনেক্ষণ হলো।।যাক ভালই।।আরো ভেজা যাবে কিছুক্ষণ”।

কথাটা বলেই আবারো মেতে উঠলাম দুইজনে বৃষ্টি বিলাস করতে।

কিন্তু একটু পরেই খেয়াল করলাম চারপাশে সন্ধ্যা নেমে গেলো আর পরিবেশটা আরো বেশি শান্ত হয়ে গেলো।

“শেফা.. এবার চল ফিরে যায়”।

“এখন কয়টা বাজে”??

“৪.৫৮???? দোস্ত….আমার ঘড়ি নষ্ট”।।(অবাক হয়ে জুমু বলে উঠলো)

এদিকে আমি তো শুনেই শেষ…তারমানে এখন সন্ধ্যা নেমে গেলো।। দোস্ত দৌড় লাগা। সাদিফ ভাইয়া আজকে আমাদের মেরেই ফেলবেন।।

দুইজনই দৌড় দিলাম।কিন্তু কোনদিকে যাবো আর বুঝছিনা।।
এদিকে কোনো ছাউনী নেই।।যার কারণে মোবাইল বের করতে পারছিনা।।এত দামী মোবাইল বৃষ্টিতে ভিজলে শেষ।।।

দুইজন কিছুক্ষণ চিন্তা করতে লাগলাম কোনদিকে যাবো।।কিন্তু না বুঝতে পারছি না।

কোত্থেকে একটা গাড়ি আমাদের সামনে এসে দাঁড়ালো আর ঐ গাড়ি থেকে বের হলেন এক তরুণ ছেলে সাথে তার ড্রাইভার ।

“এই যে তোমরা..এক রাতের কত নাও”???

কথাটা শুনে এক বিশ্রী গালি আসলো মুখে।।।
চুপ না থেকে বলে উঠলাম….

“ওই শালা..তোর কি আমাদের পতিতা মনে হচ্ছে??এমন জায়গায় মারবো না একেবারে জান বের করে দিবো”…!!!

আমার কথায় ছেলেটা বিশ্রী ভাবে হাসতে লাগলো আর একহাতে আমার হাত চেপে ধরলো,অন্যদিকে ড্রাইভার চেপে ধরলো জুমুর হাত।।

দুইজন যতই সাহস দেখায় না কেনো…এখনতো প্রাণটা উড়ে যাচ্ছে ভয়ে।।কিন্তু ভয় পেলে তো ইজ্জত যাবে।
তাই জুমু আমার দিকে ইশারা করতেই দিলাম দুইজনে ঐ কুকুর দুইটার মেইন পয়েন্টে লাত্থি।

সাথে সাথেই দুইজন ছিটকে পড়ে কাতরাতে লাগলো..!!

আর আমার তো ভয় আর ঠান্ডায় গা কাঁপছে।।আজ বেশ জ্বর আসবে বুঝতেই পারছি।এমনিও আমার ঠান্ডায় খুব বেশি সমস্যা আছে।।

এমন জোরে মেরেছি… এরা দুইজন উঠতে পারছে না।আমি আর জুমু আবারো দৌড় দিতে যাবো..তখন দেখলাম হঠাৎ একটা গাড়ি স্পিডে এসে থেমে গেলো আমাদের সামনে।।

গাড়ি থেকে নেমে এলো সাদিফ ভাইয়া।।চোখ তার প্রচন্ড লাল।পাঞ্জাবির এক হাতা বটানো আরেক হাতা এলোমেলো।।বুঝায় যাচ্ছে উনার উপরে ঝড় বয়ে গেলো।।কিন্তু এই ঝড় বৃষ্টির ঝড় না।।।অন্যরকম ঝড়।। আর এই ঝড়ে আমি ভেসে যাবো অনেক দূরে তাও খুব বাজে ভাবে।

এটা আমি খুব ভালো করে বুঝছি।।।

চলবে..❤️

ফেইক আইডির ঝামেলা প্লাস খালামনির মারা যাওয়াটা আমার উপর এক অন্যরকম প্রভাব ফেলেছে।
অনেক কষ্ট করে এই পার্ট লিখলাম।।
আর আপনাদের রেসপন্স দেখে বুঝলাম এই গল্প আপনাদের আর ভাল্লাগছে না।।।
দয়া করে নেক্সট কমেন্ট করবেন না।।যদি পারেন তো একটু ভালো কমেন্ট করবেন।।আর আপনাদের যদি রেসপন্স না পাই,ভালোবাসা না পাই তবে এত কষ্ট করে গল্প লিখে আমার কি লাভ হবে।।।
আর আমার এই একটাই আইডি আছে।।ফেক আইডি থেকে দূরে থাকুন প্লাস আমার গল্প অন্যকেউ কপি করলে আমাকে জানাবেন🙂
হ্যাপী রিডিং 🙂

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here