প্রিয়তমা❤️ #সিজন_২ #writer- সালসাবিল সারা পর্ব-২৮

0
968

#প্রিয়তমা❤️
#সিজন_২
#writer- সালসাবিল সারা
পর্ব-২৮
*
*
ইতি আপুর বিয়ে ঠিক হলো আগস্ট মাসের পাঁচ তারিখে। এখন চলছে মাত্র এপ্রিল মাস। রাফিদ ভাইয়ার একটা বড় ডিল হয়েছে, যার কারণে উনাকে স্পেনে যেতে হবে তিন মাসের জন্যে।অবশ্য এক সপ্তাহ পরেই ওদের একটা গ্র্যান্ড এনগেজমেন্ট পার্টি হবে।

বিয়েও আর্লি হয়ে যেতো,কিন্তু ইতি আপু নাকি সব তার মন মতো সাজাবে বিয়েতে। সে কোনো তাড়াহুড়োয় বিয়ে করতে রাজি না।তাই,সবাই মিলে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

মেহমান চলে গিয়েছে বেশ কিছুক্ষণ হলো।আমি সেই যে রুমে ঢুকেছিলাম আর বের হইনি।আমার পেট ব্যাথা ছিলো প্রচন্ড।রাফিদ ভাইয়া, রাফা আপু আর সুজানা আপু রুমে এসে আমাকে বিদায় দিয়ে গিয়েছিলো।

এখন শুধু আমরা ছাড়া আর কোনো মেহমান নেই। সাদিফ ভাইয়ার ফুফুরাও চলে গিয়েছে।লিভিং রুমে একটা বড় মিটিং বসেছে দুই পরিবারের মানে আমার পরিবার আর ইতি আপুর পরিবারের মাঝে।সবাই আজ বেশ খুশি। রাফিদ ভাইয়ার ফ্যামিলি বেশ ভালো, বেশ মিশুক টাইপ। সবাই অনেক পছন্দ করেছেন উনাদের।

খালামণি আর খালুও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন।কারণ উনাদের মেয়েকে ঠিক জায়গায়ই বিয়ে দিচ্ছেন।
এখন সবার কথার মূল টপিক এনগেজমেন্ট পার্টি নিয়ে।বড়রা কথা বলছেন এই বিষয়ে আর আমি এবং জুমু বসে বসে মোবাইল গুতাচ্ছি।
আমি সোফায় হেলান দিয়ে বসে আছি আর জুমু আমার কোলে শুয়ে আছে।

“এই শেফা দেখ দেখ”!(আমার দিকে মোবাইল এগিয়ে জুমু বললো)

আমি ভ্রু কুঁচকে বললাম…

“কি দেখবো???”

“ইজহার ভাইয়া রিকুয়েস্ট দিয়েছে”।(জুমু খুশিতে নেচে উঠলো আমার কোলের উপরেই)

“তো?এমন ভাব করছিস যেনো কোনো বড় সেলিব্রেটি রিকুয়েস্ট দিয়েছে”।(আমি)

আমাদের কথার মাঝে হঠাৎ সাদিফ ভাইয়ার কথা ভেসে এলো।

“এই জুমান! নাচতে হলে নিচে নেমে নাচ।ওর কোলের ওপর এভাবে করছিস কেনো”?(রাগী ভাবে)

জুমু নাচ বন্ধ করে দিলো।কিন্তু আমাকে ফিসফিস করে বললো…

“দেখেছিস আমার ভাইয়ের প্রেম।উফফ কি ভালোবাসা!তো কতটুক আগালো তোদের প্রেম”?

“হুয়াট প্রেম?কিছুই না এমন। উনি এমনিও বেশি বেশি করে আমাকে নিয়ে। বাদ দে,আর তুই তোর ইজহার ভাইয়ার রিকুয়েস্ট একসেপ্ট কর”।(আমি)

“ওহহ হ্যাঁ।আচ্ছা করছি”।(জুমু)

জুমু মোবাইল নিয়ে আবারো ব্যস্ত হয়ে গেলো।আর আমি দেখছি সাদিফ ভাইয়াকে।শার্টের বোতাম আবারো খুলে দিয়েছেন উনি। অবশ্য একটু আগেই খুলেছেন বোতাম,আমি সেটা দেখে নিয়েছি। হিহিহি!

খুব মনোযোগ দিয়ে উনি সবার সাথে কথা বলছেন। এক পা সোজা করে,অন্য পা সোফায় গুটিয়ে বসেছেন।এক হাত সোফার উপর দিয়ে রেখে অন্য হাত নাড়িয়ে কথা বলছেন উনি।সোফায় যে স্টাইলে আছেন,এটাকে বসা বলে না আধশোয়া বলে।কিছুক্ষণ পর পর আবার উনার ঘন চুলের উপরে হাতও বুলাচ্ছেন।
উনার দিক থেকে চোখ ফিরাতে মনই চাচ্ছে না।ইচ্ছে করছে দেখতেই থাকি।

“আমার ভাইয়ার দিকে এভাবে তাকিয়ে আছিস।আর আমি প্রেম,ভালোবাসা বললেই দোষ”?(জুমু)

জুমুর কথায় আমার ঘোর কাটলো।আমি দাঁত বের করে একটা হাসি দিলাম।

জুমুর মাথায় হাত বুলিয়ে বললাম…

“বোন আমার উপরে চল।কিছু কথা আছে”।

জুমু খুশি হয়ে বললো…

“আমার মন যা বলছে,সেই কথাটাই যদি তুই বলিস…… তবে আমি তোকে মাথায় তুলে নাচ দিবো”।

“নো।কোনো দরকার নাই।তোর মাথায় আমি উঠতে চায় না।এখন জলদি চল,বেশি লেট করলে আমি আর বলবোই না তোকে”।(আমি)

“না না। এখনই চল”।
জুমু উঠে আমার হাত ধরে টান দিতেই আমি সোফা থেকে উঠে পড়লাম।এরপর আমরা একসাথে উপরে চলে গেলাম।

“বিশ মিনিট ধরে বসে আছি।কিছু কি বলবি?নখ কামড়াতে কামড়াতে তো আঙ্গুলই খেয়ে ফেলবি।দেখ ফুল,এত নার্ভাসের কি আছে?এমন ভাব করছিস যেনো তুই বাসর ঘরে বসে আছিস। চিল মার দোস্ত।বলে ফেল,কি ঘটনা”!

“ভাই”…(আমি)

“হুঁ ভাই…বল।আমি আছি তো।বলে ফেল”।(জুমু আমার কাঁধে হাত রেখে বললো)

“তোর ভাইকে আমি”…
বলতে নিলেই জুমু চেঁচিয়ে উঠলো..

“স্টপ”!!

মোবাইলে কিছু একটা করে এইবার জুমু বললো..

“হ্যাঁ এইবার বল।আমি একদম রেডি শুনার জন্যে।”

আমি এক নিঃশ্বাসে চোখ বন্ধ করে বলে ফেললাম…

“আমার সাদিফ ভাইয়াকে অনেক ভালো লাগে।উনার দিকে কেউ তাকিয়ে থাকলে আমার গায়ে আগুন জ্বলে।কিন্তু আমি নিজে উনার দিকে তাকিয়ে থাকলে আমার মনে হয় যেনো আমি কোনো একটা শান্তির দেশে আছি।আমার প্রতি উনার কেয়ারগুলো আমার অনেক ভালোলাগে।যদিও উনি বেশ রাগী,তবে আমার ইদানিং উনার রাগগুলো ভালো লাগে।উনার হাসি,উনার রাগ সব সব আমার বেশ ভালো লাগে।এখন আমি বুঝছিনা আমার কি হলো।কি নাম দিবো আমি এই অনুভূতির”?

চোখ খুলে দেখি জুমু আমার দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে আছে।

আমি ওর দিকে তাকিয়ে,মাথা নিচু করে ফেললাম।
আমি জানি আমার ভুল মানুষকে মনে ধরেছে। হয়তো উনি আমার কপালেই নেই।

আমি কিছু বলতে যাবো, অমনিই জুমু আমাকে জড়িয়ে ধরলো…

“ও ভাই মারো মুঝে!তুই আমার ভাইকে লাইক করিস না গাঁধী… ভালোবাসিস।তোর এসব ফিলিংসকেই ভালোবাসা বলে।আল্লাহ্ এই মেয়ে আমার ভাবী হবে।ইয়াহু”।

আমি জুমুর মুখ চেপে ধরলাম।

“ভুলেও এসব কাউকে বলতে যাবি না।বলে দিলাম কিন্তু।কেউ শুনলে আমার মান সম্মান সব যাবে।আর সাদিফ ভাইয়া জানলে তো হাসতে হাসতে মরেই যাবে। ছি ভাই।আমার কিন্তু এখন কান্না পাচ্ছে”।

কান্না করার কথা বলতে বলতেই আমি কেঁদেই দিলাম।
আমার কান্না দেখে জুমু হাসতে লাগলো…

“আল্লাহ্!এই মেয়ে, কাঁদছিস কেনো? ভালোবাসার কথা বলে কেউ কান্না করে নাকি। আয় আমার বুকে আয়।সব ঠিক হবে দেখিস”।

“উনি যদি অন্য মেয়েকে লাইক করেন?আমার কি হবে তখন?আমি অনেক কষ্ট পাবো জুমু।আমি না, চেয়েও উনার জন্যে নিজের ফিলিংসটা থামাতে পারিনি।আমি জানি উনি আমার হবে না কখনোই”।(কান্না করে)

জুমু আমার মাথায় হাত বুলিয়ে বললো…

“একদম অলক্ষ্মী কথা বলবি না।আমার ভাই এর মনের কথা যদি তুই জানতি বোন।আমাকে কেউ ওয়াদা করিয়েছে তাই আমি তোকে জানাতে পারছি না।ভাইয়ার মনের কথাটা আমি জেনেছি এক মাস আগেই।তবে এটা সিক্রেট কথা একদমই।আর আমার ভাইয়ার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছিস আর সে কেমনে ছেলে সেটাও কি জানিস না”??

“আমি জানি উনার মন অনেক ভালো শুধু একটু বেশি রাগ করে।উনার কতো মেয়ে ফ্যান, উনি কাউকে পাত্তা দেননা। আমি দেখি সব ফেসবুকে।
কিন্তু ইনবক্সে উনি কি করেন সেগুলো আমি তো আর জানিনা।আমার অনেক ভয় করছে জুমু”।(মাথা নিচু করে বললাম)

জুমু আমার গাল টেনে বললো…

“ওরে আমার ভাবীরে। চিল মার।বি রেডি টু বিকাম মাই ভাবী”।

আমার কেমন জানি লাগছে সবকিছু।মাথায় শুধু একটা কথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। সাদিফ ভাইয়া কি আদৌ আমাকে লাইক করে বা ভালোবাসে?

আল্লাহ্ এর কাছে শুধু একটাই দোয়া এখন থেকে,আমার লাইফে যেনো সাদিফ ভাইয়াই আমার সব হয়। আমিন।

আমি আর জুমু রুম থেকে বের হতেই, সাদিফ ভাইয়ার মুখোমুখি হলাম।

“জুমু…আমার ল্যাপটপ তুই নিয়েছিস”??(সাদিফ ভাইয়া)

হ্যাঁ,ভাইয়া।সরি…আমি তোমাকে না জানিয়ে নিয়েছিলাম।আসলে ভার্সিটির কিছু কাজ ছিলো। আমারটা নষ্ট হয়ে গিয়েছে তাই,তোমারটা না বলেই নিয়ে ফেলেছি। তুমি তো বাসায় ছিলে না”।(জুমু)

“আশ্চর্য!আমার কতো ইম্পর্ট্যান্ট ডিটেইলস সেভ করা আছে জানিস তুই? আই প্যাড নিলেও পারতি তুই।নেক্সট টাইম থেকে আমার ল্যাপটপ ধরবি না একদম।যা নিয়ে আয়”।( সাদিফা ভাইয়া রেগে বললো)

সাদিফ ভাইয়ার বকা শুনে জুমু চলে গেলো ল্যাপটপ নিতে।

আমি নিচে যাওয়ার জন্যে পা আগাবো কিন্তু সাদিফ ভাইয়ার কথা শুনে থেমে গেলাম।

“কি ব্যাপার,চোখ মুখ তো ঠিক ছিলো একটু আগেই।এখন এমন লাল আর ফোলা কেনো চোখ, নাক”?(সাদিফ ভাইয়া)

“ক..কই!কিছু না তো।কান্না করিনি আমি”।(আমি)

“আমি কি একবারও বলেছি তুই কান্না করেছিস?এখন বল কান্না কেনো করেছিস?নিজেই যখন ক্লু দিয়েছিস।তাহলে আর দেরি কেনো?বলে ফেল”।(সাদিফ ভাইয়া)

আমি চুপ করেই আছি।কিছু বলতে ভালো লাগছে না।

“ওয়েট ওয়েট!পেট ব্যাথা করছে কি বেশি?বেশি খারাপ লাগলে ডক্টর দেখিয়ে নিস।আমি নাম্বার দিয়ে দিবো”।(সাদিফ ভাইয়া)

আমি মাথা নিচু করে থাকা অবস্থায় মাথা নাড়ালাম। মুখে কিছুই বললাম না।

জুমু এসে সাদিফ ভাইয়াকে ল্যাপটপ দিয়ে দিলো। সাদিফ ভাইয়া নিজের রুমের দিকে চলে গেলো আর আমি আর জুমু নিচে চলে গেলাম।

নিচে আসার পর সবার থেকে বিদায় নিয়ে আমরা বাসার দিকে রওনা দিলাম।

আর এইদিকে ইজহার তার রুমে পায়চারি করছে। শেফাকে রিকুয়েস্ট দিতে গিয়েও বারবার সে নাকচ করছে।চিন্তা শুধু একটাই,যদি সে একসেপ্ট না করে!
সে কারণে শেফাকে আর রিকুয়েস্ট দেওয়া হচ্ছে না তার।তাছাড়া,আসার টাইমে বা বাকি টাইমটাতেও শেফার দেখা মিলেনি আর। সাদিফ নিশ্চয় বকেছে তাকে, যার কারণে শেফা আর বাহিরেই আসেনি।এই সাদিফের কাহিনী কি তা বের করতে হবে।
এসবের মাঝে তার বোন এসে জানালো,জুমান আর শেফার ফ্রেন্ড তাসফিয়া ইজহারকে পছন্দ করে। কথাটা শুনে ইজহার তার বোনকে বললো…

“তুই কেমনে জানিস এই কথা”?

“জুমান বলেছে আজ।”(সুজানা)

“যখন সবাই বসেছিলি তোরা লিভিং রুমে,সেই টাইমে”?(ইজহার)

“হ্যাঁ,তখনই”।(সুজানা)

“শেফা শুনেছে এই কথা?”(ইজহার)

“হ্যাঁ!শুনবে না কেনো।ওরা সবাই ওর বান্ধবির জন্যে খুবই হ্যাপী। মেয়েটাও বেশ প্রিটি।আমি দেখেছি ছবি”।(সুজানা)

এসব শুনে ইজহার এর মাথায় বেশ রাগ উঠে গেলো।তার বোনকে রুমে থেকে বের করে দিয়ে সে একাই চিল্লিয়ে উঠলো…

“আগে সাদিফ এখন এই তাসফিয়া।এই দুইজনকে আমাদের মাঝে আসতে আমি দিবো না”।
*
ভার্সিটির টাইমটা খুব ভালই যাচ্ছে।তবে তাসফিয়া কেমন মন মরা হয়ে থাকে।কিছু আস্ক করলেও বলে না।ইজহার ভাইয়া তো এখন আমাদের আত্মীয় মানুষ।মাঝে মাঝে ক্যাম্পাসে কথা হয় উনার সাথে।তবে আমি বেশ কম কথা বলি।
আগে তাসফিয়াও থাকতো ইজহার ভাইয়ার সাথে কথা বলার সময়।কিন্তু এখন সে ইজহার ভাইয়াকে দেখে দূরে চলে যায়।ঘটনা কি আল্লাহ্ জানেন।
তবে বেশি ফোর্স করলে তাসফিয়া আমাকে বলবেই আসল ঘটনা কি!তাছাড়া, ঐ তাসিফ শয়তানটা আজকাল ইজহার ভাইয়ার সাথে বেশ ভাব করছে।এমনটাই দেখছি কয়েকদিন ধরে।

তিনদিন পরেই আপুর এনগেজমেন্ট।আর সবারই মুটামুটি শপিং শেষ। তাসফিয়াকে জুমু ড্রেস দিয়েছে, এমনিই বোনের এনগেজমেন্ট উপলক্ষে।আমার জন্যে ড্রেস ভাবীরা আপুর শপিং করার সময় কিনে নিয়েছে।

আজ একটা জরুরী ক্লাস ছিলো।কিন্তু আজ ক্লাস হবে বিকাল টাইমে।সকালে ভার্সিটিতে কোনো এক কারণে ক্লাস হয়নি।যার কারণে সবার ক্লাস বিকালের টাইমে হবে।
আমি আর জুমু রেডি হয়ে ভার্সিটি চলে গেলাম।খবর পেলাম ছুটির টাইমে সাদিফ ভাইয়া নিতে আসবে।কিন্তু হঠাৎ এইদিকে উনার কি কাজ এটা জানিনা।

ক্লাসেও দেখলাম তাসফিয়া আরো বেশি চুপচাপ বসে আছে।ক্লাস চলাকালীন সময়ে কিছুই বলিনি ওকে।কিন্তু আসল কারণ জেনেই দম নিবো আমি।

ক্লাস শেষে আমরা তিনজন মাঠে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলাম।অমনিই ইজহার ভাইয়া কোথা থেকে উড়ে এলেন।
উনি মুখ খুলতেই তাসফিয়া চলে যেতে লাগলো।আমি ইজহার ভাইয়ার কথার পাত্তা না দিয়ে তাসফিয়ার পিছে চললাম।

“তাসফিয়া তুই যদি আমাকে ফ্রেন্ড ভেবে থাকিস তাহলে,আমাকে এখনই বল কি সমস্যা তোর?দিন দিন এত মন মরা হয়ে যাচ্ছিস কেনো”?(আমি)

তাসফিয়া আমার হাত ধরে বললো..

“দোস্ত,ইজহার আমাকে ভালোবাসে না!ঐদিন তোরা ভার্সিটি আসিসনি। সেদিন আমি উনাকে কিছু বলিনি,কিন্তু উনি এসে আমাকে বকা দিয়ে বললেন..উনি অন্য একজনকে পছন্দ করেন।আমার এই ফেস যেনো উনি আর না দেখেন”।(কান্না ভাব করে)

আমি খুব অবাক হলাম উনার এই ব্যাবহার শুনে।আমি তাসফিয়াকে বললাম…

“এই মেয়ে,এই ইজহার না কি এটা কোনো ছেলে হলো?আমার দোস্তের জন্যে আল্লাহ্ আরো ভালো ছেলে রেখেছেন।তুই আর মন খারাপ করবি না প্লিজ।উনার বলা কথাগুলো ভুলে যা।এসব ছেলেরা একটু বেশি পার্ট মারে। বাদ দে”।

আমার কথায় তাসফিয়া মুচকি হাসলো।

জুমুর কাছে যেতেই সাদিফ ভাইয়া নেমে এলো গাড়ি থেকে।আজকে উনার সাথে গার্ড নেই কেনো?

সাদিফ ভাইয়া কাছে এসে আমার পাশে দাঁড়ালেন। উনি ইজহার ভাইয়ার সাথে কথা বলে,তাসফিয়ার সাথেও কথা বললেন।তাসফিয়া খুব ভালোভাবেই সাদিফ ভাইয়ার সাথে কথা বলেছে।যাক মেয়েটার মন এখন ভালো হয়েছে।

আশেপাশের অনেকেই সাদিফ ভাইয়ার সাথে কথা বলছে।এদের মাঝে অনেকেই মন্ত্রী মিনিস্টারের ছেলে মেয়ে।
যদিও উনি মেয়েদের সাথে অতো কথা বলছেন না ।কিন্তু অনেক সহ্য করেছি আমি।এত মেয়ে কেনো উনার সাথে কথা বলতে আসবে!

কিছু না ভেবেই আমি উনার হাত জড়িয়ে ধরলাম।আমার এমন ব্যাবহারে সাদিফ ভাইয়া আমার দিকে তাকালেন।কিন্তু আমি ডোন্ট কেয়ার ভাব করে আরো চেপে ধরলাম উনার হাত।
ব্যস, সাদিফ ভাইয়া তো এইবার সুযোগ পেয়ে গেলেন।উনিও আমার হাত শক্ত করে ধরে ফেললেন।আমাদের অবস্থা দেখে জুমু আর তাসফিয়া মুখ চেপে হাসছে।
আর বাকি মেয়েরা মুখ কুঁচকে আছে।কারণ তারা জানে, সাদনান সাদিফ কখনোই কোনো মেয়েকে পাত্তা দেইনি।

একটু পরেই, সাদিফ জুমু আর শেফাকে নিয়ে চলে গেলো।
এতক্ষণের ঘটনা ইজহারের চোখ এড়িয়ে যায়নি।সে তাদের এমন রঙলিলা সব দেখেছে।শেফা সাদিফকে নিজ থেকেই ছুঁয়েছে,এটা ভাবতেই ইজহারের কপালের রগ ফুলে উঠলো।

চলবে….❤️

কপি করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। দয়া করে কেউ গল্প কপি করবেন না।আমার পেজ ছাড়া আমি আর কোথাও গল্প পোষ্ট করবো না।সো,কপি করা নিষেধ।
এখন থেকে প্রত্যেকদিন ছোট পার্ট হলেও, গল্প পোস্ট করবো। কিন্তু কালকে কেউ গল্পের আশায় থাকবেন না। কারণ, ফ্রাইডে আমার ছুটির দিন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here