আরশিযুগল প্রেম❤ # লেখিকাঃ নৌশিন আহমেদ রোদেলা ❤ # পর্ব- ১৮

0
1080

# আরশিযুগল প্রেম❤
# লেখিকাঃ নৌশিন আহমেদ রোদেলা ❤
# পর্ব- ১৮

পাহাড়ী জীবন যেমন অদ্ভুত ঠিক তেমনি অদ্ভুত পাহাড়ী রীতি। “এই মেঘ এই বৃষ্টি” বাক্যটা যেন বিশেষ করে পাহাড়ী জনপদের জন্যই সৃষ্টি। ঋতু হিসেবে বসন্ত কাল হলেও রাত থেকেই চলছে তুমুল বর্ষন। সকাল দিকে আকাশ পরিষ্কার দেখে শেরকর পাড়ার পথে হাঁটা দিয়েছিলো সাদাফ-শুভ্রতা কিন্তু যাত্রাপথের দু’ঘন্টার মাথায় আবারও শুরু হলো বৃষ্টি। চারদিক অন্ধকার করা বৃষ্টি। দুই ঘন্টা একটানা হেঁটে অনেকটাই হাঁপিয়ে উঠেছিলো শুভ্রতা। আঁকাবাঁকা বন্ধুর পথ পেরিয়ে মাত্রই জঙ্গলা মতোন জায়গায় পৌঁছেছিলো তারা। এর মধ্যেই বৃষ্টিকন্যা পরম আমোদে মেতে উঠলো গাছের সবুজ পাতায় আর নির্বাক গাছগুলোর ডালপালায়। মেমপ্রে পাহাড়ী যুবক হওয়ায় জায়গাটার খুঁটিনাটি সমস্তই যেন নখদর্পনে তার। তাছাড়া একাধিকবার আসার ফলে সাদাফের কাছেও অতি পরিচিত হয়ে উঠেছে এই পথঘাট। তাই বৃষ্টি শুরু হওয়ার সাথে সাথেই পাঁচ/দশ মিনিটের মাথায় একটা গুহা মতোন জায়গা খুঁজ করে এই অযাচিত বৃষ্টি বিলাস থেকে রক্ষা পেলো তারা। কিন্তু ততক্ষণে শরীরের অধিকাংশই ভিজে টুইটুম্বুর। সাদাফ-মেমপ্রে যখন ভেজা চুল আর শার্ট ঝাড়তে ব্যস্ত ঠিক তখনই শুভ্রতা ব্যস্ত এই বন্য সৌন্দর্যে। এর আগে কখনো পাহাড়ী বৃষ্টি দেখার সৌভাগ্য হয় নি তার। চারদিকে ভেজা পাহাড়ী মাটির তীব্র গন্ধ, পাতায় পাতায় বৃষ্টির অদ্ভুত রিমঝিম শব্দ। কোথাও কোথাও পাহাড়ের গা বেয়ে মৃদুমন্দ গতিতে নেমে আসছে বৃষ্টির পানি। অনেকটা ছোট-খাটো ঝিরির মতো দেখাচ্ছে তাদের। শুভ্রতার এই ঘোরের মাঝেই কথা বলে উঠলো সাদাফ। ডেটলের কৌটো এগিয়ে দিয়ে বললো,

—” এটা শরীরে মেখে নিন শুভ্রতা। হাত- পা, ঘাড় যে যে জায়গা বেরিয়ে আছে সে সব জায়গাগুলোতে মেখে নিন।”

শুভ্রতা অবাক হয়ে বললো,

—” কেন?”

সাদাফ ব্যাগের জিপার লাগাতে লাগাতে বললো,

—” জোঁকের জন্য। এতোক্ষণ তো শুকনো ছিলো রাস্তা তাই জোঁক নিয়ে ততটা চিন্তা করতে হয় নি। কিন্তু বৃষ্টি হওয়ার ফলে পথ ঘাট ভিজে উঠেছে। আর আমাদের রাস্তাটাও পাল্টে গিয়েছে। আমরা যেহেতু এখন পাহাড়ী পথে এগোবো তাই জোঁকের প্রাদুর্ভাব বাড়বে। তাছাড়া জুমের ফসলও তোলা হয়ে গিয়েছে এখন জোঁক সংক্রান্ত ঝামেলাটা বাড়াবাড়ির পর্যায়ে পৌঁছাবে।”

সাদাফের কথার মাঝেই কথা বলে উঠলো শুভ্রতা। ভ্রু কুঁচকে বললো,

—” কিন্তু জোঁকের সাথে ডেটলের কি সম্পর্ক?”

শুভ্রতার এতো এতো প্রশ্নে মৃদু হাসলো সাদাফ। ব্যাগপ্যাকটা কাঁধে উঠাতে উঠাতে বললো,

—” জোঁক তামাক আর ডেটলের গন্ধ সহ্য করতে পারে না শুভ্রতা। গায়ে ডেটল মাখা হলে জোঁক অপেক্ষাকৃত কম ধরে। আমরা যখন নিয়মিত ট্রেকিং এ যেতাম তখন কাপড়, মোজা সবকিছু তামাক গোলা পানিতে ভিজিয়ে শুকিয়ে নিতাম। এটা হঠাৎ ট্রেকিং বলে তেমন কোনো প্রস্তুতি নিতে পারি নি।”

শুভ্রতা সাদাফের দিকে কিছুক্ষণ বোকার মতো তাকিয়ে থেকে শরীরে ডেটল মাখিয়ে নিলো। ডেটলের কৌটোটা ফেরত দিয়ে কিছু বলতে যাবে তার আগেই গুহা মতোন মুখ থেকে বেরিয়ে গেলো সাদাফ। তাড়া দেওয়া স্বরে বললো,

—” বৃষ্টি থেমে গেছে। জলদি চলুন। এমনিতেই পাহাড়ের গা পিচ্ছিল। দেরি করা চলবে না।”

সাদাফের পিছু পিছু মেমপ্রেও বেরিয়ে গেলে ব্যাগটা কাঁধে নিয়ে কোন রকম দৌড়ে পিছু নিলো শুভ্রতা। এতোক্ষণ রাস্তায় হেঁটে আসায় ব্যাপারটা যতটা সহজ মনে হয়েছে পাহাড় নামতে গিয়ে ততটাই কঠিন লাগতে লাগলো শুভ্রতার। সাদাফ সাবধানী হাতে শুভ্রতাকে ধরে রাখলেও প্রায় প্রায়ই পা পিছলে যাচ্ছে তার। শুভ্রতা একহাতে সাদাফের হাত আর অন্যহাত বিভিন্ন বনুগাছ ধরে ধরে নিচে নেমে এলো। একটা পাহাড় নেমেই হাঁপিয়ে উঠে বললো,

—” আর কতো?”

সাদাফ আড়চোখে তাকালো। মেমপ্রে হেসে বললো,

—” আরো চারঘন্টার মতো পথ হাঁটতে হবে আপু। তার মধ্যে ছোট-বড় ৮/১০ টা পাহাড় উঠতে-নামতে হবে। কেবল তো যাত্রা শুরু।”

মেমপ্রের কথায় চোখ বড় বড় করে তাকালো শুভ্রতা। এরকম আরো ৮/১০ টা পাহাড়? কিভাবে সম্ভব? পাহাড়ের গা শুকনো থাকলে যায় একটু সাহস করতো সে কিন্তু ভেজা পাহাড় যে কতোটা পিচ্ছিল হতে পারে তা আজ বুঝার পর সেই সাহসটাও যেন লোপ পাচ্ছে ধীরে ধীরে। সাদাফ লম্বা লম্বা পা ফেলে হাঁটতে হাঁটতে বললো,

—” দাঁড়িয়ে কথা বলবেন না শুভ্রতা। যতটা পারেন দ্রুত হাঁটতে হাঁটতে কথা বলুন। পাহাড়ের এই ছোট ছোট গাছপালার পাতায় পাতায় জোঁক থাকে। তাদের থেকে গরম বা উত্তপ্ত রক্তের সন্ধান পেলেই ঝাঁকে ঝাঁকে আক্রমন চালায়।”

সাদাফের কথাটা তেমন একটা গুরুত্ব না দিয়ে অবহেলার সুরে বললো শুভ্রতা,

—” ধুর! এভাবেও জোঁক ধরে নাকি? আপনি আমাকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছেন।”

সাদাফ হেসে ফেললো। লম্বা পা ফেলে হাঁটতে হাঁটতেই বললো,

—” তারমানে আপনি ভয় পাচ্ছেন শুভ্রতা?”

শুভ্রতা ভ্রু বাঁকিয়ে বললো,

—” মোটেও না। জোঁক কি ভয় পাওয়ার মতো কোনো জিনিস হলো? আমি আপনার মতো ভিতু নই।”

শুভ্রতার কথায় মেমপ্রেও দাঁত বের করে হাসলো। সাদাফের দিকে তাকিয়ে বললো,

—” সাদাফ দাদা? আপুকে ওই রেমাক্রির গল্পটা বলুন না।”

সাদাফ মৃদু হাসলো। শুভ্রতা দু’জনের দিকেই একবার কপাল কুঁচকে তাকিয়ে বললো,

—” এই? আপনারা হাসছেন কেন? রেমাক্রির কি গল্প?”

সাদাফ বিদ্রুপ করে বললো,

—” আপনি ভয় পেতে পারেন শুভ্রতা। মেয়েরা একটু বেশিই ভিতু হয় কি না!”

শুভ্রতা চেতে উঠে বললো,

—” বললাম না, আমি ভয় পাই না। বলুন কি বলতে চান।”

শুভ্রতাকে রাগতে দেখে বেশ মজা পেলো সাদাফ। আরো একটু রাগিয়ে দিতে বললো,

—” আমি তো কিছু বলতে চাইছি না। তবে, আপনি যদি শুনতে চান তাহলে ভিন্ন কথা।”

শুভ্রতা নাক ফুলিয়ে বললো,

—” বেশ! আমিই শুনতে চাই। বলুন… ”

শুভ্রতার রাগে টকটকে মুখটা একবার আড়চোখে দেখে নিয়ে বলে উঠলো সাদাফ,

— “প্রায় দুইবছর আগের কথা, আমি আর আমার ফ্রেন্ড আদিব প্রায় মাস খানেক ধরে বাকতলাই থেকে শুরু করে রেমাক্রির আপার স্ট্রিমের সবগুলো ঝিরিতে অনুসন্ধানী অভিযান চালাচ্ছিলাম। তখন যদিও বর্ষাকাল ছিলো কিন্তু জোঁক জনিত সমস্যায় এতোটাই কাহিল হয়েছিলাম যে বলার মতো নয়। একদিন আমরা রেমাক্রি খাল হয়ে শিলোপি পাড়া থেকে নেমে আসা ঝিরি ধরে সেটার আপস্ট্রিমে ট্রেক করছিলাম। বিকেল দিকে হঠাৎই শুরু হলো ঝুম বৃষ্টি। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঝিরির পানি অপেক্ষাকৃত বেড়ে গেল। হড়কাবানের আশংকায় আমরা ঝিড়ি ছেড়ে পাশের পাহাড়ে উঠে গেলাম এবং বাধ্য হয়েই ব্যাকট্রেক করে পাড়ার দিকে ফিরতে হলো। দুর্ভাগ্যবশত আমরা পাহাড়ি জুমের উপর দিয়ে হাঁটছিলাম। আর আমাদের দুর্ভাগ্যটা জোঁকদের জন্য সৌভাগ্য হয়ে দাঁড়ালো। দু’দুটো পায়ে মুহূর্তেই জোঁকের বহর পড়লো। জোঁক ছাড়াতে নিচু হতেই ঘাড়ে এসেও আক্রমন চালালো। আদিব না দাঁড়িয়ে দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে বললো সাদাফ ছুট। থামিস না। এমনিতেই বৃষ্টিতে ভেজা ছিলো পাহাড়। তারওপর ঝোপঝাড়। দুই একপা দৌঁড়িয়েই উল্টো পড়ছিলাম তো আবারও দৌঁড়াচ্ছিলাম। আধাঘন্টা চলার পর একটা ফাঁকা জায়গায় থেমে জোঁক ছাড়াতে বসে রীতিমতো বিস্মিত হলাম আমরা। পায়ের জোঁক ছাড়িয়ে শার্ট খোলার পর দেখা গেলো পিঠেও শ’খানের জোঁক। এতো জোঁক ছাড়ানো সম্ভব নয় বলে চাকু দিয়ে চেঁছে ফেলতে হয়েছে সেই জোঁক। তা….”

সাদাফ মাঝ পথে থামিয়ে দিয়েই বলে উঠলো শুভ্রতা,

—” আর শুনবো না আমি। থামুন প্লিজ…”

সাদাফ দুষ্টুমি করে বললো,

—” ভয় পাচ্ছেন?”

শুভ্রতা জোরগলায় বললো,

—” একদম না।”

পাশ থেকে হাস্যোজ্জল কন্ঠে বলে উঠলো মেমপ্রে,

—” আদিব দাদার প্যান্টের নিচেও ঢুকে গিয়েছিলো না সাদাফ দাদা?”

সাদাফ জবাব না দিয়ে দ্রুত পায়ে এগিয়ে গেলো। শুভ্রতা ভয়ে ভয়ে নিজের জামা-কাপড় ঝাড়তে লাগলো। এই জোঁককথন শোনার পর থেকে সারা গায়ে কেমন সুরসুরি লাগছে তার। বারবার মনে হচ্ছে, এই বুঝি জামার নিচে ঢুকে গেলো সব জোঁক। উফফ! কি যন্ত্রণা। বোর্ডিং পাড়া পর্যন্ত বিনা বাঁধায় পৌঁছে গেলেও বিপত্তি বাজলো বোর্ডিং পাড়া পেরেনোর পর। পাহাড়ের সংখ্যা, উচ্চতা, খাঁদ এবং জোঁক সবই যেন বাড়তে লাগলো এবার। প্রায় ৪০০ ফিট খাঁড়া পাহাড় তাদের নামতে হলো শুধুমাত্র চিকন খাঁচ কাটা খেজুর গাছের ধাপ বেয়ে। শুভ্রতার এমনিতে উচ্চতা ভীতি না থাকলেও নিচে নামতে বেশ বেগ পেতে হলো। এই সরু পথে সাদাফের পক্ষে শুভ্রতাকে ধরে রাখা সম্ভব নয়। তারওপর গাছের পাশে বাঁধা বাঁশে দেখা গেলো জোঁকের বহর। সারি সারি জোঁকের ওপর হাত রেখেই কোনো রকম পাড় হতে হলো জায়গাটুকু। সাদাফ শুভ্রতাকে সবার পেছনে দেওয়ায় অপেক্ষাকৃত কম আক্রমনের স্বীকার হলো সে কিন্তু ওটুকুই শুভ্রতার জন্য ভয়ানক ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়ালো। সাদাফ ওর হাত থেকে জোঁক ছাড়িয়ে দিয়ে খুব যত্ন করে জায়গাটা পরিষ্কার করে অলিভ ওয়েল লাগিয়ে দিলো। শুভ্রতা ব্যাথা ভুলে চোখ বড়বড় করে বললো,

—” আপনি অলিভ ওয়েল নিয়ে ঘুরেন নাকি?”

সাদাফ শীতল গলায় বললো,

—” অলিভ ওয়েল দিলে জোঁকে কামড়ানো স্থানে ইনফেকশন হওয়ার সম্ভবনা কম থাকে। এবার জলদি চলুন। আরো প্রায় এক ঘন্টার মতো হাঁটতে হবে আমাদের।”

সাদাফ যাওয়ার কথা বলতেই উৎসাহ নিয়ে উঠে দাঁড়ালো শুভ্রতা। এতোক্ষণ এতো এতো কষ্টের পর এখন ব্যাপারটাকে দারুন ভাবে ইনজয় করছে সে। খাঁড়া পিচ্ছিল পাহাড়ে ওঠা-নামাই দারুন আকর্ষন খুঁজে পাচ্ছে সে। আরো প্রায় এক ঘন্টা / দেড় ঘন্টা হাঁটার পর শেরকরপাড়া এসে পৌঁছালো তারা। পাড়ায় পা রাখতেই শুভ্রতার চোখে-মুখে এভারেস্ট জয়ের মতো আনন্দ খেলে গেলো। খুশিতে লাফিয়ে উঠে সাদাফের ডানহাতটা শক্ত করে চেপে ধরলো সে। নিজের হাতে শুভ্রতার স্পর্শ পেয়ে পাশ ফিরে তাকালো সাদাফ। শুভ্রতার চোখ-মুখে রাজ্য জয়ের আনন্দে দেখে তার ঠোঁটেও ফুটলো হাসি। শুভ্রতার মুগ্ধ চোখ জোড়াকে এভাবেই বারবার মুগ্ধ করে তোলার ভয়ানক ইচ্ছে জাগলো তার। মনে হতে লাগলো, তার পাশে দাঁড়ানো আশ্চর্য মুগ্ধতা ভরা তরুনীটি শুধুই তার। যাকে নিয়ে পৃথিবীর গহীন থেকে গহীনে হারিয়ে যেতেও বাঁধা নেই। একটুও না।

___________________

সাদাফরা শেরকর পাড়া পৌঁছানোর পর পরই আবারও শুরু হয়েছে ঝুম বৃষ্টি। মেমপ্রে দের বাঁশের চাঙার ঘরের বারান্দার দিকে দাঁড়িয়ে মেঘলা আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে সাদাফ। এটা তো বর্ষাকাল নয় তাহলে কেনো এতো বৃষ্টি পুরো পাহাড় জুড়ে? এই বৃষ্টিরা কি তবে শুধু তাদেরই জন্য? উহুম… তাদের নয় শুধু এবং শুধুই শুভ্রতার জন্য। শুভ্রতাকে আজকাল বৃষ্টি বলে বোধ হয় সাদাফের। যে বৃষ্টিতে গা ভেজালেই মনে প্রেম জাগে। চোখ জুড়ে ভর করে হাজারো অনুভূতির মেলা। আজ সারাটা পথ শুভ্রতাকে খুব করে খেয়াল করেছে সাদাফ। সাদাফ ভেবেছিলো, এতোটা পথ আসতে গিয়ে শুভ্রতা ভেঙে পড়বে, ন্যাকা স্বরে কাঁদবে, নাক শিটকাবে। কিন্তু সাদাফের ধারণাকে সম্পূর্ণ ভুল প্রমাণ করেছে শুভ্রতা। তার জীবনের প্রথম ট্রেকিং এ সে হাঁপিয়েছে ঠিক কিন্তু ধৈর্য্য হারায়নি। একটাবারও অভিযোগ তুলে নি। সাদাফদের সহযাত্রী হয়ে অভিযোগহীন পায়ে হেঁটেছে ঘন্টার পর ঘন্টা। আজ এই বন্য পাহাড়ি জনপদে এসে কেনো জানি বৃষ্টির ডাকে সাড়া দিতে মন চাইছে তার। শুভ্রতাকে একদমই নিজের করে পেতে ইচ্ছে করছে। শুভ্রতা তার স্ত্রী হওয়া সত্বেও যে দূরত্ব সেই দূরত্বটাকে পাহাড়ি বৃষ্টির সাথে ভাসিয়ে দিতে ইচ্ছে করছে । কিন্তু তাই কি হয়?

#চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here