#অবৈধ_সম্পর্ক
#Part_16 + 17
Writer:Sukhi Akther✍️
.
.
.
ইন্না :::::::::::: আন্টি মেয়েটি কে ? ফুলি কি বলছে এসব ? ইয়াদ এই মেয়েটিকে বিয়ে করেছে?
আমার কথা এক বারও ভাবলো না ইয়াদ 😡😡
.
ইয়াদের মা:::::::::::::: তা তো হবারই ছিলো একদিন । আমার ছেলেটা তো সারা জীবন একা থাকবে না । ইয়াদ যা করেছে ঠিক করেছে 😍
.
ইন্না:::::::::::::: তার মানে তুমি এই মেয়েটিকে ইয়াদের বউ হিসেবে মেনে নিয়েছো? 😠
.
ইয়াদের মা :::::::::::::: আমার ছেলে যাকে নিয়ে সুখে থাকবে আমার তো তাকেই মেনে নিবো .☺
.
ইন্না::::::::::::::: তার মানে তুমি বলতে চাচ্ছো যে আমার সাথে ইয়াদের বিয়ে হলে ইয়াদ সুখে থাকতো না ? তুমি এটা বলতে পারলে আন্টি ? 😡
.
ইয়াদের মা::::::::::: তুমার যা খুশি তা ভাবতে পারো । 😒
.
ইন্নার রাগ টা বেড়ে যাচ্ছে এখন ইচ্ছে করছে মাথার চুল গুলো ছিড়ে ফেলতে । সেই কলেজ লাইফ থেকে ইয়াদ কে ভালোবাসতো ইন্না । ইয়াদ তার ভালোবাসার কোনো গুরুত্ব দেয় নি । এখন যখন সুযোগ পেয়েছিলো ইয়াদ কে নিজের করে পাওয়ার এই সুযোগ টা ও হাত ছাড়া হয়ে গেলো ? ইয়াদ আমার না হলে ইয়াদ কে কারোর হতে দিবো না । আমিও দেখতে চাই ইয়াদ এই মেয়ে কে নিয়ে কি করে সংসার করে মনে মনে ভাবছে ইন্না ।
.
ইন্না:::::::::::::::::::: আঙ্কেল আজ থেকে তােমার সাথে আমাদের কােনো ডিল করা হবে না । তোমার সাথে আমাদের সম্পর্ক শেষ করে দিবো আমি । তোমরা যা করলে আমার সাথে তার শাস্তি তোমরা খুব তারাতারি পাবে ।
.
ইয়াদের বাবা বুঝতে পারছেন যে ঘটনা যদি এখন সামাল না দেন তাহলে তার অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে । ইন্নাকে কিছুতেই হাত ছাড়া করা যাবে না । ইয়াদের বাবা কাউকে কিছু না বলে ইন্নাকে টেনে নিয়ে গেলেন তার ঘরে ।
ইয়াদের মা তিনি তার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন । কিছুক্ষন পর ইন্না ইয়াদের বাবার ঘর থেকে হাসি মুখে বের হলো ।
যাওয়ার সময় ইন্না ইয়াদের মা কে দেখে সয়তানি একটা হাসি দিলো ।
ইন্না গাড়িতে বসে ভাবছে কি বোকামী না সে করতে যাচ্ছিলো ।একটা কাজের মেয়ের কথা বিশ্বাস করে কিছু করা ঠিক হতো না তার ।
আর মাএ কিছু দিন তারপর ইয়াদের বউ হয়ে আসবো এই বাড়িতে তারপর আমিও দেখবো তুমি কি করো আন্টি । নিশিতা আর আন্টি তোমাদের কি হাল করি দেখো আমি ।
.
সারাদিন ইসমাতের নিশিতার সাথে দুষ্টুমি করে কেটে গেলো । বাচ্চাটা কে যতই দেখছে ততই অবাক হয়ে যাচ্ছে ইসমাত । ইসমাত কে চোখেঁ হারায় নিশিতা । কতো আপন মনে হচ্ছে নিশিতাকে ।
ইয়াদের মা অনেক খুশি নিশিতাকে ইসমাতের সাথে হাসিখুশিতে থাকতে দেখে । ইসমাত মেয়েটার জন্য কষ্ট হচ্ছে এই টুকু মেয়ে তার জীবনে কিনা এত কষ্ট? নিশিতা কে কতো সহজে আপন করে নিয়েছে মেয়েটা । এতো দিন ধরে এমন একটা মেয়ে খুজঁছেন তিনি। এখন শুধু ইয়াদের জীবন থেকে অতীত টাকে মুছে ফেলতে পারলেই শান্তি ।
বার বার ইয়াদ কে ফোন দিচ্ছে ইয়াদের মা । ছেলেটা কি তার বাবার সাথে রাগ করে বাড়িতে ফিরবে না ।
দোষটা আমাদের আমরা কেনো নিজের ছেলের উপর বিশ্বাস রাখলাম না । ইয়াদ বিরক্ত হয়ে ফোনটা অফ করে দিলো । ফোন দেওয়া হচ্ছে কতে সহজে বলে দিলো বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে যাব না আমি ঐ বাড়িতে আর ।
.
রাতে ইয়াদ বাড়িতে আসলো নিজের রুমে গিয়ে কাপর change না করেই শুয়ে পড়লো । খুব কান্ত লাগছে আজ ।
.
রাত ২:৪৮
ঘুমটা ভেঙ্গে যায় ইসমাতের । খুব পানি পিপাসা পেয়েছে গলাটা শুকিয়ে গেছে এটা সপ্ন ছিল ভেবে ভয়টা কেটে গেছে । নিশিতাকে নিজের থেকে ছাড়িয়ে পানি আনার জন্য সিড়ি দিয়ে নিচে নামতেই পাশের রুমে আলো জ্বলতে দেখে অবাক হয়ে যায় ইসমাত । এতো রাতে আলো জ্বলছে কেনো? এত রাতে কেউ না ঘুমিয়ে জেগে থাকার কথা না তাহলে কি হচ্ছে ঐ রুমে ? একবার গিয়ে দেখে আসবো ? না কি ভাবছি এসব আমি এই বাড়িতে নতুন কাউকে কিছু না বলে ঐ রুমে যাওয়া ঠিক হবে না । কিন্তুু মনটা বড্ড টানছে শেষে ইসমাত রুমের দিকে পা বারালো । রুমে ডুকেই বুঝতে পারলো রুমটা তে কেউ আসা যাওয়া করে না ঘরের সব কিছু এলোমেলো । বিছানায় ঘুমিয়ে আছে ইয়াদ সাহেব । ঘুমন্ত অবস্থায় ইয়াতের মুখটা অন্যরকম লাগছে কোনো এক অজানা আকর্ষন কাজ করছে ইয়াদ কে দেখে ইসমাতের । কতো শত বছর ধরে পরিচিত মনে হচ্ছে ইসমাতের ইয়াদ কে দেখে । কিন্তুু এসব কেনো ভাবছি আমি? সপ্ন দেখতে চাই না আর ।
.
ইয়াদে প্রচন্ড শীত লাগছে কাথা টা যে নিবে সেটাও ইচ্ছে হচ্ছে না দু চোখে ঘুম যেনো ছাড়তে চাইছে না । ইসমাত দেখতে পাচ্ছে ইয়াদ শীতে কাপছে সে এগিয়ে গিয়ে কাথাটা ইয়াদের শরীলে দিয়ে দিলো । জুতা গুলোও না খুলে ঘুমিয়ে পরেছে ইয়াদ । ইসমাত ভয়ে ভয়ে ইয়াদের জুতা গুলো খুলে রুমের লাইট অফ করে দ্রুত রুম থেকে বের হয়ে গেলো ।
.
সকালে বেকফাস্ট ইসমাত নিজেই বানায় । যদিও ফুলি অনেক বারই নিষেধ করেছিলো । এই বাড়ির মানুষ গুলো কতোটা ভালো সব কিছু জেনে নিজেদের বাড়িতে আশ্রয় দিলো তাকে । একটা থাকার ব্যবস্থা হলেই চলে যাবে এই বাড়ি ছেড়ে ।
.
ইয়াদের বাবা::::::::আজ সকালের নাস্তাটা বেশ ভালোই হলো কি বলো ইয়াদের মা ?😍
.
ইয়াদের মা:::::::: হুম ঠিক বলেছো । আজ সব কিছু ইসমাত করেছে ।
ইসমাতের কথা শুনে নিমিষেই মুখটা কালো হয়ে গেলো ইয়াদের বাবার । নিশিতার পরে ইয়াদের মাকেও বস করলো এই মেয়ে । না জানি কখন ইয়াদ কে বস করে বসে । তাহলে আমার সব পরিকল্পনা নষ্ট হয়ে যাবে ।
ইয়াদের বাবা নাস্তা শেষ না করেই বের হয়ে গেলেন । নিশিতাকে ইসমাত নিজের হাতে খাওয়ালো ।
কিছুক্ষন পরে নিশিতার রুমে ইয়াদের মা আসলো হাতে একটা কাগজ নিয়ে ইসমাতের হাতে দিলো ।
.
ইসমাত ::::::::::::::: কি আছে এর মাঝে ?
.
ইয়াদের মা ::::::::::: খুলেই দেখ না
.
.
.
.#অবৈধ_সম্পর্ক
#Part:17
Writer:Sukhi Akther✍️
.
.
.
ইসমাত আস্তে আস্তে কাগজ টা খুলতে লাগলো । আজ নিজের মায়ের কথা খুব মনে পড়ছে তিনি বেচেঁ থাকলে হয়তো ইসমাতের জন্য এমন টা করতেন । নিজেকে আজ খুব ভাগ্যবান মনে হচ্ছে এমন একজন মানুষ পেয়েছে যে তাকে তার কাজের মাধ্যমে ইসমাতের মায়ের কথা মনে করিয়ে দেয় ।ইয়াদের মা ইসমাতের ভার্সিটি তে ভর্তির জন্য ফরম নিয়ে আসছে সব কিছু তিনি নিজেই করেছেন । ইসমাত কে তিনি বাসার কাছেই ভর্তি করবেন বলে ঠিক করেছেন । নিজের পড়াশুনার পাশাপাশি নিশিতার দেখাশুনা করবি । পারবিনা বল? আমার মা মরা নাত্নী টাকে দেখে রাখতে ?
ইসমাত কি বলবে ভেবে পাচ্ছে না খুশিতে দু চোখ দিয়ে দু ফোটাঁ পানি চলে আসলো ।
.
ইয়াদের মা:::::::::::: তুই শুধু নিশিতার দিকে লক্ষ রাখবি । আর কিছু চাই না তোর কাছে । নিশিতা যে তোকে বড্ড বেশি ভালোবেসে ফেলেছে ।
.
ইসমাত:::::::::::: আমি কি এতটা ভালোবাসা পাওয়ার উপযোগী বলো ?
.
ইয়াদের মা:::::::::::::: তোর সাথে আগে যা হয়েছে সব ভুলে নতুন করে জীবনটা শুরু কর । আমাকে সব সময় তোর পাশে পাবি মা ।
.
ইসমাত কিছু বলছেনা শুধু কাদঁছে ইয়াদের মা ইসমাত কে জরিয়ে ধরলেন ।
.
রাতে ইয়াদের বাবা বাসায় ইন্নার সাথে তার মা বাবা কে নিয়ে আসলো সাথে কয়েক জন আত্নীয়ও । ইয়াদের মা বুঝার চেষ্টা করছেন কি হতে চলছে তার বাসায় । এমন কিছু ঘটতে যাচ্ছে যা তিনি জানেন না । কিন্তুু কি সেটা ?
.
ইয়াদ কে ফোন দিয়ে বাসায় চলে আসতে বললো ইয়াদের বাবা ।
বসার রুমে সবাই বসে আছে । ইয়াদের এসব কিছু ভালো লাগছে না কিন্তুু না থাকলেও হবে না । কারোর মুখে কোনো কথা নাই সবাই চুপচাপ বসে আছে ।
.
ইয়াদের বাবা:::::::::::: আমি জানি না তোমাদের কাছে আমার ডিসিশন কেমন লাগবে তারপরও আমি ইয়াদ আর নিশিতার কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি ।
.
ইন্না::::::::::::: আঙ্কেল তুমি সবাই কে বলে দাও তো তারাতারি ।
ইয়াদের মার কেমন জানি সন্দেহ হচ্ছে এখন । ইন্নাকে ইয়াদের মা কোনো দিনও পছন্দ করতেন না । তাছাড়া নিশিতা ইয়াদ কেউ পছন্দ করে না ইন্নাকে ।
.
ইয়াদ::::::::: যা বলার বলে দাও না হয় আমি এখন চলে যাবো ।
.
ইয়াদের বাবা :::::::::::::;: আমি ইয়াদের বিয়ে ঠিক করেছি ।
.
ইয়াদের মা:::::::::::::::: আমাকে তো কিছু বলো নি কখন করলে এসব? কার সাথে ঠিক করেছো ?
ইয়াদ কই তুই তো আমাকে কিছু বললি না
.
ইয়াদ::::::::::::::::: কিছু জানলে তো বলবো আমি ?
.
ইয়াদের বাবা:::::::::::::::: ইয়াদ কিছু জানে না । তাছাড়া তোমাদের কে জানানোর জন্যই তো সবাই কে এক সাথে করলাম ।
.
ইন্নার বাবা::::::::::::::::::: বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করে নেওয়া যাক এবার?
.
ইয়াদের বাবা::::::::: হুম , এই মাসের পনের তারিখ ইন্নার সাথে ইয়াদের সাথে বিয়ে ।
.
ইন্নার মা :::::::::::::: সময় তো বেশি নাই যা করার খুব তারাতারি করতে চাই আমরা ।
ইয়াদ বসা থেকে উঠে ধারালো ।
.
ইয়াদ :::::::::::::::::::: আমি এখন বিয়ে করবো না বাবা । এই বিয়ে হবে না ।
.
ইয়াদের বাবা :::::::::::::: কেনো করবে না তুমি? তোমার কোনো কথা শুনতে চাই না আমি । ইন্নার সাথে বিয়ে হলে তুমি সুখে থাকবে ।
,
ইন্না :::::::::::::::: আজ কেনো ফিরিয়ে দিচ্ছো আমাকে ইয়াদ? তোমার কি আমাকে পছন্দ না বলো ? নিশিতার মা হয়ে বেচেঁ থাকতে চাই । তোমার পাশে থাকার অধিকার টুকু দিবে না বলো?
.
ইয়াদ:::::::::::::: আমি এখন বিয়ে করতে পারবো না প্লীজ এই বিষয়ে আমি আর কোনো কথা বলতে চাই না ।
.
ইয়াদের বাবা:::::::::::::::::::: আমি বলছি এই বিয়ে হবে । তোমার জন্য না হোক নিশিতাকে দেখে রাখার জন্য হলেও ইন্নাকে বিয়ে করতে হবে তোমায় ।
.
ইয়াদের মা::::::::::::::: তুমি কেনো জোর করছে ইয়াদ কে ? ইয়াদের নিজের পছন্দ কেউ তো থাকতে পারে?তোর কি কাউকে পছন্দ বল?
.
ইয়াদের বাবা::::::::::::::::: চুপ করো তুমি । তোমার সাহস পেয়ে ছেলেটা আমার অবাধ্য হয়ে গেছে ।
.
ইন্না:::::::::::::::::: আঙ্কেল তুমি কি আমাদের কে এসব বলার জন্য নিয়ে আসলে?
.
ইন্নার বাবা::::::::::::::::::::: আপনি তো বললেন সব ঠিক এখন ইয়াদ বলছে বিয়ে করবে না মজা করা হচ্ছে আমাদের বাড়িতে এনে ?
.
ইয়াদ রেগে বাসা থেকে বের হয়ে গেলো । ইসমাত নিশিতার জন্য দুধ নিতে এসেছিল । ইয়াদের বিয়ের কথা শুনে বুকের ভিতর চিন চিন করে ব্যথা শুরু হয়ে গেলো । এত কষ্ট কেনো হচ্ছে ইয়াদের বিয়ের কথা শুনে ? ইয়াদ কে দেখে মনে হয় জনম জনমের পরিচয় তার সাথে । ছিঃ কি সব ভাবছি আমি ? মাথার ব্যথাটা শুরু হয়ে গেছে ।ইসমাত নিশিতার রুমে গিয়ে দেখে নিশিতা ঘুমিয়ে আছে ।
.
সকালে ❤
ঘুম থেকে উঠে নিশিতাকে বিছানায় দেখতে না পেয়ে ভয় পেয়ে যায় ইসমাত । ঘরে কোথাও না পেয়ে ইয়াদের রুমে যায় ইসমাত । নিশিতা ইয়াদের বুকে মাথা রেখে শুয়ে আছে । ইসমাত নিশিতার কাছে গিয়ে ইশারায় ইসমাতের কাছে আসতে বলছে । কিন্তুু নিশিতা উল্টা ইসমাত কে তার কাছে ডাকছে । ইসমাত যেই না নিশিতার হাতটা ধরবে নিশিতা ইয়াদের উপর থেকে উঠে যায় । ঠিক তখন ইয়াদ নড়ে উঠে ইয়াদের পায়ের সাথে ইসমাতের শাড়ির আচলঁ টা লেগে যায় । ইসমাত নিজের শরীলের টাল সামলাতে না পেরে ইয়াদের উপর পড়ে যায় ।
ইসমাত আর ইয়াদ কে এই অবস্থায় দেখে দু হাতে তালি দিচ্ছে নিশিতা । বেশ খুশি হয়েছে মনে হচ্ছে । ইসমাতের মুখটা লজ্জায় লাল হয়ে গেছে । ইয়াদ তাকিয়ে আছে ইসমাতের দিকে বেশ অবাক হয়ে গেছে এমন কিছু একটা ঘটতে পারে তা কল্পনার বাহিরে ছিলো । ইসমাত বিছানা ছেড়ে উঠতে পারছেনা কারন শাড়ির আচলঁ টা ইয়াদের পায়ের সাথে আটকা পরে আছে ।ইয়াদ নিজের পা থেকে ইসমাতের শাড়িটা খুলে দিতেই ইসমাত এক দৗেড়ে নিশিতার রুমে চলে যায় । ইসমাত বেশ লজ্জা পেয়েছে তাছাড়া সব কিছু কেমন যেনো লাগছে ইয়াদের কাছে ।
.
.
ইসমাত নিশিতাকে খাওয়াচ্ছে । ইয়াদের মা বাবা কারোর মুখে কোনো কথা নাই । চুপচাপ যে যার মতো খাচ্ছে । ইয়াদ আড়চোখে ইসমাত কে দেখছে ।
.
কলিং বেলের শব্দ শুনে দরজা খুলে দেয় ইসমাত । ঘরে হনহন করে ডুকে পড়ে ইন্না । ইয়াদ ইন্নাকে দেখে নাস্তা না করেই উঠে যায় । ইয়াদের মুখে স্পষ্ট বিরক্তির ছাপ দেখতে পাচ্ছে ইসমাত । ইয়াদ নিজের রুমে চলে যায় । ইয়াদের পিছন পিছন ইন্না ইয়াদের রুমে গিয়ে দরজা লাগিয়ে দেয় ।
.
ইয়াদ :::::::::::::::::::::::::: তুমি আমার রুমে কেনো? দরজা খোলো ইন্না ভালো হবে না বলছি ।
.
ইন্না::::::::::::::::::: চুপ একদম চুপ [ ইয়াদের ঠোটেঁ আঙ্গুল রেখে বললো )
.
ইয়াদ::::::::::::::::: ইন্না বের হও রুম থেকে । তোমার সাহস কি করে হয় আমাকে বের হতে দিচ্ছো না ।
.
ইন্না আরও এগিয়ে এসে নিজের ঠোটেঁর সাথে ইয়াদের ঠোটঁ এক করে দিলো ।
ইয়াদ ভাবতে পারেনি ইন্না এমন একটা কাজ করতে পারে ।
ইন্না দু হাত দিয়ে আরো শক্ত করে জরিয়ে ধরে ইয়াদ কে ।
ইয়াদ ইন্নাকে নিজের থেকে ছাড়িয়ে চর বসিয়ে দেয় ইন্নার গালে ।
.
চলবে☺