অবৈধ_সম্পর্ক
Part: 5 + 6
Writer:Sukhi Akther✍️
.
.
মেসেজ টা দেখে চোখ দিয়ে পানি পড়ছে ইসমাতের
খুব ঘৃনা লাগছে আরাফ নামের মানুষটার প্রতি মেসেজ টাতে লেখা ছিল বস নতুন একটা পাখি পেয়েছি দাম টা একটু বেশি দেওয়া লাগবো হুহ
ইসমাত ভাল করে লহ্ম করে দেখলো মেসেজটা মাঝ রাতে এসেছে যার জন্য আরাফ দেখতে পায়নি
ইসমাত ডিলেট করে দিল মেসেজটা আর যাই হোক মেসেজটা আরাফ কে দেখতে দেওয়া যাবে না
সকাল ১১:০০
আরাফ রেডি হচ্ছে ঢাকায় যাওয়ার জন্য ইসমাতের মন সায় দিচ্ছে না আরাফ কে ঢাকায় যেতে দিতে
কিন্তুু বাধা দিয়ে রাখবে কি করে সে
মনটা বার বার কু ডাকছে ইসমাতের
আরাফের হয়তো ইসমাত কে নিজের জীবন থেকে সরিয়ে দিলে কিছু হ্মতি হবে না
কিন্তুু ইসমাত কোথায় যাবে সে কে মেনে নিবে তাকে ??
হঠাৎ আরাফ এসে জরিয়ে ধরে ইসমাত কে
ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয় ইসমাত আরাফ কে
এভাবে ধাক্কা দেওয়ার কারন খুজেঁ পাচ্ছে না আরাফ
আরাফ—কি হয়েছে তোমার??
ইসমাত– সরি আমি বুঝতে পারিনি যে আপনি আমাকে জরিয়ে দরেছিলেন
আরাফ—বুঝবে কি করে যদি কল্পনায় থাকো সারাদিন
আমি এখন চলে যাব ঠিক মতো পড়াশোনা করবে
কলেজে গিয়ে ছেলেদের সাথে কোন আড্ডা দিবে না
আমি ফোন দিলে সাথে সাথে রিসিব করা হয় যেন
ইসমাত—হুহ
কতো সুন্দর অভিনয় করছে আরাফ
যে কেউ দেখলে বুঝবে কতো ভালবাসে আরাফ আমাকে
আরাফ কি তাকে ভালবাসে ?নাকি তার দেহকে ভালবাসে
কোন উওর খুজেঁ পাচ্ছেনা ইসমাত
আরাফ দেখছে ইসমাত কি যেন ভাবছে
উফ, ইসমাত কে নিয়ে পারা যায় না যখন তখন সে ভাবতে শুরু করে সে
আরাফ ইসমাত কে ডাকতে লাগলো জোরে জোরে
আরাফ সন্ধায় ঢাকায় পৌঁছে মায়ের কাছে ফোন দিয়ে জানিয়ে দেয় ঢাকায় ঠিক ভাবে এসেছে সে
কলিং বেলের শব্দ শুনতে পাচ্ছে আরাফ
দরজা খুলে দেখে বৃষ্টি এসেছে
নীল শাড়ি কপালে নীল টিপ উন্মুক্ত পেট ঠোটেঁ গারো করে দেওয়া লাল লিপিস্টিক
যা বরাবরই পছন্দের আরাফর বৃষ্টি সেটা জানতো ভাল করে
আরাফ কে দাড়িয়ে থাকতে দেখে বৃষ্টি বললো
বৃষ্টি—আমি কি রুমের বাহিরে থাকবো?নাকি ভিতরে যেতে দিবে?
বৃষ্টির কথা শোনে আরাফ সরে দাড়ালো দরজার কাছে থেকে
বৃষ্টির দিকে টানছে এক অজানা আকর্ষন পাগল হয়ে যাবে আরাফ
নিজের দুই হাত দিয়ে বৃষ্টির গাল শক্ত করে চেপে ধরলো সে
বৃষ্টি কে নিয়ে রুমের দরজা বন্ধ করে দিল সে
রূমের লাইট অফ করে দিল আরাফ
আস্তে আস্তে এগিয়ে যেতে লাগলো বৃষ্টির কাছে
সকালের মেসেজটা দেখে ইসমাতের কোন কিছু ভাল লাগছে না ইসমাতের
বাড়িতে থাকলেও তার মনটা পড়ে আছে আরাফের কাছে
আরাফ কে হারানো ভয় হচ্ছে তার
আরাফ ছাড়া যে আর কেউ নাই ইসমাতের
বার বার ফোন দিচ্ছে ইসমাত আরাফ কে কিন্তুু আরাফ ফোন রিসিব করছেনা
আরাফের চিন্তায় পড়ায় মন বসছে না ইসমাতের
কি করছে আরাফ ?আরাফ কি দেখতে পাচ্ছেনা ইসমাত বার বার কল দিচ্ছে তাকে
বারান্দার দাড়িয়ে আছে ইসমাত কেনো সবাই এমন করছে তার সাথে? মা বাবাও তাকে ছেড়ে চলে গেছে
এখন কি আরাফও তাকে ছেড়ে চলে যাবে ?
সারা টা রাত না ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিল ইসমাত
ফজরের সালাত আদায় করে কিছুহ্মন কুরআন তিলাওয়াত করলো সে
রান্না ঘরে গিয়ে আরাফের মায়ের সাথে কাজ করতে লাগলে ইসমাত
সকাল ১০:০০
বৃষ্টি বার বার ডাকছে আরাফ কে কিন্তুু আরাফের ঘুম থেকে উঠার কোন নামই নাই
বৃষ্টি —- সারা রাত আমাকে জ্বালিয়ে এখন নিজে ঘুমাচ্ছে পড়ে পড়ে উঠো বলছি আরাফ কে টেনে তুললো ঘুম থেকে
আরাফ—আর একটু ঘুমাতে দাওনা প্লীজ ইসমাত
বৃষ্টি—-সারা রাত আমার সাথে কাটিয়ে এখন ইসমাতের নাম বলছো তুমি [ দাতঁ চেপে বললো ]
আরাফ—-আহা, তুমি রাগ করছো কেনো ? আমি শুধু একজন কে ভালবাসি সেটা হলে তুমি
বৃষ্টি — হয়েছে হয়েছে আমাকে বুঝাতে হবে না
এখন শাওয়াল নিয়ে অফিসে যাও
আরাফ— হুম চলো
বৃষ্টি —চলো মানে কি ?তুমি একা যাবে
আরাফ—আজ তোমার সাথে করবো প্লীজ
বৃষ্টি—বললাম তো তুমি আজ একা করে নাও আরেক দিন না হয় দুজন মিলে করবো
আরাফ—না আজ করবো ,সারা রাত আমার সাথে কাটাতে পারলে গোসল করতে পবলেম কোথায়? তাছাড়া কিছু দিন পর তো আমরা দুজন বিয়ে করে নিবো
বৃষ্টি—-আর বিয়ে আমাকে বিয়ে করবে বলে বিয়ে করে নিলে ইসমাত কে
আরাফ—তুমি তো জান আমি মায়ের কথা রাখতে ইসমাত কে বিয়ে করেছি
আমি শুধু তোমাকে ভালবাসি বলে জড়িয়ে ধরলো বৃষ্টিকে..
.♥
.♥
অবৈধ_সম্পর্ক
Part:6
Writer:Sukhi Akther✍️
.
.
.
আমি শুধু তোমাকে ভালবাসি বলে জড়িয়ে ধরলো বৃষ্টিকে ।
তুমিও কতো বোকা আমার বউটার মতো
তোমাকে বিয়ে করবো তাও আবার আমি? Imposible জীবন থাকতেও না ।
যেই মেয়ে বিয়ের আগে পর পুরুষের সাথে বিছানায় যেতে পারে তাকে আর যাই হোক বিয়ে করে সংসার করা সম্ভব না আমার পহ্মে ( মনে মনে বললো আরাফ) ।
সারাদিন ফোনটা হাতে নিয়ে বসে ছিল ইসমাত যদি আরাফ কল দেয় তাকে সেই আশায় ।
কিন্তুু সকাল পেড়িয়ে রাত হয়ে গেল একবারও কল দেয় নি আরাফ ।
আরাফের মা ইসমাত কে মন খারাপ করে থাকতে দেখে অনেক বার আরাফ কে বলেছিল ইসমাতের সাথে কল দিয়ে কথা বলার জন্য ।
প্রতিবারই আরাফ বলেছে এখন কাজের খুব চাপ সময় করে ইসমাতের সাথে কথা বলে নিবে সে ।
আরাফ সারাদিন শুধু ঐ মেয়েটির কথা ভাবতো
কি করে যোগাযোগ করবে মেয়েটির সাথে ।
যে করে হোক মেয়েটিকে তার চাই ।
ইসমাত সারা দিন শুধু আরাফের কথা ভাবে
ঠিক মতো খায় না নিজের শরীলের যত্ন নেওয়া তো ভুলেই বসেছে ইসমাত
চুল গুলো এলোমেলো হয়ে থাকে সব সময় ।
যত দিন যাচ্ছে তত বার তে থাকে ইসমাত আরাফের সম্পর্কের দুরুত্ব ।
মাঝে মাঝে বৃষ্টির সাথে আরাফের কথা হলেও
ইসমাতের সাথে হয়না
আরাফ জানে হঠাৎ বৃষ্টির সাথে যোগাযোগ অফ করে দিলে পবলেমে পড়তে হবে তাকে ।
আরাফ ইসমাতের নাম্বারটা বল্ক করে রেখেছে
আরাফের মা অনেক বার বলেছে ইসমাত আর আরাফের মাঝে সমস্যা হয়ে থাকলে যেন মিটিয়ে নেয় দুজনে ।
ইসমাতের পরীহ্মার আর মাএ কয়েক টা দিন বাকি
কিন্তুু ইসমাতের পরীহ্মা দেওয়ার ব্যাপারে কোন আগ্রহ নাই ।
কি হবে এসব করে যার জন্য করতো সে তো তার সাথে সম্পর্কটা টিকেয়ে রাখতে চাচ্ছেনা ।
আরাফ কেন তার সাথে এমন করছে ?
আমার জন্য আরাফের মনে একটু জায়গার নাই?
অন্যদিকে
আরাফ ভাবছে মেয়েটির সাথে কথা কি করে বলবে
হঠাৎ আরাফের মনে হতে লাগলো যেহেতু ইসমাত আর ঐ মেয়েটি একই ক্লাসে পড়ে
পরীহ্মা তো দুজনই দিবে
পরীহ্মার Admit card নেওয়ার জন্য তো তাকে কলেজে আসতে হবে
আমি তো কলেজে গিয়ে মেয়েটির সাথে দেখা করতে পারি ।
মনে মনে খুশি হয় আরাফ :-D
কিন্তুু সমস্যা হলো ইসমাত কে নিয়ে খুব রাগ হচ্ছে দেখা হওয়ার সুযোগ টা মিস করবো 😡😡
না মেয়েটির সাথে যে করে হোক যোগাযোগ করতে হবে আমাকে
বাড়িতে না গিয়ে কি করে দেখা করবো ?
উফ, মাথার চুল গুলো ছিড়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে
চোখ বন্ধ করলে মেয়েটার মুখটা ভেসেঁ উঠে
ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়লো আরাফ
ইসমাত ছাদের রেলিং ধরে ছাদে দাড়িয়ে আকাশের তারা গুলো গুনার বিথা চেষ্টা করছে ।
আজ অনেক দিন পর ইসমাত বাসা থেকে বের হলো কলেজে যাওয়ার জন্য ।
আরাফ চলে যাওয়ার পর থেকে ইসমাত বাসার বাহিরে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল ।
আজও বাড়ির বাহিরে যেতে রাজি হতে চায় নি ইসমাত ।
কিন্তুু আরাফের মা জোর করে রেডি করে কলেজে নিয়ে যাচ্ছে কলেজ থেকে এডমিট কার্ড নিয়ে আসার জন্য ।
ইসমাত কে চুপ থাকতে দেখে আরাফের মা বললো,
আরফের মা— আমি আমার মেয়ের মতো তোকে মেয়ে মনে করি
ইসমাত—স্বাভাবিক হয়ে হুম জানি আমি মা তুমি আমাকে কতোটা ভালবাসো
ভালো যদি নাই বাসবে তাহলে একটা এতিম মেয়েকে তোমার বুকে ঠাইঁ দিতে না ।
আরাফের মা—কে বলেছে আমার মেয়ে এতিম ? আমি কি মরে গেছি?
ইসমাত—ছি মা এত কথা মুখেও নিবে না
যখন মামীর অত্যাচারে অতীষ্ঠ হয়ে গিয়ে বেচেঁ থাকার সপ্নটা কে মেরে ফেলতে চেয়েছিলাম তখনই তো তুমি
আর কিছু বলতে পারেনি
ইসমাত তার আগেই থামিয়ে দেয় আরাফের মা
আরাফের মা—তোর কাছে আমার একটাই চাওয়া তুই নিজের একটা পরিচয় গড়ে
সমাজ কে দেখিয়ে দিবি মেয়েরা কারোর অবহেলার পাএী না
ইসমাত—হু আমি চেষ্টা করবো
আরাফের মা— ইসমাত কে জড়িয়ে ধরে মুচকি হাসি দিয়ে বললেন কখনো মন খারাপ করে থাকতে যেন না দেখি তোকে
সব সময় পরিস্থিত আমাদের অনুকূলে না থাকতেও পারে
তাই বলে ভেঙ্গে পড়লে চলবে না
নিজেকে মানিয়ে নিতে হবে পরিস্থতির সাথে
ইসমাত—হুহ
আরাফের মা—আরাফের সাথে তোর বিয়ে দেওয়া টা ভুল হয়ে গেছে
আমার জন্য এত কষ্ট পেতে হচ্ছে তোকে
ইসমাত—মা তুমি নিজেকে কেনো দোষ দিচ্ছো
তুমি তো আমার ভালোর জন্য করেছিলে
আরাফের মা নিজের মন কে শান্ত করতে পারছেন না
ইসমাতের এই অবস্থার জন্য নিজেকে দোষী মনে হচ্ছে ।
আরাফ আর ইসমাতের মাঝে সম্পর্ক টা ভালো যাচ্ছে না
ইসমাত কিছু না বললেও বুঝতে পারছেন তিনি ।
দুজনের সম্পর্কটা ঠিক করতে কিছু একটা করতে হবে তাকে [ মনে মনে ভাবছেন তিনি]
কলেজে চলে এসেছে ইসমাত হঠাৎ দেখতে পেলো ঠিক আরাফের মতো দেখতে একজন দাড়িয়ে কথা বলছে তনয়ার সাথে
আরাফ আসবে এখানে কোথায় থেকে? আর তনয়ার সাথে কথা কেনো বলতে যাবে?
আরাফ তো তনয়া কে চিনে না ভাল করে তাহলে?
হয়তো তার মনের ভুল হচ্ছে এটা হয়তো আরাফের মতো দেখতে অন্য কেউ
ইসমাত ছেলেটির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে sure হওয়ার জন্য আসলেই ছেলেটি আরাফ কিনা?
ছেলেটির চোখের সাথে ইসমাতের চোখ পড়তেই উদাও হয়ে গেলো ছেলেটি
একটু আগেও ছেলেটি কে দেখতে পেয়েছিল সে এখন ছেলেটি কে আর দেখা যাচ্ছে না ।
ইসমাত চারদিকে খোজঁতে লাগলো কিন্তু কোথাও খোজেঁ পাচ্ছেনা ।
পিছন থেকে কেউ ইসমাতের হাত ধরে টান দিলো ভয় পেয়ে গেলো ইসমাত ….
.
চলবে……
গল্পটি ব্রাউজার দিয়ে পড়লে লেখা গুলি মানসম্মত পাবেন।লাইটে লেখা পড়তে কষ্টকর হবে