মায়া পরি # পর্বঃ ০২ #জুনায়েত

0
332

# মায়া পরি
# পর্বঃ ০২
#জুনায়েত

আমি কি তাহলে মানুষ নই। কে তাহলে আমি? কি আমার পরিচয়? আমি কী সাপ নাকি অন্যকিছু? আমার এটোঁ খাবার খেয়ে বিড়াল মারা গেলো। মা যখন এই দৃশ্য দেখলো তখন মা ও খুব ভয় পেয়ে গেলো আর আমাকে জিজ্ঞেস করলো বাবা এসব এর মানে কী? আমি মাকে জড়িয়ে ধরলাম আর বললাম আমি জানি না মা এসব কী করে হলো। মা বললো তুই চিন্তা করিস না। হয়তো বিড়াল টা অন্য কোন কারনেও মরতে পারে। আমি মাকে জিজ্ঞেস করলাম মা তাহলে বিড়ালের মুখের চার পাশে সাদ সাদা ফেনা কেনো ?
!
!
!
মা বললো হয়তো অন্য বাড়ি থেকে বিষ খেয়ে এসেছে। আর এখানে আসার পর ই মারা গেছে। আমার খুব চিন্তা হতে লাগলো। আমি আমার রুমে চলে আসলাম আর এসেই বিছানায় শুয়ে পরলাম। শুয়ে শুয়ে ভাবছিলাম কী করা যায়। আমার চোখ টা একটু লেগে যায়। আর আমি ঘুমের মধ্যে দেখতে পায় আমি একটা বড় সিংহাসন এ বসে আছি আর আমার সামনে শত শত মানুষ রূপি সাপ দাড়িয়ে আছে। সাপ গুলোর চেহেরা গুলো কী যে ভয়ানক ছিলো আপনাদের বলে বুঝাতে পারবো না।
!
!
!
আমার ঘুম ভেঙে গেলো আর আমি লাফিয়ে বিছানায় উঠে বসলাম আর খুব ঘাবড়ে গেলাম। এ আমি কী সপ্ন দেখলাম? আর কেনই বা দেখলাম। এবার আমার একটু সন্দেহ হচ্ছে নিশ্চয় ওই সাপ গুলোর সাথে আমার কিছু না কিছু সম্পর্ক তো আছেই। কিন্তু কী সম্পর্ক? যে করেই হউক সেটা আমাকে জানতেই হবে। কিছু দিন পরের কথা আমি খালি গায়ে উঠানে বসে ছিলাম। সেখানে আমার বোন এলো। আমার বোনের নাম রুহি। ও এসে আমাকে বললো দাদা তোর শরীর থেকে এগুলো কী বের হচ্ছে?
!
!
!
আমি জিজ্ঞেস কই কী বের হচ্ছে? রুহি আমার পিঠ থেকে লম্বা একটা সাদা চামড়া টান দিয়ে বের করলো আর বললো এই দেখ কী এটা? আমি রুহিকে জিজ্ঞেস করলাম এটা কী আবার? রুহি বললো ভাইয়া এটাতো সাপের শরীরে থাকে। তোর শরীরে এলো কী ভাবে? আমি আর আমার বোন রুহি এটা দেখে খুব ভয় পেয়ে গেলাম। আর আমি ওকে বললাম আমার শরীর থেকে ওই সাদা চামড়া গুলো টেনে তুলে দিতে। রুহি আমার কথা মতো সব তুলে দিলো।
!
!
!
অনেক গুলো চামড়া বের হলো। ওই চামড়া গুলো বের করার পর আমার পুরো শরীরে কালো কালো ছোপ ছোপ দাগ দেখা যাচ্ছিলো। মানে সাপের শরীরে যেমন দাগ থাকে আমার শরীরেও ঠিক একই দাগ দেখা যাচ্ছে। আমি খুব ভয় পেয়ে গেলাম। আমি রুহি কে বললাম রুহি আমার শার্টটা নিয়ে আয় তারা তারি। রুহি আমার শার্ট নিয়ে এলো। আমি পরে নিলাম। আর বললাম এসব এর কিছুই যেন মা জানতে না পারে। উনি জানতে পারলে খুব চিন্তা করবে।
!
!
!
রুহি বললো ঠিক আছে সে মাকে কিছু বলবে না। তার দুই দিন পরের কথা গ্রামে একটা মেয়ে আছে নাম রানি। মেয়েটা আমাকে খুব পছন্দ করে আর আমি ও মেয়েটাকে পছন্দ করি। কিন্তু কেউ কখনো কাউকে কিছু বলিনি। আর এ দিকে মা আমার বিয়ের জন্য পাত্রি ও দেখতে শুরু করে দিয়েছে। এটা হয়তো ওই মেয়েটা জানতে পেরে গেছে। আমি গ্রামের মাঝ পথ দিয়ে যাচ্ছিলাম আর আমার কেনো জানি মনে হচ্ছে কেউ আমাকে ফলো করছে। পথে ওই রানি নামের মেয়েটার সাথে দেখা হলো। মেয়েটা আমার পথ আটকে দাঁড়ালো।
!
!
!
আর মেয়েটা আমাকে ওর ভালবাসার কথা জানিয়ে দিলো। আমি তো মনে মনে মহা খুশি। যে কথাটা আমি ওকে বলতে চাইছিলাম ওই কথাটা মেয়েটা নিজে এসে আমাকে বলে গেলো। আমি মেয়েটাকে বললাম আমি আমার মাকে তোমাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেবো আমাদের বিয়ের কথা বার্তা বলার জন্য। মেয়েটা একটু লজ্জা পেলো আর ওখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে গেলো। আমার তখন ও মনে হচ্ছিলো কেউ একজন আড়াল থেকে আমাদের দুজনের কথা শুনছে।
!
!
!
যাই হউক আমি বাড়ি চলে আসলাম। পরের দিন সকাল বেলা মেয়েটি আমাকে ডাকলো দেখা করার জন্য। আমি খুশিতেই দেখা করতে গেলাম। আর গিয়ে দেখি মেয়েটা খুব ভয় পেয়ে আছে। ওর দুচোখে শুধু ভয়ের ছাপ। আমি জিজ্ঞেস করলাম কী হয়েছে? এতো সকালে ডাকলে যে? দরকারী কিছু বলবে নাকি? মাকে আজ তোমাদের বাড়ি পাঠাবো। মেয়েটি বললো আমি তোমাকে বিয়ে করতে পারবো না। আমি ওর কথা শুনে খুবই অবাক হলাম আর জিজ্ঞেস করলাম কেনো?
!
!
!
মেয়েটি বললো আমি যদি তোমাকে বিয়ে করি ওরা আমাকে মেরে ফেলবে। আমি জিজ্ঞেস করলাম ওরা কারা? মেয়েটি বললো বেশি কিছু বলতে পারবো না। শুধু শুনে রাখো তোমাকে আমি বিয়ে করতে পারবো না। মেয়েটি চলে গেলো। আমি বুঝতে পারলাম না একরাতের মধ্যে কী এমন হলো মেয়েটার? আমি বাড়ি চলে আসলাম। সেদিন রাতের ঘটনা। আমি আমার রুমেই শুয়ে ছিলাম। আজ ও মাঝ রাতে আমার ঘুম ভেঙে গেলো।
!
!
!
আমি খেয়াল করলাম আমার তল পেটটা কেমন জানি উজ্জ্বল দেখাচ্ছে। আমি আমার শার্টটা একটু উপরের দিকে তুলতেই দেখতে পেলাম আমার তল পেটে একটা গোল আকৃতির দাগ আর এই দাগ থেকে স্পষ্ট একটা আলো বের হচ্ছে। আলোটা এতোটা স্পষ্ট যে সেই আলোতে আমার ঘরের সব কিছু দেখা যাচ্ছিলো। আমি খেয়াল করলাম আলোটা বাইরের দিকে গেলো আর সাথে সাথে আমার ঘরের চার পাশ দিয়ে সাপ আমার ঘরে ঢুকতে শুরো করলো।
!
!
!
কেমন লাগলো কমেন্টে জানাবেন। আজ খুব ব্যাস্ত তবুও লিখলাম। বানান ভুল থাকতে পারে। বানান ভুল থাকলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আর হ্যা যদি আপনাদের ভালো না লাগে বলবেন আর লিখবো না। আর তেমন রেসপন্স নেই। যদি সবার রেসপন্স না পায় তাহলে আর কন্টিনিউ করবো না। সবার কমেন্ট দেখতে চায়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here