মায়া পরি #পর্বঃ ০৩ #জুনায়েত

0
208

#মায়া পরি
#পর্বঃ ০৩
#জুনায়েত

আমার তল পেট থেকে ওই অদ্ভুত আলো বেরিয়ে যেই বাহিরে গেলো ঠিক তখনি আমার ঘরের চার পাশ দিয়ে সাপ আমার ঘরে ঢুকতে শুরু করলো। এই দৃশ্য দেখে আমি খুব ভয় পেয়ে গেলাম। আমি তারা তারি আমার তল পেটের উপ শার্ট টেনে নামালাম। আর সঙ্গে সঙ্গে আলোটা বন্ধ হয়ে গেলো। আমি খেয়াল করলাম আলোটা বন্ধ হওয়ার পর পরই আর কোন সাপ আমার রুমের চার পাশে নেই। সেটা আমি চর্ট লাইট জ্বালিয়ে নিশ্চিত হলাম।
!
!
!
আমি যা দেখলাম তা আমি নিজেই বিশ্বাস করতে পারছি না। আমি শুধু একটা বিষয় বার বার চিন্তা করছি যে আমার তল পেটে এটা কিসের দাগ। আর এর সাথে ওই সাপ গুলোর কী সম্পর্ক? আর মাঝরাতে এটা এতো উজ্জ্বল দেখাচ্ছিলো কেনো? আমি বার বার আমার তল পেটে হাত বুলাচ্ছিলাম আর শার্টের আড়াল থেকে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখার চেষ্টা করছিলাম। যাই হউক সেদিন রাতের জন্য আমার চোখের ঘুম চলে গেলো। সেদিন রাতে আমি আর ঘুমাতে পারলাম না। বার বার শুধু ওই ঘটনাটা চোখের সামনে ভাসছিলো।
!
!
!
পরের দিন সন্ধ্য বেলার ঘটনা। আমি আমার রুমে বসে পড়া শুনা করছিলাম। তখন আমার বোন রুহি আমার রুমে দৌড়ে আসলো আর আমাকে কী যেন বলতে চাচ্ছে। কিন্তু ও এতোটা ভয় পেয়ে আছে যে ও আমাকে কিছু বলতে পারছে না। ও শুধু হাঁপাচ্ছিলো। আমি ওকে জিজ্ঞেস করলাম কিরে বোন তুই এতো ঘাবড়ে আছিস কেনো? কী হয়েছে রে? রুহি শুধু আমাকে এটুকু বললো ভাইয়া বাইরে একটা বড় সাপ।
!
!
!
আমি ওর কথা শুনে খুবই ভয় পেয়ে গেলাম আর জিজ্ঞেস করলাম বড় সাপ মানে? এবার রুহি একটু শান্ত হলো আর আমাকে বললো ভাইয়া মা মাথা ঘুরে বাইরে পরে গিয়েছিলো আর আমি ওঠানোর চেষ্টা করছিলাম কিন্তু পরছিলাম না। ঠিক তখনি আমাদের পিছন থেকে কুচকুচে কালো একটা সাপ ধেয়ে আসলো আর মাকে তার লেজ দিয়ে পেঁচিয়ে ধরলো। আমি জিজ্ঞেস করলাম এখন মা কোথায়? রুহি বললো আমি জানি না। সাপটা যখন মাকে তার লেজের সাহায্যে পেঁচিয়ে ধরলো তখন ভয়ের চুটে আমি তোর রুমে চলে এসেছি।
!
!
!
আমি আর কিছু জানি না। আমার আর বুঝার বাকি রইলো না যে এইটা ওই সাপটাই যেটা আমাকে প্রতিদিন জড়িয়ে ধরে থাকে। আমি রুহিকে বললাম চলতো বাইরে যা-ই। দেখি কোথায় সাপ? আমি বাইরে গিয়ে দেখি কিছুই নেই। আমি রুহিকে জিজ্ঞেস করলাম মা কোথায়? রুহি বললো ওতো এখানেই দেখে গেছে। আমরা দুজনে মাকে খুজতে লাগলাম। কিন্তু বাইরে মাকে কোথাও খুজে পাচ্ছিলাম না। আমি রুহিকে বললাম একবার মা এর শোবার ঘরে দেখে আসই তো?
!
!
!
রুহি মায়ের ঘরে গেলো আর আমাকে চিৎকার দিয়ে বললো দাদা মাতো ঘরে। এই কথা শুনে আমি খুব অবাক হয়ে গেলাম আর দৌড়ে মায়ের ঘরে গেলাম। গিয়ে দেখি মা অঙ্গেন হয়ে তার বিছানায় পরে আছে। রুহি আমাকে জিজ্ঞেস করলো দাদা আমি তো মাকে বাইরে দেখে গেছি। কিন্তু মা তার ঘরে আসলো কী ভাবে? আমি বললাম সেটাতো একমাত্র মা ই ভালো বলতে পারবে। কিছুক্ষণ পর মা এর ঙ্গেন ফিরলো।
!
!
!
আর আমি গিয়ে মাকে জিজ্ঞেস করলাম কি হয়েছিলো মা? মা আমাকে জানালো সে মাথা ঘুরে বাইরে পরে গিয়েছিলো। আমি মাকে আরো জিজ্ঞেস করলাম কিন্তু বলোতো মা তোমাকে তোমার রুমে কে দিয়ে গেলো? কী করে তুমি তোমার রুমে এলে? মা আমাকে জানালো তার কিছুই মনে নেই। আমি ও আর মাকে কিছু জিজ্ঞেস করলাম না। আমি চাইছিলাম না মা এসব শুনে ভয় পাক আর চিন্তা করুক।
!
!
!
তার দুই দিন পরের কথা আমাদের এলাকায় আমার যে বন্ধু বান্ধব আছে তারা সিদ্ধান্ত নিলো তারা পিকনিক করতে জঙ্গলে যাবে। আমি না করি যে আমি যাবো না। কিন্তু তারা আমাকে রেখে যাবে না। তাই বাধ্য হয়ে ওদের সাথে যেতে হলো। আমরা দুপুর বেলা ওখানে গিয়ে পৌছালাম। আর আমরা জঙ্গলের ভিতরে ঢুকে গেলাম। জঙ্গলের ভিতরে ঢুকতেই আমি ভুল করে একটা বিষাক্ত সাপের লেজে পা দিয়ে দিয়েছি। আর সাপটা আমাকে একটা কামড় বসিয়ে দেয়। সবাই সাপটা দেখে ভয়ে পেয়ে গেলো। আর বললো এটা তো বিষাক্ত সাপ। কী হবে এখন তোর নাহিয়ান?
!
!
!
কিন্তু ভয়ংকর বিষয় কী জানেন? আমাকে কামড় দেওয়ার একটু পরেই সাপটা মারা গেলো। আমার কিছুই হলো না। সবাই এই দৃশ্য দেখে অবাক হয়ে গেলো। আর আমাকে নিয়ে হৈচৈ পরে গেলো। আমরা রাতে বাড়িতে ফিরে এলাম। আমি এবার সম্পূর্ণ বিশ্বাস করলাম আমি কোন সাধারণ মানুষ নয়। নিশ্চয়ই আমার অন্য কোন পরিচয় আছে। নয়তো ওতো বিষাক্ত একটা সাপের কামড়ের পর ও কোন সাধারণত মানুষ বেঁচে থাকতে পারে না।
!
!
!
আমি বুঝতেছি না আমি কী করে আমার পরিচয় জানবো। পরের দিন সকাল বেলা আমি জানতে পারলাম আমাদের এলাকার পাশের জঙ্গলে নাকি একজন লোক থাকে যে এই সাপ নিয়ে গবেষণা করে ও সাপ সম্পর্কে সব জানেন। আমি ভাবলাম উনার সাথে একবার দেখা করি। আমি বিকালে জঙ্গলে ওনার আশ্রমে গেলাম আর উনার সাথে দেখা করে সব খুলে বললাম।
!
!
!
কিন্তু যখন আমি আমার শার্ট টা একটু উপরে তুলে আমার তল পেটে থাকা ওই গোল আকৃতির চিহ্ন টা দেখালাম তখন উনি খুব ভয়ে পেয়ে গেলো আর বললো তুমি আমাকে স্পর্শ করো না আর তুমি এখান থেকে চলে যাও। আর যাওয়ার আগে একটা কথা শুনে যাও এই গোল চিহ্নটা কোন সাধারণত চিহ্ন নয়। এটা একমাত্র নাগরাজ এর শরীরেই থাকতে পারে।
!
!
!
চলবে তো?
!
!
কেমন লাগলো কমেন্টে জানাবেন। বানান ভুল থাকলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আর হ্যা অনেকেই ভাবতেছে এটা তো সাপের গল্প তাহলে পরির নাম দিলাম কেনো? সম্পুর্ন গল্পটা পড়ুন তাহলে বুঝতে পারবেন। আর হ্যা তেমন রেসপন্স পাচ্ছি না। যদি আপনারা রেসপন্স না দেন তাহলে শেষ করে দেবো। আর যদি সবাই চায় তাহলে আরো বড় করবো। সবার একটা করে গঠন মূলক মন্তব্য দেখতে চায়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here