ভালোবাসার_ফোড়ন_২ #মিমি_মুসকান #পর্ব_১৫

0
422

#ভালোবাসার_ফোড়ন_২
#মিমি_মুসকান
#পর্ব_১৫

“সরি রে আসলে…
বলতে গিয়েই চুপ হয়ে গেলাম! আমি চোখ বড় বড় তাকিয়ে আছি। ইতি’র ঠিক পিছনে আহিয়ান দাঁড়ানো হাতে ফোন নিয়ে। আমি এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি তার দিকে। ব্যাপারটা কি হলো এটা বুঝতেই আমার খানিকক্ষণ লাগাল।

ইতি বলে উঠে,
“কিরে কথা বলছিস না!

আমি অবাক স্বরে বলি,
“আপনি!

ইতি কোমরে‌ হাত দিয়ে বলে,
“কাহিনী টা কি বল তো। ভাইয়া আমাকে ফোন কে তোর বাসায় নিয়ে এলো কেন?

আমি হা করে তাকিয়ে আছি আহিয়ান’র দিকে।‌ হয়তো উনার সুবুদ্ধি হলো, ফোনের থেকে মুখ ঘুরিয়ে আমার দিকে তাকালো। তার চোখে একটা সানগ্লাস ছিল। তিনি সেটা খুলে আমার দিকে তাকিয়ে আবার ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বলল,

“ঠিক আর ১০ মিনিট পর আসবো আমি। জলদি তৈরি হয়ে নাও!

বলেই সিঁড়ি দিয়ে নেমে চলে গেলেন। আমি উঁকি দিয়ে উনার চলে যাওয়া দেখছি। হঠাৎ করেই ইতি আমাকে ধাক্কা দিয়ে বলল,
“কিরে গায়ের উপর দেখছি পড়ে যাবি।

“আমি যা দেখলাম তুই ও কি সেটাই দেখলি।

“এটা আহিয়ান ভাইয়া’ই! কি বললো শুনলি না ১০ মিনিটের মধ্যে যেতে বলেছে।

ঘরের ভিতর এসে,
“উহু যাবো না।

“ভাইয়া পরে কিন্তু বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাবে। আমাকে যেভাবে নিয়ে এলো!

“দেখ ভয় দেখিয়ে লাভ নেই আমি যাবো না।

“ভাইয়া তোকে না নিয়ে যাবে না তুই এটা ধরে নে।

আমি জানাল দিয়ে উঁকি দিয়ে দেখি উনি বাইকে বসে ফোন টিপছে। ইতি এসে আমার ঘাড়ে হাত রেখে বলল,

“দেখলি তো! ভালোয় ভালোয় বলছি তৈরি হয়ে নে!

আমি ইতি’র দিকে তাকালাম। অতঃপর তৈরি হয়ে নিচে এলাম। আমি উনার সামনে দাঁড়ানো। খেয়াল করলাম পাশেই আকাশ ভাইয়া। আমাকে দেখে হেসে বললেন,

“আমি বাজি জিতে গেছি আহি!

আমি ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে বলি,
“কিসের বাজি!

আকাশ ভাইয়া হেসে বললেন,
“বুঝলে নিহা! আমি আর আহিয়ান বাজি লেগেছিলাম। আহি বলেছি তুমি আসতে ১০ মিনিটের বেশি সময় নিবে আর আমি বলেছিলাম ঠিক ১০ মিনিট। আর আমার কথাই সত্যি হলো তুমি ১০ মিনিটের মধ্যেই এসেছো!

ইতি বলে উঠে,
“এমনটার কারন কি?

আহিয়ান বলে উঠে,
“কারনটা তুমি। আমাকে ১০ মিনিটের কথা বলে ২০ মিনিট দাঁড় করিয়ে রেখেছিলে। তাই…

আকাশ ভাইয়া আর আমি হেসে দিল। ইতি মুখ ভেংচি দিয়ে দুই হাত বাহুতে গুঁজে নিল।
আহিয়ানের দিকে তাকালাম। মুখের কোন ভাবভঙ্গি নেই। তিনি আমার হাতে হেলমেট ধরিয়ে দিয়ে বলল,

“পড়ো এটা!

“আমি হেটেই যেতে পারবো!

“তোমার হেঁটে যেতে যেতে দিন পার হয়ে যাবে, আমাদের জলদি যেতে হবে। পড়ো এইটা!

হেলমেট’র দিকে একবার তাকিয়ে আকাশ ভাইয়া’র দিকে তাকালাম। তিনিও বাইক এনেছেন। আমি আস্তেই বলে উঠি,

“আমি আকাশ ভাইয়ার সাথে যাবো!

কথাটা হয়তো আহিয়ান বা আকাশের কানে যায় নি। তবে ইতি’র কানে ঠিক’ই গেছে। সে হুট করেই আমার হাত শক্ত করে ধরে বলে,

“প্লিজ নিহা তুই আহিয়ান ভাইয়ার সাথে যা আমি আকাশ ভাইয়ার সাথে যাবো!

আমি চোখ ঘুরিয়ে ইতি’র দিকে তাকালাম। ইতি আমাকে সাধতে লাগাল। অতঃপর আকাশ ভাইয়া ডাকের সে নাচতে নাচতে চলে গেল তার কাছে। অতঃপর তারা দুজন চলে গেল একসাথে!

হঠাৎ আহিয়ান বলে উঠল,

“এটা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতি বলি নি, পড়তে বলেছি।

“হুম!

অতঃপর আমি সেটা পড়ে উনার বাইকের সামনে এসে দাঁড়ালাম। উনি বাইকে চড়ে বললেন,

“বসো!

আমি কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে ভাবলাম কিভাবে বসবো। আদৌও কি বসতে পারবো কিনা। অস্বস্তিবোধ হতে লাগল। ঠিক বুঝতে পারছি না কি করবো। কখনো এভাবে কোন ছেলের সাথে বসি নি আমি। ব্যাপারটা অস্বস্তিকর !
হঠাৎ উনি বাইক থেকে নেমে গেলেন। অতঃপর নিজের হেলমেট খুলে বললেন,

“হেলমেট খুলে তোমার!

আমি অবাক হয়ে উনার দিকেই তাকিয়ে রইলাম। আবার খুলতে কেন বলছে এটা। হঠাৎ উনিই আমার হেলমেট এ হাত দিয়ে সেটা খুললেন। অতঃপর বাইকে রেখে সামনে হাঁটা ধরলেন। আমি সেখানেই দাঁড়িয়ে রইলাম। উনি কিছুদূর হেঁটে পিছনে ফিরে আমাকে বললেন,

“দাওয়াত দেওয়া লাগবে নাকি তোমায়!

আমার ঘোর ভাঙল। আমি ব্যাগ টা ধরে দৌড়ে উনার পাশে গেলাম। অতঃপর উনার সাথেই হাঁটতে লাগলাম। মেইন রোডে চলে এলাম দুজন। হঠাৎ উনি আমার হাত ধরে রোড পার হয়ে এদিকে নিয়ে এলেন। আমি চোখ বড় বড় করে উনার দিকে তাকিয়ে রইলাম।

রোড পার হবার পর আমি নিজেই নিজের হাত ছুটিয়ে নিলাম। উনি আমার দিকে ছোট ছোট চোখ করে তাকালেন। অতঃপর একটা রিকসা দাড় করলেন। আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,

“বসো!

আমি উঠে রিক্সায় বসলাম। অনেকটা সরে বসলাম। অতঃপর উনি এসে আমার পাশে বসলেন। এখনো কেমন একটা অস্বস্তি লাগছে নিজের মধ্যে। মাথা নিচু করে হাত দুটো মুঠ করে বসে আছি।‌

অতঃপর রিক্সাওয়ালা কে বললেন,
“মামা হুট’টা তুলে দিন প্রচুর রোদ!

আমি উত্তেজিত হয়ে বলি,
“এই না!

উনি আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,
“আচ্ছা ঠিক আছে আপনি চলুন! ( অতঃপর আমাকে উদ্দেশ্য করে ) ঠিক আছো তুমি!

“হুম আছি!

“এক রিক্সায় যেতে কি তোমার সমস্যা হবে, তাহলে বলো আমি নেমে যাচ্ছি!

আমি উনার দিকে তাকিয়ে বলে উঠি,
“না ঠিক আছে আপনি বসুন!

“সমস্যা হলে বলতে পারো।

“না ঠিক আছি। আচ্ছা আপনি কি তাহলে এই কারনে বাইক ছেড়ে এখানে এলেন!

“সবাই সব কিছু’তে অভস্ত না এটা আমি জানি আর বুঝি!

উনার কথায় আমি মাথা নাড়লাম!
.
পুরো রাস্তা উনি আর আমি একটা কথাও বলে নি। দুজনেই চুপচাপ ছিলাম। অতঃপর রিক্সা এসে থামল কলেজের সামনে। আমি খানিকটা অন্যমনস্ক ছিলাম তখন। অন্যরকম ভাবনা চিন্তা ছিলো আমার মাথায়, ভাবছিলাম আচ্ছা নিতি যদি আমাকে আর উনাকে একসাথে দেখে তখন কি হবে।‌ সে তো পারলে আমার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেবে। ভেবেই মনে মনে হাসলাম। কিন্তু কেন হাসলাম জানি না!

উনার কথায় ধ্যান ভাঙল। তাকিয়ে দেখি রিক্সা থেকে নেমে গেছেন। আমাকে নামতে বলছে! আমি রিক্সা থেকে নেমে সামনে তাকাতেই আরেক দফা অবাক হলাম। সবাই কেমন অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। তাদের এভাবে তাকানোর মানে কি?

উনি রিক্সার ভাড়া দিয়ে আমার পাশে দাঁড়ালেন। ব্যাপারটা এখন পুরোপুরি পরিষ্কার! আমার পাশের জনের জন্য’ই সবাই আমাকে অদ্ভুত ভাবে দেখছে। কানাকানি ও শুরু হয়ে গেছে। নিজেকে কোন ভিন গ্রহের প্রাণির মতো লাগছে।

উনি আর আমি একসাথে’ই ভার্সিটিতে ঢুকলাম। যত’ই সামনে যাচ্ছি তত’ই ভয় লাগছে,‌গলা শুকিয়ে যাচ্ছে। মন বলছে কিছু হতে চলেছে। খারাপ কিছু!
“যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই সন্ধ্যে হয়”‌ প্রবাদ টা এখন আমার সাথে পুরোপুরি মিলে গেছেন। একদম সেই পরিস্থিতিতে আমি। আমার সামনে নিতি, আমাকে আর আহিয়ান কে একসাথে দেখে রেগে বম হয়ে আছে।ইতি আর আকাশ ভাইয়া ও আছে দেখছি। হয়তো অনেক আগেই এসে পড়েছে। নিতি আমার দিকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে, ওকে দেখে মনে হচ্ছে ওর মনের কথা আমি বুঝতে পারছি। এটাই বলছে হয়তো মনে মনে,

“নিহা’র বাচ্চা তোকে তো আমি তাল গাছের সাথে ঝুলাবো, বাড়ি মেরে মাথা ফাটিয়ে দেবো, তারপর কুঁচি কুঁচি করে কুকুর কে খাওয়াব! ”

ধারনা ঠিক কি না জানি না কিন্তু এটাই মনে হচ্ছে ‌। আহিয়ান নিতি কে উদ্দেশ্য করে বলে উঠে,

“নিতি সরি বল!

নিতি শান্ত ভাবেই বলে,
“কাকে বলবো সরি!

ইতি এসে আমার পাশে দাঁড়াল। আহিয়ান বলে উঠে,
“নিহা কে!

উনার কথায় উপস্থিত সবাই অবাক। আমি চমকে উঠে আহিয়ানের দিকে তাকাই। নিতি রেগে বলে উঠে,

“তুই কি মজা করছিস আমার সাথে!

“মজা করার কোন বিষয় এটা!

“তাহলে,‌ আহি তুই কি পাগল হলি। আমি এই মেয়েটা কে সরি বলবো।

“অবশ্যই! তাও সবার সামনে সরি বলবি যেভাবে সেদিন সবার সামনে থাপ্পড় মারলি!

থাপ্পড়ের কথা শুনে ইতি অবাক যেহেতু এই বিষয়ে সে কিছু জানে না তাই অবাক। আমি মাথা নিচু করে নিলাম। নিতি রেগে আহিয়ানের দিকে তাকাল। আহিয়ান শান্ত ভাবেই নিজের ফোন টা বের করে টিপতে টিপতে বলল,

“জলদি বল আমাকে আবার যেতে হবে!

নিতি রেগে আমার দিকে তাকিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে বলল,
“সরি!
অতঃপর আহিয়ানের দিকে তাকিয়ে রেগে চলে গেল। তার পিছন পিছন টিনা আর আনিকাও গেল। আকাশ ভাইয়া হয়তো সব জানত তাই এতোটা অবাক না। নাহান আর আনাফ ভাইয়া অনেকটা অবাক অবশ্য!
এদিকে আমি স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে আছি। পুরোটাই স্বপ্নের মতো লাগল, এই মনে হচ্ছে আমি উঠলে স্বপ্নটা ভেঙে যাবে। সবকিছুই ধোঁয়াশার মতো উড়ে যাবে।‌কোন কিছুর অস্তিত্ব থাকবে না!

ইতির ডাকে হুশ ফিরল। তাকিয়ে দেখি নাহান আর আনাফ ভাইয়া আমার দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে আছে। আকাশ ভাইয়া আর আহিয়ান হেটে ভার্সিটির বাইরে চলে যাচ্ছে! ইতি আমাকে টেনে নিয়ে গেল বাইরে। বাইরে এসে দেখে আহিয়ান ফোন নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে তার পাশে একটা রিক্সা দাঁড়ানো। আমাদের দুজনকে সেটাতে উঠিয়ে দিল সে! আমি উনাকে কিছুই জিজ্ঞেস করলাম না কিন্তু অনেক কিছু জিজ্ঞেস করার ছিল।

সারা রাস্তায় সেদিনের কথা বললাম ইতি’র কাছে।‌ ইতি বেশ কিছুক্ষণ গালাগালি করল নিতি কে। আমার মনে হচ্ছিল রিক্সা ওয়ালা মামা হয়তো ওর বক বক শুনে অতিষ্ট হয়ে গেছেন!

ইতি’র বাসা কাছে ছিল সেখানেই সে নেমে গেল। অতঃপর রিক্সা এসে থামল আমার বাসার সামনে। আমি প্রথমে খানিকটা থতমত খেলাম যেহেতু এখনো ওইসব চিন্তা আমার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল। রিক্সা ওয়ালা আমাকে নামতে বলছে! অতঃপর রিক্সা থেকে নেমে আবারো অবাক হলাম। পাশেই দাঁড়িয়ে আছে আহিয়ান আর আকাশ ভাইয়া!

আহিয়ান আবারো এখানে কেন? মূহুর্তে মনে পড়ল উনার বাইক তো এখানেই ছিল। হয়তো সেটাই নিতে এসেছে। আমি উনার কাছে গিয়ে বললাম,

“আপনি এমনটা কেন করলেন?

ফোনের দিকে তাকিয়ে বললেন,
“তুমিই তো বলেছিলে,‌ আমি কেন সরি বলবো।

“হ্যাঁ বলেছি তার মানে তো এটা না যে নিতি আপু সরি বলবে!

“হয়তো মানে এটা না তবে কথা ঠিক! দোষ যে করেছে সরি সে বলবে!

“আপু কি খুব রেগে যাবে না!

“জানি না!

আমি একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বাসায় দিকে হাঁটা ধরলাম। হঠাৎ উপর থেকে দাদু ভাই বলে উঠে,

“আরে আহি বাবা না!

আমি থমতম খেয়ে উপরে তাকালাম। তাকিয়ে দেখি দাদু ভাই হাতে সিগারেট নিয়ে ছাদ থেকে দাঁড়িয়ে কথা টা বলল। উনি হেসে দাদু ভাই’র দিকে তাকালেন!

দাদু ভাই বললেন,
“এখানে দাঁড়িয়ে যে নাতি উপরে এসো!

আমার ধারনা ছিল আহিয়ান না বলবে। কিন্তু উনি তা বললেন না। বাইক থেকে নেমে বললেন,

“আসছি, আগে বলো চা খাওয়াবা!

উপর থেকে দাদি বলে উঠে,
“আচার আছে খেতে চাইলে আসো!

আহিয়ান একটা মুচকি হেসে আমাকে পার করে উপরে হাটা ধরলেন। পেছনে তাকিয়ে দেখি আকাশ ভাইয়া অবাক চোখে তাকিয়ে আছে। মনে হচ্ছে আমার মতো সেও খুব অবাক!

ঘরে এসে রান্না বান্না করছিলাম। হঠাৎ করেই বাইকের আওয়াজ শুনলাম। তাকিয়ে দেখি উনারা চলে যাচ্ছে। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে ওদের চলে যাওয়া দেখলাম। অতঃপর একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলি,

“উনাকে বোঝা আমার পক্ষে সম্ভব না!
.
রাতে বিছানায় বসে পড়ছিলাম হঠাৎ নাকে চিংড়ি ভাজার ঘ্রাণ এলো! ভর্তা বানানোর জন্য’ই নিশ্চিত কেউ ভাজছে! ঘ্রাণ টা অনেক তীব্র তার মানে হয়তো মিতু আপুই বানাবে। আমি উঠে মিতু আপুর কাছে গেলাম। হ্যাঁ সত্যি মিতু আপু ভাজছে। আমাকে দেখে হেসে বলল,

“কিছু বলবি!

( মাথা নাড়লাম )

“কি বলবি!

“তুমি চিংড়ি মাছের ভর্তা বানাবে বুঝি!

“হুম মুন্নি’র অনেক প্রিয়।‌ খেতে চেয়েছে তাই ! কেন?

“আমাকে একটু দিবে গো!

“তুই খাবি!

“হুম আমার অনেক প্রিয়!

“আচ্ছা বানালে দিবো।

“আচ্ছা!

বলেই বাইরে চলে এলাম। দেখলাম মুন্নি আপু কেমন ভাবে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। আমি তার দিকে তাকাতেই তিনি মুখ ঘুরিয়ে নিলেন।

আমি কিছু না বলে গিয়ে আবারো পড়তে বসলাম! অনেকক্ষণ পড়ার পর মনে পড়ল দাদি আজ বাইরে গেছে। বলে গেছিল ছাদে কাপড় শুকানো, সেগুলো যেন গিয়ে ঘরে রেখে আসি। আমি একদম ভুলে গেছিলাম সেই কথা।

অতঃপর এখন উঠে যেতে নিচ্ছি তখন দেখলাম আপু ভাত বাড়ছে। আমাকে দেখে বলল,

“কোথায় যাচ্ছিস!

“ছাদে যাচ্ছি দাদি’র শুকনো কাপড় গুলো রেখে আসতে!

“আচ্ছা তাড়াতাড়ি আসিস। ভাত বাড়ছি!

“আচ্ছা!

অতঃপর আমি ছাদে গিয়ে দাদি’র কাপড় গুলো নিয়ে ঘরে রেখে আসলাম। দাদু ভাই কে দেখে এলাম। দেখি তিনি বসে টিভিতে খবর। কিছুক্ষণ তার সাথে কথা বলে নিচে নামলাম। অতঃপর…

#চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here