আমায়_রেখো_প্রিয়_প্রহরে #পর্ব_১৬ #লেখনীতে_প্রিমা_ফারনাজ_চৌধুরী

0
82

#আমায়_রেখো_প্রিয়_প্রহরে
#পর্ব_১৬
#লেখনীতে_প্রিমা_ফারনাজ_চৌধুরী

হিম বাতাসে নিমজ্জিত পরিবেশ। ছাত্রছাত্রীদের পদচারণা আর কোলাহলে সেই নিমজ্জিত পরিবেশে খানিকটা উষ্ণতা ঢেলে দিল বন্ধুমহল। নিখিলের নিত্যদিনের সঙ্গী, পুরোনো অবহেলিত গিটারটা । জং ধরে গেছে অনেক তারে। কোনোমতে টেনেটুনে চলা। নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় আপন জিনিসগুলো বোধহয় বরাবরই অবহেলিত থাকে। তার সেই গিটারের সুরে থেমে যায় পথিক। ঘাড় ঘুরিয়ে তাকায় বিষণ্ম প্রেমিক।

আহিরের হাতের ডিবি ফোরকে একশন ক্যামেরাটিতে বন্দী হয় বন্ধুমহলের কয়েকটা ছবি আর জায়িনের কবি গলার সেই কবিতা সবাইকে করে মন্ত্রমুগ্ধ।

আকাশের রঙধনু জানে বন্ধুত্ব আমাদের
একই রোডে আঁকিবুঁকি করে হেটে যাই,
চায়ের কাপে চুমুকে বিল নিয়ে হুটোপুটি
রয়ে গেছে বছরঘুরে একই সবটাই,
টং এর বেঞ্চের বৃষ্টির ছিটে আসা পানি
ভিজেয়েছিস সবাইকে করে,লুটোপুটি
বন্ধু বন্ধুর বন্ধুত্বের বাধনে সবটা সুন্দর খুনসুটি।

আর তিন বান্ধবীর টুকটাক কিছু মন ভালো করে দেয়া গল্প। হাসাহাসি মাতামাতি একে অপরের পিছু লাগা। ব্যস্ত কল্লোলময় ক্যাম্পাসের তারাও একটি অংশ।

আড্ডা শেষে ক্লাসের সময় হওয়ায় ক্লাসের দিকে ছুটলো সবাই। গিয়ে দেখতে পেল সবাই একজোট মিলে কিছু একটা নিয়ে আলোচনা করছে। শুধুমাত্র নিহাত একপাশে বসে বইয়ে মুখ গুঁজে রয়েছে। শান্তা বাকিদের উদ্দেশ্য বলল

কি দেখছিস রে সবাই মিলে।

গলা বাড়িয়ে উঁকি দিতেই দেখলো মোবাইলে কিছু দেখছে তারা। মেহুল সুজানাকে বলল

সবদিকে ওর কৌতূহল।

শান্তা ওদের ফোনটা কেড়ে নিয়ে নিল। সবাই একসাথে হাঁকিয়ে উঠে বলল

এত কাড়াকাড়ি করিস কেন?

শান্তা ফোনটা চোখের সামনে ধরে বলল

বয়ফ্রেন্ডকে দেখছিস? বাহ তোদের বয়ফ্রেন্ড তো হেব্বি আছে।

বলেই নিজে নিজেই চোখ ঢলা মারলো। দেখলো ফোনের স্ক্রীনে অভিক স্যার হাতনেড়ে লেকচার দিচ্ছে।

ও মেহু এটা তো দেখি স্যার।

শান্তা ফোনটা নিয়ে বসতেই ছোঁ মেরে নিয়ে গেল ফোনের মালিক। বলল

স্যারের পেজে গিয়ে দেখ। আমার এমবি শেষ।

শান্তা সুজানার ফোন কেড়ে নিল। বলল

এমবি আছে?

সুজানা বইয়ে মুখ গুঁজে জবাব দিল।

হুমম।

শান্তা ফেসবুকে “Abhik Fardin ” লিখতেই যে পেজটি সামনে এল ওটাতে প্রবেশ করলো। 4.7M Follower দেখা যাচ্ছে। শুরুতেই অনেক গুলো ভিডিও। যেগুলোতে এলইডি স্ক্রীনের সামনে পড়াচ্ছে অভিক। শান্তা ভিডিওগুলো স্ক্রল করতে করতে নীচে নেমে এল।

সুজানা বইয়ের পাতা উল্টে বলল

কি দেখছিস আমাকেও দেখা।

শান্তা ঝামটি মেরে বলল

আরেহ চুপ থাক। মেহুলও উৎসুক হয়ে দেখছে। সুজানা মুখ তুলে এবার ফোন কেড়ে নিল। বলল

আমাকে না দেখালে চলবে না।

ফোনটা সম্মুখে তুলতেই কালো জ্যাকেট পরিহিত পরিচিত মুখটা দেখতেই অদ্ভুত দুন্দুভিধ্বনি টের পেল অন্তঃকরণে। লাল মার্সিডিজে বসে আছে সৌম্যদর্শন লোকটি। চোখে রোদচশমা। নিশ্চয়ই বিদেশের মাটিতে।
মুখে সেই চিরাচরিত ঘায়েল করা সরল হাসিটি। ক্যাপশনে লেখা

The real beauty is being able to hold on to your own individuality🫶

সুজানা কম্পিত হাতে ফোনটা উপুড় করে রেখে বলল

মানে কি আমার ফোনে উনার ছবি কেন?

শান্তা ফোনটা নিল ছোঁ মেরে।

গা*ধী পেজে ঢুকেছি তাই। আমার ফোনে উনার ছবি কেন? ঢং।

শান্তা ভেঙচি কাটা দেখে সুজানা তোতলে বলল

তো আমি জানি নাকি?

মেহুল বলল

আরেহ দেখতে দে।

শান্তা চোখ সরু করে চেয়ে ছোট করে বলল

কেন কেন? সাইফ ওয়াহিদ কি জানে?

সাইফ ওয়াহিদ তার জায়গায় সেরা। আর অভিক ফারদিন তার জায়গায় সেরা। সো নো কম্পেয়ার। সাইফ ওয়াহিদ মানেই লাভ । আর অভিক ফারদিন মানেই রেসপেক্ট। বুঝেছিস?

শান্তা ঠোঁট উল্টে বলল

ব্র্যাভো ডিয়ার।

মেহুল হাসলো।

সুজানা বলল

আচ্ছা ফোনটা দিবি?

শান্তা বলল

ধুরর দাঁড়া। কমেন্ট পড়তেছি। শালার লুইচ্চা মাইয়্যাগুলোর দেখতেছি এই ছবির কমেন্টে ঝাঁপায় পড়ছে। শান্তা কমেন্টগুলো জোরে জোরে পড়লো…

স্যার ডুবেছি আপনার হাসির অনন্ত মায়ায়।

স্যার কেরেশ খেইয়্যা গেলুম।

ওই ফর্সা গালে কালো দাঁড়ি ভাল্লাগে 🙈

স্যার আমি রস আপনি মালাই চলেন দুজন বিয়ে করে পালাই🙈

সুজানা আর মেহুল হেসে উঠলো। শান্তা বলল

এসব কোনো কথা? আর স্যার এগুলার একটারেও রিপ্লাই দিল না। বাকিদের দিল। হা হা স্যার লজ্জা পেল নাকি?

সুজানা বলল

ধুরর আর পড়িস না। অসভ্য মেয়ে মানুষ।

শান্তা আর মেহুল হো হো করে হেসে উঠলো। শান্তা বলল

হাহ তোর জ্বলে কেন?

সুজানা বইয়ে মুখ গুঁজে বলল

ফালতু কাজ করার সময় নেই। এমবি কম ভিডিও দেখবি না।

বলেই সে বইয়ে মুখ গুঁজলো। মেহুলও বইয়ের পাতা উল্টাতে উল্টাতে বলল

মানে এরা আমাদের ভার্সিটির স্টুডেন্ট হবে সুজু।

বাদ দে।

শান্তা ছোট্ট করে কমেন্ট করলো

Looking Gorgeous🔥

তারপরেই ফোনটা দিয়ে দিল সুজানাকে।

মোর্শেদ স্যার ক্লাসে এসে জানালেন আজকের ক্লাসটি উনি নেবেন। ফারদিন স্যার আসবেন না।

সুজানা স্বস্তি পেল। ভালোই হয়েছে। কোথাও এখনো ধুকপুক ধুকপুক করছে। কি আজব ব্যাপার স্যাপার ঘটছে আজকাল।

_____

কাট পাহাড়ের রাস্তা আর সবুজ পাহাড়িয়া পথ পেরিয়ে রঙিন শাটলে করে তারা ফিরে এল নিজের শহরে। নিখিল আবারও জানিয়ে দিল সবাইকে তার ভাইয়ের আগত বিয়ের উপলক্ষ সম্পর্কে।

সুজানা, মেহুল আর শান্তা অভয় দিয়ে জানালো যেখানে একজন গিটারিস্ট একজন কবি আরেকজন ক্যামেরা ম্যান থাকে সেখানে তাদের তিনজনের উপস্থিতি থাকবে না এটা কখনো মানা যায় না। তারা অবশ্যই যাচ্ছে।

_______________________

ল্যাপটপে মুখ গুঁজে ইলাস্ট্রেটর দিয়ে ডিজাইন এবং ফটোশপে মকআপ করে ডিজাইন রেডি করতে গিয়ে ঘড়ির কাঁটা সাড়ে তিনটার ঘরে কখন যে চলে গেল খেয়ালই নেই সুজানার। টেবিলের মোটা বইয়ের পাতায় মুখ গুঁজে রাখা যুবককে ডেকে বলল

বলবে না সাড়ে তিনটা বেজে গেল।

সাইফ চোখ তুলে দেয়াল ঘড়ির দিকে তাকালো।

ডিজাইন কয়টা হলো তোর?

মাত্র সাতটা। রাতে এসে বাকিগুলো করব।

রাতে পড়া। আজ বাদ দে। রেডি হয়ে চলে যাহ।

সুজানা ল্যাপটপ চার্জে লাগাতে যাবে তখুনি সাজিয়া বেগম এলেন। বললেন

কি রে যাচ্ছিস না দেখে ডাকতে এলাম। যাবি কখন?

এই তো হয়ে গেছে আম্মা।

রাশেদা বেগম চায়ের কাপ নিয়ে এসে বলল

চা খাবি না?

সাজিয়া বেগম বারণ করলেন।

না আপা ওর দেরী হয়ে গেছে। টিউশনি থেকে ফিরতে দেরী হবে। চা এসে খাবে।

____________

সুজানাকে আজ একটু দেরীতে আসতে দেখে নাকমুখ কুঁচকে তাকালো মর্জিনা। বলল,,

তোমার কি সঠিক কোনো সময় নাই গো? একেক বার একেক সময়ে আসো।

সুজানা মিষ্টি হাসলো শুধু। মর্জিনা বিড়বিড়িয়ে ভেতরে চলে গেল।

খেলতে থাকা অনা আর আবিদ সুজানাকে দেখে ছুটে এল। আবিদের হাতে পানির প্লাস্টিক টিউব । আবিদ টিউব দেখিয়ে বলল

সুজান পানি দিবি?

অনা তার মাথায় চড় মেরে বলল

চোপপ চোপপ আবি। বুলো দিবে। সুজান পানি দিবে। দিবি বুলেচো কেন?

আবিদ টিউব দিয়ে অনাকে ধপাস করে মেরে বলল

শাতাপ পোঁচা মিয়ে।

সুজানা টিউবটা কেড়ে নিয়ে বলল

স্টপ। দু’জন ঝগড়া শুরু করে দিয়েছেন? কারো সাথে কথা বলব না আমি।

দুজনেই ঠোঁট বেঁকিয়ে তাকালো। অনা মাথায় হাত চেপে বলল

আবি মাচচে।

আবিদ বলল

অনা চোপ চোপ বুলচে। পোঁচা মিয়ে।

সুজানা বলল

আবিদ সাহেব কানে ধরুন। বোনকে আদর করে দিন। সরি বলুন।

অভিক সদর দরজার ভেতর থেকে গলা বাড়িয়ে উঁকি দিল।

জুনিয়র ঝগড়া করছেন আপনারা?

সুজানাকে দেখে ভুরু উঁচালো। সুজানা চোখ সরিয়ে ছোট করে বলল

আবিসোনা কানে ধরো আর সরি বলো বোনকে। বলো।

আবিদ ঠোঁট টেনে চেয়ে রইলো সুজানার দিকে। সুজানা টিউবটি দেখিয়ে বলল

এটা দিয়ে খুব মারব সরি না বললে। হুম।

অভিক ততক্ষণে কিছুটা পাশেই এসে দাঁড়ালো। সুজানা টের পায়নি। আবিদ অভিককে দেখে ঠোঁট টেনে কেঁদে উঠে বলল

সুজান পোঁচা মিয়ে।

সুজানা হেসে উঠতে যাবে তার আগেই ঘটে গেল দুর্ঘটনা। টিউব থেকে গলগলিয়ে পানি বেরোতে থাকলো। অভিক ততক্ষণে ভিজে চুপসে গেছে। সুজানা জিভে দাঁত বসিয়ে টিউব সরাতে সরাতে পানির তোড়ে অভিক জবজবে। সুজানা টিউব সরিয়ে অভিককে পিছু করে দাঁড়িয়ে চোখবন্ধ করে দাঁত দিয়ে জিভ কামড়ে ধরে হাতের মুঠোয় ওড়না চেপে দাঁড়িয়ে রইলো।
অনা আর আবিদ লাফাতে লাফাতে হাত তালি দিল।

ওহ ওহ অভি ভিজি গিছে। সুজান ভিজি দিছে।

একচোখ মেলে সুজানা অভিকের দিকে ফিরলো। অভিক চুল থেকে পানি চেপে ফেলে দিল। হাত দিয়ে মুখ থেকে পানি ঝেড়ে গালের পানি পাশেই কুলি করে সুজানার দিকে তাকালো। সুজানা শুকনো ঢোক গিলে বলল

আমি সরি। দেখতে পাইনি।

টিউবটি থেকে এখনো পানি পড়ছে নীচে। মর্জিনা ছুটে এসে বলল

হায়হায় এটা কি হলো? আমি তো ড্রামে রাখছিলাম নলটা। এখানে কি করে এল? বাবু তুমি ভিজছো কেমনে?

সুজানা নিজের দোষ ঢাকতে দ্রুত পা চালিয়ে বাড়ির ভেতরে চলে গেল। অভিক নলটা ড্রামের কাছে নিয়ে গিয়ে রাখলো। বলল

নলটা ওদের দিয়েছ কেন আন্টি? ওরা এটা নিয়ে মারামারি করছে। সুজানা ওটা মেবি কেড়ে নিয়েছে। আর আমার এই অবস্থা।

মর্জিনা গালে হাত দিল।

ওমাগো সুজানা ভিজায় দিছে?

অভিক মাথার চুল ঝাড়তে ঝাড়তে ভেতরে যেতেই সালমা বেগম ছুটে এলেন।

এমা অভি কোথায় ভিজেছিস? এসময় কোথায় ভিজতে গিয়েছিস? তুই এখনো বড় হলিনা?

মা মা প্লিজ। আমাকে বলতে দাও। আমি ইচ্ছে করে ভিজিনি। ইনসিডেন্টলি হয়ে গেছে টিউবের পানি পড়ে। আমি এক্ষুণি চেঞ্জ করে আসছি।

পেছন থেকে মর্জিনা বলল

ভাবিজান বাবুরে ওই মেয়েটা ভিজায় দিছে। সুজানা না কিজানা মেয়েটা।

অভিক শুধরে দিল।

কিজানা নয় ওটা সুজানাই হবে।

হ্যা ওটাই।

সালমা বেগম কোমরে হাত দিয়ে বললেন

কেন? ওই মেয়ে না স্যারকে এত লজ্জা পায়। আজ ভিজিয়ে দিতে লজ্জা পেল না?

মমতাজ বেগম আনিকার সাথে এসে পড়লেন তক্ষুণি। বললেন

আহা ছোটবৌমা কেন সবসময় ওই মেয়েটাকে নিয়ে পড়ো তুমি? যাকে ভিজিয়ে দিল তার তো কোনো অভিযোগ নেই। দাদুভাই তোমার কোনো অভিযোগ আছে?

অভিক হ্যা না উভয় জাতীয় ইঙ্গিত ইশারা করে মাথা দুলিয়ে যেতে যেতে বলল

মা কফি চাই।

সালমা বেগম কফি বানাতে ছুটলেন। ছেলেটার ঠান্ডা লেগে যাবে। মেয়েটাকে দেখতে তো অত বোকা-সোকা মনে হয় না তারপর একেকটা অপছন্দের কাজ করে বসবে। অসহ্য।

________________

অনা আর আবিদের সাথে আজ ভারী চেঁচাতে হচ্ছে সুজানাকে। দুজনেই দু’জনের উপর রেগেমেগে তাকাচ্ছে শুধু। পড়ায় মনোযোগ নেই। অনার চাইতে আবিদ বেশি দুষ্টু। বোনকে ঠাসস ঠাসস মারতে তার দ্বিধা নেই। সুজানা গালে হাত রেখে বলল

আপনি যদি বোনকে সরি না বলেন আদর না করেন তাহলে কাল থেকে সুজান আর আসবে না। কখনোই না। বুঝেছেন? সুজানকে আর কখনো দেখবেন না।

আবিদ এবার অনার দিকে তাকালো। আবারও কিছুক্ষণ থম মেরে বসে রইলো। সুজানা বলল

ওকে আমি তাহলে চলে যাই।

চেয়ার নড়ার সাথে সাথে আবিদ অনার কপালের একপাশে লালা লাগিয়ে আদর করলো। বলল

চরি চরি পোঁচা মিয়ে। সুজান আন যাবেনা কেমন?

সুজানা মিষ্টি হেসে বলল

ওয়াও গুড। এভাবে আদর করবেন। বোনকে কেউ মারে?

তন্মধ্যেই সুজানার ফোন বেজে উঠলো। কোনো মেসেজ এসেছে বোধহয়। সুজানা ফোন তুলে নিতেই দেখলো নোটিফিকেশন। নোটিফিকেশনে ট্যাপ করতেই ফেসবুকে নিয়ে গেল। সেখানে নোটিফিকেশনে লেখা আছে ‘ Abhik Fardin replied to your comment “.

মাত্রই দিল। সুজানা কমেন্টটা চেক করতে গিয়ে দেখলো সুজানার কমেন্টের উত্তর দিয়েছে অভিক।

সুজানার আইডি থেকে লিখা

Looking Gorgeous 🔥

আর তাতে অভিক উত্তর দিয়েছে।

Really ! 😒

সুজানার মাথা হেট। উফফ শান্তনি বজ্জা*ত এটা করলো কি?
আর কেমন একটা প্রতিক্রিয়া দিলেন উনি। সুজানা দ্রুত রিমুভ করলো তার কমেন্টটা।

দরজা ঠেলে কফির নিয়ে প্রবেশ করলো অভিক। সুজানার পাশের চেয়ার টেনে নিয়ে বসতেই সুজানা ভীতসন্ত্রস্ত লজ্জিত হয়ে একপলক তাকাতেই অভিক একগাল হাসলো। পকেট থেকে ফোন বের করে মগে চকলেট রঙা আর সাদা মিশেল কফি দেখিয়ে বলল

লুকিং গর্জেস!

সুজানা মাথা নামিয়ে ছোট করেই বলল

আমি বলিনি।

হ্যা জানি। ভূতে বলেছে।

সুজানা জোর দিয়ে বলল

বললাম তো আমি বলিনি।

আমি বললাম তো ভূতে বলেছে।

সুজানা গালফুলা চোখমুখে আঁড়চোখে তাকালো।

অভিক হাসলো আবারও। বলল,,

আমি রস আপনি মালাই চলেন দুজন বিয়ে করে পালাই।

সুজানা চমকে উঠে বললো

অ্যাহ????

অভিক হো হো করে হেসে উঠলো ঘর কাঁপিয়ে। বলল

এটা কমেন্ট ছিল সুজানা।

চলবে,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here