পাথর_হৃদয়ে_ফুল Writer- Nodi Karim পর্ব – ৮

0
95

#পাথর_হৃদয়ে_ফুল
Writer- Nodi Karim
পর্ব – ৮

[অনুমতি ব্যতীত কপি করা নিষেধ]

মুখটা হিংস্র করে ফেলে লাথি দিয়ে লোকটা বসা সেই চেয়ার টা ফেলে দেয়। লোকটা ব্যাথায় আআআআআ…বলে চিৎকার দেয়।

_হেই স্টপ চিৎকার চেচামেচি আমার একদম পছন্দ না।মৃত্যুর মুখ থেকে বাচাঁর খুব ইচ্ছা হচ্ছে?
কথাটা বলেই মেয়েটি পরনের কোটের ভিতর থেকে একটা রিভলভার বের করে।পাশে দাড়ানো রোহিত নামক ছেলেটিকে ইসারায় দেখায়। পরে থাকা লোক টিকে সোজা করতে।

মেয়েটি নিজের মাস্ক খুলে লোকটির সামনে গিয়ে বলে

_দেখ তো চিনতে পারিস নাকি?

_আর…হা ম্যাম আপপ..নি
লোকটি চোখ বড় বড় করে বলে কথাটা।
এই লোকটি হলো আরহাকে যে পার্টির দিন ড্রিংক দিয়েছে সেই সার্ভেন্ট। আসলে এই লোক কোনো সার্ভেন্ট নয়। সার্ভেন্ট সেজে ডুকে ছিলো আরহাকে মারার জন্য। লোকটার নাম রশিদ,এবং কারো কথায়ই সে কাজটা করেছিলো।

আরহা রশিদের কথায় উওর না দিয়ে রশিদের দিকে তাকিয়ে ভাবে।সেদিন রাতে আরহা স্বপ্ন দেখায় ঘুম ভাঙ্গার পর আর ঘুমায় নি। ফ্রি ছিলো তাই বসে বসে পার্টির ভিডিও ফুটেজগুলো দেখছিলো।তখনি দেখতে পায় একজন সার্ভেন্ট গ্লাসের জুসের ভিতর কিছু মিশাচ্ছে।এটা দেখে আরহা মনোযোগ দিয়ে দেখতে শুরু করে।
সার্ভেন্টটি গ্লাসটা নিয়ে আরহা কে দেয় এটা দেখেই আরহার চোখ বড় হয়ে যায়।

আরহার তার পিএ রোহিতকে ফুটেজগুলো পাঠাতেই।রোহিত বলে আরহা বাংলাদেশে আসার পর থেকে রশিদ আরহাকে ফলো করে।
সেদিন রাতেই রশিদ কে আরহার লোক ধরে নিয়ে এসে গোডাউনে মারতে থাকে। তাও মুখ থেকে কোনো কথা বের করতে পারে না।তাই আরহা আজ নিজেই এসেছে।

আরহা হাতের রিভলভার দিয়ে রশিদের মুখ নিজের দিকে ঘুরিয়ে বলে-

_এখনো পেট থেকে কথা বের হবে নাকি মর*বি বল কে পাঠিয়েছে তোকে?
আরহা রাগে হিসহিসিয়ে কথাটা বলে।

_আমি কিকি..ছু করিরি নিহহ.. ম্যা…ম

_তুই মুখ খুলবি না বুঝেছি,সো এখন তৈরি হ উপরে যেতে।
কথাটা বলে আরহা রোহিতের আছে যেতেই রোহিত আরহার হাতে পানির পাইপ তুলে দেয়। আরহা পাইপ এনে পুরো রুমে পানিতে ভরিয়ে দেয়।দরজার সামনে পানির থেকে কিছুটা দূরে এসে আরহা প্লাকের সাথে কানেক্ট করে দেয়। সাথে সাথে বিদ্যুৎ চমকানোর মতো করে কেঁপে উঠে রশিদ। পুরো শরীরে তার কারেন্টের ঝাঁকুনি লাগছে।
এরকম করতে করতে এক সময় রশিদের শরীল নিথর হয়ে ডলে পরে।

আরহা হাত থেকে হ্যান্ড গ্লাভস খুলে ডাস্টবিনে ফেলতে ফেলতে রোহিতকে বলে-
_রোহিত লাশ টা গুম করে দাও। কোনো প্রুব যেনো না থাকে।

_ওকে ম্যাম হয়ে যাবে।

আরহা আর কিছু না বলে গাড়িতে গিয়ে বসতেই ম্যাসেজ টোন বেঝে ওঠে,ফোন পকেট থেকে বের করে ম্যাসেজ অফসনে ডুকতেই দেখে
_I am coming bebygirl,যাস্ট ৫ দিন অপেক্ষা করো।
ম্যাসেজটা দেখেই আরহার মুখে হাসি ফুটি ওঠে।

_I miss you
লিখেই আরহা ফোনের থেকে দৃষ্টি সরায়
________

রাত ২ টা ছুঁইছুঁই পুরো পৃথিবী অন্ধকারে ছেয়ে গেছে।চারদিকে হালকা মৃদু্ হাওয়া বইছে চারদিকে গরমের তান্ডবে শীতল করা মৃদু হাওয়া যেনো আশীর্বাদ।
আদিয়াত তেরো তলা ভবনের ছাদের রেলিংয়ের উপর হাত রেখে এক মনে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে।তার থেকে কিছুটা দূরেই শিহাব দাড়িয়ে ফোনে গেম খেলছে।
কিছুক্ষন পরই আদিয়াতের ফোনে কল আসে,আদিয়াত বিরক্ত হয় ফোন আসায়।তারপর ও জরুরি ফোন ভেবে পকেট থেকে ফোন বের করতেই দেখে আননোন নাম্বার থেকে কল এসেছে।আদিয়াত না চাওয়ার সত্তেও কলটা রিসিভ করে হ্যালো বলবে এর আগেই কানে আসে কোনো নারীর রিনরিনে স্বরে বলা কথা-

_আসলামু আলাইকুম
আদিয়াত হঠাৎ থমকে যায় কন্ঠটা শুনে তারপর নিজেকে সামলে বলে
_ওয়ালাইকুম সালাম

_চিনতে পেরেছেন আমাকে?

_আমার ব্রেন এতো টাও দুর্বল না যে এতো তাড়াতাড়ি আপনার ভয়েস ভুলে যাবো মিস আরহা খান।
আদিয়াতের কথা আরহা খুশি হয়ে বলে
_কাল দেখা করছেন তো?

_আপনি কি বলতে চান সেটা ফোনেই বলেন আমার সময় নেই দেখা করার।
আদিয়াত শক্ত কন্ঠেই কথাটা বলে।

_প্লিজ না করবেন না যাস্ট একদিন,আমি জানি আপনি চাইলেই আসতে পারবেন।

_ওকে বিকেল তিন টার সময় লোকেশন পাঠিয়ে দিন আর এই এক দিনই শেষ
বলেই আদিয়াত ফোন কেটে দেয়

_______

পার্কের বেঞ্জের উপর শারী পরিহিতা এক নারী পা ঝুলিয়ে বসে আছে।বাতাসে লম্বা তার চুলগুলো উরে এসে মুখে পরছে।যার কারনে সে বিরক্ত হয়ে বার বার হাত দ্বারা চুল গুলো কানের পিছনে গুজেঁ নিচ্ছে। এিশ মিনিট যাবত সে কারো জন্য অপেক্ষা করছে। কিন্তু তার আসারই খবর নেই।পার্কে সে একাই আছে,হয়তো তার লোকেরাই পুরো পার্ক ফাকা করেছে তার কথায়৷

হাত ঘরি দেখতে দেখতেই তার চোখ যায় রাস্তায় যেখানে একটা কালো রংঙের বিএমডব্লিউ কার এসে থেমেছে।তার পিছনেই রয়েছে দুইটি গার্ডের কার।একজন গার্ড আদিয়াতের কারের দরজা খুলে দিতেই আদিয়াত নামে।
আরহা এক দৃষ্টিতে সাদা শার্ট পড়ুয়া শুভ্র মানবটির দিকে তাকিয়ে আছে।

আদিয়াত গায়ের অ্যাস রঙা ব্লেজার টা খুলে গার্ডের হাতে দেয়।সে একটি সাদা শার্ট পরা সাথে কালো প্যান্ট।আদিয়াত পকেটে এক হাত ডুকিয়ে মোবাইল টিপতে টিপতে পার্কে ডুকে সামনে তাকাতেই যেনো তার পৃথিবী থমকে যায়।

চলবে…….

(ভুল-ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। গাইজ সরি হ্যা বলেছিলাম ৮ টার সময় একটা পর্ব দিবো এখন ১১ টার সময় দিচ্ছি। অর্ধেকটা লিখেই রেখেছিলাম,বাট সন্ধ্যার দিকে মাথা ব্যাথার কারনে ঘুমিয়ে পড়ি। ঘুম ভাঙ্গতেই দেখি সারে দশটা বাজে বাকি টুকু লিখে তাড়াতাড়ি পোস্ট করি।আপনাদের জন্য মাথা ব্যাথা নিয়েই লিখলাম লাইক কমেন্ট করবেন কিন্তু নাহলে রাগ করবো😒)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here