ছোট সাহেবের অত্যাচার – পর্ব ৭

0
694

ছোট সাহেবের অত্যাচার
Writer:Bushratuzzaman Shoya
Part:07
.
— হুম হুম কি করছিস??
আমি তোর সাথে থাকসি।
এই ফাজিলগুলো কখন কি করে তোর সাথে।
তুই আমার সাথে থাক।
.
ছোট সাহেবের বন্ধুগুলোর গার্লফ্রেন্ডরা তাদেরকে বলছে,,
.
— দেখ দেখ।
তোমার বন্ধুদেরকে দেখে কিছু শিখ।
.
— কি শিখব??
.
— তোমাদের ওই খারাপ বন্ধুর কুনজর থেকে বাঁচানোর জন্য কিভাবে প্রান্তিক ভাইয়া ছোঁয়াকে প্রোটেকশন করছে।
তোমরা তো কিছুই করনি।
আমাদের পাশ দিয়ে হাটনি।
.
— আরে ছোঁয়া তো শান্তশিষ্ট মেয়ে তেমন কিছু বলে না তাই ও প্রোটেকশন দিচ্ছে।
.
— তা হলেই ভাল।
.
.
.
ছোট সাহেব বারবার শুধু আমার সাথেই থাকছেন ওই ছেলেগুলোর কুনজরের জন্য।
উনি হঠাৎ করেই বলে উঠলেন,,
.
— আমি একটু আসি রে।
তুই সাবধানে থাক।
.
— জ্বি ছোট সাহেব।
.
ছোট সাহেব চলে গেলেন।
আমি একলা একা দাঁড়িয়ে রয়েছি।
ছোট সাহেব দূরে চলে যাওয়ার সুযোগে কয়েকটা ছেলে এসে আমার গায়ে টাচ করার চেষ্টা করছে।
.
আমার খুব রাগ উঠছে।
আমি কিছুতেই আমার রাগকে কন্ট্রোল করে রাখতে পারছি না।
আমি ছেলেটার পায়ে পাড়া দিলাম।
.
ছেলেটা চিৎকার দিয়ে নিচে বসে পড়ল।
ছেলেটার চিৎকার শুনে সবাই এইদিকে ঘুরে তাকাল।
ছেলেটা উঠে দাঁড়িয়ে আমার গায়ে টাচ করার চেষ্টা করছে আর বলছে,,
.
— তোর এত বড় সাহস আমাকে লাথি মারিছ।
দাঁড়া দেখাচ্ছি তোর মজা।
.
আমি ছেলেটাকে একটা থাপ্পড় মারলাম।
ছেলেটা আমার হাতের থাপ্পড় খেয়ে মাটিতে পড়ে গেল।
আমি ছেলেটার কাছে যেয়ে কয়েকটা লাথি মারলাম।
.
লাথি মেরে তারপর বলতে লাগলাম,,
.
— তোদের মত ছেলেদের জন্য কোন মেয়েই সুরক্ষিত নেই।
একটা করে গার্লফ্রেন্ড আর স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও আর একটা মেয়ের সাথে ঘুরা লাগবেই।
মেয়েটাকে কুনজর দিতেই হবে।
মেয়েটার সাথে রুম ডেট করার লাগবে অথচ একটা থাকা সত্ত্বেও।
.
ছোট সাহেব চলে এসেছেন।
তিনি সবই দেখছেন।
আমি আবার বলা শুরু করলাম,,
.
— তোমার সাহস হয় কোথা থেকে আমাকে টাচ করার??
এই জীবনে শুধু আমাকে টাচ করার অধিকার আছে উনার।(ছোট সাহেবকে দেখিয়ে)
আর কারোর নয়।
উনি ছাড়া আর যে আমাকে টাচ করতে আসবে তার অবস্থা এইরকম হবে।
Understand…
I think you can better understand…
.
আমি ছোট সাহেবের সামনে যেয়ে বলছি,,
.
— i will go to my home…
Please let’s go…..
.
— yeah sure….
.
.
.
ছোট সাহেবের ভালো সেই পাঁচ বন্ধু বলছে,,,
.
— আরে এখনি চলে যাবে নাকি।
খেয়ে যাও।
আরে প্রান্তিক তুই কিছু বল ছোঁয়াকে।
.
— এই ছোঁয়া খেয়ে যা।
.
— ঠিক আছে।
.
পাঁচটা মেয়েগুলো বলে উঠল,,
.
— তোমাদের কে বলেছে এই বদগুলোকে ইনবাইট করার।
খুব ভালো করেই জান এরা খুব লুচ্চা।
পুরো পার্টি টা মাটি করে দিল।
.
— ছোঁয়া চল খেয়ে নিবে।
.
আমাকে নিয়ে গেল খাওয়ার জন্য।
ছোট সাহেবকেও নিয়ে গেল।
ছোট সাহেবের বন্ধুরা বলছে,,
.
— তোকে কে বলেছিল ছোঁয়ার সঙ্গ ছাড়তে।
তাহলে সাহসটুকুই পেত না এইভাবে ছোঁয়ার কাছে যাওয়ার।
একটু ছোঁয়াকে মানা না আর কিছুখন পার্টিতে থাকার জন্য।
তোরা চলে গেলে পুরো পার্টি টা spoil হয়ে যাবে রে।
পারলে ওই বদ গুলো চলে যাস।
.
ছোট সাহেব ওদের দিকে একটু অন্যরকমভাবে তাকালো।
তারপর উনারা বলা শুরু করল,,
.
— হয়তো আমাদের সামনে বলতে লজ্জা পাচ্ছে।
আমরা একটু ওইদিকে যাই।
.
— হুম চল।
.
.
.
উনারা চলে গেল।
আমি চুপচাপ বসে রইলাম।
ছোট সাহেব আমাকে বলছেন,,
.
— ছোঁয়া আমাদের এখন পার্টিতে থাকা উচিৎ।
দ্যাখ এই পার্টি টা শুধু আমার আর তোর জন্য আয়োজন করা হয়েছে।
আমি একটা সুন্দরি গার্লফ্রেন্ডকে খুঁজে পেয়েছি তার জন্য।‌
.
— but i don’t any relationship with you…..
You know that….
.
— i know that….
.
— তারপরও কেন এমন কথা বলছেন ছোট সাহেব??
.
— কারন মেয়েগুলো তো আর জানে না আমরা রিলেশন করি।
আর এটাও জানে না তুই আমাদের বাসায় থাকিস আর কাজ করিছ।
প্লিজ তুই থেকে যা।
আমি ওই লুচ্চাগুলোকে দেখে নিব তুই থাক।
.
— ঠিক আছে।
.
.
.
ওই পাঁচজন ওদের গার্লফ্রেন্ডকে বলছে,,,
.
— তোমাদের একটা কথা বলার আছে??
.
— বল।
.
— প্রান্তিক আর ছোঁয়ার মাঝে কোন রিলেশন নেই।
ওদের মাঝে কোন সম্পর্ক নেই।
.
— কি??
তোমরা তাহলে আমাদেরকে মিথ্যে কথা বললে কেন??
.
— এর জন্য যে এরা দুইজন এক হতে পারে।
.
— আমরা কিছুই বুঝতে পারলাম না।
কি বলার চেষ্টা করছ।
.
— ছোঁয়া হল প্রান্তিকদের বাসায় একজন আন্টি কাজ করত তার মেয়ে।
.
— না এইটা অবিশ্বাস্যকর।
এইটা সত্যি নয়।
কারন ও যেইভাবে কথা বলছিল দেখে মনে হচ্ছিল না,,,
.
— কারন প্রান্তিকের বাবা ওকে পড়ালেখা শিখায়।
মেয়েটা প্রচুর ভালোবাসে আমাদের এই বন্ধুটাকে।
অনেক কেয়ার করে।
ওর মনের কথা এক নিমিষে বুঝে যায়।
প্রান্তিকের জন্য ওর থেকে যোগ্য আর কেউ নেই।
ওর জন্য সবই করতে পারে মেয়েটা।
আমরা চাই‌ যে ওদের মাঝে একটা সুন্দর সম্পর্ক গড়ে উঠুক।
তোমরা প্লিজ আমাদেরকে হেল্প কর।
.
— ঠিক আছে।
আমরাও হেল্প করব ওদের দুইজনকে কাছাকাছি আনার জন্য।
.
.
.
উনারা আমাদের কাছে আসতে লাগলেন।
ছোট সাহেব আমাকে বলছেন,,
.
— তুই এতটা রিয়েক্ট নাও করতে পারতি।
আর শেষের ওই কথাটাও তো নাও বলতে পারতি।
.
— ঠিকই তো বলেছি।
এই জীবনে শুধু আমাকে ছোঁয়ার আপনারই অধিকার আছে।
আর কারোর না।
আপনি আমাকে ছুতে পারেন অত্যাচার করতে পারেন।
কিন্তু আর কাউকে এই অধিকার দেইনি আমি।
.
— শুধু আমাকেই কেন??
.
— কারন আমি আপনাকে,,,
.
— তুই আমাকে,,,
.
— কারন আপনি আমার ছোট সাহেব।
আমি আমার ছোট সাহেবের সব অত্যাচার সহ্য করতে পারি।
আর কারোর না।
.
আমার এই কথা শুনে উনিও আর কিছু বলতে পারলেন না।
কোন এক বাধার কারনে আমি ছোট সাহেবকে বলতে পারলাম না ছোট সাহেব আমি আপনাকে ভালোবাসি।
ছোট সাহেবের বন্ধুরা উনাকে জিজ্ঞাসা করছেন,,
.
— কি রে প্রান্তিক,,
ও কি রাজি হয়েছে থাকতে।
.
— হুম।
প্রিয়াংকা,সুমি,সুমাইয়া,পারুল,সাদিয়া তোরা একটু ছোঁয়ার খেয়াল রাখ।
.
— জ্বি প্রান্তিক ভাইয়া।
.
— আর আরিফ,আসিফ,সুমন,রাজ,রাকিব তোরা আমার সাথে আই।
.
— হুম চল।
.
.
.
উনারা সবাই মিলে বাইরে গেলেন।
ওই ছেলেগুলোর কাছে গেলেন যারা আমাকে ছোঁয়ার চেষ্টা করেছিল।
ছোট সাহেব তো অনেক রেগে রয়েছে।
.
উনার এই রাগ আর কেউ না দেখতে পেলেও আমি দূর থেকে অনুভব করতে পারছি।
ছোট সাহেব ওই ছেলেটার শার্টের কলার ধরে বলছে,,,
.
— তোর সাহস তো কম নই।
আমার সামনেই আমার টাকে ছোঁয়ার চেষ্টা করিছ।
আর বদ এত কিছু হওয়ার পরও তোরা এইখানে রয়েছিস।
Get out…
.
— তুই কিন্তু আমাদের অপমান করছিস।
.
— get out…
.
— ওই ছেলেগুলো চলে গেল।
.
.
.
চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here