মেঘের_শহর #পর্ব_৮ Saji Afroz

0
107

#মেঘের_শহর
#পর্ব_৮
Saji Afroz
.
হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলো। বৃষ্টির প্রথম ঝাপটায় হুরায়রা নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে ছিল। চায়ের দোকান গুলোও খোলা ছিল। এখন বৃষ্টি বাড়তে শুরু করেছে। দোকান বন্ধ হয়ে গেছে।
আশেপাশে কোনো মানুষ নেই। বৃষ্টি পড়লে নদীর পাড়ে সহজে মানুষ আসে না। তাই দোকানও বন্ধ হয়ে যায়।
হুরায়রা দেখতে পেল, খুঁটিতে বাঁধা দু’টি গরু আছে। মনে হচ্ছে একটি মা গরু আরেকটি তার বাচ্চা। গরু গুলোকে দেখে হুরায়রার নিজেকে একা মনে হচ্ছে না। এদের মালিক না আসা পর্যন্ত এখানে সময় কাটাবে ভেবে নিলো সে। যদিও হুরায়রা ছাতা আনেনি।
তাই সে ভিজে যাচ্ছে । তবুও তার ভালো লাগছে৷ পরে না হয় একটা গাড়ি ঠিক করে চলে যাবে। এখন সে এখানেই থাকতে চায়। বৃষ্টির দিনে নদীর সৌন্দর্য দেখার মজাই আলাদা।
-এই বৃষ্টিতে আপনি এখানে?
.
পেছনে ফিরে মেঘকে দেখে অবাক হলো হুরায়রা। আজ এখানে সে মেঘের দেখা পাবে ভাবেনি। হুরায়রা কাতান কাপড়ের একটি সালোয়ার কামিজ পরেছে। তাই বৃষ্টিতে ভিজলেও তার শরীরের কোনো অংশ বোঝা যাবে না। এই ব্যাপারে নিশ্চিত সে। তবুও মেঘ কে দেখে নিজের শরীরের ওড়না ঠিক করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল।
মেঘ তার অবস্থা বুঝতে পেরে চোখ সরিয়ে নিলো।
হুরায়রা ওড়না টা নিজের শরীরে ভালোভাবে পেঁচিয়ে বলল-
আমি প্রায় এখানে আসি। আজ বৃষ্টি হবার কোনো অবকাশ পাইনি। নাহলে আসতাম না। তবে ভালোই লাগছে এখানে। ভেবেছি কিছুটা সময় এখানে কাটাই। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে…
-চলে যেতে হবে।
.
মেঘের কথা শুনে মৃদু হেসে হুরায়রা বলল-
ঠিক ধরেছেন।
-হ্যাঁ, চলে যাওয়াই ভালো। একা একটা মেয়ের এই অবস্থায় এখানে থাকা নিরাপদ নয়।
.
হুরায়রা কিছু বলল না। তবে মুখ টিপে হাসতে লাগলো। যেন খুব বেশি মজার কথা বলে ফেলেছে মেঘ!

মেঘ নদীর পাড়ে থাকা বড় গাছটির নিচে চলে গেল। এখানে থাকলে মাথায় বৃষ্টির ফোঁটা পড়ার সম্ভাবনা কম। কারণ এখন তেমন বেশিও বৃষ্টি নেই।
হুরায়রা চেঁচিয়ে জিজ্ঞাসা করলো-
ওদিকের চায়ের দোকান সব কি বন্ধ হয়ে গেছে?
-হ্যাঁ।
-ইশ! এই সময় এক কাপ চা হলে মন্দ হত না। সামান্য বৃষ্টিতেই এরা দোকান বন্ধ করে চলে গেল। অদ্ভুত!
.
হুরায়রা যাওয়ার কথা বললেও গেল না। নদীর দিকে তাকিয়ে আছে সে। আর তার দিকে মেঘ।
মেয়েটি কেমন যেন। তাকে বুঝতে হলে খুব বেশি সময় কাটাতে হবে তার সাথে। কিন্তু সাইয়ারা এমন নয়। প্রথম দিনেই মেয়েটিকে বুঝতে পেরেছে সে।
হুরায়রা কেনো এমন নয়? অবশ্য এমন হলে তার প্রেমে মেঘ পড়তো না।
আকাশি রঙের কাতান সালোয়ার কামিজ ভিজে গেছে একেবারেই। জামার সাথে তার চুলগুলো লেপ্টে আছে৷ বৃষ্টির তালে তালে হুরায়রার লম্বা চুল বেয়েও পানির ফোঁটা পড়ছে। একটু পর পর চোখেমুখে হাত দিয়ে পানি সরাচ্ছে হুরায়রা।
দেখে বোঝাই যাচ্ছে, মেয়েটির বৃষ্টিতে ভেজার ভালোই অভিজ্ঞতা আছে।
একটু পরে বৃষ্টি বাড়তে শুরু করেছে। বৃষ্টির পানি কনকনে ঠান্ডা হবার কারণে সূঁচের মতো গায়ে বিঁধছে। এখন বড় গাছের পাতাও বৃষ্টিতে ভেজা থেকে রক্ষা করতে পারলো না মেঘ কে। সে হুরায়রার কাছে এসে দাঁড়ালো। কোনো কথা বলল না। দুজনেই ভিজে জবজবে হয়ে গেছে।
বৃষ্টির সাথে বাতাসের গতিও বাড়তে লাগলো।
গরু গুলো তারস্বরে চিৎকার করছে।
হুরায়রার দৃষ্টি এখন সেদিকে। মেঘ বুঝতে পারলো, এখন হুরায়রা গরুর চিন্তায় মগ্ন। আর এই বিষয়ে হুরায়রা তাকে কিছু বলতে চায়ছে। মেঘ এই ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞাসা করতে চাইলে
কারো কণ্ঠস্বর তার কানে ভেসে আসলো।
একজন মধ্যবয়স্ক লোক এদিকে কিছু বলতে বলতে এগিয়ে আসছেন।
পরণে ফতুয়া ও লুঙ্গি, মাথায় পেঁচিয়ে রেখেছেন একটা লাল টকটকে গামছা।
লুঙ্গি টা বেশ উঁচু করেই পরেছেন তিনি।
দেখা গেল খুঁটিতে বাঁধা গরু গুলোর মালিক তিনি। দড়ি খুলতে খুলতে তাদের দিকে তাকিয়ে লোকটি বললেন, এখানে বেশি না দাঁড়িয়ে বাড়ি চলে যেতে।
.
তার কথা শুনে মেঘ বলল-
মনে হচ্ছে না তুফান হবে। তাই ভয়ের কিছু নেই।
.
লোকটি বললেন, এভাবে বৃষ্টিতে ভিজলে তারা অসুস্থ হয়ে পড়বে।
.
কথাটি বলেই গরু ছেড়ে নিয়ে লোকটি মুহুর্তের মধ্যে অদৃশ্য হয়ে গেল।
.
প্রায় সাথে সাথেই ঝড়ের আরেকটা প্রবল ঝাপটা এল। শোঁ শোঁ শব্দে বাতাস বইতে লাগলো। বাতাসের কি প্রচণ্ড শক্তি! মনে হচ্ছে তাদের উড়িয়ে নিয়ে যাবে।
মেঘ বলল-
এখানে আর অপেক্ষা করা ঠিক হবে না৷ চলুন যাওয়া যাক।
.
হুরায়রার কাছে কোনো জবাব না পেয়ে পাশে তাকালো সে।
আশ্চর্য!
মেয়েটি তার পাশে নেই। এখনি তো ছিল। চোখের পলকেই কিভাবে গায়েব হয়ে গেল?
আশেপাশে চোখ বুলাতে থাকলো মেঘ। নাহ, হুরায়রা কে দেখা যাচ্ছে না।
পাশ থেকেই চলে গেল, আর সে কি না দেখলোই না!
হয়তো মেঘের মনোযোগ তখন ওই লোকটির দিকেই ছিল।
মেয়েটিই বা কেমন! একসাথেই দুজনে ছিল। তাকে কি একবার বলে যেতে পারতো না?
মেঘ হতাশ হয়ে হাঁটতে শুরু করলো। বৃষ্টির মাঝে এখানে থাকার কোনো মানে নেই। অনেক আগেই ফিরে যেত সে। কেবলমাত্র হুরায়রার জন্য ছিল।
.
মেঘ হাঁটতে হাঁটতে চায়ের দোকানের পাশে চলে আসলো। করিম চাচার দোকানের সামনে আসতেই চমকে উঠলো সে।
দোকানটি খোলা। আর হুরায়রা সেখানে বসে চা বানাচ্ছে।
এই বৃষ্টির মাঝে মনোরম এক পরিবেশের ছোট্ট একটি দোকানে বসে একটি অপরূপা চা বানাচ্ছে। দৃশ্যটি দেখার মতো! ভালো আঁকতে জানলে এই দৃশ্যটি এঁকে ফেলতো মেঘ। এমন একটি চিত্রের জন্য হয়তো পুরষ্কারও পেয়ে যেত!
.
মেঘের ইচ্ছে করছে কাক ভেজা ললনাটির হাতে বানানো এক কাপ চা খেতে।
চা বানাতে বানাতে হুরায়রার নজর পড়লো সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মেঘের উপরে।
তাকে দেখে বিরক্ত হলো না সে। বরং হাসিমুখে বলল-
চা খাবেন?
.
হুরায়রার প্রশ্নে ঘোর কাটলো মেঘের৷ এই যেন মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি!
হুরায়রা তাকে এখান থেকে চলে যাওয়ার কথা বলতে পারে। কিন্তু চা খাওয়ার প্রস্তাব দিতে পারে এটা কল্পনারও বাইরে ছিল মেঘের।
মেঘ হ্যাঁ সূচক ভাবে মাথাটি নাড়তেই হুরায়রা বলল-
বাইরের বেঞ্চে বসলে বৃষ্টির ফোঁটা লাগবে শরীরে।
ভেতরে এসে পিড়ির উপরে বসুন।
.
মেঘ বাধ্য ছেলের মতো হুরায়রার পাশে রাখা পিড়ির উপরে বসলো।
হুরায়রা এক কাপ চা তার দিকে এগিয়ে দিলো।
চায়ে চুমুক দিয়ে চোখজোড়া বন্ধ করে ফেললো মেঘ।
এমন চা ফাইভ স্টার হোটেলে পাওয়া যাবে কি না সন্দেহ!
সে মুখে শুধুমাত্র একটি শব্দই উচ্চারণ করলো-
দারুণ!
.
চা শেষ করে মেঘ বলল-
করিম চাচার চায়ের চেয়েও আপনার টা ভালো হয়৷ শুধু করিম চাচা কেনো! আমি এমন চা কখনো খাইনি। কি মিশিয়েছেন আপনি?
.
মৃদু হেসে হুরায়রা বলল-
ধন্যবাদ।
.
মেঘ বলল-
বুঝলাম না?
-খালাকে আপনি চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। একটা ধন্যবাদ তো দিতেই হত আপনাকে।
-কিন্তু আপনি…
-সেদিনের ব্যবহারের জন্য দুঃখিত৷
.
মেঘ এই বিষয়ে আর কথা বাড়ালো না। সেদিন একটু অভিমান হলেও এখন তার মনে কিছুই নেই। যা আছে তা হলো ভালোবাসা। যেটা আরো কয়েকগুণ বেড়ে গেল এখন।
ইচ্ছে করছে দোকানের ঝাঁপটা নামিয়ে দিয়ে হুরায়রা কে নিজের বাহুডোরে আবদ্ধ করে, দু’টো ভিজে শরীর মিলেমিশে একাকার হয়ে যেতে!
.
.
.
একটা ক্লাস করেই বাড়ি ফিরে এল সাইয়ারা। বৃষ্টির মাঝে ক্লাসে তার মন বসে না।
বাড়িতে এসেই খালাকে খিচুড়ি করার তাগিদ দিলো। খালা জানালো, তিনি অনেক আগেই রান্না সেরে ফেলেছেন। খিচুড়ি না হয় রাতে করবে।
সাইয়ারা কথা না বাড়িয়ে নিজের রুমে চলে এল। ফ্রেশ হয়ে বিছানায় শরীর টা এলিয়ে দিলো সে। কিন্তু তার শরীরে ক্লান্তি নেই। তাই এখন ঘুম আসছে না। দুপুরের খাবারের সময়ও হয়নি এখনো।
কিভাবে সময় পার করবে ভাবতে ভাবতে মেঘের কথা মনে পড়লো। তার সাথে বকবক করেই না-হয় এই সময় টা কাটানো যাবে। এই ভেবে ছাতা হাতে বেরুলো সাইয়ারা। মেঘের বাড়িতে এসে কাউকে না দেখে ডাক ছাড়লো সাইয়ারা। অন্তরা আহম্মেদ রান্নাঘর থেকে বললেন-
আমি রান্নাঘরে!
.
রান্নাঘরে যেতেই তার দেখা দেখা পেল সাইয়ারা।
অন্তরা আহম্মেদ চুলোয় খিচুড়ি বসিয়েছেন। তা দেখে সাইয়ারা লোভনীয় কণ্ঠে বলল-
খিচুড়ি!
-হু। এই সময়ে খিচুড়ি না খেলে আর কখন?
-এই কথাটিই আমি খালাকে বোঝানোর চেষ্টা করি।
-বুঝে না?
-নাহ।
.
তিনি সাইয়ারার মুখের দিকে তাকিয়ে হেসে ফেললেন।
সাইয়ারা খিচুড়ির দিক থেকে মুখ সরিয়ে অন্যদিকে তাকিয়ে বলল-
হাসলেন কেনো?
-আজ আমাদের সাথেই দুপুরের খাবার খেও।
.
আনন্দিত হয়ে সাইয়ারা বলল-
সত্যি?
-হ্যাঁ।
-সেই না হয় খাব। এখন আপনার ছেলে কোথায় বলুন তো?
.
সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকিয়ে অন্তরা আহম্মেদ বললেন-
আমার ছেলের খোঁজ কেনো?
-বারেহ! গল্প করার জন্য।
-আমার ঘরে তো মেয়েও আছে।
-তার সাথে আমার জমে না কি?
.
তিনি সাইয়ারার একদম কাছে এসে বললেন-
কি চলে দুজনের মাঝে?
.
সাইয়ারা তার প্রশ্নের মানে বুঝতে না পেরে বলল-
বুঝলাম না।
-ভালোবাসো একে অপর কে?
.
অন্তরা আহম্মেদের মুখে কথাটি শুনে হকচকিয়ে উঠলো সাইয়ারা৷ কি বলবে বুঝতে পারছে না সে। কেবল প্রশ্নটি তার মাথায় ঘুরছে।
‘ভালোবাসিস একে অপরকে?’
.
নিশ্চুপ সাইয়ারা কে দেখে অন্তরা আহম্মেদের সন্দেহ দ্বিগুণ বেড়ে গেল। তিনি বললেন-
কি হলো? আমার ছেলে কে ভালোবাসো?
.
লজ্জায় সাইয়ারার মুখটা লাল হয়ে গেছে। সে কখনো মেঘ কে নিয়ে এমন চিন্তা করেনি। তবে কেনো সে বলতে পারছে না? এমন কিছু না। মেঘ কে সে ভালোবাসে না!
.
অন্তরা আহম্মেদ তার কাধ স্পর্শ করতেই কেঁপে উঠলো সাইয়ারা।
তিনি প্রশ্নসূচক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন তার দিকে। সাইয়ারা কানে চুল গুজতে গুজতে বলল-
ওমন কিছু না।
-তবে লজ্জা পাচ্ছ কেনো?
.
সে লজ্জা পাচ্ছে তাও এই মহিলাটি বুঝে ফেলেছেন! কি মুশকিল! এখানে বেশিক্ষণ থাকলে নির্ঘাত কোনো গন্ডগোল পাকিয়ে ফেলবে সে। তাই তাড়াতাড়ি কেটে পড়াই শ্রেয়।
সাইয়ারা বলল-
এখন আসি। পরে আসব আবার।
.
সাইয়ারা ছুটতে লাগলো।
অন্তরা আহম্মেদ চেঁচিয়ে বললেন-
আরে পাগলি মেয়ে, খিচুড়ি তো খেয়ে যাও!
.
বের হবার সময় মেঘের সাথে ধাক্কা লাগলো সাইয়ারার।
সে পড়ে যেতে চাইলে মেঘ তাকে ধরে ফেলল। জানতে চাইলো, সে ঠিক আছে কি না।
সাইয়ারার কোমরে মেঘের হাত। এমন হঠাৎ স্পর্শে সাইয়ারার পুরো শরীর টা ঝাকুনি দিয়ে উঠলো। অন্য কেউ হলে এক ঝাটকায় হাতটি সরিয়ে নিতো সাইয়ারা। কিন্তু এখন সে এমনটা করলো না। মেঘ নিজেই হাত সরিয়ে বলল-
ছুটছো কেনো বাচ্চার মতো?
.
সাইয়ারা কিছু না বলে দৌড় দিলো। ছাতাটাও খুললো না।
মেয়েটি কি কারণে এত আনন্দিত মেঘ বুঝতে পারলো না।
.
বাসায় এসে নিজের বিছানার উপরে ঝাপিয়ে পড়লো সাইয়ারা। লম্বা হয়ে শুয়ে চোখ জোড়া বন্ধ করে ঘনঘন নিশ্বাস নিতে লাগলো সে। মুহুর্তের মাঝেই কি হয়ে গেল তার?
দুই বছর আগে যখন মেঘ কে দেখেছে তখন তো এমন হয়নি! প্রথম যেদিন তার সাথে কথা বলেছে তখন তো এমন হয়নি! মেঘের সাথে বসে সে চটপটি খেয়েছে, তখন তো এমন হয়নি! মেঘের খুব কাছে বসে তার সাথে গল্প করেছে সে, তখনো এমন হয়নি!
তবে আজ কি হলো তার?
তবে কি আনমনেই সে মেঘ কে ভালোবেসে ফেলেছে? যেটা সে নিজেও বুঝতে পারেনি! হয়তো। না-হয়
আজ অন্তরা আহম্মেদের প্রশ্ন শুনে কেনো সে নিশ্চুপ ছিল! কেনো সে বলতে পারছিল না, আপনি যা ভাবছেন সব ভুল।
.
কি করে বলবে? তিনি ভুল বলেন নি। তাদের মাঝে কোনো সম্পর্ক নেই এটা সত্যি। তার চেয়েও বড় সত্যি হলো, সে ভালোবাসে মেঘ কে। হ্যাঁ, সাইয়ারা ভালোবাসে মেঘ কে!
.
.
.
দুপুরের খাবার খাওয়ার পরে নিজের রুমে এল মেঘ। এখন বাইরে বৃষ্টি নেই৷ তবে আকাশ টা মেঘলা এখনো। জানালা দিয়ে দেখতে ভালো লাগছে মেঘলা আকাশ। তাই মেঘের জানালার পাশে এসে আকাশ দেখতে লাগলো। তার মনে হচ্ছে আকাশের বুকে হুরায়রার হাসিমাখা মুখের একটি বড় ছবি ভাসছে। চোখ মুছে আবারো তাকালো সে।
নাহ, এমন কিছু নেই দেখে আপনমনে হাসলো মেঘ।
আজ যেন খুব দ্রুত সময়টা পার হয়ে গিয়েছে। আরেকটুখানি দুজনে একসাথে থাকলে কি পারতো না?
হুরায়রার কথা ভাবতে ভাবতে একটি বিষয় মেঘের মাথায় আসলো৷ মেঘের যতটুকু মনে পড়ে সব দোকান তালাবন্ধ ছিল। তাহলে হুরায়রা দোকানের ভেতরে প্রবেশ করলো কিভাবে! নিশ্চয় করিম চাচা তাকে চাবি দিয়ে যান নি।
.
চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here