ছোট সাহেবের অত্যাচার – পর্ব ২১

0
546

ছোট সাহেবের অত্যাচার
Writer:Bushratuzzaman Shoya
Part:21
.
পুষ্পিতা:- এইটা আবার কোন ধরনের নাম??আপনি কি পাগল হয়ে গেছেন??

জ্যাক:- no..আমার কাছেই তো এই নাম ভালোই লাগে p..

পুষ্পিতা:- ওফ।

পুষ্পিতাকে এইভাবে রাগতে দেখে জ্যাক চলে গেল।পুষ্পিতা শার্টের কলার ধরতেও যেয়ে ধরল না।রাগে গজগজ করতে করতে চলে গেল।

আমার চোখ দিয়েই শুধু পানি পড়ে যাচ্ছে।থামতেও চাচ্ছে না।ছোট সাহেব আমার হাতটা ধরলেন।আমার চোখের পানি মুছে দিলেন।আমার দুই গালে হাত দিয়ে বলতে লাগলেন,,

প্রান্তিক:- কিছু একটা হলে তুই এইভাবে কান্না করিছ কেন??

আমি:- আমি তো আর বেশিদিন বাঁচব না।তো কি করব??কান্না করা ছাড়া আর কি উপায় আছে বলুন ছোট সাহেব।

প্রান্তিক:- চুপ।একদম চুপ।কিচ্ছু হবে না তোর।আমি তোর কিছু হতে দিব না।আর অপারেশন করলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।

আমি:- কিন্তু,,,

প্রান্তিক:- কোন কিন্তু না।এখন আর কান্না না।অনেক অতিথি আছে।কি ভাববেন উনারা।মুখে হাসি।

আমি:- ঠিক আছে।

রাত হয়ে গেছে।সবাই যে যার মত করে খেয়ে দেয়ে যার যার রুমে চলে গেল।আমিও চলে গেছি।কিন্তু ছোট সাহেব এখনও নিচে রয়েছে।আমি সব গয়না খুলতে লাগলাম।কিন্তু হার কিছুতেই খুলতে পারছি না।

ছোট সাহেব কখন যে রুমে চলে এসেছে খেয়ালই করেনি।আমি চেষ্টা করেই যাচ্ছি।উনি আমাকে বলতে লাগলেন,,,

প্রান্তিক:- কি হয়েছে??তুই এমন করছিস কেন??

ছোঁয়া:- এই হার কিছুতেই খুলতে পারছি না।

প্রান্তিক:- আমি কি হেল্প করতে পারি??

ছোঁয়া:- আপনি না না।

প্রান্তিক:- ছোঁয়া কোন কথা নয়।এইদিকে আসতে বলছি।

আমি বাধ্য হয়েই উনার কাছে গেলাম।উনি হারটা খুলে দিলেন।উনি আমার পিঠে স্পর্শ করলেন।আমি সাথে সাথেই কেঁপে উঠলাম।আমি উনার দিকে ঘুরে তাকলাম।উনি বলতে লাগলেন,,

প্রান্তিক:- সরি খোলার সময় হাত লেগে গেছে।আমি ওইসব ছেলেদের মত না।

ছোঁয়া:- আমি জানি।

প্রান্তিক:- কি জানিস??তুই আমার সম্পর্কে।

ছোঁয়া:- কিছু না।

প্রান্তিক:- কিছু না বললেই হল।তুই জানিস কিছু।বল।

ছোঁয়া:- বললাম তো কিছুই জানি না।

এই কথা বলে চলে যাচ্ছিলাম।উনি আমার হাতটা টেনে ধরলেন।এক টান দিয়ে উনার কাছে নিলেন।আমি লজ্জা পেয়ে মুখ লুকিয়ে নিলাম।উনি উনার মুখটা আমার আরও কাছে নিয়ে আসছেন।আমি লজ্জা পেয়ে মুখটা লুকিয়ে নিলাম।উনি আমার কপালে একটা কিস দিলেন।

আমি সাথে সাথে চোখ খুলে ফেললাম।আমি একদৃষ্টিতে উনার দিকে তাকিয়ে রয়েছি।উনিও আমার দিকে তাকিয়ে রয়েছেন।উনি আমাকে বলতে লাগলেন,,,

প্রান্তিক:- জোর করে কারোর সাথে কোন কিছু করতে চায় না।কারন জোর করে ভালোবাসা হয় না আর পাওয়া যায় না।ওইটা তো ভালোবাসায় না ওইটা পাগলামো।

আমি উনার কাছ থেকে নিজেকে ছুটিয়ে নিয়ে জানালার পাশে দাঁড়ালাম।উনি আবার বলতে লাগলেন,,,

প্রান্তিক:- অনেক রাত হয়ে গেছে।শুইয়ে পড়।

ছোঁয়া:- জ্বি।

আমি নিচে বিছানা তৈরি করতে লাগলাম।উনি আমাকে আটকিয়ে দিয়ে বলতে লাগলেন,,

প্রান্তিক:- নিচে বিছানা করছিস কেন??

ছোঁয়া:- কালকে রাতেই তো আপনি বললেন আমাকে নিচে শুতে।

প্রান্তিক:- কালকে রাতে রাগের মাথায় বলে ফেলেছি।আজকে বলছি বেডে শোয়।

ছোঁয়া:- ঠিক আছে।

উনি শুইয়ে পড়লেন।আমিও লাইটটা অফ করে দিয়ে শুইয়ে পড়লাম।

সকাল সকাল ঘুম ভেঙ্গে গেছে।সকালে ঘুম থেকে উঠার পর থেকেই মাথা ব্যথা করছে।মাথা ব্যথা একদম সহ্য করা যাচ্ছে না।আমি আস্তে আস্তে করে নিচে নামতে লাগলাম।

নিচে এসে সোফায় বসে পড়লাম।কেমন জানি লাগছে।একে একে সবাই নিচে নামতে লাগল।আপু আমাকে এইভাবে মাথায় হাত দিয়ে বসে থাকতে দেখে বলতে লাগল,,,

কাজল:- কি হয়েছে??এইভাবে মাথায় হাত দিয়ে বসে রয়েছিস কেন???

ছোঁয়া:- সেই কোন সকাল থেকে মাথাটা ব্যথা করছে।কেমন জানি লাগছে।

কাজল:- তাহলে নিচে নামলি কেন??উপরে যে রেস্ট নে।

ছোঁয়া:- জ্বি আপু।

আমি উপরে চলে গেলাম।উপরে যেয়ে দেখি উনি রেডি হয়ে গেছেন।আমাকে দেখে একটা হাসি দিলেন।আমিও একটা হাসি দিলাম।

আমি কিছুতেই দাঁড়িয়ে থাকতে পারলাম না।মাথা ঘুরিয়ে পড়ে গেলাম।যখন আমার জ্ঞান ফিরল তখন আমি নিজেকে হাসপাতালের বেডে আবিষ্কার করলাম।

আমি কিছুতেই বুঝতে পারছি না আমার সাথে কি হয়েছিল।দেখি সবাই অনেক টেনশনে আছে।সবাই বলাবলি করছে,,,

মা:- কি হবে মেয়েটার সাথে??কিছু তো বুঝতে পারছি না।আমার খুব টেনশন হচ্ছে।

বাবা:- বলল যে কালকেই অপারেশন করতে হবে।ওর হাতে যে সময় খুব কম।

পুষ্পিতা:- মা বাবা।ছোট ভাবির জ্ঞান ফিরেছে।

মা:- তুই ঠিক আছিস তো??

আমি:- মা আমি ঠিক আছি।কিন্তু ছোট সাহেব কোথায়??উনাকে তো কোথাও দেখতে পারছি না।

কাজল:- প্রান্তিক আসলে,,,,

আমি:- কোথায় উনি আপু??

পুষ্পিতা:- ছোট ভাইয়া বাইরে আছে।

আমি:- পুষ্পি উনাকে ভিতরে পাঠিয়ে দাও না।আমি উনার সাথে কথা বলতে চাই।

পুষ্পিতা:- ঠিক আছে ছোট ভাবি।

পুষ্পিতা বাইরে চলে গেল।ছোট সাহেবকে ডাকতে।পুষ্পিতা ছোট সাহেবকে বলছে,,,

পুষ্পিতা:- ছোট ভাইয়া ছোট ভাবির জ্ঞান ফিরেছে।তোমার সাথে কথা বলতে চাই।

প্রান্তিক:- আমি যাচ্ছি।

উনি ভিতরে আসলেন।উনার চোখ দিয়ে অঝোরে পানি পড়ছে।আমারও চোখ দিয়ে পানি পড়ছে।বাবা হঠাৎ করে বলে উঠলেন,,

বাবা:- ওরা দুইজন কথা বলুক।আমরা সবাই বাইরে যাই।

সবাই বাইরে চলে গেল।ছোট সাহেব আমাকে বলছেন,,,

প্রান্তিক:- আমি যে তোর কষ্ট কিছুতেই দেখতে পারছি না।

চলবে।
[গল্পটা না দিয়ে থাকতে পারলাম না।গল্পটা একদিন পর পর দিব।আপনাদের যা বলার আছে বলুন।আমার কিছু যাই আসে না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here